আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৩- হায়েয-ইস্তিহাযা সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৭০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৭-১
২৮. তায়াম্মুমের বিবরণ
৭০৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ), থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কোন এক সফরে আমরা তাঁর সাথে বের হলাম। আমরা যখন বায়দা অথবা যাতুল জায়শ নামক স্থানে পৌছলাম তখন আমার হার খুলে পড়ে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা তালাশ করতে সেখানে থেমে গেলেন। আর লোকজনও তারসাথে সাথে থেমে পড়ল। তাদের কাছাকাছি কোথাও পানি ছিল না এবং তাদের নিজেদের কাছেও পানি ছিল না।

অতঃপর লোকজন আবু বকর (রাযিঃ)-এর কাছে এসে বলতে লাগল, আপনি দেখছেন না আয়েশা (রাযিঃ) কি করল? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আটকে দিয়েছে এবং সেই সাথে সমস্ত লোককে আটকে রেখেছে। অথচ তাদের কাছাকাছি কোথাও পানি নেই আর না তাদের নিজেদের কাছে পানি আছে। অতঃপর আবু বকর (রাযিঃ) আমার কাছে এলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার উরুর ওপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি এসে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং সমস্ত লোকজনকে আটকে রেখেছ। অথচ না তারা পানির কাছাকাছি রয়েছে, আর না তাদের নিজেদের কাছে পানি আছে।

আয়েশা (রাযিঃ) বলেন অতঃপর আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে ভৎর্সনা করলেন এবং যতদুর বলার বললেন। তিনি তার হাত দিয়ে আমার পাজরে আঘাত করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার উরুর ওপর থাকার কারণে আমি নড়তেও পারলাম না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘুমিয়েই রইলেন। এমনি করে পানি বিহীনভাবে সকাল হল।

অতঃপর আল্লাহ তাআলা তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল করলেন। তখন উসায়দ ইবনে হুযায়র (রাযিঃ) যিনি ছিলেন নকীবদের* অন্যতম বললেন, “হে আবু বকর তনয়া! এটাই আপনার প্রথম বরকত নয়”। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর আমি যে উটের ওপর ছিলাম সেটিকে চলার জন্য উঠালাম। তখন উক্ত হারটি তার নীচে পাওয়া গেল।

* নাকীবঃ হিজরতের আগে যে সকল আনসার আকাবায়ে নবী (ﷺ) এর নিকট বায়'আত গ্রহণ করেছিলেন, তাদেরকে নাকীব বলা হয়।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْبَيْدَاءِ - أَوْ بِذَاتِ الْجَيْشِ - انْقَطَعَ عِقْدٌ لِي فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْتِمَاسِهِ وَأَقَامَ النَّاسُ مَعَهُ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ فَأَتَى النَّاسُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالُوا أَلاَ تَرَى إِلَى مَا صَنَعَتْ عَائِشَةُ أَقَامَتْ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبِالنَّاسِ مَعَهُ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ . فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاضِعٌ رَأْسَهُ عَلَى فَخِذِي قَدْ نَامَ فَقَالَ حَبَسْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسَ وَلَيْسُوا عَلَى مَاءٍ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ . قَالَتْ فَعَاتَبَنِي أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ وَجَعَلَ يَطْعُنُ بِيَدِهِ فِي خَاصِرَتِي فَلاَ يَمْنَعُنِي مِنَ التَّحَرُّكِ إِلاَّ مَكَانُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى فَخِذِي فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَصْبَحَ عَلَى غَيْرِ مَاءٍ فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ التَّيَمُّمِ فَتَيَمَّمُوا . فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ الْحُضَيْرِ - وَهُوَ أَحَدُ النُّقَبَاءِ - مَا هِيَ بِأَوَّلِ بَرَكَتِكُمْ يَا آلَ أَبِي بَكْرٍ . فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَبَعَثْنَا الْبَعِيرَ الَّذِي كُنْتُ عَلَيْهِ فَوَجَدْنَا الْعِقْدَ تَحْتَهُ .
হাদীস নং: ৭০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৭-২
২৮. তায়াম্মুমের বিবরণ
৭০৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা এবং আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আবু আসমা (রাযিঃ) থেকে একটি হার ধার নিয়েছিলেন। অতঃপর তা হারিয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাহাবীদের মধ্যে কিছু লোককে তা খুঁজতে পাঠালেন। (পথে) তাদের নামাযের সময় হয়ে গেল। তখন তারা উযু ছাড়াই নামায আদায় করলেন। এরপর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে এ ঘটনা জানালেন। তখন তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল হল। এ সময় উসায়দ ইবনে হুযায়র (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম বদলা দান করুন। আল্লাহর কসম! আপনার ওপর যখনই কোন সমস্যা এসেছে তখন আল্লাহ তাআলা আপনার জন্য এর সমাধানের পথ করে দিয়েছেন এবং মুসলমানদের জন্য তাতে বরকত রেখেছেন।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، وَابْنُ، بِشْرٍ عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا اسْتَعَارَتْ مِنْ أَسْمَاءَ قِلاَدَةً فَهَلَكَتْ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاسًا مِنْ أَصْحَابِهِ فِي طَلَبِهَا فَأَدْرَكَتْهُمُ الصَّلاَةُ فَصَلَّوْا بِغَيْرِ وُضُوءٍ فَلَمَّا أَتَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم شَكَوْا ذَلِكَ إِلَيْهِ فَنَزَلَتْ آيَةُ التَّيَمُّمِ . فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ جَزَاكِ اللَّهُ خَيْرًا فَوَاللَّهِ مَا نَزَلَ بِكِ أَمْرٌ قَطُّ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ لَكِ مِنْهُ مَخْرَجًا وَجَعَلَ لِلْمُسْلِمِينَ فِيهِ بَرَكَةً .
হাদীস নং: ৭০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮-১
২৮. তায়াম্মুমের বিবরণ
৭০৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি একবার আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) ও আবু মুসা (রাযিঃ) এর কাছে বসেছিলাম। তখন আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান! কোন ব্যক্তি যদি জানাবাতওয়ালা হয় (যার ফলে তার গোসল ফরয হয়) এবং সে এক মাস যাবত পানি না পায় তাহলে সে কিভাবে নামায আদায় করবে?

আব্দুল্লাহ বললেন, সে তায়াম্মুম করবে না যদিও একমাস পানি না পায়। আবু মুসা বললেন, তাহলে সূরা মায়িদার এ আয়াত فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا (‘যদি তোমরা পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম কর’) এর কি হবে?

আব্দুল্লাহ বললেন, এ আয়াতের দ্বারা তাদেরকে যদি তায়াম্মুমের অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে (ধীরে ধীরে এমন এক পর্যায়ে পৌছবে যে) পানি ঠাণ্ডা বোধ হলে তারা মাটি দিয়ে তায়াম্মুম শুরু করবে। আবু মুসা (রাযিঃ) তখন আব্দুল্লাহকে বললেন, আপনি কি আম্মারের বর্ণনা শোনেন নি (তিনি বলেন) যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে কোন এক প্রয়োজনে পাঠালেন। (পথিমধ্যে) আমি অপবিত্র হয়ে গেলাম এবং পানি পেলাম না। তখন আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম চতুষ্পদ জন্তু যেভাবে মাটিতে গড়াগড়ি দেয়। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে এ ঘটনা বললাম।

তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বললেন, তোমার জন্য হাত দিয়ে এরূপ করাই যথেষ্ট ছিল। এই বলে তিনি তাঁর দুই হাত একবার মাটিতে মারলেন। তারপর বাম হাত দিয়ে ডান হাত মাসাহ করলেন এবং উভয় হাতের কজির উপরিভাগ ও মুখমণ্ডল মাসাহ করলেন। আব্দুল্লাহ বললেন, তুমি কি দেখনি যে, উমর (রাযিঃ) আম্মার (রাযিঃ)-এর কথা যথেষ্ট মনে করেননি?
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَابْنُ نُمَيْرٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبِي مُوسَى فَقَالَ أَبُو مُوسَى يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً أَجْنَبَ فَلَمْ يَجِدِ الْمَاءَ شَهْرًا كَيْفَ يَصْنَعُ بِالصَّلاَةِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لاَ يَتَيَمَّمُ وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ شَهْرًا . فَقَالَ أَبُو مُوسَى فَكَيْفَ بِهَذِهِ الآيَةِ فِي سُورَةِ الْمَائِدَةِ ( فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا) فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ رُخِّصَ لَهُمْ فِي هَذِهِ الآيَةِ - لأَوْشَكَ إِذَا بَرَدَ عَلَيْهِمُ الْمَاءُ أَنْ يَتَيَمَّمُوا بِالصَّعِيدِ . فَقَالَ أَبُو مُوسَى لِعَبْدِ اللَّهِ أَلَمْ تَسْمَعْ قَوْلَ عَمَّارٍ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَاجَةٍ فَأَجْنَبْتُ فَلَمْ أَجِدِ الْمَاءَ فَتَمَرَّغْتُ فِي الصَّعِيدِ كَمَا تَمَرَّغُ الدَّابَّةُ ثُمَّ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَقُولَ بِيَدَيْكَ هَكَذَا " . ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدَيْهِ الأَرْضَ ضَرْبَةً وَاحِدَةً ثُمَّ مَسَحَ الشِّمَالَ عَلَى الْيَمِينِ وَظَاهِرَ كَفَّيْهِ وَوَجْهَهُ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَوَلَمْ تَرَ عُمَرَ لَمْ يَقْنَعْ بِقَوْلِ عَمَّارٍ
হাদীস নং: ৭০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮-২
২৮. তায়াম্মুমের বিবরণ
৭০৬। আবু কামিল আল জাহদারী (রাহঃ) ......... শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আবু মুসা (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে বললেন, এরপর আবু মুআবিয়ার হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার জন্য এরূপ করাই যথেষ্ট ছিল। এই বলে তিনি তার উভয় হাত মাটিতে মারলেন। অতঃপর ঝেড়ে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাতের কব্জি মাসাহ করলেন।
باب التَّيَمُّمِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى لِعَبْدِ اللَّهِ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَقُولَ هَكَذَا " . وَضَرَبَ بِيَدَيْهِ إِلَى الأَرْضِ فَنَفَضَ يَدَيْهِ فَمَسَحَ وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ .
হাদীস নং: ৭০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮-৪
২৮. তায়াম্মুমের বিবরণ
৭০৭ আব্দুল্লাহ ইবনে হাশিম আন-আব্দী (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবযা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি উমর (রাযিঃ) এর কাছে এসে বলল, আমি অপবিত্র হয়েছি, কিন্তু পানি পাইনি (তখন কি করব?)। তিনি বললেন, তুমি নামায আদায় করো না। তখন আম্মার (রাযিঃ) বললেন, “আমিরুল মু'মিনীন! আপনার কি স্মরণ নেই যে, আমি ও আপনি কোন এক অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। অতঃপর আমরা উভয়েই অপবিত্র হয়ে পড়লাম। আর একটুও পানি পেলাম না। তখন আপনি নামায আদায় করলেন না, কিন্তু আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম এবং নামায আদায় করলাম।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ ঘটনা জানালে (তিনি) বললেন, তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল যে, তোমার উভয় হাত মাটিতে মারতে তারপর তা ঝেড়ে ফেলে তা দিয়ে তোমার মূখমণ্ডল ও উভয় হাতের কব্জি মাসাহ করতে” উমর (রাযিঃ) বললেন, আম্মার! আল্লাহকে ভয় কর। তিনি (আম্মার) বললেন, আপনি চাইলে আমি এটা আর বর্ণনা করব না”।

হাকাম বলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আবযার পূত্র তাঁর পিতা আব্দুর রহমান থেকে আমার কাছে যারর-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, অতঃপর উমর (রাযিঃ) বললেন, তোমার বর্ণনার দায়-দায়িত্ব তোমার উপরই অর্পণ করলাম।

ইসহাক হবন মানসুর (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবযা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে এক ব্যক্তি উমর (রাযিঃ) এর কাছে এসে বলল, আমি অপবিত্র হয়েছি এবং পানি পাইনি (তখন কি কবর?) এর পর রাবী পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তাতে অতিরিক্ত আছে যে, আম্মার (রাযিঃ) বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! আল্লাহ তাআলা আমার ওপর আপনার যে হক রেখেছেন (অর্থাৎ আপনাকে খলীফা বানিয়েছেন) তার প্রতি লক্ষ্য রেখে বলছিঃ আপনি চাইলে আমি আর কারো কাছে এটা বর্ণনা করব না।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ الْقَطَّانَ - عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى عُمَرَ فَقَالَ إِنِّي أَجْنَبْتُ فَلَمْ أَجِدْ مَاءً . فَقَالَ لاَ تُصَلِّ . فَقَالَ عَمَّارٌ أَمَا تَذْكُرُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ أَنَا وَأَنْتَ فِي سَرِيَّةٍ فَأَجْنَبْنَا فَلَمْ نَجِدْ مَاءً فَأَمَّا أَنْتَ فَلَمْ تُصَلِّ وَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فِي التُّرَابِ وَصَلَّيْتُ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَضْرِبَ بِيَدَيْكَ الأَرْضَ ثُمَّ تَنْفُخَ ثُمَّ تَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَكَ وَكَفَّيْكَ " . فَقَالَ عُمَرُ اتَّقِ اللَّهَ يَا عَمَّارُ . قَالَ إِنْ شِئْتَ لَمْ أُحَدِّثْ بِهِ . قَالَ الْحَكَمُ وَحَدَّثَنِيهِ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أَبِيهِ مِثْلَ حَدِيثِ ذَرٍّ قَالَ وَحَدَّثَنِي سَلَمَةُ عَنْ ذَرٍّ فِي هَذَا الإِسْنَادِ الَّذِي ذَكَرَ الْحَكَمُ فَقَالَ عُمَرُ نُوَلِّيكَ مَا تَوَلَّيْتَ .

وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ ذَرًّا، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، قَالَ قَالَ الْحَكَمُ وَقَدْ سَمِعْتُهُ مِنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى عُمَرَ فَقَالَ إِنِّي أَجْنَبْتُ فَلَمْ أَجِدْ مَاءً . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَزَادَ فِيهِ قَالَ عَمَّارٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ شِئْتَ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ عَلَىَّ مِنْ حَقِّكَ لاَ أُحَدِّثُ بِهِ أَحَدًا وَلَمْ يَذْكُرْ حَدَّثَنِي سَلَمَةُ عَنْ ذَرٍّ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭০৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯
২৮. তায়াম্মুমের বিবরণ
৭০৮। মুসলিম বলেন, নায়স ইবনে সা’দ এর সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর আযাদকৃত দাস উমায়র থেকে বর্ণিত। তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, আমি এবং উম্মুল মু'মিনীন মায়মুনা (রাযিঃ) এর আযাদকৃত দাস আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াসার একবার আবুল জাহম ইবনুল হারিস ইবনে সিম্মা আল-আনসারীর কাছে গেলাম। তখন আবুল জাহম (রাহঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক বার বি’র-ই-জামাল (মদীনার নিকটবর্তী একটি স্থান) এর দিক থেকে আসছিলেন। অতঃপর পথিমধ্যে এক ব্যক্তি তার সাথে সাক্ষাত করে সালাম দিল কিন্তু তিনি তার উত্তর দিলেন না বরং একটি দেওয়ালের কাছে গিয়ে তাঁর মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসাহ করলেন। তারপর সালামের জবাব দিলেন।
باب التَّيَمُّمِ
قَالَ مُسْلِمٌ وَرَوَى اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ أَقْبَلْتُ أَنَا وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَسَارٍ، مَوْلَى مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبِي الْجَهْمِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الصِّمَّةِ الأَنْصَارِيِّ فَقَالَ أَبُو الْجَهْمِ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَحْوِ بِئْرِ جَمَلٍ فَلَقِيَهُ رَجُلٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ حَتَّى أَقْبَلَ عَلَى الْجِدَارِ فَمَسَحَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০
২৮. তায়াম্মুমের বিবরণ
৭০৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি পথ দিয়ে যাচ্ছিল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন পেশাব করছিলেন। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে সালাম করল। কিন্তু তিনি তার জবাব দিলেন না।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، مَرَّ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَبُولُ فَسَلَّمَ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ .