আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩- হায়েয-ইস্তিহাযা সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৬৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৩-১
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৬৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক সোমবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে (মসজিদে) কুবা’র দিকে রওয়ানা হলাম। আমরা যখন বনু সালিম-এর এলাকায় পৌছিলাম তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইতবান-এর বাড়ীর দরজায় গিয়ে থামলেন এবং তাকে জোরে ডাক দিলেন ও অতঃপর তিনি তার লুঙ্গি হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে বেরিয়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমরা এ ব্যক্তিকে তাড়াহুড়ার মধ্যে ফেলেছি। ইতবান আরয করলেন , ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রী থেকে তাড়াতাড়ি পৃথক হয়ে গেলে এবং ধাতু নির্গত না হলে তার কি হুকুম (সে গোসল করবে কিনা)? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, পানি (অর্থাৎ গোসল করা) পানির (বীর্য) ফলেই ফরয হবে।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ - قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ شَرِيكٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي نَمِرٍ - عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الاِثْنَيْنِ إِلَى قُبَاءٍ حَتَّى إِذَا كُنَّا فِي بَنِي سَالِمٍ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَابِ عِتْبَانَ فَصَرَخَ بِهِ فَخَرَجَ يَجُرُّ إِزَارَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعْجَلْنَا الرَّجُلَ " . فَقَالَ عِتْبَانُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ الرَّجُلَ يُعْجَلُ عَنِ امْرَأَتِهِ وَلَمْ يُمْنِ مَاذَا عَلَيْهِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ " .
হাদীস নং: ৬৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৩ -২
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৬৯। হায়ীন ইবনে সাঈদ আল আয়লী (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, পানির (ধাতু নির্গত হলে) দ্বারা পানি (গোসল) ফরয হয়।
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ " .
হাদীস নং: ৬৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৭০। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আল আনবারী (রাহঃ) ......... আবুল আলা ইবনে শিখখীর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক হাদীস অপর হাদীসকে মানসূখ (রহিত) করে দেয় যেমনিভাবে কুরআনের এক আয়াত অপর আয়াতকে মানসূখ করে।
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَلاَءِ بْنُ الشِّخِّيرِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْسَخُ حَدِيثُهُ بَعْضُهُ بَعْضًا كَمَا يَنْسَخُ الْقُرْآنُ بَعْضُهُ بَعْضًا .
হাদীস নং: ৬৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৫
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৭১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না এবং ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরি (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক আনসারীর (বাড়ীর) কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে সংবাদ পাঠালেন। সে বেরিয়ে এল আর তার মাথা থেকে তখন পানি ঝরছিল। তিনি বললেন, সম্ভবত আমরা তোমাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে ফেলেছি। সে বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেন, যখন (কোন কারণে) তোমাকে তাড়াতাড়ি করতে হয় কিংবা বীর্যপাতের আগেই উঠে পড়তে হয় তখন তোমার ওপর গোসল করা (ফরয) নয়, বরং তোমার ওপর শুধু উযু করা জরুরী।*
*এই হুকুম ইসলামের প্রাথমিক যূগে ছিল পরে তা রদ হয়ে যায়। সঙ্গমে বীর্য স্খলিত না হলেও গোসল ফরয হবে।
*এই হুকুম ইসলামের প্রাথমিক যূগে ছিল পরে তা রদ হয়ে যায়। সঙ্গমে বীর্য স্খলিত না হলেও গোসল ফরয হবে।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَخَرَجَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ فَقَالَ " لَعَلَّنَا أَعْجَلْنَاكَ " . قَالَ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِذَا أُعْجِلْتَ أَوْ أَقْحَطْتَ فَلاَ غُسْلَ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ الْوُضُوءُ " . وَقَالَ ابْنُ بَشَّارٍ " إِذَا أُعْجِلْتَ أَوْ أُقْحِطْتَ " .
হাদীস নং: ৬৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬-১
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৭২। আবু রাবী আয-যাহরানী (রাহঃ) ও আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আ’লা (রাহঃ) ......... উবাই ইবনে কাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলাম সেই ব্যক্তি সম্পর্কে যে স্ত্রী সহবাস করে তারপর বীর্য নির্গত করে না। তিনি বললেন, স্ত্রীর (লজ্জাস্থান) থেকে তার (লজ্জাস্থানে) যা লেগেছে তা ধুয়ে ফেলবে। তারপর উযু করবে এবং নামায আদায় করবে।
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يُصِيبُ مِنَ الْمَرْأَةِ ثُمَّ يُكْسِلُ فَقَالَ " يَغْسِلُ مَا أَصَابَهُ مِنَ الْمَرْأَةِ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي " .
হাদীস নং: ৬৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৬-২
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৭৩। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যে ব্যক্তি তার স্ত্রী সহবাস করে তারপর বীর্য নির্গত করে না— তার সম্পর্কে তিনি বলেন, সে তার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে এবং উযু করবে।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الْمَلِيِّ، عَنِ الْمَلِيِّ، - يَعْنِي بِقَوْلِهِ الْمَلِيِّ عَنِ الْمَلِيِّ أَبُو أَيُّوبَ، - عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ فِي الرَّجُلِ يَأْتِي أَهْلَهُ ثُمَّ لاَ يُنْزِلُ قَالَ " يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيَتَوَضَّأُ " .
হাদীস নং: ৬৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৭-১
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৭৪। যূহায়র ইবনে হারব, আব্দ ইবনে হুমায়দ ও আব্দুল ওয়ারিস ইবনে আব্দুস-সামাদ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে খালিদ আন জুহানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একবার উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন কোন ব্যক্তি যদি তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে এবং বীর্য নির্গত না করে তবে তার হুকুম কি? উসমান (রাযিঃ) বললেন, সে নামাযের উযুর ন্যায় উযু করে নেবে এবং তার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে। উসমান (রাযিঃ) বলেন, আমি এটা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছি।
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَأَلَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ قُلْتُ أَرَأَيْتَ إِذَا جَامَعَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يُمْنِ قَالَ عُثْمَانُ " يَتَوَضَّأُ كَمَا يَتَوَضَّأُ لِلصَّلاَةِ وَيَغْسِلُ ذَكَرَهُ " . قَالَ عُثْمَانُ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
হাদীস নং: ৬৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৭-২
২১. ইসলামের প্রাথমিক যুগে সহবাসের দ্বারা বীর্যপাত না হলে গোসল ফরয হত না; কিন্তু পরবর্তীতে এ হুকুম মানসূখ (রহিত) হয়ে যায় এবং শুধু সহবাসের দ্বারাই গোসল ফরয হয় - তার বিবরণ
৬৭৫। আব্দুল ওয়ারিস ইবনে আব্দুস সামাদ ......... আইয়ুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এরূপ শুনেছেন।
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنِ الْحُسَيْنِ، قَالَ يَحْيَى وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ذَلِكَ، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .