আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
২- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭-১
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৩৩। কুতায়বা ইবনে সাঈদ, উসমান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম হানযালী (রাহঃ) ......... হুমরান মাওলা উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি মসজিদের চত্বরে ছিলেন এমন সময়ে আসরের নামাযের জন্য মুআয্যিন আসলেন। উসমান (রাযিঃ) উযুর পানি আনতে নির্দেশ দিলেন, অতঃপর উযু করলেন। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম আমি তোমাদেরকে একটি হাদীস শোনাব যদি আল্লাহর কিতাবে একটি আয়াত না থাকত তাহলে কখনোই আমি তোমাদেরকে হাদীস শোনাতাম না। আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, যেই মুসলিম ব্যক্তি উযু করবে এবং উযুকে সুন্দরভাবে আদায় করবে, অতঃপর নামায আদায় করবে সেই ব্যক্তির এই নামায ও তার পূর্ববর্তী নামায এর মধ্যবতী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُمْرَانَ، مَوْلَى عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، وَهُوَ بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ عِنْدَ الْعَصْرِ فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ قَالَ وَاللَّهِ لأُحَدِّثَنَّكُمْ حَدِيثًا لَوْلاَ آيَةٌ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا حَدَّثْتُكُمْ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَتَوَضَّأُ رَجُلٌ مُسْلِمٌ فَيُحْسِنُ الْوُضُوءَ فَيُصَلِّي صَلاَةً إِلاَّ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلاَةِ الَّتِي تَلِيهَا " .
হাদীস নং: ৪৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭-২
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৩৪। আবু কুরায়ব, আবু উসামা থেকে, অন্য সূত্রে যুহাইর ইবনে হারব ও আবু কুরায়ব ওয়াকী (রাহঃ) থেকে অন্য সূত্রে ইবনে আবু উমর সুফিয়ান থেকে আবার সকলে হিশামের মাধ্যমে উপরোক্ত সূত্রেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে আবু উসামার সূত্রে অতিরিক্ত বলা হয়েছে যে, “অতঃপর সে তার উযুকে সুন্দর রূপে করে তারপর ফরয নামায আদায় করে।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، جَمِيعًا عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ " فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ২২৭-৩
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৩৫। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... হুমরান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উসমান (রাযিঃ) উযুর কাজ সেরে বললেন যে, আল্লাহর কসম আমি তোমাদেরকে একটি হাদীস শোনাব। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহর কিতাবের মধ্যে একটি আয়াত না থাকত তাহলে আমি তোমাদেরকে কখনোই হাদীসটি শোনাতাম না। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, কোন ব্যক্তি যখন উযু করে এবং উযুকে উত্তমরূপে আদায় করে তারপর নামায আদায় করে তখন তার নামায ও পূর্ববর্তী নামায এর মধ্যবতী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। উরওয়া (রাহঃ) বলেন, আয়াতটি হলঃ “আমি যে সকল স্পষ্ট নিদর্শন ও পথনির্দেশ অবতীর্ণ করেছি মানুষের জন্য কিতাবে, তা সূস্পষ্টভাবে বলে দেয়ার পরেও যারা তা গোপন রাখে, আল্লাহ তাদেরকে লানত দেন এবং অভিশাপকারীরাও তাদেরকে অভিশাপ দেয়”। (সূরা বাকারাঃ ১৫৯)
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَلَكِنْ عُرْوَةُ يُحَدِّثُ عَنْ حُمْرَانَ، أَنَّهُ قَالَ فَلَمَّا تَوَضَّأَ عُثْمَانُ قَالَ وَاللَّهِ لأُحَدِّثَنَّكُمْ حَدِيثًا وَاللَّهِ لَوْلاَ آيَةٌ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَتَوَضَّأُ رَجُلٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يُصَلِّي الصَّلاَةَ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلاَةِ الَّتِي تَلِيهَا " . قَالَ عُرْوَةُ الآيَةُ ( إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى) إِلَى قَوْلِهِ ( اللاَّعِنُونَ)

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৩৬। আব্দ ইবনে হুমায়দ ও হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) ......... আমর ইবনে সাঈদ ইবনুল আতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময়ে তিনি পানি আনার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, কোন মুসলিম ব্যক্তির যখন কোন ফরয নামাযের ওয়াক্ত হয় আর সে নামাযের উযু-কে উত্তমরূপে আদায় করে, নামাযের বিনয় ও রুকুকে উত্তমরূপে আদায় করে তা হলে যতক্ষণ না সে কোন কবীরা গুনাহে লিপ্ত হবে, তার এই নামায তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আর এ অবস্থা সর্বযুগেই বিদ্যমান।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ، قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عُثْمَانَ فَدَعَا بِطَهُورٍ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاَةٌ مَكْتُوبَةٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا وَخُشُوعَهَا وَرُكُوعَهَا إِلاَّ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيرَةً وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ২২৯
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৩৭। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও আহমদ ইবনে আব্দা আয-যাব্বী (রাহঃ) ......... হুমরান মাওলা উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) এর নিকট উযুর পানি আনলাম। অতঃপর তিনি উযু করলেন, তারপর তিনি বললেন, লোকজন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনেক হাদীস বর্ণনা করে থাকে। আমি ওসব জানিনা তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখেছি তিনি আমার এ উযুর ন্যায় উযু করেছেন। তারপর বলেছেন, যে ব্যক্তি এভাবে উযু করবে তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর তার নামায আদায় ও মসজিদের দিকে গমনের সাওয়াব থাকবে অতিরিক্ত। ইবনে আব্দা-এর সনদে بوضوء কথাটি বাদ দিয়ে কেবল اتيت عثمان فتوضاء (আমি উসমান (রাযিঃ) এর নিকট আসলাম। তারপর তিনি উযু করলেন) বলা হয়েছে।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - وَهُوَ الدَّرَاوَرْدِيُّ - عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ حُمْرَانَ، مَوْلَى عُثْمَانَ قَالَ أَتَيْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ قَالَ إِنَّ نَاسًا يَتَحَدَّثُونَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ لاَ أَدْرِي مَا هِيَ إِلاَّ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَالَ " مَنْ تَوَضَّأَ هَكَذَا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَكَانَتْ صَلاَتُهُ وَمَشْيُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ نَافِلَةً " . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ عَبْدَةَ أَتَيْتُ عُثْمَانَ فَتَوَضَّأَ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩০
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৩৮। কুতায়বা ইবনে সাঈদ, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু আনাস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উসমান (রাযিঃ) মাকাইদে আসনে উযু করতে বসে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উযু করা দেখাব? তারপর তিনি তিন-তিনবার ধুয়ে উযু করলেন। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, তখন উসমান (রাযিঃ)-এর পাশে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ وَأَبِي بَكْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ أَبِي أَنَسٍ، أَنَّ عُثْمَانَ، تَوَضَّأَ بِالْمَقَاعِدِ فَقَالَ أَلاَ أُرِيكُمْ وُضُوءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ تَوَضَّأَ ثَلاَثًا ثَلاَثًا . وَزَادَ قُتَيْبَةُ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ سُفْيَانُ قَالَ أَبُو النَّضْرِ عَنْ أَبِي أَنَسٍ قَالَ وَعِنْدَهُ رِجَالٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৩১-১
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৩৯। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আলা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... হুমরান ইবনে আবান থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উসমান (রাযিঃ) কে উযুর পানি দিতাম। আর তিনি প্রত্যহ গোসল করতেন। উসমান (রাযিঃ) বলেছেন, আমাদের এ নামায আদায়ের পর, মিস’আর বলেন, আমার মনে হয় নামাযটি ছিল আসরের। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে কিছু বলতে মনস্থ করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি ঠিক করতে পারছিলাম না যে তোমাদেরকে একটি বিষয়ে কিছু বলব না নীরব থাকবো। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! যদি তা কল্যাণকর হয় তাহলে আমাদেরকে বলুন, আর অন্য কিছু হলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভাল জানেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন যে, কোন মুসলমান যখন পবিত্রতা অর্জন করে এবং আল্লাহ তার উপর যে পবিত্রতা অপরিহার্য করেছেন তা পূর্ণাঙ্গরূপে অর্জন করে এবং তারপর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে তাহলে এ সকল নামায তাদের মধ্যবর্তী সময়ের সকল গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ أَبِي صَخْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ حُمْرَانَ بْنَ أَبَانَ، قَالَ كُنْتُ أَضَعُ لِعُثْمَانَ طَهُورَهُ فَمَا أَتَى عَلَيْهِ يَوْمٌ إِلاَّ وَهُوَ يُفِيضُ عَلَيْهِ نُطْفَةً . وَقَالَ عُثْمَانُ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ انْصِرَافِنَا مِنْ صَلاَتِنَا هَذِهِ - قَالَ مِسْعَرٌ أُرَاهَا الْعَصْرَ - فَقَالَ " مَا أَدْرِي أُحَدِّثُكُمْ بِشَىْءٍ أَوْ أَسْكُتُ " . فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ كَانَ خَيْرًا فَحَدِّثْنَا وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ فَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَطَهَّرُ فَيُتِمُّ الطُّهُورَ الَّذِي كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَيُصَلِّي هَذِهِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ إِلاَّ كَانَتْ كَفَّارَاتٍ لِمَا بَيْنَهَا " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩১-২
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৪০। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয তাঁর পিতার সূত্রে, অন্য সনদে মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উসমান (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ যেভাবে আদেশ করেছেন সেভাবে উযুকে পূর্ণভাবে করে, তাঁর পাঁচ ওয়াক্তের ফরয নামায এর মধ্যবতী সময়ে (গুনাহের) কাফফারা হয়ে যায়। ইবনে মুআযের হাদীসে এভাবেই বলা হয়েছে। কিন্তু গুনদার বর্ণিত হাদীসে বিশরের শাসনকাল ও ফরয নামাযের কথা উল্লেখ নেই।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ سَمِعْتُ حُمْرَانَ بْنَ أَبَانَ، يُحَدِّثُ أَبَا بُرْدَةَ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ فِي إِمَارَةِ بِشْرٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَتَمَّ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فَالصَّلوَاتُ الْمَكْتُوبَاتُ كَفَّارَاتٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ " . هَذَا حَدِيثُ ابْنِ مُعَاذٍ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ غُنْدَرٍ فِي إِمَارَةِ بِشْرٍ وَلاَ ذِكْرُ الْمَكْتُوبَاتِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪১
আন্তর্জাতিক নং: ২৩২-১
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৪১। হারুন ইবনে সাঈদ আল আইলী (রাহঃ) ......... হুমরান মাওলা উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উসমান (রাযিঃ) খুব উত্তমরূপে উযু করলেন। তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখেছি, তিনি উযু করেছেন এবং উত্তমরূপে উযু করেছেন তারপর বলেছেন, যে ব্যক্তি এ নিয়মে উযু করে এবং তারপর কেবল নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে বেরিয়ে যায়, তার বিগত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ وَأَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُمْرَانَ، مَوْلَى عُثْمَانَ قَالَ تَوَضَّأَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يَوْمًا وُضُوءًا حَسَنًا ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ قَالَ " مَنْ تَوَضَّأَ هَكَذَا ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ لاَ يَنْهَزُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ غُفِرَ لَهُ مَا خَلاَ مِنْ ذَنْبِهِ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩২-২
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৪২। আবু তাহির ও ইউনুস ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) ......... উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি নামাযের জন্য উযু করে এবং পরিপূর্ণভাবে উযু করে, অতঃপর ফরয নামাযের উদ্দেশ্যে হেঁটে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে নামায আদায় করে, কিংবা তিনি বলেন, জামাআতের সঙ্গে নামায আদায় করে, কিংবা তিনি বলেন, মসজিদে নামায আদায় করে, আল্লাহ সেই ব্যক্তির গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দিবেন।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَيُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ الْحُكَيْمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقُرَشِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرٍ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ حَدَّثَاهُ أَنَّ مُعَاذَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُمَا عَنْ حُمْرَانَ، مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ تَوَضَّأَ لِلصَّلاَةِ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ فَصَلاَّهَا مَعَ النَّاسِ أَوْ مَعَ الْجَمَاعَةِ أَوْ فِي الْمَسْجِدِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَهُ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: