আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৩৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৩২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى নিশ্চয়ই তিনি তাঁকে আরেকবার দেখেছিলেন (সূরা নাজমঃ ১৩)-এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কে দেখেছিলেন।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ( وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى) قَالَ رَأَى جِبْرِيلَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬-১
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৩৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে (আল্লাহকে) অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ رَآهُ بِقَلْبِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬-২
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৩৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু সাঈদ আল আশাজ্জ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى - وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى “তিনি যা দেখেছেন, তার অন্তকরণ তা অস্বীকার করে নাই”; “নিশ্চয়ই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন” (সূরা নাজমঃ ১১ ও ১৩) আয়াতদ্বয় তিলাওয়াত করলেন এবং এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বললেন, তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] স্বীয় অন্তর্দৃষ্টিতে তাঁকে (আল্লাহকে) দু'বার দেখেছিলেন।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، - قَالَ الأَشَجُّ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحُصَيْنِ أَبِي جَهْمَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ ( مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى) ( وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى) قَالَ رَآهُ بِفُؤَادِهِ مَرَّتَيْنِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬-৩
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৩৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, হাফস ইবনে গিয়াস ও আমাশ (রাহঃ) ......... আবু জাহমা (রাহঃ) থেকে এ সনদে উক্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا أَبُو جَهْمَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭-১
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৩৬। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) এর কাছে হেলান দিয়ে বসেছিলাম। তখন তিনি বললেন, হে আবু আয়েশা! তিনটি কথা এমন, যে এর কোন একটি বলল, সে আল্লাহ সম্পর্কে ভীষণ অপবাদ দিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, সেগুলো কি? তিনি বললেন, যে এ কথা বলে যে, মুহাম্মাদ তার প্রতিপালককে দেখেছেন, সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়। আমি তো হেলান অবস্থায় ছিলাম, এবার সোজা হয়ে বসলাম। বললাম, হে উমুল মু”মিনীন! থামুন। আমাকে সময় দিন, ব্যস্ত হবেন না। আল্লাহ তাআলা কুরআনে কি ইরশাদ করেননিঃ “তিনি (রাসুল) তো তাঁকে (আল্লাহকে) স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছেন, (সূরা তাকবীরঃ ৮১), অন্যত্র “নিশ্চয়ই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন” (সূরা নাজমঃ ১৩)
আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমিই এ উম্মতের প্রথম ব্যক্তি, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছিলেনঃ তিনি তো ছিলেন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কেবলমাত্র এ দু'বারই আমি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছি। আমি তাঁকে আসমান থেকে অবতরণ করতে দেখেছি। তাঁর বিরাট দেহ ঢেকে ফেলেছিল আসমান ও যমীনের মধ্যবতী সবটুকু স্থান।
আয়েশা (রাযিঃ) আরও বলেন, তুমি কি শোননি? আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ তিনি (আল্লাহ) দৃষ্টির অধিগম্য নন, তবে দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত এবং তিনিই সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত” (সূরা আনআমঃ ১০৩) এরূপ তুমি কি শোননি? আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “মানুষের এমন মর্যাদা নাই যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ওহীর মাধ্যম ব্যতিরেকে অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে অথবা এমন দুত প্রেরণ ব্যতিরেকে যে তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত ও প্রজ্ঞাময়” (সূরা শূরাঃ ৫১)।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আর ঐ ব্যক্তিও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়, যে এমন কথা বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর কিতাবের কোন কথা গোপন রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ হে রাসুল! আপনার প্রতিপালকের কাছ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার করুন, যদি তা না করেন তবে আপনি তার বার্তা প্রচারই করলেন না। (সূরা মায়িদাঃ ৬৭)
তিনি (আয়েশা (রাযিঃ) আরো বলেন, যে ব্যক্তি এ কথা বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর ওহী ব্যতীত কাল কি হবে তা অবহিত করতে পারেন, সেও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “বল, আসমান ও যমীনে আল্লাহ ব্যতীত গায়েব সম্পর্কে কেউ জানে না।” (সূরা নামলঃ ৬৫)
আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, আমিই এ উম্মতের প্রথম ব্যক্তি, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেছিলেনঃ তিনি তো ছিলেন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) কেবলমাত্র এ দু'বারই আমি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছি। আমি তাঁকে আসমান থেকে অবতরণ করতে দেখেছি। তাঁর বিরাট দেহ ঢেকে ফেলেছিল আসমান ও যমীনের মধ্যবতী সবটুকু স্থান।
আয়েশা (রাযিঃ) আরও বলেন, তুমি কি শোননি? আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ তিনি (আল্লাহ) দৃষ্টির অধিগম্য নন, তবে দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত এবং তিনিই সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত” (সূরা আনআমঃ ১০৩) এরূপ তুমি কি শোননি? আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “মানুষের এমন মর্যাদা নাই যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ওহীর মাধ্যম ব্যতিরেকে অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে অথবা এমন দুত প্রেরণ ব্যতিরেকে যে তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত ও প্রজ্ঞাময়” (সূরা শূরাঃ ৫১)।
আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আর ঐ ব্যক্তিও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়, যে এমন কথা বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর কিতাবের কোন কথা গোপন রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ হে রাসুল! আপনার প্রতিপালকের কাছ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার করুন, যদি তা না করেন তবে আপনি তার বার্তা প্রচারই করলেন না। (সূরা মায়িদাঃ ৬৭)
তিনি (আয়েশা (রাযিঃ) আরো বলেন, যে ব্যক্তি এ কথা বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর ওহী ব্যতীত কাল কি হবে তা অবহিত করতে পারেন, সেও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “বল, আসমান ও যমীনে আল্লাহ ব্যতীত গায়েব সম্পর্কে কেউ জানে না।” (সূরা নামলঃ ৬৫)
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ دَاوُدَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنْتُ مُتَّكِئًا عِنْدَ عَائِشَةَ فَقَالَتْ يَا أَبَا عَائِشَةَ ثَلاَثٌ مَنْ تَكَلَّمَ بِوَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ . قُلْتُ مَا هُنَّ قَالَتْ مَنْ زَعَمَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ . قَالَ وَكُنْتُ مُتَّكِئًا فَجَلَسْتُ فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْظِرِينِي وَلاَ تَعْجَلِينِي أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَلَقَدْ رَآهُ بِالأُفُقِ الْمُبِينِ) ( وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى) . فَقَالَتْ أَنَا أَوَّلُ هَذِهِ الأُمَّةِ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ لَمْ أَرَهُ عَلَى صُورَتِهِ الَّتِي خُلِقَ عَلَيْهَا غَيْرَ هَاتَيْنِ الْمَرَّتَيْنِ رَأَيْتُهُ مُنْهَبِطًا مِنَ السَّمَاءِ سَادًّا عِظَمُ خَلْقِهِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ " . فَقَالَتْ أَوَلَمْ تَسْمَعْ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ ( لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ) أَوَلَمْ تَسْمَعْ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ ( وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلاَّ وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولاً فَيُوحِيَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاءُ إِنَّهُ عَلِيٌّ حَكِيمٌ) قَالَتْ وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَتَمَ شَيْئًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ وَاللَّهُ يَقُولُ ( يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ) . قَالَتْ وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهُ يُخْبِرُ بِمَا يَكُونُ فِي غَدٍ فَقَدْ أَعْظَمَ عَلَى اللَّهِ الْفِرْيَةَ وَاللَّهُ يَقُولُ ( قُلْ لاَ يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ الْغَيْبَ إِلاَّ اللَّهُ) .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭-২
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৩৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে ইবনে উলায়্যার হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এতে এতটুকু অতিরিক্ত আছে, আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যদি মুহাম্মাদ(ﷺ) তাঁর উপর অবতীর্ণ ওহীর কোন অংশ গোপন করতেন, তবে তিনি এ আয়াতটি অবশ্য গোপন করতেনঃ (অর্থ) “স্মরণ করুন, আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ দান করেছেন এবং আপনিও যার [রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পোষ্যপূত্র যায়দ] প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, আপনি তাকে বলেছিলেন, তুমি তোমার ন্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখ এবং আল্লাহকে ভয় কর। আপনি আপনার অন্তরে যা গোপন করেছেন, আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিয়েছেন। আপনি লোকভয় করছিলেন; অথচ আল্লাহকে ভয় করা আপনার জন্য অধিকতর সঙ্গত” (সূরা আহযাবঃ ৩৭)
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ وَزَادَ قَالَتْ وَلَوْ كَانَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم كَاتِمًا شَيْئًا مِمَّا أُنْزِلَ عَلَيْهِ لَكَتَمَ هَذِهِ الآيَةَ ( وَإِذْ تَقُولُ لِلَّذِي أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَنْعَمْتَ عَلَيْهِ أَمْسِكْ عَلَيْكَ زَوْجَكَ وَاتَّقِ اللَّهَ وَتُخْفِي فِي نَفْسِكَ مَا اللَّهُ مُبْدِيهِ وَتَخْشَى النَّاسَ وَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَاهُ)

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭-৩
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৩৮। ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, মুহাম্মাদ কি তাঁর প্রতিপালককে দেখেছিলেন? তিনি বললেন, আপনার কথা শুনে আমার শরীরের পশম খাড়া হয়ে গেছে ......... বর্ণনাকারী পূর্ব হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে দাউদ বর্ণিত হাদীসটি পূর্ণাঙ্গ ও সুদীর্ঘ।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم رَبَّهُ فَقَالَتْ سُبْحَانَ اللَّهِ لَقَدْ قَفَّ شَعْرِي لِمَا قُلْتَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ . وَحَدِيثُ دَاوُدَ أَتَمُّ وَأَطْوَلُ .
হাদীস নং: ৩৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৭-৪
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৩৯। ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। মাসরুক (রাহঃ) বলেন, আমি আয়েশা (রাযিঃ) কে বললাম, [রাসুল(ﷺ) মি’রাজ রজনীতে যদি আল্লাহর দর্শন না পেয়ে থাকেন তাহলে] আল্লাহর এ বলার অর্থ কি দাঁড়াবে। “এরপর তিনি [রাসুল (ﷺ)] তাঁর (আল্লাহর) নিকটবর্তী হলেন এবং আরো নিকটবর্তী; ফলে তাদের মধ্যে ধনুকের ব্যবধান রইল বা তারও কম; তখন আল্লাহ তার বান্দার প্রতি যা ওহী করবার তা ওহী করলেন।” (সূরা নাজমঃ ৮-১০)। আয়েশা (রাযিঃ) বললেন, তিনি তো ছিলেন জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে (সাধারণ) পুরুষের আকৃতিতে আসতেন। কিন্তু তিনি এবার (আয়াতে উল্লেখিত সময়) নিজস্ব আকৃতিতেই এসেছিলেন। তাঁর দেহ আকাশের সীমা ঢেকে ফেলেছিল।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنِ ابْنِ أَشْوَعَ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ فَأَيْنَ قَوْلُهُ ( ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى * فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى * فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى) قَالَتْ إِنَّمَا ذَاكَ جِبْرِيلُ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْتِيهِ فِي صُورَةِ الرِّجَالِ وَإِنَّهُ أَتَاهُ فِي هَذِهِ الْمَرَّةِ فِي صُورَتِهِ الَّتِي هِيَ صُورَتُهُ فَسَدَّ أُفُقَ السَّمَاءِ .
হাদীস নং: ৩৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮-১
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৪০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? তিনি [রাসুল (ﷺ)] বললেনঃ “তিনি (আল্লাহ) নূর, আমি কি করে তাকে দেখব”।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَلْ رَأَيْتَ رَبَّكَ قَالَ " نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮-২
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৪১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার, হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে শাকীক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবু যর (রাযিঃ) কে বললাম, যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাক্ষাত পেতাম, তবে অবশ্যই তাঁকে একটি কথা জিজ্ঞাসা করতাম। আবু যর (রাযিঃ) বললেন, কি জিজ্ঞাসা করতেন। তিনি বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতাম যে, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? আবু যর (রাযিঃ) বলেছেন, এ কথা তো আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেছেনঃ আমি নূর দেখেছি।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، كِلاَهُمَا عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي ذَرٍّ لَوْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَسَأَلْتُهُ فَقَالَ عَنْ أَىِّ شَىْءٍ كُنْتَ تَسْأَلُهُ قَالَ كُنْتُ أَسْأَلُهُ هَلْ رَأَيْتَ رَبَّكَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ قَدْ سَأَلْتُ فَقَالَ " رَأَيْتُ نُورًا " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯-১
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৪২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সামনে পাঁচটি কথা বললেনঃ আল্লাহ কখনো নিদ্রা যান না। নিদ্রিত হওয়া তাঁর সাজেও না। তিনি তাঁর ইচ্ছানূসারে তুলাদণ্ড নামান এবং উত্তোলন করেন। দিনের পূর্বেই রাতের সকল আমল তার কাছে উত্থিত করা হয় এবং রাতের পূর্বেই দিনের সকল আমল তাঁর কাছে উত্থিত করা হয়। এবং তার পর্দা হল নূর (বা জ্যোতি)।
আবু বকরের অন্য এক বর্ণনায় النُّورُ এর স্থলে النَّارُ (আগুন) শব্দের উল্লেখ আছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যদি সে আবরণ খুলে দেয়া হয়, তবে তাঁর নূরের বিভা সৃষ্টি জগতের দূশ্যমান সব কিছু ভস্ম করে দেবে। আবু বকরের অন্য রেওয়ায়েতে حَدَّثَنَا শব্দের স্থলে عَنْ শব্দের উল্লেখ আছে।
আবু বকরের অন্য এক বর্ণনায় النُّورُ এর স্থলে النَّارُ (আগুন) শব্দের উল্লেখ আছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ যদি সে আবরণ খুলে দেয়া হয়, তবে তাঁর নূরের বিভা সৃষ্টি জগতের দূশ্যমান সব কিছু ভস্ম করে দেবে। আবু বকরের অন্য রেওয়ায়েতে حَدَّثَنَا শব্দের স্থলে عَنْ শব্দের উল্লেখ আছে।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ يَخْفِضُ الْقِسْطَ وَيَرْفَعُهُ يُرْفَعُ إِلَيْهِ عَمَلُ اللَّيْلِ قَبْلَ عَمَلِ النَّهَارِ وَعَمَلُ النَّهَارِ قَبْلَ عَمَلِ اللَّيْلِ حِجَابُهُ النُّورُ - وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ النَّارُ - لَوْ كَشَفَهُ لأَحْرَقَتْ سُبُحَاتُ وَجْهِهِ مَا انْتَهَى إِلَيْهِ بَصَرُهُ مِنْ خَلْقِهِ " . - وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ عَنِ الأَعْمَشِ وَلَمْ يَقُلْ حَدَّثَنَا .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯-২
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৪৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ......... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে পূর্ববর্ণিত সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সম্মূখে চারটি কথা নিয়ে দাঁড়ালেন...। বর্ণনাকারী আবু মুআবিয়ার হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি مِنْ خَلْقِ শব্দ উল্লেখ করেন নাই এবং حِجَابُهُ النار ″তার পর্দা আগুন″ না বলে النُّورُ বলেছেন।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ " مِنْ خَلْقِهِ " . وَقَالَ حِجَابُهُ النُّورُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯-৩
৭৬. আল্লাহর বাণীঃ ’তিনি তাকে দেখেছেন আরেকবার’ এর ব্যাখ্যা এবং নবী (ﷺ) ইসরার রাতে তার প্রতিপালককে দেখেছিলেন কিনা সে প্রসঙ্গে
৩৪৪। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সন্মুখে চারটি কথা নিয়ে আলোচনা করে বলেনঃ আল্লাহ তাআলা কখনো নিদ্রা যান না, আর নিদ্রা তাঁর জন্য শোভাও পায় না, তুলাদণ্ড উচু এবং নিচু করেন, তাঁর কাছে রাতের পূর্বে দিনের আমল উত্থিত হয় এবং দিনের পূর্বে রাতের আমল উত্থিত হয়।
باب مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى} وَهَلْ رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ لَيْلَةَ الإِسْرَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَرْبَعٍ " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنَامُ وَلاَ يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَنَامَ يَرْفَعُ الْقِسْطَ وَيَخْفِضُهُ وَيُرْفَعُ إِلَيْهِ عَمَلُ النَّهَارِ بِاللَّيْلِ وَعَمَلُ اللَّيْلِ بِالنَّهَارِ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: