আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ২১০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৪
৪৮. গনিমতের মাল আত্মসাৎ করা হারাম; ঈমানদার ব্যতিত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না
২১০। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, খায়বরের যুদ্ধ শেষে নবী(ﷺ) এর একদল সাহাবী এসে বলতে লাগল, অমুক শহীদ,অমুক শহীদ। এভাবে কথাবার্তা চলছিল, অবশেষে এক ব্যক্তি প্রসঙ্গে তাঁরা বললেন যে, সেও শহীদ হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কখনই না। এ আমি তাকে জাহান্নামে দেখেছি, সে চাঁদর বা জোব্বার কারণে (যা সে ব্যক্তি গনিমতের মাল থেকে আত্মসাৎ করেছিল)। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে খাত্তাবের পুত্র! যাও লোকদের মাঝে ঘোষণা করে দাও যে, জান্নাতে কেবলমাত্র প্রকৃত মুমিন ব্যক্তিরাই প্রবেশ করবে। উমর ইবনে খাত্তাব বলেন, তারপর আমি বের হলাম এবং ঘোষণা করে দিলাম, “সাবধান! শুধু প্রকৃত মুমিনরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
باب غِلَظِ تَحْرِيمِ الْغُلُولِ وَأَنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سِمَاكٌ الْحَنَفِيُّ أَبُو زُمَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ أَقْبَلَ نَفَرٌ مِنْ صَحَابَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا فُلاَنٌ شَهِيدٌ فُلاَنٌ شَهِيدٌ حَتَّى مَرُّوا عَلَى رَجُلٍ فَقَالُوا فُلاَنٌ شَهِيدٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَلاَّ إِنِّي رَأَيْتُهُ فِي النَّارِ فِي بُرْدَةٍ غَلَّهَا أَوْ عَبَاءَةٍ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا ابْنَ الْخَطَّابِ اذْهَبْ فَنَادِ فِي النَّاسِ إِنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ " . قَالَ فَخَرَجْتُ فَنَادَيْتُ " أَلاَ إِنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ " .
হাদীস নং: ২১১
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫
৪৮. গনিমতের মাল আত্মসাৎ করা হারাম; ঈমানদার ব্যতিত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না
২১১। আবু তাহির ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) -এর সঙ্গে খায়বর প্রান্তরে গমন করলাম। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিজয়ী করলেন। গনিমতের মধ্যে আমরা স্বর্ণ, রৌপ্য পাইনি পেয়েছি আসবাবপত্র, খাদ্যশস্য ও কাপড়-চোপড়। তারপর আমরা সেখান থেকে একটি উপত্যকার দিকে রওয়ানা হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সঙ্গে তার একটি গোলাম ছিল। জুযাম গোত্রের যুবায়ব শাখার রিফা’আ ইবনে যায়দ নামে এক ব্যক্তি তাঁকে গোলামটি উপহার দিয়েছিল। আমরা সে উপত্যকায় উপনীত হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সে গোলামটি তার হাওদা খুলতে লাগল। এ সময় তার গায়ে একটি তীর এসে লাগল এবং তার মৃত্যু ঘটল।
আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! তার শাহাদতের সৌভাগ্যের জন্য মুবারকবাদ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কখনো নয়, সে মহান সত্তার শপথ যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, যে চাঁদরখানা খায়বর যুদ্ধের গনিমত বনানের পূর্বেই সে নিয়ে গিয়েছিল, তা আগুন হয়ে তার উপর জ্বলতে থাকবে। রাবী বলেন, এতে লোকেরা ঘাবড়ে গেল। এক ব্যক্তি জুতার একটি কিংবা দুঁটি ফিতা নিয়ে হাযির হলো। সে আরয করলো, হে আল্লাহর রাসুল! খায়বরের দিন আমি এটি পেয়েছিলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ একটি আগুনের ফিতা; কিংবা বললেনঃ দু’টি আগুনের ফিতা।
আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! তার শাহাদতের সৌভাগ্যের জন্য মুবারকবাদ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কখনো নয়, সে মহান সত্তার শপথ যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, যে চাঁদরখানা খায়বর যুদ্ধের গনিমত বনানের পূর্বেই সে নিয়ে গিয়েছিল, তা আগুন হয়ে তার উপর জ্বলতে থাকবে। রাবী বলেন, এতে লোকেরা ঘাবড়ে গেল। এক ব্যক্তি জুতার একটি কিংবা দুঁটি ফিতা নিয়ে হাযির হলো। সে আরয করলো, হে আল্লাহর রাসুল! খায়বরের দিন আমি এটি পেয়েছিলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ একটি আগুনের ফিতা; কিংবা বললেনঃ দু’টি আগুনের ফিতা।
باب غِلَظِ تَحْرِيمِ الْغُلُولِ وَأَنَّهُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ الْمُؤْمِنُونَ
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي الْغَيْثِ، مَوْلَى ابْنِ مُطِيعٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَهَذَا حَدِيثُهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنْ ثَوْرٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى خَيْبَرَ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلَمْ نَغْنَمْ ذَهَبًا وَلاَ وَرِقًا غَنِمْنَا الْمَتَاعَ وَالطَّعَامَ وَالثِّيَابَ ثُمَّ انْطَلَقْنَا إِلَى الْوَادِي وَمَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَبْدٌ لَهُ وَهَبَهُ لَهُ رَجُلٌ مِنْ جُذَامٍ يُدْعَى رِفَاعَةَ بْنَ زَيْدٍ مِنْ بَنِي الضُّبَيْبِ فَلَمَّا نَزَلْنَا الْوَادِيَ قَامَ عَبْدُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَحُلُّ رَحْلَهُ فَرُمِيَ بِسَهْمٍ فَكَانَ فِيهِ حَتْفُهُ فَقُلْنَا هَنِيئًا لَهُ الشَّهَادَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كَلاَّ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّ الشَّمْلَةَ لَتَلْتَهِبُ عَلَيْهِ نَارًا أَخَذَهَا مِنَ الْغَنَائِمِ يَوْمَ خَيْبَرَ لَمْ تُصِبْهَا الْمَقَاسِمُ " . قَالَ فَفَزِعَ النَّاسُ . فَجَاءَ رَجُلٌ بِشِرَاكٍ أَوْ شِرَاكَيْنِ . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَصَبْتُ يَوْمَ خَيْبَرَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " شِرَاكٌ مِنْ نَارٍ أَوْ شِرَاكَانِ مِنْ نَارٍ " .

তাহকীক: