আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬-১
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৪৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) .... উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি -লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর নিশ্চিত বিশ্বাস নিয়ে ইন্তিকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।*
* গুনাহগার হলেও ক্ষমা লাভ অথবা শাস্তিভোগের পর সে জান্নাতে যাবে।
* গুনাহগার হলেও ক্ষমা লাভ অথবা শাস্তিভোগের পর সে জান্নাতে যাবে।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، كِلاَهُمَا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، - عَنْ خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ حُمْرَانَ، عَنْ عُثْمَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৬-২
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৪৪। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর আল মুকাদ্দামী (রাহঃ) ......... উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অনুরূপ বলতে শুনেছি ......... বাকি অংশ পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنِ الْوَلِيدِ أَبِي بِشْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ حُمْرَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُثْمَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مِثْلَهُ سَوَاءً .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৭-১
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৪৫। আবু বকর ইবনে নযর ইবনে আবু নযর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে একটি সফরে ছিলাম। এক পর্যায়ে দলের রসদপত্র নিঃশেষ হয়ে গেল। পরিশেষে রাসুল (ﷺ) তাদের কিছু সংখ্যক উট যবেহ করার মনস্থ করলেন।
রাবী বলেন যে, এতে উমর (রাযিঃ) আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনি সকলের রসদ সামগ্রী একত্র করে আল্লাহর কাছে দুআ করতেন, তবে ভাল হতো। রাসুল (ﷺ) তাই করলেন। যার কাছে গম ছিল সে গম এবং যার কাছে খেজুর ছিল সে খেজুর নিয়ে হাযির হল, (তালহা ইবনে মুসা ররিফ বলেন) মুজাহিদ আরো বর্ণনা করেন যে, যার কাছে খেজুরের আটি ছিল, সে তাই নিয়ে হাযির হল।
আমি (তালহা) আরয করলাম, আটি দিয়ে কি করতেন? তিনি বললেন, তা চুষে পানি পান করতেন বর্ণনাকারী বললেন, তারপর রাসুল (ﷺ) সংগৃহীত খাদ্য সামগ্রীর উপর দুআ করলেন। রাবী বলেন, অবশেষে লোকেরা রসদে নিজেদের পাত্র পুর্ণ করে নিল। রাবী বলেন যে, তখন রাসুল(ﷺ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল। যে এ দুটি বিষয়ের প্রতি সন্দেহাতীত বিশ্বাস রেখে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, সে জান্নাতে দাখিল হবে।
রাবী বলেন যে, এতে উমর (রাযিঃ) আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনি সকলের রসদ সামগ্রী একত্র করে আল্লাহর কাছে দুআ করতেন, তবে ভাল হতো। রাসুল (ﷺ) তাই করলেন। যার কাছে গম ছিল সে গম এবং যার কাছে খেজুর ছিল সে খেজুর নিয়ে হাযির হল, (তালহা ইবনে মুসা ররিফ বলেন) মুজাহিদ আরো বর্ণনা করেন যে, যার কাছে খেজুরের আটি ছিল, সে তাই নিয়ে হাযির হল।
আমি (তালহা) আরয করলাম, আটি দিয়ে কি করতেন? তিনি বললেন, তা চুষে পানি পান করতেন বর্ণনাকারী বললেন, তারপর রাসুল (ﷺ) সংগৃহীত খাদ্য সামগ্রীর উপর দুআ করলেন। রাবী বলেন, অবশেষে লোকেরা রসদে নিজেদের পাত্র পুর্ণ করে নিল। রাবী বলেন যে, তখন রাসুল(ﷺ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল। যে এ দুটি বিষয়ের প্রতি সন্দেহাতীত বিশ্বাস রেখে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, সে জান্নাতে দাখিল হবে।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو النَّضْرِ، هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَسِيرٍ - قَالَ - فَنَفِدَتْ أَزْوَادُ الْقَوْمِ قَالَ حَتَّى هَمَّ بِنَحْرِ بَعْضِ حَمَائِلِهِمْ - قَالَ - فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ جَمَعْتَ مَا بَقِيَ مِنْ أَزْوَادِ الْقَوْمِ فَدَعَوْتَ اللَّهَ عَلَيْهَا . قَالَ فَفَعَلَ - قَالَ - فَجَاءَ ذُو الْبُرِّ بِبُرِّهِ وَذُو التَّمْرِ بِتَمْرِهِ - قَالَ وَقَالَ مُجَاهِدٌ وَذُو النَّوَاةِ بِنَوَاهُ - قُلْتُ وَمَا كَانُوا يَصْنَعُونَ بِالنَّوَى قَالَ كَانُوا يَمُصُّونَهُ وَيَشْرَبُونَ عَلَيْهِ الْمَاءَ . قَالَ فَدَعَا عَلَيْهَا - قَالَ - حَتَّى مَلأَ الْقَوْمُ أَزْوِدَتَهُمْ - قَالَ - فَقَالَ عِنْدَ ذَلِكَ " أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ لاَ يَلْقَى اللَّهَ بِهِمَا عَبْدٌ غَيْرَ شَاكٍّ فِيهِمَا إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ " .
হাদীস নং: ৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭-২
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৪৬। সাহল ইবনে উসমান ও আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) অথবা আবু সাঈদ খূদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, (সন্দেহ রাবী আমাশের) তাবুকের যুদ্ধের সময়ে লোকেরা দারুণ খাদ্যাভাবে পতিত হল। তারা আরয করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আপনি অনুমতি দেন, তাহলে আমরা আমাদের উটগুলো যবেহ করে তার গোশত খাই এবং তার চর্বি ব্যবহার করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যবেহ করতে পার। রাবী বলেন, ইত্যবসরে উমর (রাযিঃ) আসলেন এবং আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি এরূপ করা হয়, তাহলে বাহন কমে যাবে বরং আপনি লোকদেরকে তাদের উদ্ধৃত্ত রসদ নিয়ে উপস্থিত হতে বলুন, তাতে তাদের জন্য আল্লাহর নিকটে বরকতের দুআ করুন। আশা করা যায়, আল্লাহ তাতে বরকত দিবেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ- ঠিক আছে। একটি দস্তরখান আনতে বললেন এবং তা বিছালেন, এরপর সকলের উদ্ধৃত্ত রসদ চেয়ে পাঠালেন। রাবী বলেন, তখন কেউ একমুঠো গম নিয়ে হাযির হল, কেউ একমুঠো খেজুর নিয়ে হাযির হল, কেউ এক টুকরা রুটি নিয়ে আসল, এভাবে কিছু পরিমাণ রসদ-সামগ্রী দস্তরখানায় জমা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বরকতের দুআ করলেন। তারপর বললেন, তোমরা নিজ নিজ পাত্রে রসদপত্র ভর্তি করে নাও। সকলেই নিজ নিজ পাত্র ভরে নিল, এমনকি এ বাহিনীর কোন পাত্রই আর অপূর্ণ রইল না। এরপর সকলে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন। কিছু উদ্ধৃত্তও রয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর প্রেরিত রাসুল-যে ব্যক্তি সন্দেহাতীতভাবে এ কথা দুটির উপর বিশ্বাস রেখে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে, সে জান্নাত থেকে বাধাপ্রাপ্ত হবে না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ- ঠিক আছে। একটি দস্তরখান আনতে বললেন এবং তা বিছালেন, এরপর সকলের উদ্ধৃত্ত রসদ চেয়ে পাঠালেন। রাবী বলেন, তখন কেউ একমুঠো গম নিয়ে হাযির হল, কেউ একমুঠো খেজুর নিয়ে হাযির হল, কেউ এক টুকরা রুটি নিয়ে আসল, এভাবে কিছু পরিমাণ রসদ-সামগ্রী দস্তরখানায় জমা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বরকতের দুআ করলেন। তারপর বললেন, তোমরা নিজ নিজ পাত্রে রসদপত্র ভর্তি করে নাও। সকলেই নিজ নিজ পাত্র ভরে নিল, এমনকি এ বাহিনীর কোন পাত্রই আর অপূর্ণ রইল না। এরপর সকলে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করলেন। কিছু উদ্ধৃত্তও রয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর প্রেরিত রাসুল-যে ব্যক্তি সন্দেহাতীতভাবে এ কথা দুটির উপর বিশ্বাস রেখে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে, সে জান্নাত থেকে বাধাপ্রাপ্ত হবে না।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، - قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، - شَكَّ الأَعْمَشُ - قَالَ لَمَّا كَانَ غَزْوَةُ تَبُوكَ أَصَابَ النَّاسَ مَجَاعَةٌ . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ أَذِنْتَ لَنَا فَنَحَرْنَا نَوَاضِحَنَا فَأَكَلْنَا وَادَّهَنَّا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " افْعَلُوا " . قَالَ فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ فَعَلْتَ قَلَّ الظَّهْرُ وَلَكِنِ ادْعُهُمْ بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ ثُمَّ ادْعُ اللَّهَ لَهُمْ عَلَيْهَا بِالْبَرَكَةِ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ فِي ذَلِكَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ فَدَعَا بِنِطَعٍ فَبَسَطَهُ ثُمَّ دَعَا بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ - قَالَ - فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِكَفِّ ذُرَةٍ - قَالَ - وَيَجِيءُ الآخَرُ بَكَفِّ تَمْرٍ - قَالَ - وَيَجِيءُ الآخَرُ بِكِسْرَةٍ حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَى النِّطَعِ مِنْ ذَلِكَ شَىْءٌ يَسِيرٌ - قَالَ - فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَيْهِ بِالْبَرَكَةِ ثُمَّ قَالَ " خُذُوا فِي أَوْعِيَتِكُمْ " . قَالَ فَأَخَذُوا فِي أَوْعِيَتِهِمْ حَتَّى مَا تَرَكُوا فِي الْعَسْكَرِ وِعَاءً إِلاَّ مَلأُوهُ - قَالَ - فَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا وَفَضِلَتْ فَضْلَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ لاَ يَلْقَى اللَّهَ بِهِمَا عَبْدٌ غَيْرَ شَاكٍّ فَيُحْجَبَ عَنِ الْجَنَّةِ " .
হাদীস নং: ৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৮-১
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৪৭। দাউদ ইবনে রুশায়দ .... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি একথার সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসুল, ঈসা (আলাইস সালাম) আল্লাহর বান্দা ও তার দাসীর পূত্র, তাঁর কথা দ্বারা পয়দা হয়েছেন যা তিনি মারিয়ামের মধ্যে ছেলে ছিলেন (অর্থাৎ কালিমায়ে ‘কুন’ দ্বারা মারিয়ামের গর্ভে তাঁকে পয়দা করেছেন) তিনি তাঁর আত্মা, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য। সে ব্যক্তিকে আল্লাহ জান্নাতের আটটি তোরণের যেখান দিয়ে সে চাইবে প্রবেশ করাবেন।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ - عَنِ ابْنِ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ، قَالَ حَدَّثَنِي جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ، حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنَّ عِيسَى عَبْدُ اللَّهِ وَابْنُ أَمَتِهِ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ وَأَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ وَأَنَّ النَّارَ حَقٌّ أَدْخَلَهُ اللَّهُ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ شَاءَ " .
হাদীস নং: ৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৮-২
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৪৮। আহমাদ ইবনে ইবরাহীম আল দাওরাকী (রাহঃ) ......... উমায়ের ইবনে হানী (রাহঃ)-এর সূত্রে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তার বর্ণনায় একটু পার্থক্য দেখা যায়। তিনি বলেন, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, সে যে আমলের উপর থাকুক না কেন। ″জান্নাতের আটটি তোরণের যেটি দিয়ে সে চাইবে, প্রবেশ করবে″ কথাটি তিনি উল্লেখ করেননি।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ هَانِئٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنْ عَمَلٍ " . وَلَمْ يَذْكُرْ " مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ شَاءَ " .
হাদীস নং: ৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৪৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, সুনাবিহ (রাহঃ) বলেন, আমি উবাদার কাছে গেলাম, তখন তিনি মৃত্যুশয্যায় ছিলেন, আমি কেঁদে ফেললাম। আমাকে বললেন, চুপ থাক, কাঁদছ কেন? আল্লাহর শপথ! যদি আমাকে সাক্ষী বানানো হয়, তাহলে আমি তোমার পক্ষে সাক্ষ্য দেবো, যদি আমাকে সুপারিশকারী বানানো হয়, তাহলে অবশ্যই আমি তোমার জন্য সুপারিশ করব এবং যদি আমার সাধ্য থাকে, তবে আমি তোমার উপকার করব। তারপর উবাদা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শ্রুত একটি ছাড়া সব হাদীসই তোমাকে শুনিয়েছি, যাতে তোমাদের কল্যাণ রয়েছে। তোমাদের কাছে সে হাদীসটি আজ বর্ণনা করছি, কেননা আজ আমি মৃত্যুর দু'আরে উপস্থিত। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ(ﷺ) আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তাঁর জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَبَكَيْتُ فَقَالَ مَهْلاً لِمَ تَبْكِي فَوَاللَّهِ لَئِنِ اسْتُشْهِدْتُ لأَشْهَدَنَّ لَكَ وَلَئِنْ شُفِّعْتُ لأَشْفَعَنَّ لَكَ وَلَئِنِ اسْتَطَعْتُ لأَنْفَعَنَّكَ ثُمَّ قَالَ وَاللَّهِ مَا مِنْ حَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَكُمْ فِيهِ خَيْرٌ إِلاَّ حَدَّثْتُكُمُوهُ إِلاَّ حَدِيثًا وَاحِدًا وَسَوْفَ أُحَدِّثُكُمُوهُ الْيَوْمَ وَقَدْ أُحِيطَ بِنَفْسِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ " .
হাদীস নং: ৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০-১
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫০। হাদ্দাব ইবনে খালিদ আল আযদী (রাহঃ) ......... মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি এক সময় নবী (ﷺ) -এর বাহনের পিছনে বসা ছিলাম। আমার ও নবী (ﷺ) -এর মাঝে হাওদার কাঠখণ্ড ছাড়া আর কোন ব্যবধান ছিল না। নবী (ﷺ) বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! বান্দা হাযির; আপনার আনুগত্য শিরোধার্য! তারপর তিনি কিছুদুর অগ্রসর হয়ে আবার বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম, বান্দা আপনার খেদমতে হাযির, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য, হে আল্লাহর রাসুল! তারপর তিনি কিছুদুরে আগ্রসর হয়ে আবার বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! বান্দা আপনার খেদমতে হাযির, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য।
তিনি বললেন, তুমি কি জানো বান্দার উপর আল্লাহ তাআলার কী হক রয়েছে? আমি আরয করলাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই তা ভাল জানেন। নবী (ﷺ) বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক এই যে, তারা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না। তারপর কিছুদুর চললেন। নবী (ﷺ) আবার বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল। আমি আরয করলাম, বান্দা আপনার খেদমতে হাযির, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কি জানো, এগুলো করলে আল্লাহর কাছে বান্দার কী হক আছে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন। নবী (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন না।
তিনি বললেন, তুমি কি জানো বান্দার উপর আল্লাহ তাআলার কী হক রয়েছে? আমি আরয করলাম, আল্লাহ এবং তার রাসুলই তা ভাল জানেন। নবী (ﷺ) বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক এই যে, তারা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না। তারপর কিছুদুর চললেন। নবী (ﷺ) আবার বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল। আমি আরয করলাম, বান্দা আপনার খেদমতে হাযির, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কি জানো, এগুলো করলে আল্লাহর কাছে বান্দার কী হক আছে? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন। নবী (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন না।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ إِلاَّ مُؤْخِرَةُ الرَّحْلِ فَقَالَ " يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ " يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . ثُمَّ سَارَ سَاعَةَ ثُمَّ قَالَ " يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . قَالَ " هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ " . قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّ حَقَّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا " . ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ " يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ " . قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . قَالَ " هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ إِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ " . قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ " .
হাদীস নং: ৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৩০-২
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি এক সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর গাধা উফায়রের পিঠে তার পিছনে বসা ছিলাম। রাসুল(ﷺ) বললেন, হে মু’আয! তুমি কি জানো বান্দার উপর আল্লাহর হক কী এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কী? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভাল জানেন।
রাসুল(ﷺ) বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হল, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোনকিছু শরীক করবে না। আল্লাহর উপর বান্দার হক হল, যে তাঁর সঙ্গে শরীক করবে না, তাকে তিনি শাস্তি দিবেন না। মু’আয (রাযিঃ) বললেন, আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি কি লোকদের এ সংবাদ জানিয়ে দেব? তিনি বললেন, না, লোকদের এ সংবাদ দিও না, দিলে এর উপরই তারা ভরসা করে থাকবে।
রাসুল(ﷺ) বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হল, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোনকিছু শরীক করবে না। আল্লাহর উপর বান্দার হক হল, যে তাঁর সঙ্গে শরীক করবে না, তাকে তিনি শাস্তি দিবেন না। মু’আয (রাযিঃ) বললেন, আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি কি লোকদের এ সংবাদ জানিয়ে দেব? তিনি বললেন, না, লোকদের এ সংবাদ দিও না, দিলে এর উপরই তারা ভরসা করে থাকবে।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، سَلاَّمُ بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ رِدْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى حِمَارٍ يُقَالُ لَهُ عُفَيْرٌ قَالَ فَقَالَ " يَا مُعَاذُ تَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ " . قَالَ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّ حَقَّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَحَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لاَ يُعَذِّبَ مَنْ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أُبَشِّرُ النَّاسَ قَالَ " لاَ تُبَشِّرْهُمْ فَيَتَّكِلُوا " .
হাদীস নং: ৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৩০-৩
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫২। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসুল(ﷺ) বললেন, হে মু’আয! তুমি কি জানো, বান্দার উপর আল্লাহর কী হক? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুলই ভাল জানেন। রাসুল(ﷺ) বললেন, তা হল, যেন আল্লাহরই ইবাদত করা হয় এবং তার সঙ্গে যেন অন্য কিছু শরীক না করা হয়। তিনি বললেন, তুমি কি জানো, তা করলে আল্লাহর কাছে বান্দার হক কী? মু’আয (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তাদের তিনি শাস্তি দিবেন না।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، وَالأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، أَنَّهُمَا سَمِعَا الأَسْوَدَ بْنَ هِلاَلٍ، يُحَدِّثُ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مُعَاذُ أَتَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ " . قَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " أَنْ يُعْبَدَ اللَّهُ وَلاَ يُشْرَكَ بِهِ شَىْءٌ - قَالَ - أَتَدْرِي مَا حَقُّهُمْ عَلَيْهِ إِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ " . فَقَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ " .
হাদীস নং: ৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩০-৪
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫৩। কাসিম ইবনে যাকারিয়া (রাহঃ) ......... মু’আয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম। তিনি বললেন, তুমি কি জানো, মানুষের উপর আল্লাহর হক কী? ......... বাকি অংশ উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ هِلاَلٍ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاذًا، يَقُولُ دَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ " هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللَّهِ عَلَى النَّاسِ " . نَحْوَ حَدِيثِهِمْ .
হাদীস নং: ৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫৪। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা কর্রেন যে, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে বসা ছিলাম। আমাদের মধ্যে আবু বকর ও উমর (রাযিঃ)-ও ছিলেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মধ্য থেকে উঠে চলে গেলেন। তিনি আমাদের মাঝে আসতে বিলম্ব করলেন। এতে আমরা ভয় পেয়ে গেলাম যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে তিনি কোন বিপদে পড়লেন কিনা। আমরা শঙ্কিত হয়ে উঠে দাঁড়ালাম। ভীত-সন্ত্রস্তদের মধ্যে আমি ছিলাম প্রথম। তাই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল। তালাশ করতে করতে বনী নাজ্জার গোত্রের আনসারদের বাগানের কাছে পৌছলাম।
আমি বাগানের চারদিকে ঘুরে কোন দরজা পেলাম না। হঠাৎ দেখতে পেলাম বাইরের কুয়া থেকে একটি ‘রবি’ (ঝরনা, প্রণালী, নালা) বাগানের ভিতর প্রবেশ করেছে। আমি নিজেকে শিয়ালের মত সংকুচিত করে প্রণালীর পথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে প্রবেশ করলাম। তিনি বললেন, আবু হুরায়রা! আমি আরয করলাম, জি হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার অবস্থা কি? আমি আরয করলাম, আপনি আমাদের মধ্যে ছিলেন। তারপর আমাদের মধ্য থেকে উঠে চলে এলেন। আপনার ফেরতে দেরি দেখে আমরা ভয় পেয়ে গেলাম যে আমাদের অবর্তমানে আপনি বেশী বিপদে পড়লেন কি না? এ আশঙ্কায় আমরা সকলেই তীত হয়ে পড়লাম। আমি সর্বপ্রথম বেরিয়ে গিয়ে এ বাগানে উপস্থিত হই, আমি শিয়ালের মত সংকুচিত হয়ে এ বাগানে প্রবেশ করি। আর সেসব লোক আমার পেছনে রয়েছেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হে আবু হুরায়রা বলে তার পাদুকা জোড়া প্রদান করলেন, আর বললেন, আমার এ পাদুকা জোড়া নিয়ে যাও এবং বাগানের বাইরে যার সাথেই তোমার সাক্ষাত হয় তাকে এ সুসংবাদ শুনিয়ে দাও, যে ব্যক্তি আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই, সে জান্নাতী হবে।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, বাইরে এসে প্রথমেই উমরের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হল। তিনি বললেন, হে আবু হুরায়রা! এ জুতা জোড়া কি? আমি বললাম, এ তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পাদুকা মুবারক। তিনি আমাকে এ দুটি দিয়ে পাঠিয়েছেন যে, যার সাথে আমার সাক্ষাত হয়, সে যদি আন্তরিক বিশ্বাসে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই, তাকে যেন জান্নাতের সুসংবাদ দেই। একথা শুনে উমর (রাযিঃ) আমার বুকে এমন জোরে আঘাত করলেন যে, আমি পেছনে পড়ে গেলাম। তখন তিনি বললেন, ফিরে যাও, হে আবু হুরায়রা!
আমি কাঁদোকাঁদো অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর খেদমতে ফিরে এলাম। আর সাথে সাথে উমরও আমার পিছনে পিছনে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আবু হুরায়রা! তোমার কি হয়েছে? আরয করলাম, উমর (রাযিঃ)-এর সাথে আমার দেখা হয়। আপনি যা বলে আমাকে পাঠিয়েছিলেন আমি তা উমরকে জানাই। এতে তিনি আমার বুকে আঘাত করলেন যে আমি পিছনের দিকে পড়ে যাই। তিনি আমাকে ফিরে আসতে বলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে উমর! কি সে তোমাকে এ কাজে উত্তেজিত করেছে?
তিনি উত্তর দিলেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আপনার জন্য আমার পিতামাতা কুরবান হোক। আপনি কি আপনার পাদুকা মুবারকসহ আবু হুরায়রাকে পাঠিয়েছেন যে, তার সাথে যদি এমন লোকের সাক্ষাত হয়, যে আন্তরিকতার সাথে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তবে তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। রাসুল (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। উমর (রাযিঃ) বললেন, এরূপ করতে যাবেন না। আমি আশঙ্কা করি যে, লোকেরা এর উপরই ভরসা করে বসে থাকবে; আপনি তাদের ছেড়ে দিন, তারা আমল করুক। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আচ্ছা, তাদের ছেড়ে দাও।
আমি বাগানের চারদিকে ঘুরে কোন দরজা পেলাম না। হঠাৎ দেখতে পেলাম বাইরের কুয়া থেকে একটি ‘রবি’ (ঝরনা, প্রণালী, নালা) বাগানের ভিতর প্রবেশ করেছে। আমি নিজেকে শিয়ালের মত সংকুচিত করে প্রণালীর পথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে প্রবেশ করলাম। তিনি বললেন, আবু হুরায়রা! আমি আরয করলাম, জি হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার অবস্থা কি? আমি আরয করলাম, আপনি আমাদের মধ্যে ছিলেন। তারপর আমাদের মধ্য থেকে উঠে চলে এলেন। আপনার ফেরতে দেরি দেখে আমরা ভয় পেয়ে গেলাম যে আমাদের অবর্তমানে আপনি বেশী বিপদে পড়লেন কি না? এ আশঙ্কায় আমরা সকলেই তীত হয়ে পড়লাম। আমি সর্বপ্রথম বেরিয়ে গিয়ে এ বাগানে উপস্থিত হই, আমি শিয়ালের মত সংকুচিত হয়ে এ বাগানে প্রবেশ করি। আর সেসব লোক আমার পেছনে রয়েছেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হে আবু হুরায়রা বলে তার পাদুকা জোড়া প্রদান করলেন, আর বললেন, আমার এ পাদুকা জোড়া নিয়ে যাও এবং বাগানের বাইরে যার সাথেই তোমার সাক্ষাত হয় তাকে এ সুসংবাদ শুনিয়ে দাও, যে ব্যক্তি আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই, সে জান্নাতী হবে।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, বাইরে এসে প্রথমেই উমরের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হল। তিনি বললেন, হে আবু হুরায়রা! এ জুতা জোড়া কি? আমি বললাম, এ তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পাদুকা মুবারক। তিনি আমাকে এ দুটি দিয়ে পাঠিয়েছেন যে, যার সাথে আমার সাক্ষাত হয়, সে যদি আন্তরিক বিশ্বাসে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই, তাকে যেন জান্নাতের সুসংবাদ দেই। একথা শুনে উমর (রাযিঃ) আমার বুকে এমন জোরে আঘাত করলেন যে, আমি পেছনে পড়ে গেলাম। তখন তিনি বললেন, ফিরে যাও, হে আবু হুরায়রা!
আমি কাঁদোকাঁদো অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর খেদমতে ফিরে এলাম। আর সাথে সাথে উমরও আমার পিছনে পিছনে এলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আবু হুরায়রা! তোমার কি হয়েছে? আরয করলাম, উমর (রাযিঃ)-এর সাথে আমার দেখা হয়। আপনি যা বলে আমাকে পাঠিয়েছিলেন আমি তা উমরকে জানাই। এতে তিনি আমার বুকে আঘাত করলেন যে আমি পিছনের দিকে পড়ে যাই। তিনি আমাকে ফিরে আসতে বলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে উমর! কি সে তোমাকে এ কাজে উত্তেজিত করেছে?
তিনি উত্তর দিলেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আপনার জন্য আমার পিতামাতা কুরবান হোক। আপনি কি আপনার পাদুকা মুবারকসহ আবু হুরায়রাকে পাঠিয়েছেন যে, তার সাথে যদি এমন লোকের সাক্ষাত হয়, যে আন্তরিকতার সাথে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তবে তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। রাসুল (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। উমর (রাযিঃ) বললেন, এরূপ করতে যাবেন না। আমি আশঙ্কা করি যে, লোকেরা এর উপরই ভরসা করে বসে থাকবে; আপনি তাদের ছেড়ে দিন, তারা আমল করুক। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আচ্ছা, তাদের ছেড়ে দাও।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنَّا قُعُودًا حَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَنَا أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فِي نَفَرٍ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِنَا فَأَبْطَأَ عَلَيْنَا وَخَشِينَا أَنْ يُقْتَطَعَ دُونَنَا وَفَزِعْنَا فَقُمْنَا فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ فَزِعَ فَخَرَجْتُ أَبْتَغِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَتَيْتُ حَائِطًا لِلأَنْصَارِ لِبَنِي النَّجَّارِ فَدُرْتُ بِهِ هَلْ أَجِدُ لَهُ بَابًا فَلَمْ أَجِدْ فَإِذَا رَبِيعٌ يَدْخُلُ فِي جَوْفِ حَائِطٍ مِنْ بِئْرٍ خَارِجَةٍ - وَالرَّبِيعُ الْجَدْوَلُ - فَاحْتَفَزْتُ كَمَا يَحْتَفِزُ الثَّعْلَبُ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَبُو هُرَيْرَةَ " . فَقُلْتُ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " مَا شَأْنُكَ " . قُلْتُ كُنْتَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا فَقُمْتَ فَأَبْطَأْتَ عَلَيْنَا فَخَشِينَا أَنْ تُقْتَطَعَ دُونَنَا فَفَزِعْنَا فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ فَزِعَ فَأَتَيْتُ هَذَا الْحَائِطَ فَاحْتَفَزْتُ كَمَا يَحْتَفِزُ الثَّعْلَبُ وَهَؤُلاَءِ النَّاسُ وَرَائِي فَقَالَ " يَا أَبَا هُرَيْرَةَ " . وَأَعْطَانِي نَعْلَيْهِ قَالَ " اذْهَبْ بِنَعْلَىَّ هَاتَيْنِ فَمَنْ لَقِيتَ مِنْ وَرَاءِ هَذَا الْحَائِطِ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُسْتَيْقِنًا بِهَا قَلْبُهُ فَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ " فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ لَقِيتُ عُمَرُ فَقَالَ مَا هَاتَانِ النَّعْلاَنِ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ . فَقُلْتُ هَاتَانِ نَعْلاَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَنِي بِهِمَا مَنْ لَقِيتُ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُسْتَيْقِنًا بِهَا قَلْبُهُ بَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ . فَضَرَبَ عُمَرُ بِيَدِهِ بَيْنَ ثَدْيَىَّ فَخَرَرْتُ لاِسْتِي فَقَالَ ارْجِعْ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَجْهَشْتُ بُكَاءً وَرَكِبَنِي عُمَرُ فَإِذَا هُوَ عَلَى أَثَرِي فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ " . قُلْتُ لَقِيتُ عُمَرَ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي بَعَثْتَنِي بِهِ فَضَرَبَ بَيْنَ ثَدْيَىَّ ضَرْبَةً خَرَرْتُ لاِسْتِي قَالَ ارْجِعْ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عُمَرُ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا فَعَلْتَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَبَعَثْتَ أَبَا هُرَيْرَةَ بِنَعْلَيْكَ مَنْ لَقِيَ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُسْتَيْقِنًا بِهَا قَلْبُهُ بَشَّرَهُ بِالْجَنَّةِ . قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ فَلاَ تَفْعَلْ فَإِنِّي أَخْشَى أَنْ يَتَّكِلَ النَّاسُ عَلَيْهَا فَخَلِّهِمْ يَعْمَلُونَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَخَلِّهِمْ " .
হাদীস নং: ৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩২
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫৫। ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) একই বাহনের পৃষ্ঠে সওয়ার হয়েছিলেন। তারপর নবী (ﷺ) বললেন, হে মু’আয ইবনে জাবাল! মু’আয (রাযিঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! বান্দা হাযির, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। রাসুল(ﷺ) আবার বললেন, হে মু’আয! মু’আয উত্তর দিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! বান্দা হাযির, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। রাসুল(ﷺ) আবার বললেন, হে মু’আয মু’আয উত্তর করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! বান্দা হাযির, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য।
রাসুল(ﷺ) বললেন, যদি কোন বান্দা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়! কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রাসুল, তবে আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করবেন। মু’আয (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এ খবর লোকদের দিয়ে দিব কি, যাতে তারা সুসংবাদ পায়। রাসুল(ﷺ) বললেন, তা হলে লোকেরা এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। পরে সত্য কথা গোপন রাখার গুনাহের ভয়ে মু’আয (রাযিঃ) অন্তিমকালে এ খবর শুনিয়ে গিয়েছেন।
রাসুল(ﷺ) বললেন, যদি কোন বান্দা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়! কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রাসুল, তবে আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করবেন। মু’আয (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! এ খবর লোকদের দিয়ে দিব কি, যাতে তারা সুসংবাদ পায়। রাসুল(ﷺ) বললেন, তা হলে লোকেরা এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। পরে সত্য কথা গোপন রাখার গুনাহের ভয়ে মু’আয (রাযিঃ) অন্তিমকালে এ খবর শুনিয়ে গিয়েছেন।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ رَدِيفُهُ عَلَى الرَّحْلِ قَالَ " يَا مُعَاذُ " . قَالَ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . قَالَ " يَا مُعَاذُ " . قَالَ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . قَالَ " يَا مُعَاذُ " . قَالَ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ . قَالَ " مَا مِنْ عَبْدٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ إِلاَّ حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أُخْبِرُ بِهَا النَّاسَ فَيَسْتَبْشِرُوا قَالَ " إِذًا يَتَّكِلُوا " فَأَخْبَرَ بِهَا مُعَاذٌ عِنْدَ مَوْتِهِ تَأَثُّمًا .
হাদীস নং: ৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩-১
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫৬। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... মাহমুদ ইবনুর রাবী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি মদীনায় এসে ইতবানের সাথে সাক্ষাত করে বললাম, আপনার কাছ থেকে একটি হাদীস আমার কাছে পৌছেছে। ইতবান বললেন, আমার চোখে কোন এক রোগ দেখা দিলে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে খবর পাঠালাম যে, আমার একান্ত আকাঙ্ক্ষা, আপনি আমার কাছে তাশরীফ আনবেন এবং আমার গৃহে দু-রাক'আত নামায আদায় করবেন। আপনার নামায আদায়ের স্থানটিকে আমি নিজের জন্য নামায আদায়ের স্থান বানিয়ে নেব। তারপর আল্লাহ যাদের মনযুর করলেন, তাঁদের সাথে নিয়ে রাসুল তাশরীফ আনলেন, রাসুলাল্লাহ (ﷺ) ঘরে ঢূকে নামায আদায় করতে থাকলেন আর তাঁর সাহাবীরা পরস্পর কথাবার্তা বলছিলেন।
একপর্যায়ে মালিক ইবনে দুখশুম-কে তাঁদের আলোচনা প্রধান বিষয়বস্তু বানিয়ে নিলেন। তারা ইচ্ছা পোষণ করছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মালিক ইবনে দুখশুম-এর জন্য বদদুআ করুন যেন সে ধ্বংস হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায সম্পন্ন করলেন এবং বললেন, সে কি সাক্ষ্য দেয় না যে, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল? তাঁরা আরয করলেন, সে এ কথা বলে বটে, কিন্তু তার অন্তরে ঈমান নেই। রাসুল (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি-আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল- এ কথার সাক্ষ্য না দেবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে! অর্থাৎ আগুন তাকে দগ্ধ করবে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, হাদীসটি আমাকে বিস্মিত করেছিল। আমি আমার পুত্রকে বললাম, হাদীসটি লিখে নাও। তারপর সে তা লিখে রাখল।
একপর্যায়ে মালিক ইবনে দুখশুম-কে তাঁদের আলোচনা প্রধান বিষয়বস্তু বানিয়ে নিলেন। তারা ইচ্ছা পোষণ করছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মালিক ইবনে দুখশুম-এর জন্য বদদুআ করুন যেন সে ধ্বংস হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায সম্পন্ন করলেন এবং বললেন, সে কি সাক্ষ্য দেয় না যে, আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল? তাঁরা আরয করলেন, সে এ কথা বলে বটে, কিন্তু তার অন্তরে ঈমান নেই। রাসুল (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি-আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল- এ কথার সাক্ষ্য না দেবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে! অর্থাৎ আগুন তাকে দগ্ধ করবে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, হাদীসটি আমাকে বিস্মিত করেছিল। আমি আমার পুত্রকে বললাম, হাদীসটি লিখে নাও। তারপর সে তা লিখে রাখল।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - قَالَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ عِتْبَانَ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَلَقِيتُ عِتْبَانَ فَقُلْتُ حَدِيثٌ بَلَغَنِي عَنْكَ قَالَ أَصَابَنِي فِي بَصَرِي بَعْضُ الشَّىْءِ فَبَعَثْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنِّي أُحِبُّ أَنْ تَأْتِيَنِي فَتُصَلِّيَ فِي مَنْزِلِي فَأَتَّخِذَهُ مُصَلًّى - قَالَ - فَأَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ شَاءَ اللَّهُ مِنْ أَصْحَابِهِ فَدَخَلَ وَهُوَ يُصَلِّي فِي مَنْزِلِي وَأَصْحَابُهُ يَتَحَدَّثُونَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ أَسْنَدُوا عُظْمَ ذَلِكَ وَكِبْرَهُ إِلَى مَالِكِ بْنِ دُخْشُمٍ قَالُوا وَدُّوا أَنَّهُ دَعَا عَلَيْهِ فَهَلَكَ وَوَدُّوا أَنَّهُ أَصَابَهُ شَرٌّ . فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ وَقَالَ " أَلَيْسَ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ " . قَالُوا إِنَّهُ يَقُولُ ذَلِكَ وَمَا هُوَ فِي قَلْبِهِ . قَالَ " لاَ يَشْهَدُ أَحَدٌ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَيَدْخُلَ النَّارَ أَوْ تَطْعَمَهُ " . قَالَ أَنَسٌ فَأَعْجَبَنِي هَذَا الْحَدِيثُ فَقُلْتُ لاِبْنِي اكْتُبْهُ فَكَتَبَهُ .
হাদীস নং: ৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩-২
১০. যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর ইনতিকাল করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে - এর প্রমাণ
৫৭। আবু বকর ইবনে নাফি আল আব্দী (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইতবান (রাযিঃ) অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এ বলে খবর পাঠালেন, আপনি আমার ঘরে তাশরীফ আনুন এবং আমার জন্য একটি নামাযের স্থান নিদিষ্ট করে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে তাশরীফ আনলেন এবং মালিক ইবনে দুখশুম নামক এক ব্যক্তির কথা সেখানে উল্লেখ করা হল .... তারপর বর্ণনাকারী সুলাইমান ইবনে মুগীরার অনুরূপ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেন।
باب الدليل على أن من مات على التوحيد دخل الجنة قطعا
حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّهُ عَمِيَ فَأَرْسَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ تَعَالَ فَخُطَّ لِي مَسْجِدًا . فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَاءَ قَوْمُهُ وَنُعِتَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُمِ . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ .