আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ১
আন্তর্জাতিক নং: ৮-১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
১. ঈমানের অধ্যায়ঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান প্রসঙ্গ, তাকদীরে বিশ্বাসের আবশ্যিকতা। এবং যে ব্যক্তি তাকদীর অবিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ অপরিহার্য হওয়ার দলীল ও তাঁর সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহার।
ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ কুশায়রী (রাহঃ) বলেন, আল্লাহ তাআলার সাহায্যে শুরু করছি এবং প্রার্থনা করছি, যেন তিনিই আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। বস্তুত মহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা কোন কিছুই করতে সমর্থ নই।
১। আবু খায়সামা যুহাইর ইবনে হারব ও উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয (রাহঃ)–এটি উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআযের বর্ণনা–......... ইয়াহয়া ইবনে ইয়া’মার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সর্বপ্রথম তাকদীর সম্পর্কে বসরা শহরে মা'বাদ জুহানী কথা তোলে। আমি (ইয়াহয়া ইবনে ইয়া’মার) এবং হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান হিময়ারী হজ্জ অথবা উমরা আদায়ের জন্য মক্কা মুকাররমায় আসলাম। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম যে, যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কোন সাহাবীর সাক্ষাত পাই, তাহলে তাঁর কাছে এসব লোক তাকদীর সম্পর্কে যা বলে বেড়াচ্ছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতাম।
সৌভাগ্যক্রমে মসজিদে নববীতে আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর দেখা পাই। আমরা তাঁর কাছে গিয়ে একজন তাঁর ডানপাশে এবং আরেকজন বামপাশে বসলাম। আমার মনে হল, আমার সাথী চান যে, আমিই কথা বলি। আমি আরয করলাম, হে আবু আব্দুর রহমান! –আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এর কুনিয়াত ছিল আবু আব্দুর রহমান– আমাদের অঞ্চলে এমন কতিপয় লোকের আবির্ভাব হয়েছে, যারা কুরআন পাঠ করে এবং ইলমে দ্বীন সম্পর্কে গবেষণা করে। তিনি তাদের অবস্থা সম্পর্কে আরো কিছু উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, তারা মনে করে তাকদীর বলতে কিছু নেই, সবকিছু তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, তাদের সাথে তোমাদের দেখা হলে বলে দিও যে, তাদের সাথে আমার কোন সস্পর্ক নেই এবং আমার সঙ্গে তাদেরও কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহর কসম! যদি এদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনার মালিক হয় এবং তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে, তথাপি তাকদীরের প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তা কবুল করবেন না।
তারপর তিনি বললেন, আমাকে আমার পিতা উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হাদীস শুনিয়েছেন যে, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে ছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমাদের কাছে এসে হাযির হলেন। তাঁর পরিধানের কাপড় ছিল ধবধবে সাদা, মাথার কেশ ছিল কুচকুচে কালো। তাঁর মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন ছিল না। এবং আমরা কেউ তাঁকে চিনি না। তিনি নিজের দুই হাঁটু নবী (ﷺ) এর দুই হাঁটুর সাথে লাগিয়ে বসে পড়লেন আর তার দুই হাত নবী (ﷺ) এর দুই উরুর উপর রাখলেন।
তারপর তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইসলাম হল, তুমি এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর রাসূল, নামায কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রমযানের রোযা পালন করবে এবং বায়তুল্লাহ পৌঁছার সামর্থ্য থাকলে হজ্জ পালন করবে। আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। তার কথা শুনে আমরা বিষ্মিত হলাম যে, তিনিই প্রশ্ন করেছেন আর তিনিই তার উত্তর সত্যায়িত করছেন।
আগন্তুক বললেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ঈমান হল, আল্লাহর প্রতি, তার ফিরিশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসূলগণের প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান আনবে, আর তাকদীরের ভালমন্দের প্রতি ঈমান রাখবে। আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন।
তারপর আগন্তুক বললেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইহসান হল, এমনভাবে ইবাদত-বন্দেগী করবে, যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ, যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে একীন রাখবে যে, তিনি অবশ্যই তোমাকে দেখছেন।
অতঃপর আগন্তুক বললেন, আমাকে কিয়ামত সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তিনি অধিক অবহিত নন। আগন্তুক বললেন, আমাকে এর আলামত সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তা হলো এই যে, দাসী তার প্রভূর জননী হবে; আর নগ্নপদ, বিবস্ত্রদেহ ও পরমুখাপেক্ষী দরিদ্র মেষপালকদের বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে।
উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন যে, এরপরে আগন্তুক প্রস্থান করলেন। আমি বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে উমর! তুমি জান কি, এই প্রশ্নকারী কে? আমি আরয করলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সম্যক জ্ঞাত আছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ তিনি জিবরাঈল আঃ। তোমাদের তিনি দ্বীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন।
بسم الله الرحمن الرحيم:
كِتَابُ الْإِيمَانَ بَابُ بَيَانِ الْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ وَالْإِحْسَانِ وَوُجُوبِ الْإِيمَانِ بِإِثْبَاتِ قَدَرِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى وَبَيَانُ الدَّلِيلِ عَلَى التَّبَرِّي مِمَّنْ لَا يُؤْمِنُ بِالْقَدْرِ وَإِغْلَاظِ الْقَوْلِ فِي حَقِّهِ
قَالَ أَبُو الْحُسَيْنِ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ الْقُشَيْرِيُّ رَحِمَهُ اللهُ: «بِعَوْنِ اللهِ نَبْتَدِئُ، وَإِيَّاهُ نَسْتَكْفِي، وَمَا تَوْفِيقُنَا إِلَّا بِاللهِ جَلَّ جَلَالُهُ»
حَدَّثَنِي أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ كَهْمَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، - وَهَذَا حَدِيثُهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ قَالَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلاَءِ فِي الْقَدَرِ فَوُفِّقَ لَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ دَاخِلاً الْمَسْجِدَ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي أَحَدُنَا عَنْ يَمِينِهِ وَالآخَرُ عَنْ شِمَالِهِ فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَقَفَّرُونَ الْعِلْمَ - وَذَكَرَ مِنْ شَأْنِهِمْ - وَأَنَّهُمْ يَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَأَنَّ الأَمْرَ أُنُفٌ . قَالَ فَإِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ وَأَنَّهُمْ بُرَآءُ مِنِّي وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ثُمَّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الإِسْلاَمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ . قَالَ " أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِحْسَانِ . قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ " . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ . قَالَ " مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ " . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَتِهَا . قَالَ " أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ " . قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ مَلِيًّا ثُمَّ قَالَ لِي " يَا عُمَرُ أَتَدْرِي مَنِ السَّائِلُ " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ " .
হাদীস নং: ২
আন্তর্জাতিক নং: ৮-২
১. ঈমানের অধ্যায়ঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান প্রসঙ্গ, তাকদীরে বিশ্বাসের আবশ্যিকতা। এবং যে ব্যক্তি তাকদীর অবিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ অপরিহার্য হওয়ার দলীল ও তাঁর সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহার।
২। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ গুবারী, আবু কামিল ও আহমদ ইবনে আবদাহ (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া ইবনে ইয়া’মার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মা’বাদ (জুহানী) তাকদির সম্পর্কে তার নিজস্ব মত ব্যক্ত করলে আমরা তা অস্বীকার করি। তিনি (ইয়াহয়া ইবনে ইয়া’মার) বলেন, আমি ও হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান হিময়ারী হজ্জ পালন করতে গিয়েছিলাম। এরপর কাহমাসের হাদীসের অনুরূপ মর্ম ও সনদের সাথে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। আর এই বর্ণনায় বর্ণ ও শব্দগত কিছু বেশকম রয়েছে।
كِتَابُ الْإِيمَانَ بَابُ بَيَانِ الْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ وَالْإِحْسَانِ وَوُجُوبِ الْإِيمَانِ بِإِثْبَاتِ قَدَرِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى وَبَيَانُ الدَّلِيلِ عَلَى التَّبَرِّي مِمَّنْ لَا يُؤْمِنُ بِالْقَدْرِ وَإِغْلَاظِ الْقَوْلِ فِي حَقِّهِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ لَمَّا تَكَلَّمَ مَعْبَدٌ بِمَا تَكَلَّمَ بِهِ فِي شَأْنِ الْقَدَرِ أَنْكَرْنَا ذَلِكَ . قَالَ فَحَجَجْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حِجَّةً . وَسَاقُوا الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ كَهْمَسٍ وَإِسْنَادِهِ . وَفِيهِ بَعْضُ زِيَادَةٍ وَنُقْصَانُ أَحْرُفٍ .
হাদীস নং: ৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮-৩
১. ঈমানের অধ্যায়ঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান প্রসঙ্গ, তাকদীরে বিশ্বাসের আবশ্যিকতা। এবং যে ব্যক্তি তাকদীর অবিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ অপরিহার্য হওয়ার দলীল ও তাঁর সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহার।
৩। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া ইবনে ইয়া’মার ও হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান হিময়ারী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তাঁরা বলেন, আমরা উভয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাত করি এবং তাকদির সম্পর্কে যা বলা হয়, তা নিয়ে আলোচনা করি। তারা উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত উক্ত হাদীসটি কিছু বেশকমসহ বর্ণনা করেন।
كِتَابُ الْإِيمَانَ بَابُ بَيَانِ الْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ وَالْإِحْسَانِ وَوُجُوبِ الْإِيمَانِ بِإِثْبَاتِ قَدَرِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى وَبَيَانُ الدَّلِيلِ عَلَى التَّبَرِّي مِمَّنْ لَا يُؤْمِنُ بِالْقَدْرِ وَإِغْلَاظِ الْقَوْلِ فِي حَقِّهِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، وَحُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالاَ لَقِينَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَذَكَرْنَا الْقَدَرَ وَمَا يَقُولُونَ فِيهِ . فَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ كَنَحْوِ حَدِيثِهِمْ عَنْ عُمَرَ - رضى الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِيهِ شَىْءٌ مِنْ زِيَادَةٍ وَقَدْ نَقَصَ مِنْهُ شَيْئًا .
হাদীস নং: ৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮-৪
১. ঈমানের অধ্যায়ঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান প্রসঙ্গ, তাকদীরে বিশ্বাসের আবশ্যিকতা। এবং যে ব্যক্তি তাকদীর অবিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ অপরিহার্য হওয়ার দলীল ও তাঁর সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহার।
৪। হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) .... ইয়াহয়া ইয়া’মার (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كِتَابُ الْإِيمَانَ بَابُ بَيَانِ الْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ وَالْإِحْسَانِ وَوُجُوبِ الْإِيمَانِ بِإِثْبَاتِ قَدَرِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى وَبَيَانُ الدَّلِيلِ عَلَى التَّبَرِّي مِمَّنْ لَا يُؤْمِنُ بِالْقَدْرِ وَإِغْلَاظِ الْقَوْلِ فِي حَقِّهِ
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ .
হাদীস নং: ৫
আন্তর্জাতিক নং: ৯-১
১. ঈমানের অধ্যায়ঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান প্রসঙ্গ, তাকদীরে বিশ্বাসের আবশ্যিকতা। এবং যে ব্যক্তি তাকদীর অবিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ অপরিহার্য হওয়ার দলীল ও তাঁর সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহার।
৫। আবু বকর ইবনে আবু শাঈবা (রাহঃ) ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকসম্মুখে ছিলেন, এমতাবস্থায় তাঁর কাছে একজন লোক হাযির হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঈমান কী? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ঈমান হল, আল্লাহ তাআলা, তার ফিরিশতাকূল, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর মুলাকাত, তাঁর প্রেরিত রাসূলদের প্রতি ঈমান আনা এবং পুনরুত্থান দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
তারপর আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইসলাম কী? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইসলাম হল, আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক না করা, ফরয নামায যথাযথ করা, নির্ধারিত পরিমাণ যাকাত আদায় করা এবং রমযানের রোযা পালন করা।
আগন্তুক পুনরায় প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইহসান কী? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইহসান হল, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করবে, যেন তাঁকে দেখছ; আর যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে একীন রাখবে যে, তিনি অবশ্যই তোমাকে দেখছেন।
এরপর আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি অধিক অবহিত নন। তবে হ্যাঁ, কিয়ামতের কিছু আলামত বর্ণনা করছি, দাসী তার প্রভূকে জন্ম দেবে, এটি কিয়ামতের আলামতের একটি। বিবস্ত্রদেহ, নগ্নপদ লোক হবে জনগণের নেতা; এটা কিয়ামতের আলামতের একটি। আর রাখালদের বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় মত্ত দেখতে পাবে, এটিও কিয়ামতের একটি আলামত।
(কিয়ামত সংঘটিত হবার বিষয়টি ঐ) পাঁচ বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেনা। এ বলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (এ আয়াতটি) তিলাওয়াত করেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁরই নিকট রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান। তিনি নাযিল করেন বৃষ্টি এবং তিনি জানেন, যা রয়েছে মাতৃগর্ভে। আর কেউ জানে না, কী উপার্জন করবে সে আগামীকাল এবং জানে না কেউ, কোন মাটিতে সে মারা যাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু জানেন, সব খবর রাখেন (সূরা লুকমানঃ ৩৪)।
রাবী বলেন, তারপর লোকটি চলে গেল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ লোকটিকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন। তাঁরা তাকে আনার জন্য গেলেন। কিন্তু কাউকেই পেলেন না। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইনি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)। লোকদের দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন।
كِتَابُ الْإِيمَانَ بَابُ بَيَانِ الْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ وَالْإِحْسَانِ وَوُجُوبِ الْإِيمَانِ بِإِثْبَاتِ قَدَرِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى وَبَيَانُ الدَّلِيلِ عَلَى التَّبَرِّي مِمَّنْ لَا يُؤْمِنُ بِالْقَدْرِ وَإِغْلَاظِ الْقَوْلِ فِي حَقِّهِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا بَارِزًا لِلنَّاسِ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِيمَانُ قَالَ " أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكِتَابِهِ وَلِقَائِهِ وَرُسُلِهِ وَتُؤْمِنَ بِالْبَعْثِ الآخِرِ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِسْلاَمُ قَالَ " الإِسْلاَمُ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ وَتُؤَدِّيَ الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لاَ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ قَالَ " مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ وَلَكِنْ سَأُحَدِّثُكَ عَنْ أَشْرَاطِهَا إِذَا وَلَدَتِ الأَمَةُ رَبَّهَا فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا كَانَتِ الْعُرَاةُ الْحُفَاةُ رُءُوسَ النَّاسِ فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا تَطَاوَلَ رِعَاءُ الْبَهْمِ فِي الْبُنْيَانِ فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا فِي خَمْسٍ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلاَّ اللَّهُ " . ثُمَّ تَلاَ صلى الله عليه وسلم ( إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَىِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ) " . قَالَ ثُمَّ أَدْبَرَ الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رُدُّوا عَلَىَّ الرَّجُلَ " . فَأَخَذُوا لِيَرُدُّوهُ فَلَمْ يَرَوْا شَيْئًا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَا جِبْرِيلُ جَاءَ لِيُعَلِّمَ النَّاسَ دِينَهُمْ " .
হাদীস নং: ৬
আন্তর্জাতিক নং: ৯-২
১. ঈমানের অধ্যায়ঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান প্রসঙ্গ, তাকদীরে বিশ্বাসের আবশ্যিকতা। এবং যে ব্যক্তি তাকদীর অবিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ অপরিহার্য হওয়ার দলীল ও তাঁর সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহার।
৬। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবু হাইয়্যান তায়মী (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে তাঁর বর্ণনায় إِذَا وَلَدَتِ الأَمَةُ رَبَّهَا এর স্থলে إِذَا وَلَدَتِ الأَمَةُ بَعْلَهَا অর্থাৎ দাসী তার স্বামীকে জন্ম দেবে, কথাটির উল্লেখ রয়েছে।
كِتَابُ الْإِيمَانَ بَابُ بَيَانِ الْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ وَالْإِحْسَانِ وَوُجُوبِ الْإِيمَانِ بِإِثْبَاتِ قَدَرِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى وَبَيَانُ الدَّلِيلِ عَلَى التَّبَرِّي مِمَّنْ لَا يُؤْمِنُ بِالْقَدْرِ وَإِغْلَاظِ الْقَوْلِ فِي حَقِّهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي رِوَايَتِهِ " إِذَا وَلَدَتِ الأَمَةُ بَعْلَهَا " يَعْنِي السَّرَارِيَّ .
হাদীস নং: ৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০
১. ঈমানের অধ্যায়ঃ ঈমান, ইসলাম ও ইহসান প্রসঙ্গ, তাকদীরে বিশ্বাসের আবশ্যিকতা। এবং যে ব্যক্তি তাকদীর অবিশ্বাস করে, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ অপরিহার্য হওয়ার দলীল ও তাঁর সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহার।
৭। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন কর। সাহাবায়ে কিরাম তার কাছে প্রশ্ন করতে ভয় পেলেন। (রাবী বলেন) তারপর একদা একজন লোক এলেন এবং তাঁর কাছে বসে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! ইসলাম কী? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইসলাম হল, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, নামায যথাযথ আদায় করবে, যাকাত দিবে, রমযানের রোযা পালন করবে। আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন।
তারপর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঈমান কী? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রতি, পুনরুত্থানের বিষয়ে এবং পুরোপুরি তাকদীরের উপর ঈমান রাখবে। আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন।
তারপর আগন্তুক বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইহসান কী? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহকে এমনভাবে ভয় করবে, যেন তাঁকে দেখছ, যদি তাকে নাও দেখ; তাহলে (একীন করবে যে) তিনি তো তোমাকে দেখছেন। আগন্তুক বললেন, আপনি যথার্থ বলেছেন।
তারপর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কখন ঘটবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি প্রশ্নকারীর চাইতে অধিক অবহিত নয়। তবে আমি কিয়ামতের কিছু আলামত বর্ণনা করছি। যখন দেখবে, দাসী তার মনিবকে জন্ম দেবে, এটা কিয়ামতের একটি আলামত। আর যখন দেখবে নগ্নপদ, বস্ত্রহীন, বধির ও মূকেরা দেশের শাসক হয়েছে, এটিও কিয়ামতের একটি আলামত। আর যখন দেখবে, মেষপালক বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, এটিও কিয়ামতের একটি আলামত।
(কিয়ামত সংঘটিত হবার বিষয়টি ঐ) পাঁচটি অদৃশ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেনা। তারপর (তিনি কুরআন কারীমের এ আয়াত) তিলাওয়াত করলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ, তাঁর কাছেই রয়েছে কিয়ামতের জ্ঞান। তিনি নাযিল করেন বৃষ্টি এবং তিনি জানেন, যা রয়েছে মাতৃগর্ভে। জানে না কেউ, কি উপার্জন করবে সে আগামীকাল। আর এও জানে না কেউ, কোন ভূমিতে সে মারা যাবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু জানেন, সব খবর রাখেন (সূরা লুকমানঃ ৩৪)।
তারপর আগন্তুক উঠে চলে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীদের বললেনঃ তাঁকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন। তাঁকে তালাশ করা হল, কিন্তু তাঁকে পাওয়া গেল না। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইনি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)। তোমরা প্রশ্ন না করায়, তিনি চাইলেন যেন তোমরা দ্বীন সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ কর।
كِتَابُ الْإِيمَانَ بَابُ بَيَانِ الْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ وَالْإِحْسَانِ وَوُجُوبِ الْإِيمَانِ بِإِثْبَاتِ قَدَرِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى وَبَيَانُ الدَّلِيلِ عَلَى التَّبَرِّي مِمَّنْ لَا يُؤْمِنُ بِالْقَدْرِ وَإِغْلَاظِ الْقَوْلِ فِي حَقِّهِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ، - وَهُوَ ابْنُ الْقَعْقَاعِ - عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَلُونِي " فَهَابُوهُ أَنْ يَسْأَلُوهُ . فَجَاءَ رَجُلٌ فَجَلَسَ عِنْدَ رُكْبَتَيْهِ . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِسْلاَمُ قَالَ " لاَ تُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِيمَانُ قَالَ " أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكِتَابِهِ وَلِقَائِهِ وَرُسُلِهِ وَتُؤْمِنَ بِالْبَعْثِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ كُلِّهِ " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَخْشَى اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنَّكَ إِنْ لاَ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ قَالَ " مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ وَسَأُحَدِّثُكَ عَنْ أَشْرَاطِهَا إِذَا رَأَيْتَ الْمَرْأَةَ تَلِدُ رَبَّهَا فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا رَأَيْتَ الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الصُّمَّ الْبُكْمَ مُلُوكَ الأَرْضِ فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا وَإِذَا رَأَيْتَ رِعَاءَ الْبَهْمِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ فَذَاكَ مِنْ أَشْرَاطِهَا فِي خَمْسٍ مِنَ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلاَّ اللَّهُ " . ثُمَّ قَرَأَ ( إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَىِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ) قَالَ ثُمَّ قَامَ الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رُدُّوهُ عَلَىَّ " فَالْتُمِسَ فَلَمْ يَجِدُوهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَا جِبْرِيلُ أَرَادَ أَنْ تَعَلَّمُوا إِذْ لَمْ تَسْأَلُوا " .