আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
মুকাদ্দামায়ে মুসলিম শরীফ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
0
১. নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) রাবীদের থেকে হাদীস বর্ণনা করা এবং মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারীদের প্রত্যাখ্যান করা কর্তব্য; আর রাসুলুল্লাহ্ -এর প্রতি মিথ্যা আরোপকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারী
জেনে রাখ, যাঁরা সহীহ্ এবং নির্ভুল হাদীসের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণে সক্ষম এবং যাঁদের নির্ভরযোগ্য ও সন্দেহজনক রাবীদের যাচাই করার ক্ষমতা আছে, তাঁদের কেবল এমন হাদীস বর্ণনা করা কর্তব্য যার উৎস সহীহ এবং রারীদের কোন দোষ প্রমাণিত হয়নি। তাঁরা এমন হাদীস বর্ণনা করবেন না, যেগুলো এমন লোক বর্ণনা করেছে যারা বিদ্বেষপ্রবণ, বিদআতী এবং দোষী।
আমরা যা বললাম তা-ই যে অপরিহার্য এবং অন্যথা অনুচিত তার প্রমাণ আল্লাহ তা আলার বাণী : “হে মুমিনগণ! যদি কোন ফ্যাসিক লোক তোমাদের কাছে কোন সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তোমরা তার সত্যতা যাচাই করে নাও। এমন যেন না হয় যে, তোমরা অজ্ঞতাবশত কোন মানবগোষ্ঠীর ক্ষতিসাধন করে বসবে আর পরে নিজেদের কৃতকার্যের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হবে।" (সূরা হুজুরাত : ৬)
অপর এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : من من ترضون “তোমাদের পছন্দমত সাক্ষী নিযুক্ত কর।" (সূরা বাকারা : ২৮২)
তিনি আরো বলেন : “তোমাদের মধ্য থেকে দু'জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে।” (সূরা তালাক : ২)
এ সব আয়াত থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, ফাসিক লোকের খবর বাতিল ও গ্রহণের অযোগ্য এবং যে ব্যক্তি ন্যায়পরায়ণ নয়, তার সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যানযোগ্য। কোন কোন বিষয়ে রিওয়ায়াত ও শাহাদাতের মধ্যে (সাক্ষ্যদানের) পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানত এ দু'টি এক ও অভিন্ন। এজন্যেই হাদীস বিশেষজ্ঞদের কাছে ফাসিক ব্যক্তির খবর যেমন অগ্রহণীয়, তেমনি তার শাহাদাত বা সাক্ষ্যও সবার কাছে প্রত্যাখ্যানযোগ্য। কুরআনুল করীমে যেমন ফাসিকের খবর পরিত্যাজ্য বলে প্রমাণিত, তেমনি হাদীসও মুনকার রিওয়ায়াত বর্ণনা করা নিষিদ্ধ বলে প্রমাণ দেয়। আর তা হল এই প্রসিদ্ধ হাদীসটি, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার থেকে হাদীস বর্ণনা করে, অথচ সে মনে করে যে, তা মিথ্যা, সে দুই মিথ্যাবাদীর অন্যতম।*
আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)..... সামুরা ইবন জুনদুব (রাযিঃ) থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাযিঃ).... মুগীরা ইবন শু'বা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
*(টিকা) যে মিথ্যা রচনা করে, সে এক মিথ্যাবাদী এবং যে তা বর্ণনা করে, সে আর এক মিথ্যাবাদী।
আমরা যা বললাম তা-ই যে অপরিহার্য এবং অন্যথা অনুচিত তার প্রমাণ আল্লাহ তা আলার বাণী : “হে মুমিনগণ! যদি কোন ফ্যাসিক লোক তোমাদের কাছে কোন সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তোমরা তার সত্যতা যাচাই করে নাও। এমন যেন না হয় যে, তোমরা অজ্ঞতাবশত কোন মানবগোষ্ঠীর ক্ষতিসাধন করে বসবে আর পরে নিজেদের কৃতকার্যের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হবে।" (সূরা হুজুরাত : ৬)
অপর এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : من من ترضون “তোমাদের পছন্দমত সাক্ষী নিযুক্ত কর।" (সূরা বাকারা : ২৮২)
তিনি আরো বলেন : “তোমাদের মধ্য থেকে দু'জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে।” (সূরা তালাক : ২)
এ সব আয়াত থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, ফাসিক লোকের খবর বাতিল ও গ্রহণের অযোগ্য এবং যে ব্যক্তি ন্যায়পরায়ণ নয়, তার সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যানযোগ্য। কোন কোন বিষয়ে রিওয়ায়াত ও শাহাদাতের মধ্যে (সাক্ষ্যদানের) পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানত এ দু'টি এক ও অভিন্ন। এজন্যেই হাদীস বিশেষজ্ঞদের কাছে ফাসিক ব্যক্তির খবর যেমন অগ্রহণীয়, তেমনি তার শাহাদাত বা সাক্ষ্যও সবার কাছে প্রত্যাখ্যানযোগ্য। কুরআনুল করীমে যেমন ফাসিকের খবর পরিত্যাজ্য বলে প্রমাণিত, তেমনি হাদীসও মুনকার রিওয়ায়াত বর্ণনা করা নিষিদ্ধ বলে প্রমাণ দেয়। আর তা হল এই প্রসিদ্ধ হাদীসটি, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার থেকে হাদীস বর্ণনা করে, অথচ সে মনে করে যে, তা মিথ্যা, সে দুই মিথ্যাবাদীর অন্যতম।*
আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)..... সামুরা ইবন জুনদুব (রাযিঃ) থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাযিঃ).... মুগীরা ইবন শু'বা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
*(টিকা) যে মিথ্যা রচনা করে, সে এক মিথ্যাবাদী এবং যে তা বর্ণনা করে, সে আর এক মিথ্যাবাদী।
بَابُ وُجُوبِ الرِّوَايَةِ عَنِ الثِّقَاتِ، وَتَرْكِ الْكَذَّابِينَ و التَّحْذِيرِ مِنَ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَاعْلَمْ وَفَّقَكَ اللهُ تَعَالَى أَنَّ الْوَاجِبَ عَلَى كُلِّ أَحَدٍ عَرَفَ التَّمْيِيزِ بَيْنَ صَحِيحِ الرِّوَايَاتِ وَسَقِيمِهَا، وَثِقَاتِ النَّاقِلِينَ لَهَا مِنَ الْمُتَّهَمِينَ، أَنْ لَا يَرْوِيَ مِنْهَا إِلَّا مَا عَرَفَ صِحَّةَ مَخَارِجِهِ، وَالسِّتَارَةَ فِي نَاقِلِيهِ، وَأَنْ يَتَّقِيَ مِنْهَا مَا كَانَ مِنْهَا عَنْ أَهْلِ التُّهَمِ وَالْمُعَانِدِينَ مِنْ أَهْلِ الْبِدَعِ ، وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّ الَّذِي قُلْنَا مِنْ هَذَا هُوَ اللَّازِمُ دُونَ مَا خَالَفَهُ، قَوْلُ اللهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ} [الحجرات: 6]، وَقَالَ جَلَّ ثَنَاؤُهُ: {مِمَّنْ تَرْضَوْنَ مِنَ الشُّهَدَاءِ} [البقرة: 282]، وَقَالَ عَزَّ وَجَلَّ: {وَأَشْهِدُوا ذَوَيْ عَدْلٍ مِنْكُمْ} [الطلاق: 2]، فَدَلَّ بِمَا ذَكَرْنَا مِنْ هَذِهِ الْآيِ أَنَّ خَبَرَ الْفَاسِقِ سَاقِطٌ غَيْرُ مَقْبُولٍ، وَأَنَّ شَهَادَةَ غَيْرِ الْعَدْلِ مَرْدُودَةٌ، وَالْخَبَرُ وَإِنْ فَارَقَ مَعْنَاهُ مَعْنَى الشَّهَادَةِ فِي بَعْضِ الْوُجُوهِ، فَقَدْ يَجْتَمِعَانِ فِي أَعْظَمِ مَعَانِيهِمَا، إِذْ كَانَ خَبَرُ الْفَاسِقِ غَيْرَ مَقْبُولٍ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ كَمَا أَنَّ شَهَادَتَهُ مَرْدُودَةٌ عِنْدَ جَمِيعِهِمْ، وَدَلَّتِ السُّنَّةُ عَلَى نَفْيِ رِوَايَةِ الْمُنْكَرِ مِنَ الْأَخْبَارِ كَنَحْوِ دَلَالَةِ الْقُرْآنِ عَلَى نَفْيِ خَبَرِ الْفَاسِقِ
وَهُوَ الْأَثَرُ الْمَشْهُورُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ حَدَّثَ عَنِّي بِحَدِيثٍ يُرَى أَنَّهُ كَذِبٌ، فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ». حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ أَيْضًا، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، وَسُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ
وَهُوَ الْأَثَرُ الْمَشْهُورُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنْ حَدَّثَ عَنِّي بِحَدِيثٍ يُرَى أَنَّهُ كَذِبٌ، فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ». حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ أَيْضًا، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، وَسُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَلِكَ

তাহকীক: