আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
২৯- কাসামা-(খুনের ব্যাপারে বিশেষ ধরনের হলফ করা),'মুহারিবীন' (শত্রু সৈন্য), 'কিসাস' (খুনের বদলা) এবং 'দিয়াত' (খুনের শাস্তি স্বরূপ অর্থদন্ড) - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪২৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৭৯-১
৯. রক্ত (জীবন) মান সম্ভ্রম এবং মালের হক বিনষ্ট করা হারাম হওয়ার ব্যপারে কঠোর হুশিয়ারী
৪২৩৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইয়াহয়া ইবনে হাবীব হারেসী (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী (ﷺ) বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সময় অতিবাহিত হয়ে যথাযথ অবস্থায় ফিরে এসেছে, যে অবস্থায় আল্লাহ তাআলা আকাশসমুহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। বছর হয় বার মাসে, তম্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ (পবিত্র) মাস। এর তিন মাস হল ক্রমাগত- ১. যুলকাদা, ২. যুলহিজ্জাহ এবং ৩. মুহাররাম। আর রজব মুযার গোত্রের (বিশেষ) মাস (নিষিদ্ধ মাস) যা জামাদিউস সানী এবং শা’বানের মাঝে অবস্থিত। এরপর তিনি বললেনঃ এটি কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুল (ﷺ) এ ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। আমরা ভাবলাম যে, তিনি হয়ত এই মাসের নতুন কোন নামকরণ করবেন। এরপর তিনি বলেলেনঃ এ কি “যিলহজ্জ” মাস নয়? আমরা বললাম, জী- হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এ কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ) অধিক জ্ঞাত আছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এ কি (মক্কা) নগরী নয়? আমরা বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এ কোন দিন? আমরা বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অধিক জ্ঞাত। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর অন্য কোন নাম বলবেন। তিনি বললেনঃ এ কি ইয়াওমুন্নাহারা (কুরবানীর দিন) নয়? আমরা বললামঃ জ্বী, হ্যাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ তোমাদের জান ও মাল এবং (রাবী মুহাম্মাদ বলেন, আমি ধারণা করি এর সাথে তিনি) তোমাদের মান সম্ভ্রম (একথা যুক্ত করে বললেনঃ) এগুলো তেমন মর্যদাপূর্ণ (ও পবিত্র) যেমন তোমাদের কাছে আজকার দিবস, এই নগর এবং এই মাস মর্যাদাপূর্ণ (ও পবিত্র)।
তোমরা অতি সত্তরই তোমাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে। তখন তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অতএব, তোমরা আমার পরে কাফির (দের ন্যায়) হয়ে যেয়ো না (অথবা তিনি বললেন পথভ্রষ্ট হয়ে) একে অন্যের গর্দান উড়িয়ে দিয়ো না (খুনাখুনি কর না)। সাবধান! তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তিগণ অবশ্যই অনুপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে (আমার এই বাণী) পৌঁছে দিবে। সম্ভবতঃ যাদের কাছে আমার বাণী পৌছানো হবে- তাঁরা হয়ত এখানকার শ্রোতাদের চেয়ে অধিকতর সংরক্ষণকারী হবে। এরপর তিনি বললেনঃ সাবধান! আমি কি (আল্লাহর নির্দেশ) পৌছে দেইনি?
ইবনে হাবীব তাঁর বর্ণনায় وَرَجَبُ مُضَرَ (মুযার (গোত্রের) এর রজব মাস) রয়েছে। বর্ণনা করেছেন। আবু বাকরা এর অপর বর্ণনায়ঃ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي (فلا ترجعف স্থলে) বর্ণিত হয়েছে।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। আমরা ভাবলাম যে, তিনি হয়ত এই মাসের নতুন কোন নামকরণ করবেন। এরপর তিনি বলেলেনঃ এ কি “যিলহজ্জ” মাস নয়? আমরা বললাম, জী- হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এ কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ) অধিক জ্ঞাত আছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর অন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এ কি (মক্কা) নগরী নয়? আমরা বললাম, জ্বী, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এ কোন দিন? আমরা বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অধিক জ্ঞাত। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর অন্য কোন নাম বলবেন। তিনি বললেনঃ এ কি ইয়াওমুন্নাহারা (কুরবানীর দিন) নয়? আমরা বললামঃ জ্বী, হ্যাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ তোমাদের জান ও মাল এবং (রাবী মুহাম্মাদ বলেন, আমি ধারণা করি এর সাথে তিনি) তোমাদের মান সম্ভ্রম (একথা যুক্ত করে বললেনঃ) এগুলো তেমন মর্যদাপূর্ণ (ও পবিত্র) যেমন তোমাদের কাছে আজকার দিবস, এই নগর এবং এই মাস মর্যাদাপূর্ণ (ও পবিত্র)।
তোমরা অতি সত্তরই তোমাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে। তখন তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অতএব, তোমরা আমার পরে কাফির (দের ন্যায়) হয়ে যেয়ো না (অথবা তিনি বললেন পথভ্রষ্ট হয়ে) একে অন্যের গর্দান উড়িয়ে দিয়ো না (খুনাখুনি কর না)। সাবধান! তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তিগণ অবশ্যই অনুপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে (আমার এই বাণী) পৌঁছে দিবে। সম্ভবতঃ যাদের কাছে আমার বাণী পৌছানো হবে- তাঁরা হয়ত এখানকার শ্রোতাদের চেয়ে অধিকতর সংরক্ষণকারী হবে। এরপর তিনি বললেনঃ সাবধান! আমি কি (আল্লাহর নির্দেশ) পৌছে দেইনি?
ইবনে হাবীব তাঁর বর্ণনায় وَرَجَبُ مُضَرَ (মুযার (গোত্রের) এর রজব মাস) রয়েছে। বর্ণনা করেছেন। আবু বাকরা এর অপর বর্ণনায়ঃ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي (فلا ترجعف স্থলে) বর্ণিত হয়েছে।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الدِّمَاءِ وَالأَعْرَاضِ وَالأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَيَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي، بَكْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلاَثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبٌ شَهْرُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ - ثُمَّ قَالَ - أَىُّ شَهْرٍ هَذَا " . قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ - قَالَ - فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ . قَالَ " أَلَيْسَ ذَا الْحِجَّةِ " . قُلْنَا بَلَى . قَالَ " فَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا " . قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ - قَالَ - فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ . قَالَ " أَلَيْسَ الْبَلْدَةَ " . قُلْنَا بَلَى . قَالَ " فَأَىُّ يَوْمٍ هَذَا " . قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ - قَالَ - فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ . قَالَ " أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ " . قُلْنَا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ - قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَحْسِبُهُ قَالَ - وَأَعْرَاضَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ فَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ فَلاَ تَرْجِعُنَّ بَعْدِي كُفَّارًا - أَوْ ضُلاَّلاً - يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ أَلاَ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يُبَلَّغُهُ يَكُونُ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضِ مَنْ سَمِعَهُ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ " . قَالَ ابْنُ حَبِيبٍ فِي رِوَايَتِهِ " وَرَجَبُ مُضَرَ " . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ " فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي " .
হাদীস নং: ৪২৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৭৯-২
৯. রক্ত (জীবন) মান সম্ভ্রম এবং মালের হক বিনষ্ট করা হারাম হওয়ার ব্যপারে কঠোর হুশিয়ারী
৪২৩৭। নসর ইবনে আলী জাহযামী (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ঐদিন (ইয়াওমুন্নাহার) উপস্থিত হল। তখন নবী (ﷺ) নিজের উটের উপর আরোহন করলেন। এক ব্যক্তি তার উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান যে, আজ কোন দিন? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুল (ﷺ) অধিক জ্ঞাত। আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর (প্রচলিত) নাম ব্যতীত অপর কোন নাম বলবেন। এরপর তিনি বললেনঃ (আজকের দিন কি) কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, জি-হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল।
তিনি বললেনঃ এটা কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুল (ﷺ)ই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেনঃ একি যিলহজ্জ মাস নয়? আমরা বললাম, জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেনঃ এ কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ)ই অধিক জ্ঞাত। বর্ণনাকারী বলেন, এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর অন্য কোন নাম বলবেন। এরপর বললেনঃ এ কি (মক্কা) নগরী নয়? আমরা বললাম, জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল!
তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তোমাদের জান-মাল এবং মান-সম্ভ্রম তোমাদের (পরস্পরের) উপর এরূপ মর্যাদাপূর্ণ (পবিত্র), যেরূপ তোমাদের জন্য আজকের দিন, এই মাস এবং এই নগরের পবিত্রতা ও মর্যাদা। তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তিগণ অনুপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে আমার এ বাণী অবশ্যই পৌছে দিবে। এরপর তিনি ছাই বর্ণের দু’টি দুম্বার প্রতি মনযোগী হলেন এবং সে দুটি যবেহ করলেন ও ছাগলের একটি পালের দিকে (মনযোগী হলেন) এবং সেগুলো আমাদের মাঝে বণ্টন করে দিলেন।
তিনি বললেনঃ এটা কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসুল (ﷺ)ই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেনঃ একি যিলহজ্জ মাস নয়? আমরা বললাম, জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেনঃ এ কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ)ই অধিক জ্ঞাত। বর্ণনাকারী বলেন, এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর অন্য কোন নাম বলবেন। এরপর বললেনঃ এ কি (মক্কা) নগরী নয়? আমরা বললাম, জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল!
তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই তোমাদের জান-মাল এবং মান-সম্ভ্রম তোমাদের (পরস্পরের) উপর এরূপ মর্যাদাপূর্ণ (পবিত্র), যেরূপ তোমাদের জন্য আজকের দিন, এই মাস এবং এই নগরের পবিত্রতা ও মর্যাদা। তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তিগণ অনুপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে আমার এ বাণী অবশ্যই পৌছে দিবে। এরপর তিনি ছাই বর্ণের দু’টি দুম্বার প্রতি মনযোগী হলেন এবং সে দুটি যবেহ করলেন ও ছাগলের একটি পালের দিকে (মনযোগী হলেন) এবং সেগুলো আমাদের মাঝে বণ্টন করে দিলেন।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الدِّمَاءِ وَالأَعْرَاضِ وَالأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا كَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ قَعَدَ عَلَى بَعِيرِهِ وَأَخَذَ إِنْسَانٌ بِخِطَامِهِ فَقَالَ " أَتَدْرُونَ أَىَّ يَوْمٍ هَذَا " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ سِوَى اسْمِهِ . فَقَالَ " أَلَيْسَ بِيَوْمِ النَّحْرِ " . قُلْنَا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَأَىُّ شَهْرٍ هَذَا " . قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " أَلَيْسَ بِذِي الْحِجَّةِ " . قُلْنَا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا " . قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ - قَالَ - حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ سِوَى اسْمِهِ . قَالَ " أَلَيْسَ بِالْبَلْدَةِ " . قُلْنَا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ " . قَالَ ثُمَّ انْكَفَأَ إِلَى كَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ فَذَبَحَهُمَا وَإِلَى جُزَيْعَةٍ مِنَ الْغَنَمِ فَقَسَمَهَا بَيْنَنَا .
হাদীস নং: ৪২৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৭৯-৩
৯. রক্ত (জীবন) মান সম্ভ্রম এবং মালের হক বিনষ্ট করা হারাম হওয়ার ব্যপারে কঠোর হুশিয়ারী
৪২৩৮। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সেই দিন (ইয়াওমুন্নাহারের দিন) উপস্থিত হল তখন নবী (ﷺ) একটি উটের উপর উপবিষ্ট হলেন। রাবী বলেন, এক ব্যক্তি তার লাগাম ধরে রেখেছিল। (রাবীর সন্দেহ زمَام শব্দের পরিবর্তে خطَام শব্দ বলেছেন) এরপর তিনি ইয়াযিদ ইবনে যুরায় এর হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الدِّمَاءِ وَالأَعْرَاضِ وَالأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ قَالَ مُحَمَّدٌ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ لَمَّا كَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ جَلَسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَعِيرٍ - قَالَ - وَرَجُلٌ آخِذٌ بِزِمَامِهِ - أَوْ قَالَ بِخِطَامِهِ - فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ .
হাদীস নং: ৪২৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৭৯-৪
৯. রক্ত (জীবন) মান সম্ভ্রম এবং মালের হক বিনষ্ট করা হারাম হওয়ার ব্যপারে কঠোর হুশিয়ারী
৪২৩৯। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম ইবনে মায়মুন, মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে জাবালা (রাহঃ) ......... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’ইয়াওমুন্নাহার’ (অর্থাৎ ঈদুল আযহার) দিন আমাদের সামনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ভাষণ বললেনঃ আজ কোন দিন। এরপর বর্ণনাকারীগণ, ইবনে আউনের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করছেন। কিন্তু তারা وَأَعْرَاضَكُمْ (তোমাদের মানসম্ভ্রম) এই শব্দটি উল্লেখ করেননি এবং ثُمَّ انْكَفَأَ إِلَى كَبْشَيْنِ (অতঃপর তিনি দু’টি ছাগলের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন) এবং এর পরবর্তী অংশটুকুও উল্লেখ করেন নি। আর তিনি তাঁর বর্ণিত হাদীসে ’তোমাদের এই দিন, এই মাস এবং এই শহারর পবিত্রতার ন্যায়’ এর পরে يَوْمِ تَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ قَالُوا نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ (যেদিন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে। সাবধান! আমি কি তোমাদের কাছে (আল্লাহর বাণী) পৌছে দিয়েছি? তখন সকলেই বললো, হ্যাঁ, তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন) এভাবে বর্ণনা করেছেন।
باب تَغْلِيظِ تَحْرِيمِ الدِّمَاءِ وَالأَعْرَاضِ وَالأَمْوَالِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، وَعَنْ رَجُلٍ، آخَرَ هُوَ فِي نَفْسِي أَفْضَلُ مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ وَأَحْمَدُ بْنُ خِرَاشٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا قُرَّةُ بِإِسْنَادِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ - وَسَمَّى الرَّجُلَ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ فَقَالَ " أَىُّ يَوْمٍ هَذَا " . وَسَاقُوا الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عَوْنٍ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَذْكُرُ " وَأَعْرَاضَكُمْ " . وَلاَ يَذْكُرُ ثُمَّ انْكَفَأَ إِلَى كَبْشَيْنِ وَمَا بَعْدَهُ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ " كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا إِلَى يَوْمِ تَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ " . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ " اللَّهُمَّ اشْهَدْ " .