আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫৬- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৭১৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৭-১
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫০। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ইবনে কা’নাব (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলীয়া (অঞ্চল) হতে মদীনায় আসার পথে এক বাজার দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উভয় পার্শ্বে বেশ লোকজন ছিল। যেতে যেতে তিনি ক্ষুদ্র কান বিশিষ্ট একটি মৃত বকরীর বাচ্চার নিকট পৌছলেন। অতঃপর তিনি এর কান ধরে বললেন, তোমাদের কেউ কি এক দিরহামের বিনিময়ে এটা নিতে আগ্রহী হবে। তখন উপস্থিত লোকেরা বললেন, কোন কিছুর বিনিময়ে আমরা উহা নিতে আগ্রহী নই এবং এটি নিয়ে আমরা কি করব? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ (বিনা পয়সায়) তোমরা কি উহা নিতে আগ্রহী? তারা বললেন, এ যদি জীবিত তে তবুও তো এটা দোষী। কেননা এর কান হচ্ছে ক্ষুদ্র ,ক্ষুদ্র। আর এখন তো তা মৃত, কিভাবে আমরা তা গ্রহণ করব? এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! এ তোমাদের নিকট যতটা তুচ্ছ, আল্লাহর নিকট দুনিয়া এর চেয়েও অধিক তুচ্ছ।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِالسُّوقِ دَاخِلاً مِنْ بَعْضِ الْعَالِيَةِ وَالنَّاسُ كَنَفَتَهُ فَمَرَّ بِجَدْىٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ فَتَنَاوَلَهُ فَأَخَذَ بِأُذُنِهِ ثُمَّ قَالَ " أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنَّ هَذَا لَهُ بِدِرْهَمٍ " . فَقَالُوا مَا نُحِبُّ أَنَّهُ لَنَا بِشَىْءٍ وَمَا نَصْنَعُ بِهِ قَالَ " أَتُحِبُّونَ أَنَّهُ لَكُمْ " . قَالُوا وَاللَّهِ لَوْ كَانَ حَيًّا كَانَ عَيْبًا فِيهِ لأَنَّهُ أَسَكُّ فَكَيْفَ وَهُوَ مَيِّتٌ فَقَالَ " فَوَاللَّهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ هَذَا عَلَيْكُمْ " .
হাদীস নং: ৭১৫১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৭-২
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না আনাযী ও ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আর’আরা সামী (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে সাকাফীর হাদীসের মধ্যে আছে যে, এটি যদি জীবিতও হত, তবুও ক্ষুদ্র কান একটি দোষনীয় ব্যাপার।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ السَّامِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، - يَعْنِيَانِ الثَّقَفِيَّ - عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ فَلَوْ كَانَ حَيًّا كَانَ هَذَا السَّكَكُ بِهِ عَيْبًا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৫২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৮-১
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫২। হাদ্দাব ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... মুতাররিফ (রাহঃ) এর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) আমি নবী (ﷺ) এর নিকট আসলাম। তখন তিনি أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ পাঠ করছিলেন। তিনি বলেন, আদম সন্তানগণ বলে, আমার মাল আমার মাল। বস্তুতঃ হে আদম সন্তান! তোমার মাল তো তা-ই যা তুমি খেয়েছো ও শেষ করে দিয়েছে, অথবা পরিধান করেছ ও পুরাতন করে ফেলেছ অথবা দান করেছ ও কার্যকর (সঞ্চয়) করেছ।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقْرَأُ ( أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ) قَالَ " يَقُولُ ابْنُ آدَمَ مَالِي مَالِي - قَالَ - وَهَلْ لَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مِنْ مَالِكَ إِلاَّ مَا أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ أَوْ تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ " .
হাদীস নং: ৭১৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৮-২
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (অন্য সনদে) ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... মুতাররিফ এর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী (ﷺ) এর নিকট গেলাম ...... অতঃপর তিনি হাম্মামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَقَالاَ، جَمِيعًا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ انْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ هَمَّامٍ .
হাদীস নং: ৭১৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৫৯-১
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫৪। সুওয়ায়দ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ বান্দাগণ বলে, আমার মাল আমার মাল। অথচ তিনটিই হল তার মাল, যা সে ভক্ষণ করল এবং শেষ করে দিল। অথবা যা সে পরিধান করল এবং পুরাতন করে দিল। কিংবা যা সে দান করল এবং সঞ্চয় করল। এ ছাড়া বাকীগুলো শেষ হয়ে যাবে এবং মানুষের জন্য রেখে যেতে হবে।
আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... আলা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... আলা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَقُولُ الْعَبْدُ مَالِي مَالِي إِنَّمَا لَهُ مِنْ مَالِهِ ثَلاَثٌ مَا أَكَلَ فَأَفْنَى أَوْ لَبِسَ فَأَبْلَى أَوْ أَعْطَى فَاقْتَنَى وَمَا سِوَى ذَلِكَ فَهُوَ ذَاهِبٌ وَتَارِكُهُ لِلنَّاسِ " .
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
হাদীস নং: ৭১৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬০
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তিনটি বস্তু মৃত ব্যক্তির সঙ্গীরূপে তার সাথে যায়। দুটি তো ফিরে আসে এবং একটি (তার সঙ্গে) থেকে যায়। সঙ্গে গমন করে আত্মীয় স্বজন ধন-সম্পদ এবং তার আমল। তার জাতি গোষ্ঠী ও মাল-দৌলত ফিরে আসে আর থেকে যায় শুধু আমল।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى عَمَلُهُ " .
হাদীস নং: ৭১৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬১-১
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫৬। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) সূত্রে বনু আমের ইবনে লুওয়াই এর চুক্তিবদ্ধ মিত্র আমর ইবনে আউফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে বদর যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু উবাইদা ইবনুল জাবরাহ (রাযিঃ) কে বাহরাইনে জিযিয়া আদায় করতে পাঠিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাহরাইনবাসীদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন এবং তাদের জন্য আলা ইবনে হাযরামী (রাযিঃ) কে শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন। তারপর আবু উবাইদা (রাযিঃ) বাহরাইন থেকে মাল নিয়ে এলে, আনসার সাহাবীগণ তার আগমন খবর শুনলো, এরপর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে ফজরের নামায আদায় করলো।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযান্তে মুখ ফিরিয়ে বসলে তারা তাঁর নিকট হাযির হলো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে বললেন, আমার মনে হচ্ছে আবু উবাইদা বাহরাইন থেকে কিছু নিয়ে এসেছে, এ খবর তোমরা শুনেছ? তারা বললেন, জ্বী, হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তাহলে তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং তা তোমাদেরকে খুশী করবে আশা রাখি। আল্লাহর কসম! তোমাদের উপর দারিদ্র্য আসবে এ ভয় আমি করিনা। আমি তোমাদের সম্পর্কে এ ভয় করি যে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর দুনিয়া প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল, তেমনিভাবে তোমাদের উপরও দুনিয়া প্রশস্ত হয়ে যাবে। অতঃপর তোমরা তেমনি প্রতিযোগিতা করবে যেমন করে তারা প্রতিযোগিতা করেছে। অবশেষে তোমাদেরকেও ধ্বংস করে দিবে যেমনিভাবে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযান্তে মুখ ফিরিয়ে বসলে তারা তাঁর নিকট হাযির হলো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে বললেন, আমার মনে হচ্ছে আবু উবাইদা বাহরাইন থেকে কিছু নিয়ে এসেছে, এ খবর তোমরা শুনেছ? তারা বললেন, জ্বী, হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ তাহলে তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং তা তোমাদেরকে খুশী করবে আশা রাখি। আল্লাহর কসম! তোমাদের উপর দারিদ্র্য আসবে এ ভয় আমি করিনা। আমি তোমাদের সম্পর্কে এ ভয় করি যে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর দুনিয়া প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল, তেমনিভাবে তোমাদের উপরও দুনিয়া প্রশস্ত হয়ে যাবে। অতঃপর তোমরা তেমনি প্রতিযোগিতা করবে যেমন করে তারা প্রতিযোগিতা করেছে। অবশেষে তোমাদেরকেও ধ্বংস করে দিবে যেমনিভাবে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيَّ - أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهُوَ حَلِيفُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ فَوَافَوْا صَلاَةَ الْفَجْرِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَتَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ " أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَىْءٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ " . فَقَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " " فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ . وَلَكِنِّي أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ " .
হাদীস নং: ৭১৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬১-২
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫৭। হাসান হুলওয়ানী ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (অন্য সনদে) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান দারেমী (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে ইউনুসের সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে সালিহ (রাহঃ) এর হাদীসের মধ্যে وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ এর স্থলে وَتُلْهِيَكُمْ كَمَا أَلْهَتْهُمْ অবশেষে তোমাদেরকে নিমগ্ন (গাফিল) করে দিবে যেমন তাদের নিমগ্ন (গাফিল) করে দিয়েছে। কথাটি বর্ণিত আছে।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ يُونُسَ وَمِثْلِ حَدِيثِهِ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ صَالِحٍ " وَتُلْهِيَكُمْ كَمَا أَلْهَتْهُمْ " .
হাদীস নং: ৭১৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬২
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫৮। আমর ইবনে আস সাওয়াদ আমেরী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুূল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন রোম ও পারস্য বিজিত হবে তখন তোমরা কোন (কেমন) সম্প্রদায় হবে? জবাবে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে যেরূপ আদেশ দিয়েছেন আমরা তাই বলব। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ অন্য কিছু (কি বলবে না)? তখন তোমরা পরস্পর ঈর্ষা করবে, তারপর হিংসা করবে অতঃপর সম্পর্ক ছিন্ন করবে, এরপর শক্রতা করবে। অথবা এরূপ কিছু কথা বলেছেন। অতঃপর তোমরা নিঃস্ব মুহাজির লোকদের নিকট যাবে এবং এক জনকে অপরের শাসক বানিয়ে দিবে।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ، الْحَارِثِ أَنَّ بَكْرَ بْنَ سَوَادَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ رَبَاحٍ - هُوَ أَبُو فِرَاسٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِذَا فُتِحَتْ عَلَيْكُمْ فَارِسُ وَالرُّومُ أَىُّ قَوْمٍ أَنْتُمْ " . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ نَقُولُ كَمَا أَمَرَنَا اللَّهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوْ غَيْرَ ذَلِكَ تَتَنَافَسُونَ ثُمَّ تَتَحَاسَدُونَ ثُمَّ تَتَدَابَرُونَ ثُمَّ تَتَبَاغَضُونَ أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ ثُمَّ تَنْطَلِقُونَ فِي مَسَاكِينِ الْمُهَاجِرِينَ فَتَجْعَلُونَ بَعْضَهُمْ عَلَى رِقَابِ بَعْضٍ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭১৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৩-১
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি মাল ও আকৃতির দিক থেকে তার তুলনায় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টি করে তবে সে যেন সঙ্গে সঙ্গে তার তুলনায় নিম্নস্তরের ব্যক্তিদের প্রতি লক্ষ্য করে, যাদের উপর তাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا نَظَرَ أَحَدُكُمْ إِلَى مَنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ فِي الْمَالِ وَالْخَلْقِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْهُ مِمَّنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ " .
হাদীস নং: ৭১৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৩-২
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬০। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে আবু যিনাদের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ سَوَاءً .
হাদীস নং: ৭১৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৩-৩
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬১। যুবাইর ইবনে হারব (অন্য সনদে) আবু কুরায়ব (অন্য সনদে) আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তোমাদের তুলনায় নিম্নস্তরের লোকদের প্রতি নযর কর। তবে তোমাদের তুলনায় উপরের স্তরের লোকদের প্রতি নযর করো না। কেননা আল্লাহর নিআমতকে তুচ্ছ না ভাবার এটাই উত্তম পন্থা। আবু মুআবিয়ার বর্ণনায় عَلَيْكُمْ (শব্দটি অতিরিক্ত) বলেছেন।
كتاب الزهد والرقائق
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " انْظُرُوا إِلَى مَنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَلاَ تَنْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ فَوْقَكُمْ فَهُوَ أَجْدَرُ أَنْ لاَ تَزْدَرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ " عَلَيْكُمْ " .
হাদীস নং: ৭১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৪
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬২। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন যে, বনী ইসরাঈলের মধ্যে তিন ব্যক্তি ছিল। একজন ছিল কুষ্ঠরোগী, দ্বিতীয় জন টাক মাথা এবং তৃতীয় জন অন্ধ। আল্লাহ তাআলা এ তিনজনকে পরীক্ষা করার ইচ্ছা করলেন। তাই তিনি তাদের নিকট একজন ফিরিশতা পাঠালেন। ফিরিশতা প্রথমে কুষ্ঠরোগীর কাছে আসলেন এবং বললেন, তোমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় বস্তু কি? সে বলল, উত্তম রং, উত্তম চর্ম এবং আমার থেকে যেন এ ব্যাধি নিরাময় হয়ে যায়, যার কারণে লোকেরা আমাকে ঘৃণা করে। অতঃপর ফিরিশতা তার শরীরে হাত বুলালেন। এতে তার এ কুৎসিত ব্যাধি নিরাময় হল এবং তাকে উত্তম রং ও উত্তম চর্ম প্রদান করা হল। ফিরিশতা আবার তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নিকট প্রিয় মাল কি? সে বলল, উট বা গাভী। বর্ণনাকারী ইসহাক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে কুষ্ঠরোগী বা টাক মাথা তাদের একজন বলল, উট আর অপর জন বলল গাভী। অতঃপর তাকে গর্ভবতী উট প্রদান করা হল এবং বললেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বরকত দান করুন।
এরপর ফিরিশতা টাক মাথা ব্যক্তির নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নিকট অধিক প্রিয় বস্তু কি? সে বলল, সুন্দর চুল এবং আমার থেকে যেন এই ব্যাধি নিরাময় হয়ে যায় যার কারণে লোকেরা আমাকে ঘৃণা করছে। ফিরিশতা তার শরীরে হাত বুলালে তার ব্যাধি নিরাময় হয়ে যায়। অতঃপর তাকে প্রদান করা হয় সুন্দর চুল। পুনঃরায় ফিরিশতা তাকে প্রশ্ন করলেন যে, কোন মাল তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে বলল, গাভী। অতঃপর তাকে গর্ভবতী গাভী দান করা হল এবং ফিরিশতা বললেন, আল্লাহ তোমাকে এত বরকত দান করুন।
অতঃপর ফিরিশতা অন্ধের কাছে এসে বললেন, কোন জিনিস তোমার কাছে অধিক প্রিয়। সে বলল আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি মানুষদের দেখতে পাব। তিনি বলেন তখন তার চোখের উপর হাত বুলালে আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এরপর ফিরিশতা পুনরায় তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন মাল তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে বলল, বকরী। তাকে গর্তবতী বকরী দান করা হল। অতঃপর উট, গাভী এবং বকরী সবই বাচ্চা দিল। ফলে তার এক মাঠ উট, তার এক মাঠ গাভী এবং তার এক মাঠ বকরী হয়ে গেল।
অতঃপর ফিরিশতা (অনতিকাল পরে) তার প্রথম আকৃতিতে কুষ্ঠরোগীর নিকট এসে বলল, আমি একজন মিসকীন ও নিঃস্ব ব্যক্তি, সফরে আমার সমস্ত অবলম্বন শেষ হয়ে গিয়েছে। আল্লাহর সাহায্য এবং অতঃপর তোমার সাহায্য ব্যতিরেকে বাড়ী পৌছানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং যে আল্লাহ তোমাকে উত্তম রং, সুন্দর চামড়া এবং মাল দান করেছেন তার নামে আমি তোমার নিকট একটি উট প্রার্থনা করছি, যেন এ সফরে আমি তার সাহায্যে বাড়ী পৌছতে পারি। (এ কথা শুনে) সে বলল, দায়-দায়িত্ব (দেনা পাওনা) অনেক বেশী। তখন ফিরিশতা বললেন, আমি তোমাকে চিনি বলে মনে হচ্ছে তুমি কি নিঃস্ব কুষ্ঠরোগী ছিলে না? অতঃপর আল্লাহ তোমাকে সম্পদ দান করেছেন। সে বলল, বাহ! আমরা তো বাপ-দাদার কাল হতেই ক্রমাগত এ সম্পদের ওয়ারিস হয়ে আসছি। অতঃপর ফিরিশতা বললেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তাআলা যেন তোমাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।
এবার ফিরিশতা তার আকৃতিতে টাক মাথা ব্যক্তির নিকট এসে ঐ ব্যক্তির মত তাকেও বললেন এবং সে-ও প্রথম ব্যক্তির মতই উত্তর দিল। অতঃপর তিনি বললেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও তবে যেন আল্লাহ তাআলা তোমাকে তোমার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।
এরপর ফিরিশতা তাঁর পূর্বের আকৃতিতে অন্ধ ব্যক্তির নিকট এসে বলল, আমি একজন নিঃস্ব মুসাফির ব্যক্তি। আমার সফরের সমস্ত আসবাব অবলম্বন শেষ হয়ে গিয়েছে। আল্লাহ তাআলা এবং পরে তোমার সহযোগিতা ব্যতীত আজ বাড়ী পৌছা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যে আল্লাহ তোমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন তার নামে তোমার নিকট আমি একটি বকরী চাই যেন আমি সফর শেষে বাড়ী পৌছতে পারি।
এ কথা শুনে লোকটি বলল, হ্যাঁ, আমি অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি পুনরায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনার ইচ্ছামত আপনি নিয়ে যান এবং যা মনে চায় রেখে যান। আল্লাহর কসম! আজ আল্লাহর নামে আপনি যা নিবেন এ ব্যাপারে আমি আপনাকে বাধা দিব না। অতঃপর ফিরিশতা বললেন, তুমি তোমার মাল রেখে দাও। তোমাদের তিন জনের পরীক্ষা হল। আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তোমার অপর দুই সাথীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
এরপর ফিরিশতা টাক মাথা ব্যক্তির নিকট এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নিকট অধিক প্রিয় বস্তু কি? সে বলল, সুন্দর চুল এবং আমার থেকে যেন এই ব্যাধি নিরাময় হয়ে যায় যার কারণে লোকেরা আমাকে ঘৃণা করছে। ফিরিশতা তার শরীরে হাত বুলালে তার ব্যাধি নিরাময় হয়ে যায়। অতঃপর তাকে প্রদান করা হয় সুন্দর চুল। পুনঃরায় ফিরিশতা তাকে প্রশ্ন করলেন যে, কোন মাল তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে বলল, গাভী। অতঃপর তাকে গর্ভবতী গাভী দান করা হল এবং ফিরিশতা বললেন, আল্লাহ তোমাকে এত বরকত দান করুন।
অতঃপর ফিরিশতা অন্ধের কাছে এসে বললেন, কোন জিনিস তোমার কাছে অধিক প্রিয়। সে বলল আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি মানুষদের দেখতে পাব। তিনি বলেন তখন তার চোখের উপর হাত বুলালে আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এরপর ফিরিশতা পুনরায় তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন মাল তোমার নিকট অধিক প্রিয়? সে বলল, বকরী। তাকে গর্তবতী বকরী দান করা হল। অতঃপর উট, গাভী এবং বকরী সবই বাচ্চা দিল। ফলে তার এক মাঠ উট, তার এক মাঠ গাভী এবং তার এক মাঠ বকরী হয়ে গেল।
অতঃপর ফিরিশতা (অনতিকাল পরে) তার প্রথম আকৃতিতে কুষ্ঠরোগীর নিকট এসে বলল, আমি একজন মিসকীন ও নিঃস্ব ব্যক্তি, সফরে আমার সমস্ত অবলম্বন শেষ হয়ে গিয়েছে। আল্লাহর সাহায্য এবং অতঃপর তোমার সাহায্য ব্যতিরেকে বাড়ী পৌছানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং যে আল্লাহ তোমাকে উত্তম রং, সুন্দর চামড়া এবং মাল দান করেছেন তার নামে আমি তোমার নিকট একটি উট প্রার্থনা করছি, যেন এ সফরে আমি তার সাহায্যে বাড়ী পৌছতে পারি। (এ কথা শুনে) সে বলল, দায়-দায়িত্ব (দেনা পাওনা) অনেক বেশী। তখন ফিরিশতা বললেন, আমি তোমাকে চিনি বলে মনে হচ্ছে তুমি কি নিঃস্ব কুষ্ঠরোগী ছিলে না? অতঃপর আল্লাহ তোমাকে সম্পদ দান করেছেন। সে বলল, বাহ! আমরা তো বাপ-দাদার কাল হতেই ক্রমাগত এ সম্পদের ওয়ারিস হয়ে আসছি। অতঃপর ফিরিশতা বললেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তাআলা যেন তোমাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।
এবার ফিরিশতা তার আকৃতিতে টাক মাথা ব্যক্তির নিকট এসে ঐ ব্যক্তির মত তাকেও বললেন এবং সে-ও প্রথম ব্যক্তির মতই উত্তর দিল। অতঃপর তিনি বললেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও তবে যেন আল্লাহ তাআলা তোমাকে তোমার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।
এরপর ফিরিশতা তাঁর পূর্বের আকৃতিতে অন্ধ ব্যক্তির নিকট এসে বলল, আমি একজন নিঃস্ব মুসাফির ব্যক্তি। আমার সফরের সমস্ত আসবাব অবলম্বন শেষ হয়ে গিয়েছে। আল্লাহ তাআলা এবং পরে তোমার সহযোগিতা ব্যতীত আজ বাড়ী পৌছা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। যে আল্লাহ তোমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন তার নামে তোমার নিকট আমি একটি বকরী চাই যেন আমি সফর শেষে বাড়ী পৌছতে পারি।
এ কথা শুনে লোকটি বলল, হ্যাঁ, আমি অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি পুনরায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনার ইচ্ছামত আপনি নিয়ে যান এবং যা মনে চায় রেখে যান। আল্লাহর কসম! আজ আল্লাহর নামে আপনি যা নিবেন এ ব্যাপারে আমি আপনাকে বাধা দিব না। অতঃপর ফিরিশতা বললেন, তুমি তোমার মাল রেখে দাও। তোমাদের তিন জনের পরীক্ষা হল। আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তোমার অপর দুই সাথীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ ثَلاَثَةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَبْرَصَ وَأَقْرَعَ وَأَعْمَى فَأَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَبْتَلِيَهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَلَكًا فَأَتَى الأَبْرَصَ فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ لَوْنٌ حَسَنٌ وَجِلْدٌ حَسَنٌ وَيَذْهَبُ عَنِّي الَّذِي قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ . قَالَ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ قَذَرُهُ وَأُعْطِيَ لَوْنًا حَسَنًا وَجِلْدًا حَسَنًا قَالَ فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الإِبِلُ - أَوْ قَالَ الْبَقَرُ شَكَّ إِسْحَاقُ - إِلاَّ أَنَّ الأَبْرَصَ أَوِ الأَقْرَعَ قَالَ أَحَدُهُمَا الإِبِلُ وَقَالَ الآخَرُ الْبَقَرُ - قَالَ فَأُعْطِيَ نَاقَةً عُشَرَاءَ فَقَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِيهَا - قَالَ - فَأَتَى الأَقْرَعَ فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ شَعَرٌ حَسَنٌ وَيَذْهَبُ عَنِّي هَذَا الَّذِي قَذِرَنِي النَّاسُ . قَالَ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ وَأُعْطِيَ شَعَرًا حَسَنًا - قَالَ - فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْبَقَرُ . فَأُعْطِيَ بَقَرَةً حَامِلاً فَقَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِيهَا - قَالَ - فَأَتَى الأَعْمَى فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ أَنْ يَرُدَّ اللَّهُ إِلَىَّ بَصَرِي فَأُبْصِرَ بِهِ النَّاسَ - قَالَ - فَمَسَحَهُ فَرَدَّ اللَّهُ إِلَيْهِ بَصَرَهُ . قَالَ فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْغَنَمُ . فَأُعْطِيَ شَاةً وَالِدًا فَأُنْتِجَ هَذَانِ وَوَلَّدَ هَذَا - قَالَ - فَكَانَ لِهَذَا وَادٍ مِنَ الإِبِلِ وَلِهَذَا وَادٍ مِنَ الْبَقَرِ وَلِهَذَا وَادٍ مِنَ الْغَنَمِ . قَالَ ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى الأَبْرَصَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ قَدِ انْقَطَعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلاَ بَلاَغَ لِيَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ بِالَّذِي أَعْطَاكَ اللَّوْنَ الْحَسَنَ وَالْجِلْدَ الْحَسَنَ وَالْمَالَ بَعِيرًا أَتَبَلَّغُ عَلَيْهِ فِي سَفَرِي . فَقَالَ الْحُقُوقُ كَثِيرَةٌ . فَقَالَ لَهُ كَأَنِّي أَعْرِفُكَ أَلَمْ تَكُنْ أَبْرَصَ يَقْذَرُكَ النَّاسُ فَقِيرًا فَأَعْطَاكَ اللَّهُ فَقَالَ إِنَّمَا وَرِثْتُ هَذَا الْمَالَ كَابِرًا عَنْ كَابِرٍ . فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ . قَالَ وَأَتَى الأَقْرَعَ فِي صُورَتِهِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِهَذَا وَرَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا رَدَّ عَلَى هَذَا فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ . قَالَ وَأَتَى الأَعْمَى فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ وَابْنُ سَبِيلٍ انْقَطَعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلاَ بَلاَغَ لِيَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ بِالَّذِي رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ شَاةً أَتَبَلَّغُ بِهَا فِي سَفَرِي فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أَعْمَى فَرَدَّ اللَّهُ إِلَىَّ بَصَرِي فَخُذْ مَا شِئْتَ وَدَعْ مَا شِئْتَ فَوَاللَّهِ لاَ أَجْهَدُكَ الْيَوْمَ شَيْئًا أَخَذْتَهُ لِلَّهِ فَقَالَ أَمْسِكْ مَالَكَ فَإِنَّمَا ابْتُلِيتُمْ فَقَدْ رُضِيَ عَنْكَ وَسُخِطَ عَلَى صَاحِبَيْكَ .
হাদীস নং: ৭১৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৫
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আব্বাস ইবনে আব্দুল আযীম (রাহঃ) ......... আমের ইবনে সা’দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনে ওয়াক্কাস (রাযিঃ) তার উটপালের মাঝে ছিলেন, এমতাবস্থায় তার পুত্র উমর আসল। সা’দ (রাযিঃ) তাকে দেখামাত্রই পাঠ করলেন أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ هَذَا الرَّاكِبِ অর্থাৎ এই আরোহী ব্যক্তির অকল্যাণ হতে আমি পানাহ চাই। এরপর সে তার সওয়ারী হতে অবতরণ করল এবং বলল আপনি লোকদেরকে ছেড়ে দিয়ে উট এবং বকরীর মাঝে এসে গেছেন কি? অথচ রাজত্ব নিয়ে লোকেরা পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত। একথা শুনে সা’দ (রাযিঃ) তার বক্ষে আঘাত করে বললেন, চুপ থাক। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুত্তাকী (আল্লাহভীরু), স্বাবলম্বী লোকালয় হতে নির্জনে বাসকারী বান্দাকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، - وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ - قَالَ عَبَّاسٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا - أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا بُكَيْرُ بْنُ مِسْمَارٍ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ كَانَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فِي إِبِلِهِ فَجَاءَهُ ابْنُهُ عُمَرُ فَلَمَّا رَآهُ سَعْدٌ قَالَ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ هَذَا الرَّاكِبِ فَنَزَلَ فَقَالَ لَهُ أَنَزَلْتَ فِي إِبِلِكَ وَغَنَمِكَ وَتَرَكْتَ النَّاسَ يَتَنَازَعُونَ الْمُلْكَ بَيْنَهُمْ فَضَرَبَ سَعْدٌ فِي صَدْرِهِ فَقَالَ اسْكُتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ الْغَنِيَّ الْخَفِيَّ " .
হাদীস নং: ৭১৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৬-১
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬৪। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব হারেসী, মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, আল্লাহর কসম! আরবের বাসিন্দাদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করেছি। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে যুদ্ধ করতাম। তখন হুবলা এবং সমর গাছের পাতা ব্যতিরেকে আমাদের নিকট খাবার মত কোন খাদ্যই থাকত না। ফলে আমাদের এক একজন বকরীর মত মল ত্যাগ করত। আর এখন বনু আসাদের লোকেরা দ্বীনী ব্যাপারে আমাদেরকে সবক দিচ্ছে, এমনই যদি হয় তবে তো আমরা অকৃতকার্য এবং আমাদের আমল সবই ব্যর্থ। ইবনে নুমাইর তার বর্ণনায় إِذًا শব্দটি উল্লেখ করেননি।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَابْنُ، بِشْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَوَّلُ رَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَقَدْ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَنَا طَعَامٌ نَأْكُلُهُ إِلاَّ وَرَقُ الْحُبْلَةِ وَهَذَا السَّمُرُ حَتَّى إِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ ثُمَّ أَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ تُعَزِّرُنِي عَلَى الدِّينِ لَقَدْ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي وَلَمْ يَقُلِ ابْنُ نُمَيْرٍ إِذًا .
হাদীস নং: ৭১৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৬-২
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... ইসমাঈল ইবনে আবু খালিদ (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে এতে রয়েছে যে, ফলে আমাদের এক একজন বকরীর মত মল ত্যাগ করত। এর সাথে কোন কিছুই মিশ্রিত থাকত না।
كتاب الزهد والرقائق
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ حَتَّى إِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الْعَنْزُ مَا يَخْلِطُهُ بِشَىْءٍ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৭১৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৭-১
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬৬। শায়বান ইবনে ফররুখ (রাহঃ) ......... খালিদ ইবনে উমায়র আদাবী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উকবা ইবনে গাযওয়ান (রাযিঃ) একদা আমাদের মাঝে ভাষণ দিলেন এবং প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করে বললেন, আম্মা বাদ! দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবার সংবাদ দিয়েছে। দুনিয়ার সামান্য কিছু বাকী রয়েছে, যেমন খানার পর বরতনে কিছু খাদ্য উচ্ছিষ্ট থেকে, যা ভক্ষণকারী রেখে দেয়। একদিন এ দুনিয়া ছেড়ে তোমরা অবিনশ্বর জগতের দিকে রওয়ানা করবে। সুতরাং তোমরা ভবিষ্যতের জন্য কিছু নেকী নিয়ে রওয়ানা কর। কেননা আমাকে বলা হয়েছে যে, জাহান্নামের এক কোণে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হবে, অতঃপর তা সত্তর বছর পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে যেতে থাকবে, তথাপিও উহা তার তলদেশে পৌছতে পারবে না। আল্লাহর শপথ! জাহান্নাম পূর্ণ হয়ে যাবে। তোমরা কি এতে বিস্ময় বোধ করছ? এবং আমার নিকট এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, জান্নাতের দুই পাল্লার মাঝে চল্লিশ বছরের সফরের পথ।
অচিরেই একদিন এমন আসবে, যখন উহা মানুষের ভীড়ে পরিপূর্ণ থাকবে। আমি আমার প্রতি লক্ষ্য করেছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথী সাত ব্যক্তির সপ্তম জন ছিলাম। তখন আমাদের নিকট গাছের পাতা ব্যতীত আর কোন খাদ্যই ছিল না। ফলে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে গেল। এ সময় আমি একটি চাঁদর পেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ও সা’দ ইবনে মালিকের জন্য আমি তাকে দু’টুকরা করে নেই। এক টুকরা দিয়ে আমি লুঙ্গি বানিয়েছি এবং অপর টুকরা দিয়ে লুঙ্গি বানিয়েছে সা’দ ইবনে মালিক (রাযিঃ)।
আজ আমাদের সকলেই কোন না কোন শহরের আমীর। অতঃপর তিনি বলেন, আমি আমার নিকট বড় এবং আল্লাহর নিকট ছোট হওয়া থেকে আল্লাহর পানাহ চাই। সমস্ত পয়গাম্বরের নবুয়্যাতই এক পর্যায়ে নির্বাপিত হয়ে পড়েছে। অবশেষে উহা বাদশাহীর রূপ পরিগ্রহ করেছে। আমাদের পর আগমনকারী আমীর-উমরাদের সংবাদ তোমরা অচিরেই পাবে এবং তাদেরকে যাচাই করতে পারবে।
অচিরেই একদিন এমন আসবে, যখন উহা মানুষের ভীড়ে পরিপূর্ণ থাকবে। আমি আমার প্রতি লক্ষ্য করেছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথী সাত ব্যক্তির সপ্তম জন ছিলাম। তখন আমাদের নিকট গাছের পাতা ব্যতীত আর কোন খাদ্যই ছিল না। ফলে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে গেল। এ সময় আমি একটি চাঁদর পেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ও সা’দ ইবনে মালিকের জন্য আমি তাকে দু’টুকরা করে নেই। এক টুকরা দিয়ে আমি লুঙ্গি বানিয়েছি এবং অপর টুকরা দিয়ে লুঙ্গি বানিয়েছে সা’দ ইবনে মালিক (রাযিঃ)।
আজ আমাদের সকলেই কোন না কোন শহরের আমীর। অতঃপর তিনি বলেন, আমি আমার নিকট বড় এবং আল্লাহর নিকট ছোট হওয়া থেকে আল্লাহর পানাহ চাই। সমস্ত পয়গাম্বরের নবুয়্যাতই এক পর্যায়ে নির্বাপিত হয়ে পড়েছে। অবশেষে উহা বাদশাহীর রূপ পরিগ্রহ করেছে। আমাদের পর আগমনকারী আমীর-উমরাদের সংবাদ তোমরা অচিরেই পাবে এবং তাদেরকে যাচাই করতে পারবে।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ الْعَدَوِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الدُّنْيَا قَدْ آذَنَتْ بِصُرْمٍ وَوَلَّتْ حَذَّاءَ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلاَّ صُبَابَةٌ كَصُبَابَةِ الإِنَاءِ يَتَصَابُّهَا صَاحِبُهَا وَإِنَّكُمْ مُنْتَقِلُونَ مِنْهَا إِلَى دَارٍ لاَ زَوَالَ لَهَا فَانْتَقِلُوا بِخَيْرِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ فَإِنَّهُ قَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ الْحَجَرَ يُلْقَى مِنْ شَفَةِ جَهَنَّمَ فَيَهْوِي فِيهَا سَبْعِينَ عَامًا لاَ يُدْرِكُ لَهَا قَعْرًا وَوَاللَّهِ لَتُمْلأَنَّ أَفَعَجِبْتُمْ وَلَقَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ مَا بَيْنَ مِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ مَسِيرَةُ أَرْبَعِينَ سَنَةً وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَيْهَا يَوْمٌ وَهُوَ كَظِيظٌ مِنَ الزِّحَامِ وَلَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ وَرَقُ الشَّجَرِ حَتَّى قَرِحَتْ أَشْدَاقُنَا فَالْتَقَطْتُ بُرْدَةً فَشَقَقْتُهَا بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ فَاتَّزَرْتُ بِنِصْفِهَا وَاتَّزَرَ سَعْدٌ بِنِصْفِهَا فَمَا أَصْبَحَ الْيَوْمَ مِنَّا أَحَدٌ إِلاَّ أَصْبَحَ أَمِيرًا عَلَى مِصْرٍ مِنَ الأَمْصَارِ وَإِنِّي أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ فِي نَفْسِي عَظِيمًا وَعِنْدَ اللَّهِ صَغِيرًا وَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ نُبُوَّةٌ قَطُّ إِلاَّ تَنَاسَخَتْ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَاقِبَتِهَا مُلْكًا فَسَتَخْبُرُونَ وَتُجَرِّبُونَ الأُمَرَاءَ بَعْدَنَا .
হাদীস নং: ৭১৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৭-২
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬৭। ইসহাক ইবনে উমর ইবনে সালীত (রাহঃ) ......... খালিদ ইবনে উমায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জাহিলী যুগ পেয়েছিলেন, খালিদ (রাহঃ) বলেন, (একদা) উতবা ইবনে গাযওয়ান (রাযিঃ) বক্তৃতা দিলেন। তখন তিনি বসরার আমীর ছিলেন। অতঃপর ইসহাক সূত্রে শায়বানের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
كتاب الزهد والرقائق
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَلِيطٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ، هِلاَلٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَقَدْ أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ قَالَ خَطَبَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى الْبَصْرَةِ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ شَيْبَانَ .
হাদীস নং: ৭১৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৭-৩
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬৮। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) ......... খালিদ ইবনে উমায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উতবা ইবনে গাযওয়ান (রাযিঃ) কে একথা বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, আমি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথী সাতজনের সপ্তম ব্যক্তি রূপে দেখেছি, তখন হুবলা বৃক্ষের পাতা ব্যতীত আমাদের কোন খাদ্য ছিল না। পাতা খেতে খেতে অবশেষে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে যায়।
كتاب الزهد والرقائق
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حُمَيْدِ، بْنِ هِلاَلٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُتْبَةَ بْنَ غَزْوَانَ، يَقُولُ لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا طَعَامُنَا إِلاَّ وَرَقُ الْحُبْلَةِ حَتَّى قَرِحَتْ أَشْدَاقُنَا .
হাদীস নং: ৭১৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯৬৮
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৬৯। মুহাম্মাদ ইবনে উমর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিয়ামতের দিন আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? উত্তরে বললেন, আকাশে মেঘ না থাকা অবস্থায় দুপুরের সময় সূর্য দেখতে তোমাদের কোন সমস্যা হয় কি? সাহাবীগণ বললেন, জী না। অতঃপর তিনি বললেন, আকাশে মেঘ না থাকা অবস্থায় পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে তোমাদের কোন সমস্যা হয় কি? সাহাবীগণ বললেন, জি না। এরপর তিনি বললেন, ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ! চন্দ্র সূর্যের কোন একটি দেখতে তোমাদের যেরূপ সমস্যা হয় না তোমাদের প্রতিপালককেও দেখতে তোমাদের ঠিক তদ্রূপ সমস্যা হবে না। আল্লাহর সাথে বান্দার সাক্ষাত হবে। তখন তিনি বললেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে ইজ্জত দান করিনি, নেতৃত্ব দান করিনি, জোড়া মিলিয়ে (বিয়ে করিয়ে) দেইনি, ঘোড়া, উট তোমার বশীভূত করে দেইনি এবং নেতৃত্ব ও এক-চতুর্থাংশ ভোগের মাধ্যমে প্রাচুর্যের মাঝে তোমার পানাহারের ব্যবস্থা করিনি?
সে বলবে, হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক! অতঃপর তিনি বলবেন, তুমি কি মনে করতে যে, তুমি আমার সাথে সাক্ষাত করবে? সে বলবে, না। তখন আল্লাহ বলবেন, তুমি যেমনিভাবে আমাকে ভুলে গিয়েছিলে অনুরূপভাবে আমিও তোমাকে ভুলে যাচ্ছি।
অতঃপর দ্বিতীয় অপর এক ব্যক্তির আল্লাহর সাথে সাক্ষাত হবে। তখন তিনি তাকেও বলবেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মান দান করিনি, নেতৃত্ব দেই নি, তোমার জোড়া মিলিয়ে দেইনি, উট-ঘোড়া তোমার অনুগত করে দেইনি এবং সূখ-সাচ্ছন্দ্যে পানাহারের জন্য তোমাকে কি সুযোগ করে দেই নি? সে বলবে, হ্যাঁ করেছেন, হে আমার প্রতিপালক! অতঃপর তিনি বলবেন, আমার সাথে তোমার সাক্ষাত হবে এ কথা তুমি মনে করতে? সে বলবে, না। তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি যেমন আমাকে ভুলে গিয়েছিলে অনুরূপভাবে আমিও তোমাদেরকে বিষ্মিৃত হব।
অতঃপর তিনি অপর এক ব্যক্তির আল্লাহর সাথে সাক্ষাত হবে। অতঃপর পূর্বের অনুরূপ বলবেন। তখন লোকটি বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার প্রতি এবং কিতাব ও রাসুলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করেছি। আমি নামায আদায় করেছি, রোযা পালন করেছি এবং সাদ্কা করেছি। এমনিভাবে সে যথাসম্ভব নিজের প্রশংসা করবে। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা বলবেন, এখনই তোমার মিথ্যা প্রকাশিত হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ এরপর তাকে বলা হবে, এখনই আমি তোমার উপর আমার সাক্ষী কায়িম করব। তখন বান্দা মনে মনে চিন্তা করতে থাকবে যে, কে তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে? তখন তার মুখে মোহর দেয়া হবে। এবং তার উরু, গোশত ও হাড়কে বলা হবে, তোমরা কথা বল। ফলে তার উরু, গোশত ও হাড়ি তার আমল সম্পর্কে বলতে থাকবে। এ ব্যবস্থা এ জন্য করা হবে যেন, আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোন অবকাশ তার আর বাকি না থাকে। এই ব্যক্তি হচ্ছে মুনাফিক। তার প্রতি আল্লাহ তাআলা অন্তুষ্ট হবেন।
সে বলবে, হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক! অতঃপর তিনি বলবেন, তুমি কি মনে করতে যে, তুমি আমার সাথে সাক্ষাত করবে? সে বলবে, না। তখন আল্লাহ বলবেন, তুমি যেমনিভাবে আমাকে ভুলে গিয়েছিলে অনুরূপভাবে আমিও তোমাকে ভুলে যাচ্ছি।
অতঃপর দ্বিতীয় অপর এক ব্যক্তির আল্লাহর সাথে সাক্ষাত হবে। তখন তিনি তাকেও বলবেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মান দান করিনি, নেতৃত্ব দেই নি, তোমার জোড়া মিলিয়ে দেইনি, উট-ঘোড়া তোমার অনুগত করে দেইনি এবং সূখ-সাচ্ছন্দ্যে পানাহারের জন্য তোমাকে কি সুযোগ করে দেই নি? সে বলবে, হ্যাঁ করেছেন, হে আমার প্রতিপালক! অতঃপর তিনি বলবেন, আমার সাথে তোমার সাক্ষাত হবে এ কথা তুমি মনে করতে? সে বলবে, না। তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি যেমন আমাকে ভুলে গিয়েছিলে অনুরূপভাবে আমিও তোমাদেরকে বিষ্মিৃত হব।
অতঃপর তিনি অপর এক ব্যক্তির আল্লাহর সাথে সাক্ষাত হবে। অতঃপর পূর্বের অনুরূপ বলবেন। তখন লোকটি বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার প্রতি এবং কিতাব ও রাসুলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করেছি। আমি নামায আদায় করেছি, রোযা পালন করেছি এবং সাদ্কা করেছি। এমনিভাবে সে যথাসম্ভব নিজের প্রশংসা করবে। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা বলবেন, এখনই তোমার মিথ্যা প্রকাশিত হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ এরপর তাকে বলা হবে, এখনই আমি তোমার উপর আমার সাক্ষী কায়িম করব। তখন বান্দা মনে মনে চিন্তা করতে থাকবে যে, কে তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে? তখন তার মুখে মোহর দেয়া হবে। এবং তার উরু, গোশত ও হাড়কে বলা হবে, তোমরা কথা বল। ফলে তার উরু, গোশত ও হাড়ি তার আমল সম্পর্কে বলতে থাকবে। এ ব্যবস্থা এ জন্য করা হবে যেন, আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোন অবকাশ তার আর বাকি না থাকে। এই ব্যক্তি হচ্ছে মুনাফিক। তার প্রতি আল্লাহ তাআলা অন্তুষ্ট হবেন।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ " هَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ فِي الظَّهِيرَةِ لَيْسَتْ فِي سَحَابَةٍ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " فَهَلْ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ لَيْسَ فِي سَحَابَةٍ " . قَالُوا لاَ . قَالَ " فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ إِلاَّ كَمَا تُضَارُّونَ فِي رُؤْيَةِ أَحَدِهِمَا - قَالَ - فَيَلْقَى الْعَبْدَ فَيَقُولُ أَىْ فُلْ أَلَمْ أُكْرِمْكَ وَأُسَوِّدْكَ وَأُزَوِّجْكَ وَأُسَخِّرْ لَكَ الْخَيْلَ وَالإِبِلَ وَأَذَرْكَ تَرْأَسُ وَتَرْبَعُ فَيَقُولُ بَلَى . قَالَ فَيَقُولُ أَفَظَنَنْتَ أَنَّكَ مُلاَقِيَّ فَيَقُولُ لاَ . فَيَقُولُ فَإِنِّي أَنْسَاكَ كَمَا نَسِيتَنِي . ثُمَّ يَلْقَى الثَّانِيَ فَيَقُولُ أَىْ فُلْ أَلَمْ أُكْرِمْكَ وَأُسَوِّدْكَ وَأُزَوِّجْكَ وَأُسَخِّرْ لَكَ الْخَيْلَ وَالإِبِلَ وَأَذَرْكَ تَرْأَسُ وَتَرْبَعُ فَيَقُولُ بَلَى أَىْ رَبِّ . فَيَقُولُ أَفَظَنَنْتَ أَنَّكَ مُلاَقِيَّ فَيَقُولُ لاَ . فَيَقُولُ فَإِنِّي أَنْسَاكَ كَمَا نَسِيتَنِي . ثُمَّ يَلْقَى الثَّالِثَ فَيَقُولُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ آمَنْتُ بِكَ وَبِكِتَابِكَ وَبِرُسُلِكَ وَصَلَّيْتُ وَصُمْتُ وَتَصَدَّقْتُ . وَيُثْنِي بِخَيْرٍ مَا اسْتَطَاعَ فَيَقُولُ هَا هُنَا إِذًا - قَالَ - ثُمَّ يُقَالُ لَهُ الآنَ نَبْعَثُ شَاهِدَنَا عَلَيْكَ . وَيَتَفَكَّرُ فِي نَفْسِهِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْهَدُ عَلَىَّ فَيُخْتَمُ عَلَى فِيهِ وَيُقَالُ لِفَخِذِهِ وَلَحْمِهِ وَعِظَامِهِ انْطِقِي فَتَنْطِقُ فَخِذُهُ وَلَحْمُهُ وَعِظَامُهُ بِعَمَلِهِ وَذَلِكَ لِيُعْذِرَ مِنْ نَفْسِهِ . وَذَلِكَ الْمُنَافِقُ وَذَلِكَ الَّذِي يَسْخَطُ اللَّهُ عَلَيْهِ " .
তাহকীক: