আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৫৫- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৭০০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৪-৪
৭. যে ফিতনা সমুদ্রের তরং্গের ন্যায় তরং্গায়িত হবে
৭০০৪। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর ও মুহাম্মাদ ইবনুল আ’লা (ইবনে) আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, আমরা উমর (রাযিঃ) এর নিকট বসা ছিলাম। এ সময় তিনি বললেন, ফিতনা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীস তোমাদের কার স্মরণ আছে? আমি বললাম, আমার স্মরণ আছে। এ কথা শুনে বললেন, ব্যস, তুমি তো খুব সাহসী। তিনি কি বলেছেন, বল। অতঃপর আমি বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, নিজ সত্তা, সন্তান-সন্ততি এবং প্রতিবেশীর ব্যাপারে মানুষ যে ফিতনায় আক্রান্ত হয়, তার রোযা, নামায, সাদ্‌কা এবং সৎকার্যের আদেশ ও অসৎকার্যে বাধা দানই হল এগুলোর জন্য কাফফারা। এ কথা শুনে উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি তো এ ফিতনা সম্পর্কে শুনতে চাইনি। বরং সমুদ্রের তরং্গমালার ন্যায় যে ফিতনা আপতিত, আমি তো কেবল তাই শুনতে চেয়েছি।

তখন আমি বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন! এ ফিতনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক, এতে আপনার উদ্দেশ্য কি? এ ফিতনা ও আপনার মাঝে এক রুদ্ধদ্বার অন্তরায় রয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তা (দ্বার) কি ভাঙ্গা হবে, না খোলা হবে? আমি বললাম, না,খোলা হবে না, বরংভাঙ্গা হবে। এ কথা শুনে উমর (রাযিঃ) বললেন, তবে তো তা আর কখনো বন্ধ হবে না।

বর্ণনাকারী [শাকীক (রাহঃ)] বলেন, আমরা হুযাইফা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, কে সে দ্বার উমর (রাযিঃ) তা কি জানতেন? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগামী দিনের পর রাত, এ কথাটি যেমন জানতেন, ঠিক তদ্রূপঐ বিষয়টিও তিনি জানতেন। হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, আমি তাঁকে ভুল হাদীস শুনাইনি। শাকীক (রাহঃ) বলেন, কে সে দ্বার, এ সম্পর্কে হুযাইফা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করতে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম। তাই আমরা মাসরুক (রাহঃ) কে বললাম, আপনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি হুযাইফা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি [হুযাইফা (রাযিঃ)] বললেন, (এ দ্বার) উমর (রাযিঃ) নিজেই।
باب فِي الْفِتْنَةِ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي، مُعَاوِيَةَ قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتْنَةِ كَمَا قَالَ قَالَ فَقُلْتُ أَنَا . قَالَ إِنَّكَ لَجَرِيءٌ وَكَيْفَ قَالَ قَالَ قُلْتُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَنَفْسِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ يُكَفِّرُهَا الصِّيَامُ وَالصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ " . فَقَالَ عُمَرُ لَيْسَ هَذَا أُرِيدُ إِنَّمَا أُرِيدُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ - قَالَ - فَقُلْتُ مَا لَكَ وَلَهَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا قَالَ أَفَيُكْسَرُ الْبَابُ أَمْ يُفْتَحُ قَالَ قُلْتُ لاَ بَلْ يُكْسَرُ . قَالَ ذَلِكَ أَحْرَى أَنْ لاَ يُغْلَقَ أَبَدًا . قَالَ فَقُلْنَا لِحُذَيْفَةَ هَلْ كَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ مَنِ الْبَابُ قَالَ نَعَمْ كَمَا يَعْلَمُ أَنَّ دُونَ غَدٍ اللَّيْلَةَ إِنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ . قَالَ فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَ حُذَيْفَةَ مَنِ الْبَابُ فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ سَلْهُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ عُمَرُ .
হাদীস নং: ৭০০৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৪-৫
৭. যে ফিতনা সমুদ্রের তরং্গের ন্যায় তরং্গায়িত হবে
৭০০৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু সাঈদ আশাজ্জ (অন্য সনদে) উসমান ইবনে আবি শাঈবা (অন্য সনদে) ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (অন্য সনদে) ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে এ সনদে আবু মুআবিয়ার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে ঈসা (রাহঃ) এর সূত্রে শাকীক (রাহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের মধ্যে তিনি বলেছেন, আমি হুযাইফা (রাযিঃ) কে এ কথা বলতে শুনেছি।
باب فِي الْفِتْنَةِ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَفِي حَدِيثِ عِيسَى عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ، يَقُولُ .
হাদীস নং: ৭০০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৪-৬
৭. যে ফিতনা সমুদ্রের তরং্গের ন্যায় তরং্গায়িত হবে
৭০০৬। ইবনে আবু উমর (রাযিঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) বলেছেন, ফিতনা সম্পর্কে আমাকে কে হাদীস শুনাতে পারবে? অতঃপর পূর্ববতীদের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فِي الْفِتْنَةِ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، وَالأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ عُمَرُ مَنْ يُحَدِّثُنَا عَنِ الْفِتْنَةِ، وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ، بِنَحْوِ حَدِيثِهِمْ .
হাদীস নং: ৭০০৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৮৯৩
৭. যে ফিতনা সমুদ্রের তরং্গের ন্যায় তরং্গায়িত হবে
৭০০৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। জুনদুব (রাহঃ) বলেন, জার’আর দিন আমি আসলাম। দেখলাম, এক ব্যক্তি উপবিষ্ট আছে। আমি বললাম, আজ তো এখানে রক্ত ঝরানো হবে। এ কথা শুনে লোকটি বলল, কখনো না। আল্লাহর কসম! (খুন হবে না)। আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! অবশ্যই খুন হবে। সে আবারো বলল, আল্লাহর কসম! কখনো খুন হবে না। আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! অবশ্যই খুন হবে। পুনরায় সে বলল, আল্লাহর কসম! খুন কখনো হবে না।

এ বিষয়টি অবশ্যই একটি হাদীস (দ্বারা প্রমাণিত), যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। আমি বললাম, আজ দিনভর আপনি আমার একজন মন্দ সাথী (হলেন)। কারণ আপনি শুনতে পাচ্ছেন যে, আমি আপনার বিরুদ্ধাচরণ করছি। অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে হাদীস শুনা সত্ত্বেও আপনি আমাকে বারণ করছেন না। অতঃপর আমি বললাম, এত রাগারাগি কেন? তখন আমি তার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম। পরে জানতে পেলাম, তিনি হলেন হুযাইফা (রাযিঃ)।
باب فِي الْفِتْنَةِ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ، عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ جُنْدُبٌ جِئْتُ يَوْمَ الْجَرَعَةِ فَإِذَا رَجُلٌ جَالِسٌ فَقُلْتُ لَيُهَرَاقَنَّ الْيَوْمَ هَا هُنَا دِمَاءٌ . فَقَالَ ذَاكَ الرَّجُلُ كَلاَّ وَاللَّهِ . قُلْتُ بَلَى وَاللَّهِ . قَالَ كَلاَّ وَاللَّهِ . قُلْتُ بَلَى وَاللَّهِ . قَالَ كَلاَّ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَحَدِيثُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنِيهِ . قُلْتُ بِئْسَ الْجَلِيسُ لِي أَنْتَ مُنْذُ الْيَوْمِ تَسْمَعُنِي أُخَالِفُكَ وَقَدْ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلاَ تَنْهَانِي ثُمَّ قُلْتُ مَا هَذَا الْغَضَبُ فَأَقْبَلْتُ عَلَيْهِ وَأَسْأَلُهُ فَإِذَا الرَّجُلُ حُذَيْفَةُ .
tahqiq

তাহকীক: