আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫৩- কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৬৮০৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯৮-১
৮. ধুম্র প্রসঙ্গে
৬৮০৯। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর নিকট বসা ছিলাম। এ সময় তিনি আমাদের মাঝে কাত হয়ে শুয়েছিলেন। এমতাবস্থায় তার নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! কিনদা তোরণের এক ওয়ায়েযু বলছেনঃ (কুরআনে বর্ণিত) ধোঁয়ার ঘটনাটি ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে। তা প্রবাহিত হয়ে কাফিরদের শ্বাস রুদ্ধ করে দিবে এবং এতে মুমনিদের সর্দির মত অবস্থা হবে। এ কথা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তোমাদের কেউ কোন কথা জানলে সে যেন তা-ই বলে। আর যে না জানে সে যেন বলে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।
কেননা তোমাদের প্রত্যেকের জন্য প্রকৃত জ্ঞানের কথা হচ্ছে এই যে, যে বিষয়ে তোমাদের জ্ঞান নেই সে বিষয়ে বলবে, আল্লাহই ভাল জানেন। কেননা আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী (ﷺ) কে বলেছেনঃ “বল, আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা এবং আমি মিথ্যা দাবীদারদের অন্তভুক্ত নই।” প্রকৃত অবস্থা তো এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন লোকদের মধ্যে দ্বীনবিমুখতা দেখলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, হে আল্লাহ! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের মত দুর্ভিক্ষের সাতটি বছর তাদের উপর চাপিয়ে দাও।
অতঃপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ এমনভাবে আপতিত হল যে, উহা সব কিছুকে শেষ করে দিল। ফলে ক্ষুধার জ্বালায় তারা চামড়া ও মৃত দেহ খেতে শুর করল। এমনকি তাদের কোন ব্যক্তি আকাশের দিকে তাকালে শুধূ ধোঁয়ার ন্যায়ই দেখতে পেতো। অতঃপর আবু সুফিয়ান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনি তো আল্লাহর আনুগত্য করেন এবং আত্মীয়তার হক আদায় করার নির্দেশ দিয়ে আসছেন অথচ আপনার কওম তো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনি তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করুন।
(এ প্রসঙ্গে) আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সে দিনের, যেদিন স্পষ্ট ধুম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং উহা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে মর্মস্তুদ শাস্তি। ...... তোমরা তো পুনরায় (অনুরূপই) করবে।” -পর্যন্ত।
আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আখিরাতের আযাব কি তুলে নেয়া হবে? (আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন), যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি অবশ্যই তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব।” বাতশার (প্রবল পাকড়াও) দ্বারা বদরের যুদ্ধ উদ্দেশ্য করা হয়েছে। ধোয়ার নিদর্শন, পাকড়াও, অপ্রতিরোধ্য শাস্তি ও রোমের ঘটনা তো অতীত হয়ে গিয়েছে।
কেননা তোমাদের প্রত্যেকের জন্য প্রকৃত জ্ঞানের কথা হচ্ছে এই যে, যে বিষয়ে তোমাদের জ্ঞান নেই সে বিষয়ে বলবে, আল্লাহই ভাল জানেন। কেননা আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী (ﷺ) কে বলেছেনঃ “বল, আমি এর জন্য তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা এবং আমি মিথ্যা দাবীদারদের অন্তভুক্ত নই।” প্রকৃত অবস্থা তো এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন লোকদের মধ্যে দ্বীনবিমুখতা দেখলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, হে আল্লাহ! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের মত দুর্ভিক্ষের সাতটি বছর তাদের উপর চাপিয়ে দাও।
অতঃপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ এমনভাবে আপতিত হল যে, উহা সব কিছুকে শেষ করে দিল। ফলে ক্ষুধার জ্বালায় তারা চামড়া ও মৃত দেহ খেতে শুর করল। এমনকি তাদের কোন ব্যক্তি আকাশের দিকে তাকালে শুধূ ধোঁয়ার ন্যায়ই দেখতে পেতো। অতঃপর আবু সুফিয়ান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনি তো আল্লাহর আনুগত্য করেন এবং আত্মীয়তার হক আদায় করার নির্দেশ দিয়ে আসছেন অথচ আপনার কওম তো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনি তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করুন।
(এ প্রসঙ্গে) আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সে দিনের, যেদিন স্পষ্ট ধুম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং উহা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে মর্মস্তুদ শাস্তি। ...... তোমরা তো পুনরায় (অনুরূপই) করবে।” -পর্যন্ত।
আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আখিরাতের আযাব কি তুলে নেয়া হবে? (আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন), যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি অবশ্যই তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করব।” বাতশার (প্রবল পাকড়াও) দ্বারা বদরের যুদ্ধ উদ্দেশ্য করা হয়েছে। ধোয়ার নিদর্শন, পাকড়াও, অপ্রতিরোধ্য শাস্তি ও রোমের ঘটনা তো অতীত হয়ে গিয়েছে।
باب الدُّخَانِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ جُلُوسًا وَهُوَ مُضْطَجِعٌ بَيْنَنَا فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّ قَاصًّا عِنْدَ أَبْوَابِ كِنْدَةَ يَقُصُّ وَيَزْعُمُ أَنَّ آيَةَ الدُّخَانِ تَجِيءُ فَتَأْخُذُ بِأَنْفَاسِ الْكُفَّارِ وَيَأْخُذُ الْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ كَهَيْئَةِ الزُّكَامِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَجَلَسَ وَهُوَ غَضْبَانُ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا اللَّهَ مَنْ عَلِمَ مِنْكُمْ شَيْئًا فَلْيَقُلْ بِمَا يَعْلَمُ وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّهُ أَعْلَمُ لأَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ لِمَا لاَ يَعْلَمُ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم ( قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ) إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا رَأَى مِنَ النَّاسِ إِدْبَارًا فَقَالَ " اللَّهُمَّ سَبْعٌ كَسَبْعِ يُوسُفَ " . قَالَ فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ حَصَّتْ كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْجُلُودَ وَالْمَيْتَةَ مِنَ الْجُوعِ وَيَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ أَحَدُهُمْ فَيَرَى كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ فَأَتَاهُ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّكَ جِئْتَ تَأْمُرُ بِطَاعَةِ اللَّهِ وَبِصِلَةِ الرَّحِمِ وَإِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللَّهَ لَهُمْ - قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ) إِلَى قَوْلِهِ ( إِنَّكُمْ عَائِدُونَ) . قَالَ أَفَيُكْشَفُ عَذَابُ الآخِرَةِ ( يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ) فَالْبَطْشَةُ يَوْمَ بَدْرٍ وَقَدْ مَضَتْ آيَةُ الدُّخَانِ وَالْبَطْشَةُ وَاللِّزَامُ وَآيَةُ الرُّومِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৮১০
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯৮-২
৮. ধুম্র প্রসঙ্গে
৬৮১০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আবু সাঈদ আশাজ্জ, উসমান ইবনে আবি শাঈবা, ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি মসজিদে এক ব্যক্তিকে দেখে এসেছি, সে কুরআনের মনগড়া তাফসীর করছে! সে يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলছে যে, কিয়ামতের দিন ধোয়া এসে লোকদের আচ্ছন্ন করে ফেলবে, তাদের শ্বাসরুদ্ধ করে ফেলবে, এমনকি এতে লোকদের সর্দির মত অবস্থা হয়ে যাবে।
একথা শুনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে জানে সে তা বর্ণনা করবে। আর যে না জানে তার বলা উচিত, আল্লাহই ভাল জানেন। কারণ, অজানা বিষয় সম্পর্কে আল্লাহই ভাল জানেন, একথা বলাই মানুষের বুদ্ধিমত্তার পরিচালক। কেননা এ বিষয়টি তখনই সংঘটিত হয়েছিল, যখন কুরাইশরা নবী (ﷺ) এর নাফরমানী করেছিল। তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে দুআ করেন যেন ইউনূফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের সাত বছরের মত দুর্ভিক্ষ তাদের উপর আপতিত হয়। তারপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ এবং ক্ষুধার কষ্ট এমনভাবে আপতিত হলো যে, কেউ আসমানের দিকে তাকালে সে ধোঁয়ার মত দেখত, এমনকি তারা হাড্ডি খাওয়া শুরু করল।
তখন এক ব্যক্তি এসে নবী (ﷺ) কে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মূযার গোত্রের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তারা হয়তো ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি বললেন, মুযার এর জন্য? তুমি তো বড় দুঃসাহসী। রাবী বলেন, এরপর নবী (ﷺ) তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করলেন। তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল! করলেন, “আমি তোমাদের শাস্তি কিছু কালের জন্য তুলে নিচ্ছি। তোমরা তো তোমাদের পৃর্বাবস্থায়ই ফিরে যাবে।”
বর্ণনাকারী বলেন, তাদের উপর বৃষ্টি হলো। অতঃপর তাদের যখন প্রাচুর্য ও স্বচ্ছলতা ফিরে এল তখন তারা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, “অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সেদিনের, যে দিন ধুম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং উহা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে মর্মন্তুদ শাস্তি। আমি তোমাদের শাস্তি কিছু কালের জন্য তুলে নিব, তোমরা তো পুনরায় এটি (অবাধ্যতা) করবে। যেদিন আমি প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সে দিন আমি প্রতিশোধ নিবই (শাস্তি দিবই)।” বর্ণনাকারী বলেন অর্থাৎ বদরের দিন।
একথা শুনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে জানে সে তা বর্ণনা করবে। আর যে না জানে তার বলা উচিত, আল্লাহই ভাল জানেন। কারণ, অজানা বিষয় সম্পর্কে আল্লাহই ভাল জানেন, একথা বলাই মানুষের বুদ্ধিমত্তার পরিচালক। কেননা এ বিষয়টি তখনই সংঘটিত হয়েছিল, যখন কুরাইশরা নবী (ﷺ) এর নাফরমানী করেছিল। তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে দুআ করেন যেন ইউনূফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ের সাত বছরের মত দুর্ভিক্ষ তাদের উপর আপতিত হয়। তারপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ এবং ক্ষুধার কষ্ট এমনভাবে আপতিত হলো যে, কেউ আসমানের দিকে তাকালে সে ধোঁয়ার মত দেখত, এমনকি তারা হাড্ডি খাওয়া শুরু করল।
তখন এক ব্যক্তি এসে নবী (ﷺ) কে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মূযার গোত্রের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তারা হয়তো ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি বললেন, মুযার এর জন্য? তুমি তো বড় দুঃসাহসী। রাবী বলেন, এরপর নবী (ﷺ) তাদের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করলেন। তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল! করলেন, “আমি তোমাদের শাস্তি কিছু কালের জন্য তুলে নিচ্ছি। তোমরা তো তোমাদের পৃর্বাবস্থায়ই ফিরে যাবে।”
বর্ণনাকারী বলেন, তাদের উপর বৃষ্টি হলো। অতঃপর তাদের যখন প্রাচুর্য ও স্বচ্ছলতা ফিরে এল তখন তারা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, “অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সেদিনের, যে দিন ধুম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং উহা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে মর্মন্তুদ শাস্তি। আমি তোমাদের শাস্তি কিছু কালের জন্য তুলে নিব, তোমরা তো পুনরায় এটি (অবাধ্যতা) করবে। যেদিন আমি প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সে দিন আমি প্রতিশোধ নিবই (শাস্তি দিবই)।” বর্ণনাকারী বলেন অর্থাৎ বদরের দিন।
باب الدُّخَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، الأَشَجُّ أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صُبَيْحٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ جَاءَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ رَجُلٌ فَقَالَ تَرَكْتُ فِي الْمَسْجِدِ رَجُلاً يُفَسِّرُ الْقُرْآنَ بِرَأْيِهِ يُفَسِّرُ هَذِهِ الآيَةَ ( يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) قَالَ يَأْتِي النَّاسَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ دُخَانٌ فَيَأْخُذُ بِأَنْفَاسِهِمْ حَتَّى يَأْخُذَهُمْ مِنْهُ كَهَيْئَةِ الزُّكَامِ . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ مَنْ عَلِمَ عِلْمًا فَلْيَقُلْ بِهِ وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ مِنْ فِقْهِ الرَّجُلِ أَنْ يَقُولَ لِمَا لاَ عِلْمَ لَهُ بِهِ اللَّهُ أَعْلَمُ . إِنَّمَا كَانَ هَذَا أَنَّ قُرَيْشًا لَمَّا اسْتَعْصَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم دَعَا عَلَيْهِمْ بِسِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ فَأَصَابَهُمْ قَحْطٌ وَجَهْدٌ حَتَّى جَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ فَيَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ مِنَ الْجَهْدِ وَحَتَّى أَكَلُوا الْعِظَامَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَغْفِرِ اللَّهَ لِمُضَرَ فَإِنَّهُمْ قَدْ هَلَكُوا فَقَالَ " لِمُضَرَ إِنَّكَ لَجَرِيءٌ " . قَالَ فَدَعَا اللَّهَ لَهُمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( إِنَّا كَاشِفُو الْعَذَابِ قَلِيلاً إِنَّكُمْ عَائِدُونَ) قَالَ فَمُطِرُوا فَلَمَّا أَصَابَتْهُمُ الرَّفَاهِيَةُ - قَالَ - عَادُوا إِلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ - قَالَ - فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ) ( يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ) قَالَ يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৮১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯৮-৩
৮. ধুম্র প্রসঙ্গে
৬৮১১। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... মাসরুক (রাহঃ) সূত্রে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পাঁচটি বিষয় অতীত হয়ে গিয়েছেঃ ধোয়া, অনিবারনীয় শাস্তি, রোম (এর পরাজয়), পাকড়াও এবং চাঁদ (দ্বিখণ্ডিত হওয়ার নিদর্শন)।
باب الدُّخَانِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَمْسٌ قَدْ مَضَيْنَ الدُّخَانُ وَاللِّزَامُ وَالرُّومُ وَالْبَطْشَةُ وَالْقَمَرُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৮১২
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯৮-৪
৮. ধুম্র প্রসঙ্গে
৬৮১২। আবু সাঈদ আশাজ্জ (রাহঃ) ......... আ’মাশ (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب الدُّخَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৮১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৯৯
৮. ধুম্র প্রসঙ্গে
৬৮১৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না, মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) বলেছেনঃ আল্লাহর বাণী ″গুরু শাস্তির পূর্বে তাদের আমি অবশ্যই লঘু শাস্তি অস্যাদন করাব″ এর উদ্দেশ্য হল পার্থিব বালা-মুসীবত, রোমের পরাজয়, পাকড়াও অথবা ধোয়া। পাকড়াও না ধোঁয়া এ বিষয়ে শু’বা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
باب الدُّخَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أُبَىِّ، بْنِ كَعْبٍ فِي قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ ( وَلَنُذِيقَنَّهُمْ مِنَ الْعَذَابِ الأَدْنَى دُونَ الْعَذَابِ الأَكْبَرِ) قَالَ مَصَائِبُ الدُّنْيَا وَالرُّومُ وَالْبَطْشَةُ أَوِ الدُّخَانُ . شُعْبَةُ الشَّاكُّ فِي الْبَطْشَةِ أَوِ الدُّخَانِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: