আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৫২- মুনাফিকদের বিবরণ এবং তাদের সম্পর্কে বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৬৭৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৬৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে কোন এক সফরে আমরা বের হলাম। এ সফরে লোকজন ভীষণ কষ্টে পড়ে। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই তার সঙ্গীদেরকে বললো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গীদের জন্য তোমরা কিছু ব্যয় করো না, যাতে তারা তাঁর চারপাশ থেকে সরে পড়ে। [যুহাইর (রাহঃ) বলেন, এ হলো ঐ ব্যক্তির কিরাআত যে, حَوْلَهُ কে যের দিয়ে পড়ে।] আর সে এও বললো, আমরা মদীনায় ফিরে গেলে সেখান থেকে অবশ্যই প্রবল দুর্বলকে বহিস্কৃত করব। এ কথা শুনে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তার এ কথাবার্তা সম্পর্কে তাঁকে অবিহিত করলাম। তখন তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে ডেকে পাঠালেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন। সে জোরদার কসম খেয়ে বললো যে, সে এমন কাজ করেনি। আর বলল, যায়দ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট মিথ্যা কথা বলেছে। যায়দ (রাযিঃ) বলেন, তাদের এ কথায় আমি মনে ভীষণ কষ্ট পেলাম। তখন আল্লাহ তাআলা আমার সত্যবাদিতার পক্ষে নাযিল করেন, إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের ডাকলেন যাতে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, তখন তারা তাদের মাথা ফিরিয়ে নিল। আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পর্কে বলেছেনঃ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُسَنَّدَةٌ তারা দেওয়ালে ঠেকাল কাঠের স্তম্ভ সদৃশ। যায়দ (রাযিঃ) বলেন, বাহ্যত তারা ছিল মানুষ খুবই সুন্দর চেহারার মানুষ।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، أَنَّهُ سَمِعَ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، يَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ أَصَابَ النَّاسَ فِيهِ شِدَّةٌ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ لأَصْحَابِهِ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى يَنْفَضُّوا مِنْ حَوْلِهِ . قَالَ زُهَيْرٌ وَهِيَ قِرَاءَةُ مَنْ خَفَضَ حَوْلَهُ . وَقَالَ لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ - قَالَ - فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ فَأَرْسَلَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ فَسَأَلَهُ فَاجْتَهَدَ يَمِينَهُ مَا فَعَلَ فَقَالَ كَذَبَ زَيْدٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَوَقَعَ فِي نَفْسِي مِمَّا قَالُوهُ شِدَّةٌ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقِي ( إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ) قَالَ ثُمَّ دَعَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَسْتَغْفِرَ لَهُمْ - قَالَ - فَلَوَّوْا رُءُوسَهُمْ . وَقَوْلُهُ ( كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُسَنَّدَةٌ) وَقَالَ كَانُوا رِجَالاً أَجْمَلَ شَىْءٍ .
হাদীস নং: ৬৭৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৩-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৬৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, যুহাইর ইবনে হারব ও আহমাদ ইবনে আব্দা (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর কবরের নিকট আসলেন এবং তাকে তার কবর হতে উঠিয়ে তার হাঁটুর উপর রাখলেন এবং তিনি তার উপর থুথু দিলেন এবং তাকে স্বীয় জামা পরালেন। আল্লাহই এ সম্পর্কে ভাল জানেন।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي شَيْبَةَ - قَالَ ابْنُ عَبْدَةَ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ أَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَبْرَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ فَأَخْرَجَهُ مِنْ قَبْرِهِ فَوَضَعَهُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَنَفَثَ عَلَيْهِ مِنْ رِيقِهِ وَأَلْبَسَهُ قَمِيصَهُ فَاللَّهُ أَعْلَمُ .
হাদীস নং: ৬৭৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৩-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৬৯। আহমাদ ইবনে ইউসূফ আযদী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে তার গর্তে (কবরে) ঢুকানোর পর নবী (ﷺ) তার নিকট আসলেন। পরবর্তী অংশ সুফিয়ানের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ بَعْدَ مَا أُدْخِلَ حُفْرَتَهُ . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ سُفْيَانَ .
হাদীস নং: ৬৭৭০
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৪-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর মৃত্যুর পর তার ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসলেন এবং তার পিতার কাফনের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জামাটি চাইলেন। তিনি তাঁকে জামাটি দিয়ে দিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তার পিতার নামাযে জানাযা পড়ানোর জন্য অনুরোধ করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নামাযে জানাযা আদায়ের জন্য দাঁড়ালেন। এমতাবস্থায় উমর (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাপড় চেপে ধরে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তার জানাযা কি আপনি পড়াবেন? আর আল্লাহ তাআলা তার নামাযে জানাযা পড়াতে আপনাকে নিষেধ করেছেন।

(একথা শুনে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ বিষয়ে তো আল্লাহ তাআলা আমাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন এবং বলেছেনঃ আপনি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করুন উভয়ই সমান, আপনি সত্তরবার তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমি সত্তরেরও অধিকবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবো। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে তো মুনাফিক ছিল। এরপরও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নামাযে জানাযা আদায় করলেন। তখন আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেনঃ “তাদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে আপনি কখনো তার জন্য জানাযার নামায আদায় করবেন না এবং তার কবর পাশে দাঁড়াবেনও না।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ جَاءَ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ أَنْ يُعْطِيَهُ قَمِيصَهُ يُكَفِّنُ فِيهِ أَبَاهُ فَأَعْطَاهُ ثُمَّ سَأَلَهُ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَقَامَ عُمَرُ فَأَخَذَ بِثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُصَلِّي عَلَيْهِ وَقَدْ نَهَاكَ اللَّهُ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا خَيَّرَنِي اللَّهُ فَقَالَ اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً وَسَأَزِيدُهُ عَلَى سَبْعِينَ " . قَالَ إِنَّهُ مُنَافِقٌ . فَصَلَّى عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَلاَ تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ)
হাদীস নং: ৬৭৭১
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৪-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও আব্দুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) থেকে উক্ত সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে অধিক রয়েছে যে, এরপর থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (মুনাফিকদের) নামায (জানাযা) আদায় করা সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করলেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ وَزَادَ قَالَ فَتَرَكَ الصَّلاَةَ عَلَيْهِمْ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৭৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৫-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭২। মুহাম্মাদ ইবনে আবু উমর মক্কী (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বায়তুল্লাহর নিকট তিন ব্যক্তি একত্রিত হলো। এদের দু’জন ছিল কুরাইশী এবং একজন ছিল সাকাফী অথবা দু’জন ছিল সাকাফী এবং একজন ছিল কুরাইশী। তাদের হৃদয়ে বুদ্ধিমত্তা খুব সামান্যই ছিল। তবে পেটে যথেষ্ট চর্বী ছিল। তাদের একজন বললো, আমরা যা বলি আল্লাহ সব শুনেন, একথা কি তোমরা জানো না? তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি বললো, আমরা উচ্চস্বরে কথা বললে আল্লাহ তা শুনতে পান। তবে আস্তে কথা বললে আল্লাহ তা শুনেন না। তখন তৃতীয় ব্যক্তি বললো, উচ্চস্বরে কথা বললে যদি শুনতে পান তবে আস্তে কথা বললেও শুনতে পাবেন। এ কথা শুনে আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, ″তোমরা গোপন করতে পারতে না এই কারণে যে, তোমাদের কর্ণ, চক্ষু এবং ত্বক তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। (কিন্তু তোমরা মনে করতে যে, তোমরা যা করতে এর অনেক কিছু আল্লাহ জানেন না।)”
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي، مَعْمَرٍ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ اجْتَمَعَ عِنْدَ الْبَيْتِ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ قُرَشِيَّانِ وَثَقَفِيٌّ أَوْ ثَقَفِيَّانِ وَقُرَشِيٌّ قَلِيلٌ فِقْهُ قُلُوبِهِمْ كَثِيرٌ شَحْمُ بُطُونِهِمْ فَقَالَ أَحَدُهُمْ أَتَرَوْنَ اللَّهَ يَسْمَعُ مَا نَقُولُ وَقَالَ الآخَرُ يَسْمَعُ إِنْ جَهَرْنَا وَلاَ يَسْمَعُ إِنْ أَخْفَيْنَا وَقَالَ الآخَرُ إِنْ كَانَ يَسْمَعُ إِذَا جَهَرْنَا فَهُوَ يَسْمَعُ إِذَا أَخْفَيْنَا . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَتِرُونَ أَنْ يَشْهَدَ عَلَيْكُمْ سَمْعُكُمْ وَلاَ أَبْصَارُكُمْ وَلاَ جُلُودُكُمْ) الآيَةَ .
হাদীস নং: ৬৭৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৫-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭৩। আবু বকর খাল্লাদ বাহিলী (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، ح

وَقَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بِنَحْوِهِ .
হাদীস নং: ৬৭৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৬-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭৪। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আল-আনবারী (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওহুদ যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বের হলেন। তখন কিছু লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গ ত্যাগ করে চলে এলো। তাদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবাগণ দু’দলে বিভক্ত হয়ে পড়লো। কেউ বললো, আমরা তাদের হত্যা করে ফেলবো, আর কেউ বললো, না (আমরা তাদের হত্যা করব না)। তখন নাযিল হল, “তোমাদের কি হলো, তোমরা মুনাফিকদের সম্বন্ধে দু’দল হয়ে গেলে, যখন আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের জন্য পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তোমরা কি তাকে সৎ পথে পরিচালিত করতে চাও এবং আল্লাহ কাউকে পথভ্রষ্ট করলে তুমি তার জন্য কখনো কোন পথ পাবে না।”
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، - وَهُوَ ابْنُ ثَابِتٍ - قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ إِلَى أُحُدٍ فَرَجَعَ نَاسٌ مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ فَكَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيهِمْ فِرْقَتَيْنِ قَالَ بَعْضُهُمْ نَقْتُلُهُمْ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ . فَنَزَلَتْ ( فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ)
হাদীস নং: ৬৭৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৬-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭৫। যুহাইর ইবনে হারব ও আবু বকর ইবনে নাফি (রাহঃ) ......... শু’বা (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৭৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৭
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭৬। হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানী ও মুহাম্মাদ ইবনে সাহল তামীমী (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় কতিপয় মুনাফিক ব্যক্তির অভ্যাস এই ছিল যে, নবী (ﷺ) যখন যু্দ্ধের জন্যে বের তখন তারা পশ্চাতে থাকতো এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিরুদ্ধাচরণ করে বসে থাকাতেই তারা আনন্দ লাভ করতো। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যাগমন করলে তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে ওজুহাত পেশ করতো, শপথ করতো এবং আশা করতো যেন তারা যা করেনি এমন কার্যের প্রশংসা করা হয়। তখন নাযিল হলঃ ″যারা নিজেরা যা করেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং যা নিজেরা করেনি এমন কাজের জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে আপনি কখনো এরূপ মনে করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে মর্মান্তিক শাস্তি।″
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي، مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، الْخُدْرِيِّ أَنَّ رِجَالاً، مِنَ الْمُنَافِقِينَ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانُوا إِذَا خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْغَزْوِ تَخَلَّفُوا عَنْهُ وَفَرِحُوا بِمَقْعَدِهِمْ خِلاَفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اعْتَذَرُوا إِلَيْهِ وَحَلَفُوا وَأَحَبُّوا أَنْ يُحْمَدُوا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا فَنَزَلَتْ ( لاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَفْرَحُونَ بِمَا أَتَوْا وَيُحِبُّونَ أَنْ يُحْمَدُوا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا فَلاَ تَحْسَبَنَّهُمْ بِمَفَازَةٍ مِنَ الْعَذَابِ)
হাদীস নং: ৬৭৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৮
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭৭। যুহাইর ইবনে হারব ও হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মারওয়ান তার দারোয়ান রাফিকে বললেন, তুমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট যাও এবং বল, কেউ নিজে যা করেছে তাতে আনন্দিত হওয়া এবং যা করেনি তাতে প্রশংসিত হতে চেয়ে আমাদের কেউ যদি শাস্তি পায় তবে আমরা সকলেই শাস্তি পাব। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, এ আয়াতের সাথে তোমাদের কি সম্পর্ক? এ আয়াত তো আহলে কিতাব সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। তারপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এ আয়াত পাঠ করলেন ″স্মরণ কর, যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল আল্লাহ তাদের থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছিলেন, তোমরা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে প্রকাশ করবে এবং তা গোপন করবে না।″ এরপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) পাঠ করলেন, তিনি যা দিয়েছেন তাকে যারা অগ্রাহ্য করে ও তুচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে; সুতরাং তারা যা ক্রয় করে তা কত নিকৃষ্ট।

অতঃপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) পাঠ করলেন, ‘যারা নিজেরা যা করেছে তাতে আনন্দ প্রকাশ করে এবং যা নিজেরা করে নাই তার জন্য প্রশংসিত হতে ভালবাসে, তারা শাস্তি হতে মুক্তি পাবে, এরূপ আপনি কখনো মনে করবেন না। তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে।

অতঃপর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, কিতাবীদেরকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার পর তারা তা গোপন করে এবং পরিবর্তে তারা তাঁকে অন্য কথা বলে দিল। এরপর তারা এমন ভান করে বের হল যে, জিজ্ঞাসিত বিষয়ের যথাযথ উত্তর তারা নবী (ﷺ) কে প্রদান করেছেন এ কারণে তারা নবী (ﷺ) এর নিকট প্রশংসা কামনা করল এবং জিজ্ঞাসিত বিষয়টি গোপন করার মাধ্যমে তারা যে কাজ আঞ্জাম দিয়েছে এতে খুবই আনন্দিত হল। (এদের সম্পর্কেই আল্লাহ তাআলা মর্মন্তুদ শাস্তির কথা ঘোষণা দিয়েছেন।
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ، بْنُ مُحَمَّدٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ مَرْوَانَ قَالَ اذْهَبْ يَا رَافِعُ - لِبَوَّابِهِ - إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْ لَئِنْ كَانَ كُلُّ امْرِئٍ مِنَّا فَرِحَ بِمَا أَتَى وَأَحَبَّ أَنْ يُحْمَدَ بِمَا لَمْ يَفْعَلْ مُعَذَّبًا لَنُعَذَّبَنَّ أَجْمَعُونَ . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَا لَكُمْ وَلِهَذِهِ الآيَةِ إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي أَهْلِ الْكِتَابِ . ثُمَّ تَلاَ ابْنُ عَبَّاسٍ ( وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلاَ تَكْتُمُونَهُ) هَذِهِ الآيَةَ وَتَلاَ ابْنُ عَبَّاسٍ ( لاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَفْرَحُونَ بِمَا أَتَوْا وَيُحِبُّونَ أَنْ يُحْمَدُوا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا) وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَأَلَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ شَىْءٍ فَكَتَمُوهُ إِيَّاهُ وَأَخْبَرُوهُ بِغَيْرِهِ فَخَرَجُوا قَدْ أَرَوْهُ أَنْ قَدْ أَخْبَرُوهُ بِمَا سَأَلَهُمْ عَنْهُ وَاسْتَحْمَدُوا بِذَلِكَ إِلَيْهِ وَفَرِحُوا بِمَا أَتَوْا مِنْ كِتْمَانِهِمْ إِيَّاهُ مَا سَأَلَهُمْ عَنْهُ .
হাদীস নং: ৬৭৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৯-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আম্মার (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আলী (রাযিঃ) এর বিষয়টিতে আপনারা যে পন্থা অবলম্বন করলেন, একি আপনাদের (নিজস্ব) রায় না এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাকে কোন নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সর্ব সাধারণকে যে কথা বলেননি, এমন কোন কথা তিনি আমাকে বলে যাননি। তবে হুযাইফা (রাযিঃ) আমাকে বলেছেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমার সাহাবাদের মধ্যে বারজন মুনাফিক লোক আছে। এদের আটজন জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না; যতক্ষণ না সূচের ছিদ্রপথে উট প্রবেশ করে। ’দুবায়লা’ (আগুনের পলিতা) আট ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট হবে। আসওয়াদ (রাহঃ) বলেন, অবশিষ্ট চার ব্যক্তি সম্বন্ধে শু’বা কি বলেছেন, আমার তা মনে নেই।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَمَّارٍ أَرَأَيْتُمْ صَنِيعَكُمْ هَذَا الَّذِي صَنَعْتُمْ فِي أَمْرِ عَلِيٍّ أَرَأْيًا رَأَيْتُمُوهُ أَوْ شَيْئًا عَهِدَهُ إِلَيْكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا عَهِدَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا لَمْ يَعْهَدْهُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً وَلَكِنْ حُذَيْفَةُ أَخْبَرَنِي عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " فِي أَصْحَابِي اثْنَا عَشَرَ مُنَافِقًا فِيهِمْ ثَمَانِيَةٌ لاَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ ثَمَانِيَةٌ مِنْهُمْ تَكْفِيكَهُمُ الدُّبَيْلَةُ وَأَرْبَعَةٌ " . لَمْ أَحْفَظْ مَا قَالَ شُعْبَةُ فِيهِمْ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৭৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৯-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৭৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না এবং মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... কায়স ইবনে উবাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আম্মার (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাদের এ লড়াই সম্পর্কে বলুন তো, তা কি আপনাদের (নিজস্ব) মতের ভিত্তিতে? তবে মত তো ভুলও হতে পারে, ঠিকও হতে পারে। অথবা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ ব্যাপারে বিশেষভাবে আপনাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সর্বসাধারণকে যে নির্দেশ দেননি, এমন কিছু তিনি বিশেষভাবে আমাদেরও দেন নি। তিনি বলেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে ......। বর্ণনাকারী শু’বা (রাহঃ) বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে বারজন মুনাফিক হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না, যতক্ষণ না সূঁচের ছিদ্রপথে উট প্রবেশ করবে। তাদের মধ্যে আট জনের (ধ্বংসের) জন্য “দুবায়লা” যথেষ্ট হবে। “দুবায়লা” হল আগুনের পলিতা, যা কাঁধের মধ্যে প্রকাশ পেয়ে বুকে ভেদ করে বের হবে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ قُلْنَا لِعَمَّارٍ أَرَأَيْتَ قِتَالَكُمْ أَرَأْيًا رَأَيْتُمُوهُ فَإِنَّ الرَّأْىَ يُخْطِئُ وَيُصِيبُ أَوْ عَهْدًا عَهِدَهُ إِلَيْكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا عَهِدَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا لَمْ يَعْهَدْهُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً . وَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي أُمَّتِي " . قَالَ شُعْبَةُ وَأَحْسِبُهُ قَالَ حَدَّثَنِي حُذَيْفَةُ . وَقَالَ غُنْدَرٌ أُرَاهُ قَالَ " فِي أُمَّتِي اثْنَا عَشَرَ مُنَافِقًا لاَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلاَ يَجِدُونَ رِيحَهَا حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ ثَمَانِيَةٌ مِنْهُمْ تَكْفِيكَهُمُ الدُّبَيْلَةُ سِرَاجٌ مِنَ النَّارِ يَظْهَرُ فِي أَكْتَافِهِمْ حَتَّى يَنْجُمَ مِنْ صُدُورِهِمْ " .
হাদীস নং: ৬৭৮০
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৭৯-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৮০। যুহারয়র ইবনে হাবর (রাহঃ) ......... আবু তুফায়ল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আকাবায় উপস্থীত এক জন ও হুযাইফা (রাযিঃ) এর মধ্যে মানুষের মাঝে যেমন মনোমালিন্য হয়ে থাকে তেমন কিছু ছিল। সে তাকে প্রশ্ন করলো, তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, বল, আকাবায় উপস্থিত লোকদের সংখ্যা কত ছিল? হুযাইফা (রাযিঃ) কে লোকেরা বলল, সে যেহেতু জিজ্ঞাসা করেছে, তাই আপনি বলে দিন। তিনি বললেন, আমাদের অবহিত করা হয়েছে যে, তাদের সংখ্যা ছিল চৌদ্দ। আর যদি তুমিও তাদের মধ্যে হয়ে থাক, তবে তাদের সংখ্যা হবে পনের। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি যে, এদের বারজন পার্থিব জীবনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং যেদিন সাক্ষীগণ দাঁড়াবে সেদিনও। বার জন ওযর পেশ করে বলেছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আহবানকারীর আওয়াজ আমরা শুনিনি এবং কওমের লোকদের প্রয়াসও আমাদের জানা ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রস্তরময় ময়দানে ছিলেন। অতঃপর তিনি সেখান থেকে এগিয়ে চললেন এবং বললেন, (আমাদের গন্তব্যস্থলের) পানি অতি সামান্য। কেউ আমার আগে সেখানে যাবে না। কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে দেখলেন যে, কতিপয় লোক তার আগেই চলে এসেছে। সেদিন তিনি তাদের প্রতি অভিসম্পাত করলেন।
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ جُمَيْعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الطُّفَيْلِ، قَالَ كَانَ بَيْنَ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْعَقَبَةِ وَبَيْنَ حُذَيْفَةَ بَعْضُ مَا يَكُونُ بَيْنَ النَّاسِ فَقَالَ أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ كَمْ كَانَ أَصْحَابُ الْعَقَبَةِ قَالَ فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ أَخْبِرْهُ إِذْ سَأَلَكَ قَالَ كُنَّا نُخْبَرُ أَنَّهُمْ أَرْبَعَةَ عَشَرَ فَإِنْ كُنْتَ مِنْهُمْ فَقَدْ كَانَ الْقَوْمُ خَمْسَةَ عَشَرَ وَأَشْهَدُ بِاللَّهِ أَنَّ اثْنَىْ عَشَرَ مِنْهُمْ حَرْبٌ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الأَشْهَادُ وَعَذَرَ ثَلاَثَةً قَالُوا مَا سَمِعْنَا مُنَادِيَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ عَلِمْنَا بِمَا أَرَادَ الْقَوْمُ . وَقَدْ كَانَ فِي حَرَّةٍ فَمَشَى فَقَالَ " إِنَّ الْمَاءَ قَلِيلٌ فَلاَ يَسْبِقُنِي إِلَيْهِ أَحَدٌ " . فَوَجَدَ قَوْمًا قَدْ سَبَقُوهُ فَلَعَنَهُمْ يَوْمَئِذٍ .
হাদীস নং: ৬৭৮১
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৮০-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৮১। উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয আনবারী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মুরার ঘাঁটিতে কে আরোহণ করবে? যে আরোহণ করবে, তার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে, যেমন বনী ইসরাঈলকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছিল। জাবির (রাযিঃ) বলেন, প্রথমে ঐ ঘাঁটিতে আরোহণ করলো আমাদের বনী খাযরাজের ঘোড়াগুলি। তারপর লোকেরা পিছনে আসল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের সকলকেই ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে, লাল উটের মালিক ব্যতীত। তখন আমরা ঐ লোকটির নিকট গিয়ে বললাম, এস, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। সে বললো, আমি যদি আমার হারানো উটটি পেয়ে যাই তবে অবশ্য আমার জন্য তোমাদের সঙ্গীর দুআর থেকে শ্রেয়। জাবির (রাযিঃ) বলেন, এ লোকটি তার হারানো উট তালাশে ছিল।
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ يَصْعَدُ الثَّنِيَّةَ ثَنِيَّةَ الْمُرَارِ فَإِنَّهُ يُحَطُّ عَنْهُ مَا حُطَّ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ " . قَالَ فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ صَعِدَهَا خَيْلُنَا خَيْلُ بَنِي الْخَزْرَجِ ثُمَّ تَتَامَّ النَّاسُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَكُلُّكُمْ مَغْفُورٌ لَهُ إِلاَّ صَاحِبَ الْجَمَلِ الأَحْمَرِ " . فَأَتَيْنَاهُ فَقُلْنَا لَهُ تَعَالَ يَسْتَغْفِرْ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ وَاللَّهِ لأَنْ أَجِدَ ضَالَّتِي أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لِي صَاحِبُكُمْ . قَالَ وَكَانَ رَجُلٌ يَنْشُدُ ضَالَّةً لَهُ .
হাদীস নং: ৬৭৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৮০-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৮২। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব হারিসী (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ মুরার ঘাঁটিতে কে আরোহণ করবে? ...... পরবর্তী অংশ মুআযের হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে অতিরিক্ত রয়েছে যে, তখন তিনি এক বেদুঈনকে দেখলেন, সে তার হারানো উট সন্ধান করছিল।
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ يَصْعَدُ ثَنِيَّةَ الْمُرَارِ أَوِ الْمَرَارِ " . بِمِثْلِ حَدِيثِ مُعَاذٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَإِذَا هُوَ أَعْرَابِيٌّ جَاءَ يَنْشُدُ ضَالَّةً لَهُ .
হাদীস নং: ৬৭৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৮১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৮৩। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী নাজ্জারের এক ব্যক্তি আমাদের মাঝে ছিল। সে সূরা বাকারা এবং সূরা আলে-ইমরান পড়েছিল। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর লেখার দায়িত্ব পালন করতো। পরে পালিয়ে সে কিতাবীদের সাথে মিলে যায়। রাবী বলেন, তারা তাকে খুব সম্মান করল এবং বললো, এ লোকটি মুহাম্মাদ (ﷺ) এর কাতিব ছিল। এতে তারা খুবই আনন্দিত হলো। তারপর বিলম্ব হয়নি, আল্লাহ তাআলা তাদের মধ্যেই তাকে ধ্বংস করে দিলেন। এরপর তারা তার জন্য গর্ত করে তাকে তাকে পুঁতে দিল। সকালে দেখা গেল যে, যমীন তার লাশ মাটির উপরে নিক্ষেপ করেছে। এরপর আবার তারা গর্ত করে তাকে পুঁতে দিল। সকালে এবার দেখা গেল যে, যমীন তার লাশ মাটির উপর নিক্ষেপ করেছে। তারপর আবার তারা তার জন্য গর্ত করে তাকে তাতে গেড়ে রাখলো। সকালে দেখা গেল, এবারও যমীন তার লাশ মাটির উপর ছুঁড়ে দিয়েছে। কাজেই তারা তাকে নিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছেড়ে দিল।
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - وَهُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ مِنَّا رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ قَدْ قَرَأَ الْبَقَرَةَ وَآلَ عِمْرَانَ وَكَانَ يَكْتُبُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقَ هَارِبًا حَتَّى لَحِقَ بِأَهْلِ الْكِتَابِ - قَالَ - فَرَفَعُوهُ قَالُوا هَذَا قَدْ كَانَ يَكْتُبُ لِمُحَمَّدٍ فَأُعْجِبُوا بِهِ فَمَا لَبِثَ أَنْ قَصَمَ اللَّهُ عُنُقَهُ فِيهِمْ فَحَفَرُوا لَهُ فَوَارَوْهُ فَأَصْبَحَتِ الأَرْضُ قَدْ نَبَذَتْهُ عَلَى وَجْهِهَا ثُمَّ عَادُوا فَحَفَرُوا لَهُ فَوَارَوْهُ فَأَصْبَحَتِ الأَرْضُ قَدْ نَبَذَتْهُ عَلَى وَجْهِهَا ثُمَّ عَادُوا فَحَفَرُوا لَهُ فَوَارَوْهُ فَأَصْبَحَتِ الأَرْضُ قَدْ نَبَذَتْهُ عَلَى وَجْهِهَا فَتَرَكُوهُ مَنْبُوذًا .
হাদীস নং: ৬৭৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৮২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৮৪। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক সফর হতে প্রত্যাগমন করে মদীনার নিকটবর্তী স্থানে পৌছলে এমনভাবে প্রবল বায়ু প্রবাহিত হয় যে, মনে হচ্ছিল যেন আরোহীকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কোন মুনাফিকের মৃত্যুর কারণে এ বাতাস প্রবাহিত হয়েছে যখন তিনি মদীনায় পৌছলেন, তখন দেখা গেল, এক বড় মুনাফিকের মৃত্যু হয়েছে।
حَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا حَفْصٌ، - يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ فَلَمَّا كَانَ قُرْبَ الْمَدِينَةِ هَاجَتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ تَكَادُ أَنْ تَدْفِنَ الرَّاكِبَ فَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " بُعِثَتْ هَذِهِ الرِّيحُ لِمَوْتِ مُنَافِقٍ " . فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَإِذَا مُنَافِقٌ عَظِيمٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ قَدْ مَاتَ .
হাদীস নং: ৬৭৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৮৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৮৫। আব্বাস ইবনে আব্দুল আযীম আনবারী আয়াস (রাহঃ) ......... আয়স (রাহঃ) বলেন যে, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে দেখতে গেলাম। আমি আমার হাত তার শরীরে রেখে বললাম, কসম! আজকের মত এমন তাপমাত্রা আমি আর কোন ব্যক্তির দেখিনি। এ কথা শুনে নবী (ﷺ) বললেনঃ কিয়ামতের দিন এর থেকেও অধিক তাপমাত্রা সম্পন্ন ব্যক্তিটির সংবাদ আমি কি তোমাদের দিব না? তারা ঐ সওয়ার ব্যক্তি যারা ঘাড় ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। একথা তিনি বললেন, সে সময়কার তাঁর সঙ্গীদের মধ্য থেকে দুইজনের প্রতি লক্ষ্য করে।
حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ، مُوسَى الْيَمَامِيُّ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنَا إِيَاسٌ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، عُدْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مَوْعُوكًا - قَالَ - فَوَضَعْتُ يَدِي عَلَيْهِ فَقُلْتُ وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ رَجُلاً أَشَدَّ حَرًّا . فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَشَدَّ حَرًّا مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ هَذَيْنِكَ الرَّجُلَيْنِ الرَّاكِبَيْنِ الْمُقَفِّيَيْنِ " . لِرَجُلَيْنِ حِينَئِذٍ مِنْ أَصْحَابِهِ .
হাদীস নং: ৬৭৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৮৪-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৬৭৮৬। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেনঃ মুনাফিকের উপমা ঐ বকরীর ন্যায়, যা দুই পালের মাঝে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরতে থাকে। একবার এ দিকে আবার ঐ দিকে।
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، - يَعْنِي الثَّقَفِيَّ - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَثَلُ الْمُنَافِقِ كَمَثَلِ الشَّاةِ الْعَائِرَةِ بَيْنَ الْغَنَمَيْنِ تَعِيرُ إِلَى هَذِهِ مَرَّةً وَإِلَى هَذِهِ مَرَّةً " .