আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫১- যিকর, দুআ, তাওবা ও ইসতিগফারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৬৭৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৩-১
৩৪. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় পুণ্য পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪)
৬৭৪৫। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও আবু কামিল ফুযায়ল ইবনে হুসাইন জাহদারী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি এক স্ত্রীলোককে চুম্বন করে ফেলে। এরপর সে নবী (ﷺ) এর নিকট এসে এ কথা উল্লেখ করল। রাবী বলেন, তখন নাযিল হলঃ ″নামায কায়িম করবে দিবসের দুই প্রান্তে রজনীর কিছু অংশে। সৎকর্ম অবশ্যই অসৎকর্ম মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে ইহা তাদের জন্য এক উপদেশ।″ বর্ণণীকারী বলেন, তারপর লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ হুকুম কি একমাত্র আমার জন্য? তিনি বললেনঃ আমার উম্মতের যে কেউ আমল করবে তার জন্যও।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ}
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ كِلاَهُمَا عَنْ يَزِيدَ، بْنِ زُرَيْعٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ - حَدَّثَنَا يَزِيدُ، حَدَّثَنَا التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَجُلاً، أَصَابَ مِنِ امْرَأَةٍ قُبْلَةً فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ - قَالَ - فَنَزَلَتْ ( أَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ) قَالَ فَقَالَ الرَّجُلُ أَلِيَ هَذِهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " لِمَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ أُمَّتِي " .
হাদীস নং: ৬৭৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৩-২
৩৪. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় পুণ্য পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪)
৬৭৪৬। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) ......... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বললো, সে এক মহিলাকে চুমু দিয়েছে বা হস্ত দ্বারা স্পর্শ করেছে অথবা তেমন কিছু করেছে। এ বলে সে এর কাফফারা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে জানতে চাইছে। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত আয়াত নাযিল করলেন। পরবর্তী অংশ ইয়াযীদের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ}
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنِ ابْنِ، مَسْعُودٍ أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَنَّهُ أَصَابَ مِنِ امْرَأَةٍ إِمَّا قُبْلَةً أَوْ مَسًّا بِيَدٍ أَوْ شَيْئًا كَأَنَّهُ يَسْأَلُ عَنْ كَفَّارَتِهَا - قَالَ - فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ . ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يَزِيدَ .
হাদীস নং: ৬৭৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৩-৩
৩৪. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় পুণ্য পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪)
৬৭৪৭। উসমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... সুলাইমান তায়মী (রাহঃ) এর সূত্রে উক্ত সনদে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া ব্যতীত এক স্ত্রীলোকের সাথে কিছু অসৌজন্যমূলক আচরণ করল। তারপর সে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর নিকট আসল। উমর (রাযিঃ) তার এ কাজটিকে গুরুতর অপরাধ মনে করলেন। এরপর সে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) এর নিকট আসল। তিনিও এ কাজটিকে গুরুতর অপরাধ মনে করলেন। অবশেষে সে নবী (ﷺ) এর নিকট আসল। তারপর বর্ণনাকারী হাদীসটি ইয়াযীদ এবং মু’তামির (রাযিঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ}
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ أَصَابَ رَجُلٌ مِنِ امْرَأَةٍ شَيْئًا دُونَ الْفَاحِشَةِ فَأَتَى عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَعَظَّمَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَتَى أَبَا بَكْرٍ فَعَظَّمَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يَزِيدَ وَالْمُعْتَمِرِ .
হাদীস নং: ৬৭৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৩-৪
৩৪. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় পুণ্য পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪)
৬৭৪৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মদীনার এক প্রান্তে এক স্ত্রীলোককে আমি উপভোগ করেছি। সহবাস ব্যতিরেকে তার সাথে আমি মিলিত হয়েছি। আমিই সেই ব্যক্তি। আপনি আমার সম্পর্কে আপনার যা ইচ্ছা ফয়সালা দিন। তখন উমর (রাযিঃ) তাকে বললেনঃ আল্লাহ তোমার অপরাধ গোপন রেখেছেন। তুমিও যদি তোমার নিজের ব্যাপারটি গোপন রাখতে! বর্ণনাকারী বলেন, কিন্তু নবী (ﷺ) তাকে আর কোন উত্তর দেন নি। তারপর লোকটি উঠে যেতে লাগল। তখন নবী (ﷺ) এক ব্যক্তিকে তার পশ্চাতে পাঠালেন। সে তাকে ডেকে আনল। তিনি তার সামনে এ আয়াত পাঠ করলেনঃ “নামায কায়িম করবে দিবসের দুই প্রান্তে এবং রজনীর কিছু অংশে। সৎকর্ম নিশ্চয়ই অসৎকর্মকে মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, এ হল তাদের জন্য এক উপদেশ।” তখন লোকদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর নবী! এ হুকুম কি তার জন্য খাস? উত্তরে তিনি বললেনঃ না, বরং সমস্ত মানুষের জন্যই এ হুকুম প্রযোজ্য।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ}
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي عَالَجْتُ امْرَأَةً فِي أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَإِنِّي أَصَبْتُ مِنْهَا مَا دُونَ أَنْ أَمَسَّهَا فَأَنَا هَذَا فَاقْضِ فِيَّ مَا شِئْتَ . فَقَالَ لَهُ عُمَرُ لَقَدْ سَتَرَكَ اللَّهُ لَوْ سَتَرْتَ نَفْسَكَ - قَالَ - فَلَمْ يَرُدَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا فَقَامَ الرَّجُلُ فَانْطَلَقَ فَأَتْبَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً دَعَاهُ وَتَلاَ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةَ ( أَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ) فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ هَذَا لَهُ خَاصَّةً قَالَ " بَلْ لِلنَّاسِ كَافَّةً " .
হাদীস নং: ৬৭৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৩-৫
৩৪. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় পুণ্য পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪)
৬৭৪৯। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (ﷺ) থেকে আবুল আহওয়াসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসের মধ্যে আছে, তখন মুআয (রাযিঃ) প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ হুকুম কি শুধু তার জন্য, না আমাদের সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য? উত্তরে তিনি বললেনঃ না, বরং তোমাদের সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ}
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ، يُحَدِّثُ عَنْ خَالِهِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ وَقَالَ فِي حَدِيثِهِ فَقَالَ مُعَاذٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا لِهَذَا خَاصَّةً أَوْ لَنَا عَامَّةً قَالَ " بَلْ لَكُمْ عَامَّةً " .
হাদীস নং: ৬৭৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৪
৩৪. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় পুণ্য পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪)
৬৭৫০। হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি হদ্দ কায়িম হওয়ার যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার উপর তো কায়িম করুন। রাবী বলেন, তখন নামাযের ওয়াক্ত হল এবং লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে নামায আদায় করল। নামায আদায় হয়ে গেলে লোকটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার উপর হদ্দ কায়েম হওয়ার মত অপরাধ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আল কুরআনের বিধান অনুসারে আমার উপর শাস্তি কায়িম করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কি আমাদের সঙ্গে নামাযে ছিলে? লোকটি বলল, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাকে ক্ষমা করা হয়েছে।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ}
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ إِسْحَاقَ، بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْهُ عَلَىَّ - قَالَ - وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْ فِيَّ كِتَابَ اللَّهِ . قَالَ " هَلْ حَضَرْتَ الصَّلاَةَ مَعَنَا " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ " قَدْ غُفِرَ لَكَ " .
হাদীস নং: ৬৭৫১
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৫
৩৪. আল্লাহ তাআলার বাণীঃ নিশ্চয় পুণ্য পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। (সূরা হুদঃ ১১৪)
৬৭৫১। নসর ইবনে আলী জাহযামী ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন এবং আমরা তাঁর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! হদ্দ প্রযোজ্য হওয়ার অপরাধ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার উপর হদ্দ বাস্তবায়িত করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চুপ করে রইলেন। সে পুনরায় বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার দ্বারা হদ্দ প্রযোজ্য হওয়ার মত অপরাধ হয়ে গেছে। সুতরাং আপনি আমার উপর হদ্দ বাস্তবায়িত করুন। এবারও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চুপ করে রইলেন। লোকটি তৃতীয়বার অনুরূপ বলল। এমতাবস্থায় নামায শুরু হল।
আল্লাহর নবী (ﷺ) যখন নামায সমাপ্ত করলেন, রাবী আবু উমামা (রাযিঃ) বলেন, নামায শেষে লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুসরণ করতে লাগল। [আবু উমামা (রাযিঃ)] বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকটিকে কি উত্তর দেন তা দেখার জন্য আমিও তাঁর অনুসরণ করলাম। এরপর প্রশ্নকারী লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে আবার বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আমার উপর হদ্দ হওয়ার মত অপরাধ করে ফেলেছি। সুতরাং আমার উপর বাস্তবায়িত করুন।
আবু উমামা (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তুমি কি উত্তমরূপে উযু করো নি? সে বলল, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি আমাদের সঙ্গে নামায আদায় করো নি? সে বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমার হদ্দ ক্ষমা করে দিয়েছেন, অথবা বললেনঃ তিনি তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।
আল্লাহর নবী (ﷺ) যখন নামায সমাপ্ত করলেন, রাবী আবু উমামা (রাযিঃ) বলেন, নামায শেষে লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুসরণ করতে লাগল। [আবু উমামা (রাযিঃ)] বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকটিকে কি উত্তর দেন তা দেখার জন্য আমিও তাঁর অনুসরণ করলাম। এরপর প্রশ্নকারী লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে আবার বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আমার উপর হদ্দ হওয়ার মত অপরাধ করে ফেলেছি। সুতরাং আমার উপর বাস্তবায়িত করুন।
আবু উমামা (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় তুমি কি উত্তমরূপে উযু করো নি? সে বলল, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি আমাদের সঙ্গে নামায আদায় করো নি? সে বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমার হদ্দ ক্ষমা করে দিয়েছেন, অথবা বললেনঃ তিনি তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।
باب قَوْلِهِ تَعَالَى { إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ}
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شَدَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو أُمَامَةَ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ وَنَحْنُ قُعُودٌ مَعَهُ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْهُ عَلَىَّ . فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَعَادَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْهُ عَلَىَّ . فَسَكَتَ عَنْهُ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَلَمَّا انْصَرَفَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو أُمَامَةَ فَاتَّبَعَ الرَّجُلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ انْصَرَفَ وَاتَّبَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْظُرُ مَا يَرُدُّ عَلَى الرَّجُلِ فَلَحِقَ الرَّجُلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حَدًّا فَأَقِمْهُ عَلَىَّ - قَالَ أَبُو أُمَامَةَ - فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرَأَيْتَ حِينَ خَرَجْتَ مِنْ بَيْتِكَ أَلَيْسَ قَدْ تَوَضَّأْتَ فَأَحْسَنْتَ الْوُضُوءَ " . قَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " ثُمَّ شَهِدْتَ الصَّلاَةَ مَعَنَا " . فَقَالَ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ غَفَرَ لَكَ حَدَّكَ - أَوْ قَالَ - ذَنْبَكَ " .