আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৫১- যিকর, দুআ, তাওবা ও ইসতিগফারের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৬৬৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪৩-১
২৭. গুহাবাসী তিন ব্যক্তির কিসসা এবং নেক আমলের ওসীলা দিয়ে দুআ করা
৬৬৯৮। মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক মুসায়্যাবী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা তিন ব্যক্তি পথে হেঁটে চলছিল। পথে তাদের উপর বৃষ্টি নামল। তখন তারা একটি পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। তখন পর্বতগাত্র থেকে একটি পাথর খণ্ড খসে তাদের গুহার মুখে গড়িয়ে পড়ল। ফলে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তখন তারা একে অপরকে বলতে লাগল, আপন আপন নেক আমলের প্রতি লক্ষ্য কর, যা তোমরা আল্লাহর (সন্তুষ্টি লাভের) জন্য করেছ এবং সেই নেক আমলের ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দুআ করতে থাক। আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা তোমাদের থেকে পাথরটি সরিয়ে দিবেন।
তখন তাদের একজন বলল, হে আল্লাহ! আমার পিতামাতা ছিলেন অতিশয়র বৃদ্ধ। আমার একজন স্ত্রী ও ছোট ছোট সন্তানাদি ছিল। আমি তাদের (জীবিকার) জন্য বকরী মাঠে চরাতাম। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে এসে আমি সেগুলোর দুধ দোহন করতাম এবং আমি আমার পুত্র কন্যাদের আগে প্রথমেই আমার পিতামাতাকে দুধ পান করাতাম। একদিন একটি গাছ আমাকে দুরে নিয়ে গেল (অর্থাৎ চারণভূমি দুরে ছিল)। এতে আমার ফিরতে রাত হয়ে গেল। আমি তাদের (পিতামাতা) উভয়কে ঘুমন্ত অবস্থায় পেলাম। এরপর আমি পূর্বের মতই দুধ দোহন করলাম। আমি দুধ নিয়ে আমার পিতামাতার মাথার কাছে দাড়িয়ে রইলাম এবং তাদের নিদ্রা ভঙ্গ করা পছন্দ করলাম না এবং তাদের আগে সন্তানদের দুধ পান করানোও পছন্দ করলাম না। তখন আমার সন্তানরা পিপাসায় আমার দুই পায়ের কাছে কাতরাচ্ছিল। তাদের ও আমার এই অবস্থা চলল। অবশেষে ভোর হয়ে গেল। যদি আপনি জানেন যে, আমি এই কাজ আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করেছি, তাহলে আমাদের জন্য এতে পাথরে একটা ফোঁকড় করে দিন, যদ্বারা আমরা আসমান দেখতে পাই। তখন আল্লাহ তাআলা তাতে একটু ফাঁক করে দিলেন। তা দিয়ে তারা আসমান দেখতে পেল।
আরেক জন বলল, হে আল্লাহ! আমার ঘটনা এই, আমার এক চাচাতো বোন ছিল। পুরুষ যেভাবে নারীকে প্রচণ্ডরূপে ভালবাসে আমি তাকে তেমন ভালবাসতাম। আমি তাকে একান্ত কাছে পেতে চাইলাম। সে তাতে অস্বীকৃতি জানাল এবং একশ দীনার বায়না ধরল। আমি চেষ্টা করে একশ দীনার সঞ্চয় করলাম। এরপর সেগুলো নিয়ে তার কাছে গেলাম। যখন আমি তার দুই পায়ের মাঝখানে বসলাম, তখন সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর। অন্যায়ভাবে ছিপি খুলো না (কুমারিত্ব নষ্ট করো না)। একথা শুনে আমি তার উপর থেকে উঠে দাঁড়ালাম। আপনি যদি জানেন যে, একমাত্র আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই আমি এ কাজ করেছি তাহলে আমাদের জন্য একটি ফোঁকড় করে দিন। তখন তিনি তাদের জন্য আরেকটু ফাঁক করে দিলেন।
অপর ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমি এক ফারাক চালের (শস্যের) একজন মজুর নিয়োগ করেছিলাম। সে তার কাজ সমাধা করে তার প্রাপ্য মজুরী দাবী করল। আমি এক ফারাক (শস্য) তার সামনে পেশ করলাম। কিন্তু সে তা নিল না। আমি সে শস্য যমীনে চাষ করতে থাকলাম। পরিশেষে তা দিয়ে গরু-বকরী ও রাখাল সংগ্রহ করলাম। পরে সে আমার কাছে আসল এবং বলল, আল্লাহকে ভয় কর। আর আমার প্রাপ্য পরিশোধের ব্যাপারে আমার উপর যুলুম করো না। আমি বললাম, তুমি এই গরু ও রাখালের কাছে গিয়ে সেগুলো নিয়ে যাও। তখন সে বলল, তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার সঙ্গে ঠাট্রা-মশকরা করো না। আমি বললাম আমি তোমার সঙ্গে ঠাট্রা করছি না। ঐ গরু ও তার রাখালদের নিয়ে যাও। তখন সে তা নিয়ে চলে গেল। যদি আপনি জানেন যে, আমি এ কাজটি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করেছি তাহলে অবশিষ্ট অংশ খুলে দিন। তখন আল্লাহ তাআলা গুহা মুখের অবশিষ্ট অংশ খুলে দিলেন।
তখন তাদের একজন বলল, হে আল্লাহ! আমার পিতামাতা ছিলেন অতিশয়র বৃদ্ধ। আমার একজন স্ত্রী ও ছোট ছোট সন্তানাদি ছিল। আমি তাদের (জীবিকার) জন্য বকরী মাঠে চরাতাম। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে এসে আমি সেগুলোর দুধ দোহন করতাম এবং আমি আমার পুত্র কন্যাদের আগে প্রথমেই আমার পিতামাতাকে দুধ পান করাতাম। একদিন একটি গাছ আমাকে দুরে নিয়ে গেল (অর্থাৎ চারণভূমি দুরে ছিল)। এতে আমার ফিরতে রাত হয়ে গেল। আমি তাদের (পিতামাতা) উভয়কে ঘুমন্ত অবস্থায় পেলাম। এরপর আমি পূর্বের মতই দুধ দোহন করলাম। আমি দুধ নিয়ে আমার পিতামাতার মাথার কাছে দাড়িয়ে রইলাম এবং তাদের নিদ্রা ভঙ্গ করা পছন্দ করলাম না এবং তাদের আগে সন্তানদের দুধ পান করানোও পছন্দ করলাম না। তখন আমার সন্তানরা পিপাসায় আমার দুই পায়ের কাছে কাতরাচ্ছিল। তাদের ও আমার এই অবস্থা চলল। অবশেষে ভোর হয়ে গেল। যদি আপনি জানেন যে, আমি এই কাজ আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করেছি, তাহলে আমাদের জন্য এতে পাথরে একটা ফোঁকড় করে দিন, যদ্বারা আমরা আসমান দেখতে পাই। তখন আল্লাহ তাআলা তাতে একটু ফাঁক করে দিলেন। তা দিয়ে তারা আসমান দেখতে পেল।
আরেক জন বলল, হে আল্লাহ! আমার ঘটনা এই, আমার এক চাচাতো বোন ছিল। পুরুষ যেভাবে নারীকে প্রচণ্ডরূপে ভালবাসে আমি তাকে তেমন ভালবাসতাম। আমি তাকে একান্ত কাছে পেতে চাইলাম। সে তাতে অস্বীকৃতি জানাল এবং একশ দীনার বায়না ধরল। আমি চেষ্টা করে একশ দীনার সঞ্চয় করলাম। এরপর সেগুলো নিয়ে তার কাছে গেলাম। যখন আমি তার দুই পায়ের মাঝখানে বসলাম, তখন সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর। অন্যায়ভাবে ছিপি খুলো না (কুমারিত্ব নষ্ট করো না)। একথা শুনে আমি তার উপর থেকে উঠে দাঁড়ালাম। আপনি যদি জানেন যে, একমাত্র আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই আমি এ কাজ করেছি তাহলে আমাদের জন্য একটি ফোঁকড় করে দিন। তখন তিনি তাদের জন্য আরেকটু ফাঁক করে দিলেন।
অপর ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমি এক ফারাক চালের (শস্যের) একজন মজুর নিয়োগ করেছিলাম। সে তার কাজ সমাধা করে তার প্রাপ্য মজুরী দাবী করল। আমি এক ফারাক (শস্য) তার সামনে পেশ করলাম। কিন্তু সে তা নিল না। আমি সে শস্য যমীনে চাষ করতে থাকলাম। পরিশেষে তা দিয়ে গরু-বকরী ও রাখাল সংগ্রহ করলাম। পরে সে আমার কাছে আসল এবং বলল, আল্লাহকে ভয় কর। আর আমার প্রাপ্য পরিশোধের ব্যাপারে আমার উপর যুলুম করো না। আমি বললাম, তুমি এই গরু ও রাখালের কাছে গিয়ে সেগুলো নিয়ে যাও। তখন সে বলল, তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার সঙ্গে ঠাট্রা-মশকরা করো না। আমি বললাম আমি তোমার সঙ্গে ঠাট্রা করছি না। ঐ গরু ও তার রাখালদের নিয়ে যাও। তখন সে তা নিয়ে চলে গেল। যদি আপনি জানেন যে, আমি এ কাজটি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করেছি তাহলে অবশিষ্ট অংশ খুলে দিন। তখন আল্লাহ তাআলা গুহা মুখের অবশিষ্ট অংশ খুলে দিলেন।
باب قِصَّةِ أَصْحَابِ الْغَارِ الثَّلاَثَةِ وَالتَّوَسُّلِ بِصَالِحِ الأَعْمَالِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الْمُسَيَّبِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسٌ، - يَعْنِي ابْنَ عِيَاضٍ أَبَا ضَمْرَةَ - عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " بَيْنَمَا ثَلاَثَةُ نَفَرٍ يَتَمَشَّوْنَ أَخَذَهُمُ الْمَطَرُ فَأَوَوْا إِلَى غَارٍ فِي جَبَلٍ فَانْحَطَّتْ عَلَى فَمِ غَارِهِمْ صَخْرَةٌ مِنَ الْجَبَلِ فَانْطَبَقَتْ عَلَيْهِمْ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ انْظُرُوا أَعْمَالاً عَمِلْتُمُوهَا صَالِحَةً لِلَّهِ فَادْعُوا اللَّهَ تَعَالَى بِهَا لَعَلَّ اللَّهَ يَفْرُجُهَا عَنْكُمْ . فَقَالَ أَحَدُهُمُ اللَّهُمَّ إِنَّهُ كَانَ لِي وَالِدَانِ شَيْخَانِ كَبِيرَانِ وَامْرَأَتِي وَلِيَ صِبْيَةٌ صِغَارٌ أَرْعَى عَلَيْهِمْ فَإِذَا أَرَحْتُ عَلَيْهِمْ حَلَبْتُ فَبَدَأْتُ بِوَالِدَىَّ فَسَقَيْتُهُمَا قَبْلَ بَنِيَّ وَأَنَّهُ نَأَى بِي ذَاتَ يَوْمٍ الشَّجَرُ فَلَمْ آتِ حَتَّى أَمْسَيْتُ فَوَجَدْتُهُمَا قَدْ نَامَا فَحَلَبْتُ كَمَا كُنْتُ أَحْلُبُ فَجِئْتُ بِالْحِلاَبِ فَقُمْتُ عِنْدَ رُءُوسِهِمَا أَكْرَهُ أَنْ أُوقِظَهُمَا مِنْ نَوْمِهِمَا وَأَكْرَهُ أَنْ أَسْقِيَ الصِّبْيَةَ قَبْلَهُمَا وَالصِّبْيَةُ يَتَضَاغَوْنَ عِنْدَ قَدَمَىَّ فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبِي وَدَأْبَهُمْ حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ فَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ لَنَا مِنْهَا فُرْجَةً نَرَى مِنْهَا السَّمَاءَ . فَفَرَجَ اللَّهُ مِنْهَا فُرْجَةً فَرَأَوْا مِنْهَا السَّمَاءَ . وَقَالَ الآخَرُ اللَّهُمَّ إِنَّهُ كَانَتْ لِيَ ابْنَةُ عَمٍّ أَحْبَبْتُهَا كَأَشَدِّ مَا يُحِبُّ الرِّجَالُ النِّسَاءَ وَطَلَبْتُ إِلَيْهَا نَفْسَهَا فَأَبَتْ حَتَّى آتِيَهَا بِمِائَةِ دِينَارٍ فَتَعِبْتُ حَتَّى جَمَعْتُ مِائَةَ دِينَارٍ فَجِئْتُهَا بِهَا فَلَمَّا وَقَعْتُ بَيْنَ رِجْلَيْهَا قَالَتْ يَا عَبْدَ اللَّهِ اتَّقِ اللَّهَ وَلاَ تَفْتَحِ الْخَاتَمَ إِلاَّ بِحَقِّهِ . فَقُمْتُ عَنْهَا فَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ لَنَا مِنْهَا فُرْجَةً . فَفَرَجَ لَهُمْ . وَقَالَ الآخَرُ اللَّهُمَّ إِنِّي كُنْتُ اسْتَأْجَرْتُ أَجِيرًا بِفَرَقِ أَرُزٍّ فَلَمَّا قَضَى عَمَلَهُ قَالَ أَعْطِنِي حَقِّي . فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ فَرَقَهُ فَرَغِبَ عَنْهُ فَلَمْ أَزَلْ أَزْرَعُهُ حَتَّى جَمَعْتُ مِنْهُ بَقَرًا وَرِعَاءَهَا فَجَاءَنِي فَقَالَ اتَّقِ اللَّهَ وَلاَ تَظْلِمْنِي حَقِّي . قُلْتُ اذْهَبْ إِلَى تِلْكَ الْبَقَرِ وَرِعَائِهَا فَخُذْهَا . فَقَالَ اتَّقِ اللَّهَ وَلاَ تَسْتَهْزِئْ بِي . فَقُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْتَهْزِئُ بِكَ خُذْ ذَلِكَ الْبَقَرَ وَرِعَاءَهَا . فَأَخَذَهُ فَذَهَبَ بِهِ فَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ لَنَا مَا بَقِيَ . فَفَرَجَ اللَّهُ مَا بَقِيَ .
হাদীস নং: ৬৬৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪৩-৩
২৭. গুহাবাসী তিন ব্যক্তির কিসসা এবং নেক আমলের ওসীলা দিয়ে দুআ করা
৬৬৯৯ (ক) ইসহাক ইবনে মনসুর ও আব্দ ইবনে হুমায়দ, সুওয়ায়দ ইবনে সাঈদ, আবু কুরায়ব ও মুহাম্মাদ ইবনে তারীফ বাজালী যুহাইর ইবনে হারব, হাসান হুলওয়ানী, আব্দ ইবনে হুমায়দ ......... সকলে ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে, মুসা ইবনে উকবা (রাহঃ) সূত্রের আবু যামরা (রাহঃ) এর হাদীসের মর্ম অনুযায়ী বর্ণনা করেছেন।
তাঁরা তাঁদের হাদীসের এইটুকু বেশী উল্লেখ করেছেন خَرَجُوا يَمْشُونَ তারা হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে গেল। সালিহ (রাহঃ) এর হাদীসে يَتَمَاشَوْنَ শব্দ আছে। উবাইদুল্লাহর হাদীসেخَرَجُوا (তারা বের হলো) উল্লেখ আছে। এরপর তিনি কোন শব্দ উল্লেখ করেননি।
৬৬৯৯ (খ) মুহাম্মাদ ইবনে সাহল তামীমী, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে বাহরাম, আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্বেকার যুগের তিন ব্যক্তি পথ চলছিল। অবশেষে রাত যাপন (এর প্রয়োজনে) তারা এক গুহায় আশ্রয় নিল ...... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে নাফি (রাহঃ) এর বর্ণিত হাদীসের মর্মানুসারে বর্ণনা করেছেন। তবে এতে তিনি (রাবী) বলেছেন “তাদের একজন বলল, হে আল্লাহ আমার ছিলেন অতিশয় বৃদ্ধ পিতামাতা। আমি পরিবার পরিজনের কাউকেই তাদের আগে বিরোলের (বারাদ্দ পানীয়) দুধ পান করাতাম না।
এবং অন্য (দ্বিতীয়) একজন বলেছেন সে (চাচাতো বোন) আমার হাতে আত্মরক্ষা করল। অবশেষে সে (কোন এক) দুর্ভিক্ষের শিকার হল। তখন সে আমার কাছে এলে আমি তাকে একশত বিশ দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) দিলাম এবং (তৃতীয়) একজন বলেছেন, আমি তার (প্রাপ্য) মজুরী উৎপাদনে বিনিয়োগ করলাম। অবশেষে তাতে সম্পদ (উট, গরু, ছাগল) অনেক ভাল হল এবং তা (এত অধিক হল যে, তা) নড়াচড়া ও ছুটাছুটি করতে লাগল। ......... এতে রাবী বলেছেন, তারা হ্যাঁটতে হ্যাঁটতে গুহা থেকে বেরিয়ে গেল।
তাঁরা তাঁদের হাদীসের এইটুকু বেশী উল্লেখ করেছেন خَرَجُوا يَمْشُونَ তারা হেঁটে হেঁটে বেরিয়ে গেল। সালিহ (রাহঃ) এর হাদীসে يَتَمَاشَوْنَ শব্দ আছে। উবাইদুল্লাহর হাদীসেخَرَجُوا (তারা বের হলো) উল্লেখ আছে। এরপর তিনি কোন শব্দ উল্লেখ করেননি।
৬৬৯৯ (খ) মুহাম্মাদ ইবনে সাহল তামীমী, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে বাহরাম, আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্বেকার যুগের তিন ব্যক্তি পথ চলছিল। অবশেষে রাত যাপন (এর প্রয়োজনে) তারা এক গুহায় আশ্রয় নিল ...... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে নাফি (রাহঃ) এর বর্ণিত হাদীসের মর্মানুসারে বর্ণনা করেছেন। তবে এতে তিনি (রাবী) বলেছেন “তাদের একজন বলল, হে আল্লাহ আমার ছিলেন অতিশয় বৃদ্ধ পিতামাতা। আমি পরিবার পরিজনের কাউকেই তাদের আগে বিরোলের (বারাদ্দ পানীয়) দুধ পান করাতাম না।
এবং অন্য (দ্বিতীয়) একজন বলেছেন সে (চাচাতো বোন) আমার হাতে আত্মরক্ষা করল। অবশেষে সে (কোন এক) দুর্ভিক্ষের শিকার হল। তখন সে আমার কাছে এলে আমি তাকে একশত বিশ দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) দিলাম এবং (তৃতীয়) একজন বলেছেন, আমি তার (প্রাপ্য) মজুরী উৎপাদনে বিনিয়োগ করলাম। অবশেষে তাতে সম্পদ (উট, গরু, ছাগল) অনেক ভাল হল এবং তা (এত অধিক হল যে, তা) নড়াচড়া ও ছুটাছুটি করতে লাগল। ......... এতে রাবী বলেছেন, তারা হ্যাঁটতে হ্যাঁটতে গুহা থেকে বেরিয়ে গেল।
باب قِصَّةِ أَصْحَابِ الْغَارِ الثَّلاَثَةِ وَالتَّوَسُّلِ بِصَالِحِ الأَعْمَالِ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ، جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، ح وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ الْبَجَلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَرَقَبَةُ بْنُ مَسْقَلَةَ، ح وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنُونَ ابْنَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، كُلُّهُمْ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي ضَمْرَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَزَادُوا فِي حَدِيثِهِمْ " وَخَرَجُوا يَمْشُونَ " . وَفِي حَدِيثِ صَالِحٍ " يَتَمَاشَوْنَ " . إِلاَّ عُبَيْدَ اللَّهِ فَإِنَّ فِي حَدِيثِهِ " وَخَرَجُوا " . وَلَمْ يَذْكُرْ بَعْدَهَا شَيْئًا .
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَهْرَامَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ قَالَ ابْنُ سَهْلٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " انْطَلَقَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حَتَّى آوَاهُمُ الْمَبِيتُ إِلَى غَارٍ " . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنْهُمُ " اللَّهُمَّ كَانَ لِي أَبَوَانِ شَيْخَانِ كَبِيرَانِ فَكُنْتُ لاَ أَغْبُقُ قَبْلَهُمَا أَهْلاً وَلاَ مَالاً " . وَقَالَ " فَامْتَنَعَتْ مِنِّي حَتَّى أَلَمَّتْ بِهَا سَنَةٌ مِنَ السِّنِينَ فَجَاءَتْنِي فَأَعْطَيْتُهَا عِشْرِينَ وَمِائَةَ دِينَارٍ " . وَقَالَ " فَثَمَّرْتُ أَجْرَهُ حَتَّى كَثُرَتْ مِنْهُ الأَمْوَالُ فَارْتَعَجَتْ " . وَقَالَ " فَخَرَجُوا مِنَ الْغَارِ يَمْشُونَ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَهْرَامَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ قَالَ ابْنُ سَهْلٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " انْطَلَقَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حَتَّى آوَاهُمُ الْمَبِيتُ إِلَى غَارٍ " . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَجُلٌ مِنْهُمُ " اللَّهُمَّ كَانَ لِي أَبَوَانِ شَيْخَانِ كَبِيرَانِ فَكُنْتُ لاَ أَغْبُقُ قَبْلَهُمَا أَهْلاً وَلاَ مَالاً " . وَقَالَ " فَامْتَنَعَتْ مِنِّي حَتَّى أَلَمَّتْ بِهَا سَنَةٌ مِنَ السِّنِينَ فَجَاءَتْنِي فَأَعْطَيْتُهَا عِشْرِينَ وَمِائَةَ دِينَارٍ " . وَقَالَ " فَثَمَّرْتُ أَجْرَهُ حَتَّى كَثُرَتْ مِنْهُ الأَمْوَالُ فَارْتَعَجَتْ " . وَقَالَ " فَخَرَجُوا مِنَ الْغَارِ يَمْشُونَ