আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৪৮- সদ্ব্যবহার,আত্নীয়তা রক্ষা (মুআশারা) ও বিবিধ শিষ্টাচার - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৬৪৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩২-১
৪৭. সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণকারীর ফযীলত
৬৪৫৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন মুসলমান ব্যক্তির তিনটি সন্তান মারা গেলে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না, কসম বাস্তবায়নের পরিমাণ ব্যতীত (অর্থাৎ জাহান্নামের উপরে অবস্থিত পুলসিরাত পার হওয়ার পরিমাণ)।
باب فَضْلِ مَنْ يَمُوتُ لَهُ وَلَدٌ فَيَحْتَسِبُهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَمُوتُ لأَحَدٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثَلاَثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ فَتَمَسَّهُ النَّارُ إِلاَّ تَحِلَّةَ الْقَسَمِ " .
হাদীস নং: ৬৪৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩২-২
৪৭. সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণকারীর ফযীলত
৬৪৫৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আমর নাকিদ ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে মালিকের সনদে তার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে সুফিয়ান (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসে فَتَمَسَّهُ النَّارُ স্থলে فَيَلِجَ النَّارَ আছে (সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে এমন হবে না, তবে কসম বাস্তবায়ন পরিমাণ ব্যতীত)।
باب فَضْلِ مَنْ يَمُوتُ لَهُ وَلَدٌ فَيَحْتَسِبُهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بْنُ عُيَيْنَةَ ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَابْنُ، رَافِعٍ عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، . بِإِسْنَادِ مَالِكٍ وَبِمَعْنَى حَدِيثِهِ إِلاَّ أَنَّ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ " فَيَلِجَ النَّارَ إِلاَّ تَحِلَّةَ الْقَسَمِ " .
হাদীস নং: ৬৪৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩২-৩
৪৭. সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণকারীর ফযীলত
৬৪৫৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কতিপয় আনসারী মহিলাদের লক্ষ্য করে বলেছেনঃ তোমাদের কারো তিনটি সন্তান মারা গেলে সে যদি (সাওয়াব মনে করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) ধৈর্যধারণ করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তখন এক মহিলা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! দু’জন হলে? তিনি বললেন, দু’জন হলেও।
باب فَضْلِ مَنْ يَمُوتُ لَهُ وَلَدٌ فَيَحْتَسِبُهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِنِسْوَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ " لاَ يَمُوتُ لإِحْدَاكُنَّ ثَلاَثَةٌ مِنَ الْوَلَدِ فَتَحْتَسِبَهُ إِلاَّ دَخَلَتِ الْجَنَّةَ " . فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ أَوِ اثْنَيْنِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أَوِ اثْنَيْنِ " .
হাদীস নং: ৬৪৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩৩
৪৭. সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণকারীর ফযীলত
৬৪৬০। আবু কামিল জাহদারী ফুযায়ল ইবনে হুসাইন (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! পুরুষ লোকেরাই আপনার কথাবার্তা (হাদীস) শুনে থাকে। সুতরাং আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের (নারী সমাজের) জন্য একটি দিন নির্ধারিত করে দিন, যে দিন আমরা আপনার কাছে সমবেত হব এবং আল্লাহ আপনাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে আমাদের শেখাবেন। তিনি বললেনঃ বেশ তো, অমুক অমুক দিন তোমরা একত্র হবে। তারা (নির্ধারিত দিনে) সমবেত হল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাঁকে যা শিখিয়েছেন তা থেকে তাদের শিক্ষা দিলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন স্ত্রীলোক তার জীবদ্দশায় তিনটি সন্তান আগাম পাঠালে (অর্থাৎ তিনটি সন্তান মারা গেলে) তারা কিয়ামত দিবসে তাঁর জন্য আগুন (জাহান্নাম) থেকে পর্দা হবে। তখন এক মহিলা বলল, আর দু’জন, দু’জন। দু’জন (হলে কি হুকুম)? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ, দুজন (হলেও), দু’জন (হলেও), দু’জন (হলেও)।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাঁকে যা শিখিয়েছেন তা থেকে তাদের শিক্ষা দিলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন স্ত্রীলোক তার জীবদ্দশায় তিনটি সন্তান আগাম পাঠালে (অর্থাৎ তিনটি সন্তান মারা গেলে) তারা কিয়ামত দিবসে তাঁর জন্য আগুন (জাহান্নাম) থেকে পর্দা হবে। তখন এক মহিলা বলল, আর দু’জন, দু’জন। দু’জন (হলে কি হুকুম)? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ, দুজন (হলেও), দু’জন (হলেও), দু’জন (হলেও)।
باب فَضْلِ مَنْ يَمُوتُ لَهُ وَلَدٌ فَيَحْتَسِبُهُ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، ذَكْوَانَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ الرِّجَالُ بِحَدِيثِكَ فَاجْعَلْ لَنَا مِنْ نَفْسِكَ يَوْمًا نَأْتِيكَ فِيهِ تُعَلِّمُنَا مِمَّا عَلَّمَكَ اللَّهُ . قَالَ " اجْتَمِعْنَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا " . فَاجْتَمَعْنَ فَأَتَاهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَلَّمَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَهُ اللَّهُ ثُمَّ قَالَ " مَا مِنْكُنَّ مِنِ امْرَأَةٍ تُقَدِّمُ بَيْنَ يَدَيْهَا مِنْ وَلَدِهَا ثَلاَثَةً إِلاَّ كَانُوا لَهَا حِجَابًا مِنَ النَّارِ " . فَقَالَتِ امْرَأَةٌ وَاثْنَيْنِ وَاثْنَيْنِ وَاثْنَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَاثْنَيْنِ وَاثْنَيْنِ وَاثْنَيْنِ " .
হাদীস নং: ৬৪৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩৪
৪৭. সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণকারীর ফযীলত
৬৪৬১। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে ইসবাহানী (রাহঃ) এই সনদে তার মর্মার্থের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন তাবে তারা সবাই আব্দুর রহমান ইবনে ইসবাহানী (রাহঃ) থেকে এইটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আবু হাযিমকে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বলতে শুনেছেন, এমন তিনটি সন্তান যারা বায়োঃপ্রাপ্ত বালিগ হয়নি।
باب فَضْلِ مَنْ يَمُوتُ لَهُ وَلَدٌ فَيَحْتَسِبُهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ، اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ . بِمِثْلِ مَعْنَاهُ وَزَادَا جَمِيعًا عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَصْبَهَانِيِّ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ " ثَلاَثَةً لَمْ يَبْلُغُوا الْحِنْثَ " .
হাদীস নং: ৬৪৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩৫
৪৭. সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণকারীর ফযীলত
৬৪৬২। সুওয়ায়দ ইবনে সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) ......... আবু হাসসান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) কে বললাম, আমার দুটি পুত্র সন্তান মারা গিয়েছে। আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরফ থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করবেন, যাতে আমরা মৃতদের সম্পর্কে আমাদের অন্তরে সান্ত্বনা পেতে পারি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের জন্য তাদের ছোট সন্তানরা জান্নাতের প্রজাপতি তুল্য। তাদের কেউ কেউ তার পিতার সঙ্গে মিলিত হবে, অথবা তিনি বলেছেন পিতামাতা উভয়ের সঙ্গে মিলিত হবে। এরপর তার পরিধানের বস্ত্র কিংবা হাত ধরবে, যেভাবে এখন আমি তোমার কাপড়ের আঁচল ধরছি। এরপর আর বিরত হবে না, অথবা তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাকে তার বাপ-মা সহ জান্নাতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত ছাড়বে না।
সুওয়ায়দ (রাহঃ) এর বর্ণনায় ’আবু সালীল আমাদিগকে হাদীস বর্ণনা করেছেন’ উল্লেখ আছে।
উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... তায়মী (রাহঃ) থেকে এই সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এমন কিছু শুনেছেন যা আমাদের মৃতদের সম্পর্কে আমাদের অন্তরে প্রশান্তি এনে দিবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ ......।
সুওয়ায়দ (রাহঃ) এর বর্ণনায় ’আবু সালীল আমাদিগকে হাদীস বর্ণনা করেছেন’ উল্লেখ আছে।
উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... তায়মী (রাহঃ) থেকে এই সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে এমন কিছু শুনেছেন যা আমাদের মৃতদের সম্পর্কে আমাদের অন্তরে প্রশান্তি এনে দিবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ ......।
باب فَضْلِ مَنْ يَمُوتُ لَهُ وَلَدٌ فَيَحْتَسِبُهُ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي السَّلِيلِ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنَّهُ قَدْ مَاتَ لِيَ ابْنَانِ فَمَا أَنْتَ مُحَدِّثِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثٍ تُطَيِّبُ بِهِ أَنْفُسَنَا عَنْ مَوْتَانَا قَالَ قَالَ نَعَمْ " صِغَارُهُمْ دَعَامِيصُ الْجَنَّةِ يَتَلَقَّى أَحَدُهُمْ أَبَاهُ - أَوْ قَالَ أَبَوَيْهِ - فَيَأْخُذُ بِثَوْبِهِ - أَوْ قَالَ بِيَدِهِ - كَمَا آخُذُ أَنَا بِصَنِفَةِ ثَوْبِكَ هَذَا فَلاَ يَتَنَاهَى - أَوْ قَالَ فَلاَ يَنْتَهِي - حَتَّى يُدْخِلَهُ اللَّهُ وَأَبَاهُ الْجَنَّةَ " . وَفِي رِوَايَةِ سُوَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو السَّلِيلِ وَحَدَّثَنِيهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - عَنِ التَّيْمِيِّ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فَهَلْ سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا تُطَيِّبُ بِهِ أَنْفُسَنَا عَنْ مَوْتَانَا قَالَ نَعَمْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩৬-১
৪৭. সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণকারীর ফযীলত
৬৪৬৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদুল্লাহ ইবনে নুমাইর ও আবু সাঈদ আশাজ্জ্ব (রাহঃ) ......... উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস অন্য সনদে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একজন স্ত্রীলোক তার একটি পুত্র সন্তান নিয়ে নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর নবী! আপনি তার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। আমি তিনটি সন্তান দাফন করেছি। তখন তিনি বললেন, তুমি তিনটি সন্তান দাফন করেছ? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি তো অবশ্যই জাহান্নাম থেকে একটি মযবুত দেওয়াল নির্মাণ করেছ। তাদের মধ্য থেকে উমর ইবনে হাফস তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। অবশিষ্টরা তালক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তারা দাদার উল্লেখ করেননি।
باب فَضْلِ مَنْ يَمُوتُ لَهُ وَلَدٌ فَيَحْتَسِبُهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا حَفْصٌ، - يَعْنُونَ ابْنَ غِيَاثٍ ح وَحَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ، بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ جَدِّهِ، طَلْقِ بْنِ مُعَاوِيَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَتَتِ امْرَأَةٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بِصَبِيٍّ لَهَا فَقَالَتْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ لَهُ فَلَقَدْ دَفَنْتُ ثَلاَثَةً قَالَ " دَفَنْتِ ثَلاَثَةً " . قَالَتْ نَعَمْ . قَالَ " لَقَدِ احْتَظَرْتِ بِحِظَارٍ شَدِيدٍ مِنَ النَّارِ " . قَالَ عُمَرُ مِنْ بَيْنِهِمْ عَنْ جَدِّهِ . وَقَالَ الْبَاقُونَ عَنْ طَلْقٍ . وَلَمْ يَذْكُرُوا الْجَدَّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৪৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩৬-২
৪৭. সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্যধারণকারীর ফযীলত
৬৪৬৪। কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও যুবাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক স্ত্রীলোক তার একটি পুত্র সন্তান নিয়ে নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে অসুস্থ এবং তার ব্যাপারে আশঙ্কা করছি। আর আমি তিনটি সন্তান দাফন করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি জাহান্নাম থেকে একটি মযবুত প্রাচীর নির্মাণ করেছ। যুহাইর (রাহঃ) তালক থেকে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি কুনিয়াত উল্লেখ করেননি।
باب فَضْلِ مَنْ يَمُوتُ لَهُ وَلَدٌ فَيَحْتَسِبُهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ طَلْقِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، النَّخَعِيِّ أَبِي غِيَاثٍ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِابْنٍ لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَشْتَكِي وَإِنِّي أَخَافُ عَلَيْهِ قَدْ دَفَنْتُ ثَلاَثَةً . قَالَ " لَقَدِ احْتَظَرْتِ بِحِظَارٍ شَدِيدٍ مِنَ النَّارِ " . قَالَ زُهَيْرٌ عَنْ طَلْقٍ . وَلَمْ يَذْكُرِ الْكُنْيَةَ .

তাহকীক: