আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৪৭- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৬০৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৪৮-২
১৪. উম্মে যারা এর হাদীস
৬০৮৫। আলী ইবনে হুজর সা’দী ও আহমদ ইবনে জানাব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এগারজন মহিলা বসে অঙ্গীকার ও চুক্তিবদ্ধ হলো যে, তারা নিজ নিজ স্বামীর ব্যাপারে কিছু গোপন করবে না। প্রথম মহিলা বললো, আমার স্বামী লাল উটের গোশতের মতো, যা দুর্গম এক পাহাড়ের চূড়ায় রক্ষিত। না ওখানে আরোহণ করা সম্ভব, আর না এমন মোটা তাজা যা সংরক্ষণ করা যায়। দ্বিতীয় মহিলা বললো, আমি আমার স্বামীর খবর ছড়াতে পারবো না। আমার ভয় হয়, আমি তাকে ছেড়ে না দেই। আমি যদি তার বিবরণ দিতে যাই তবে তার গোপনীয় ও প্রকাশ্য সব দোষই বর্ণনা করতে হবে।
তৃতীয় মহিলা বললো, আমার স্বামী খুব লম্বা। ওর দোষ বললে আমি পরিত্যক্ত হবো, আর চুপ থাকলে ঝুলে থাকবো। চতুর্থ মহিলা বললো, আমার স্বামী ‘তিহামা’ (নির্জন মরু আরব) এর রজনীর মতো (নিথর)। নাতিশীতোষ্ণ (গরমও নয় আর ঠাণ্ডাও নয়) ভয়ও নেই, বিরক্তিও নেই। পঞ্চম মহিলা বললো, আমার স্বামী যখন ঘরে আসে তখন চিতা বাঘ, আর যখন বাইরে যায় তখন সিংহ। রক্ষিত মাল-সম্পদ নিয়ে সে কোন প্রশ্ন করে না। ষষ্ঠ মহিলা বললো, আমার স্বামী খেতে বসলে সব খেয়ে ফেলে পান করলে একেবারে নিঃশেষ করে ফেলে। আর শুতে গেলে একদম হাত পা গুটিয়ে রয়। আমার প্রতি হাত বাড়ায় না, যাতে আমার (মনের) অবস্থা বুঝতে পারে।
সপ্তম মহিলা বললো, আমার স্বামী নির্বোধ, অক্ষম ও বোবার মত। সব দোষই তার মধ্যে বিদ্যমান। চাইলে তোমার মাথায় আঘাত করবে অথবা অঙ্গে প্রহার করবে অথবা উভয়ই একত্রে সংঘটিত করবে। অষ্টম মহিলা বললো, আমার স্বামীর গন্ধ যারনাবের সুগন্ধির মতো, তার স্পর্শ খরগোশের মতো। নবম মহিলা বললো, আমার স্বামী এমন যার প্রাসা’দের খাম্বাগুলো সুউচ্চ, তরবারির খাপগুলো দীর্ঘ, বাড়ির আঙ্গিনায় অধিক ছাই। কাচারী ঘরের পার্শ্বেই তার বাড়ি। দশম মহিলা বললো, আমার স্বামী মালিক। আর মালিক এর কথা কি বলব, আমার এ প্রশংসার চেয়ে আরো শ্রেষ্ঠ সে। তার আছে অনেক উট, তাদের জন্য উটশালাও অনেক, তবে চারণভূমি কম। উটেরা যখন বাদ্য-বাজনার শব্দ শোনে, তখন নিজেদের যবেহের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে পড়ে।
একাদশ মহিলা বললো, আমার স্বামীর নাম আবু যর। কি চমৎকার আবু যর। অলংকার দিয়ে সে আমর দুকান ঝুলিয়ে দিয়েছে, বাহুদ্বয় ভরপুর করেছে চর্বিতে। আমাকে আদর সোহাগ দিয়েছে, আমিও নিজেকে আদরনীয়া-সোহাগিণী বোধ করছি। সে আমাকে পাহাড়ের পাদদেশে ভেড়া ও বকরীওয়ালাদের মাঝে পেয়েছিল। এরপর সে আমাকে উট, ঘোড়া, জমি-জমা ও ফসলাদির অধিকারী বানিয়েছে। তার কাছে আমি কথা বললে সে তা ফেলে না। আমি ঘুমালে ভোর পর্যন্ত শুয়ে থাকি আর পান করলে তৃপ্তি অর্জন করি। আবু যার এর মা, কতই না ভালো আবু যার এর মা। তার পাত্র বিরাট আকারের। তার কুঠুরি প্রশ্বস্ত। আবু যর এর ছেলে, কত ভালো আবু যার এর ছেলে, তার শয্যা যেন তরবারির খাপ। বকরির একটি বান (দুধ) খেয়েই সে তৃপ্তিবোধ করে। আবু যর এর মেয়ে কতই না ভালো আবু যার এর মেয়ে। মা-বাবার অনুগত, পোশাকভরা শরীর, প্রতিবেশীর ঈর্ষার পাত্রী। আবু যর এর বাদী, কত ভালো আবু যর এর বাদী। আমাদের কথা প্রচার করে বেড়ায় না। আমাদের খাদ্য নষ্ট করে না, ঘর-বাড়ি আবর্জনা পূর্ণ রাখে না।
উম্মু যারা বলেন, একদা আবু যর বাইরে বের হলেন। তখন আমাদের অবস্থা ছিল, বড় বড় দুধের পাত্র থেকে মাখন তোলা হতো। তখন এক মহিলার সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। তার সাথে ছিলো দুটো শিশু। (শিশু দুটো ছিল) দুটি চিতার মত। তারা তার কোকের নীচ দিয়ে দুটি ডালিম নিয়ে খেলা করছিল। তখন আবু যর আমাকে তালাক দেয় এবং সে মহিলাকে বিয়ে করে।
তারপর আমি এক ব্যক্তিকে বিবাহ করলাম। সে ছিল সরদার, খুব ভালো ঘোড় সওয়ার ও বর্শা ধারণকারী। সে আমার আস্তাবলে বহু চতুষ্পদ জন্তু সমবেত করে। প্রত্যেক প্রকার থেকে সে আমাকে একেক জোড়া দান করে এবং সে আমাকে বলে, হে উম্মু যারা! তুমি খাও এবং তোমার আপনজনকে দান কর। তবে দ্বিতীয় স্বামী আমায় যা কিছু দিয়েছে তার সব যদি জমা করি, তবু আবু যর এর ছোট্ট একটি পাত্রের সমান হবে না। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ তোমার জন্য আমি উম্মে যার এর জন্য আবু যর এর মতো।
হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... হিশাম ইবনে উরওয়া (রাযিঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে এতে বর্ণনা সন্দেহ ছাড়া يَايَاءُ طَبَاقَاءُ রয়েছে, আরো রয়েছে قَلِيلاَتُ الْمَسَارِحِ এবং রয়েছে صِفْرُ رِدَائِهَا وَخَيْرُ نِسَائِهَا وَعَقْرُ جَارَتِهَا (অর্থাৎ তার কটিদেশ ছিল কৃশ, অন্যান্য মহিলার তুলনায় ছিল শ্রেষ্ঠ, সতীনের ঈর্ষার পাত্র) এবং বলেছেন لاَ تَنْقُثُ مِيرَتَنَا تَنْقِيثًا আরো বলেছেন أَعْطَانِي مِنْ كُلِّ ذَابِحَةٍ زَوْجً।
তৃতীয় মহিলা বললো, আমার স্বামী খুব লম্বা। ওর দোষ বললে আমি পরিত্যক্ত হবো, আর চুপ থাকলে ঝুলে থাকবো। চতুর্থ মহিলা বললো, আমার স্বামী ‘তিহামা’ (নির্জন মরু আরব) এর রজনীর মতো (নিথর)। নাতিশীতোষ্ণ (গরমও নয় আর ঠাণ্ডাও নয়) ভয়ও নেই, বিরক্তিও নেই। পঞ্চম মহিলা বললো, আমার স্বামী যখন ঘরে আসে তখন চিতা বাঘ, আর যখন বাইরে যায় তখন সিংহ। রক্ষিত মাল-সম্পদ নিয়ে সে কোন প্রশ্ন করে না। ষষ্ঠ মহিলা বললো, আমার স্বামী খেতে বসলে সব খেয়ে ফেলে পান করলে একেবারে নিঃশেষ করে ফেলে। আর শুতে গেলে একদম হাত পা গুটিয়ে রয়। আমার প্রতি হাত বাড়ায় না, যাতে আমার (মনের) অবস্থা বুঝতে পারে।
সপ্তম মহিলা বললো, আমার স্বামী নির্বোধ, অক্ষম ও বোবার মত। সব দোষই তার মধ্যে বিদ্যমান। চাইলে তোমার মাথায় আঘাত করবে অথবা অঙ্গে প্রহার করবে অথবা উভয়ই একত্রে সংঘটিত করবে। অষ্টম মহিলা বললো, আমার স্বামীর গন্ধ যারনাবের সুগন্ধির মতো, তার স্পর্শ খরগোশের মতো। নবম মহিলা বললো, আমার স্বামী এমন যার প্রাসা’দের খাম্বাগুলো সুউচ্চ, তরবারির খাপগুলো দীর্ঘ, বাড়ির আঙ্গিনায় অধিক ছাই। কাচারী ঘরের পার্শ্বেই তার বাড়ি। দশম মহিলা বললো, আমার স্বামী মালিক। আর মালিক এর কথা কি বলব, আমার এ প্রশংসার চেয়ে আরো শ্রেষ্ঠ সে। তার আছে অনেক উট, তাদের জন্য উটশালাও অনেক, তবে চারণভূমি কম। উটেরা যখন বাদ্য-বাজনার শব্দ শোনে, তখন নিজেদের যবেহের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে পড়ে।
একাদশ মহিলা বললো, আমার স্বামীর নাম আবু যর। কি চমৎকার আবু যর। অলংকার দিয়ে সে আমর দুকান ঝুলিয়ে দিয়েছে, বাহুদ্বয় ভরপুর করেছে চর্বিতে। আমাকে আদর সোহাগ দিয়েছে, আমিও নিজেকে আদরনীয়া-সোহাগিণী বোধ করছি। সে আমাকে পাহাড়ের পাদদেশে ভেড়া ও বকরীওয়ালাদের মাঝে পেয়েছিল। এরপর সে আমাকে উট, ঘোড়া, জমি-জমা ও ফসলাদির অধিকারী বানিয়েছে। তার কাছে আমি কথা বললে সে তা ফেলে না। আমি ঘুমালে ভোর পর্যন্ত শুয়ে থাকি আর পান করলে তৃপ্তি অর্জন করি। আবু যার এর মা, কতই না ভালো আবু যার এর মা। তার পাত্র বিরাট আকারের। তার কুঠুরি প্রশ্বস্ত। আবু যর এর ছেলে, কত ভালো আবু যার এর ছেলে, তার শয্যা যেন তরবারির খাপ। বকরির একটি বান (দুধ) খেয়েই সে তৃপ্তিবোধ করে। আবু যর এর মেয়ে কতই না ভালো আবু যার এর মেয়ে। মা-বাবার অনুগত, পোশাকভরা শরীর, প্রতিবেশীর ঈর্ষার পাত্রী। আবু যর এর বাদী, কত ভালো আবু যর এর বাদী। আমাদের কথা প্রচার করে বেড়ায় না। আমাদের খাদ্য নষ্ট করে না, ঘর-বাড়ি আবর্জনা পূর্ণ রাখে না।
উম্মু যারা বলেন, একদা আবু যর বাইরে বের হলেন। তখন আমাদের অবস্থা ছিল, বড় বড় দুধের পাত্র থেকে মাখন তোলা হতো। তখন এক মহিলার সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। তার সাথে ছিলো দুটো শিশু। (শিশু দুটো ছিল) দুটি চিতার মত। তারা তার কোকের নীচ দিয়ে দুটি ডালিম নিয়ে খেলা করছিল। তখন আবু যর আমাকে তালাক দেয় এবং সে মহিলাকে বিয়ে করে।
তারপর আমি এক ব্যক্তিকে বিবাহ করলাম। সে ছিল সরদার, খুব ভালো ঘোড় সওয়ার ও বর্শা ধারণকারী। সে আমার আস্তাবলে বহু চতুষ্পদ জন্তু সমবেত করে। প্রত্যেক প্রকার থেকে সে আমাকে একেক জোড়া দান করে এবং সে আমাকে বলে, হে উম্মু যারা! তুমি খাও এবং তোমার আপনজনকে দান কর। তবে দ্বিতীয় স্বামী আমায় যা কিছু দিয়েছে তার সব যদি জমা করি, তবু আবু যর এর ছোট্ট একটি পাত্রের সমান হবে না। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ তোমার জন্য আমি উম্মে যার এর জন্য আবু যর এর মতো।
হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... হিশাম ইবনে উরওয়া (রাযিঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে এতে বর্ণনা সন্দেহ ছাড়া يَايَاءُ طَبَاقَاءُ রয়েছে, আরো রয়েছে قَلِيلاَتُ الْمَسَارِحِ এবং রয়েছে صِفْرُ رِدَائِهَا وَخَيْرُ نِسَائِهَا وَعَقْرُ جَارَتِهَا (অর্থাৎ তার কটিদেশ ছিল কৃশ, অন্যান্য মহিলার তুলনায় ছিল শ্রেষ্ঠ, সতীনের ঈর্ষার পাত্র) এবং বলেছেন لاَ تَنْقُثُ مِيرَتَنَا تَنْقِيثًا আরো বলেছেন أَعْطَانِي مِنْ كُلِّ ذَابِحَةٍ زَوْجً।
باب ذِكْرِ حَدِيثِ أُمِّ زَرْعٍ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عِيسَى، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حُجْرٍ - حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ جَلَسَ إِحْدَى عَشْرَةَ امْرَأَةً فَتَعَاهَدْنَ وَتَعَاقَدْنَ أَنْ لاَ يَكْتُمْنَ مِنْ أَخْبَارِ أَزْوَاجِهِنَّ شَيْئًا قَالَتِ الأُولَى زَوْجِي لَحْمُ جَمَلٍ غَثٌّ عَلَى رَأْسِ جَبَلٍ وَعْرٍ لاَ سَهْلٌ فَيُرْتَقَى وَلاَ سَمِينٌ فَيُنْتَقَلَ . قَالَتِ الثَّانِيَةُ زَوْجِي لاَ أَبُثُّ خَبَرَهُ إِنِّي أَخَافُ أَنْ لاَ أَذَرَهُ إِنْ أَذْكُرْهُ أَذْكُرْ عُجَرَهُ وَبُجَرَهُ . قَالَتِ الثَّالِثَةُ زَوْجِي الْعَشَنَّقُ إِنْ أَنْطِقْ أُطَلَّقْ وَإِنْ أَسْكُتْ أُعَلَّقْ . قَالَتِ الرَّابِعَةُ زَوْجِي كَلَيْلِ تِهَامَةَ لاَ حَرٌّ وَلاَ قُرٌّ وَلاَ مَخَافَةَ وَلاَ سَآمَةَ . قَالَتِ الْخَامِسَةُ زَوْجِي إِنْ دَخَلَ فَهِدَ وَإِنْ خَرَجَ أَسِدَ وَلاَ يَسْأَلُ عَمَّا عَهِدَ . قَالَتِ السَّادِسَةُ زَوْجِي إِنْ أَكَلَ لَفَّ وَإِنْ شَرِبَ اشْتَفَّ وَإِنِ اضْطَجَعَ الْتَفَّ وَلاَ يُولِجُ الْكَفَّ لِيَعْلَمَ الْبَثَّ . قَالَتِ السَّابِعَةُ زَوْجِي غَيَايَاءُ أَوْ عَيَايَاءُ طَبَاقَاءُ كُلُّ دَاءٍ لَهُ دَاءٌ شَجَّكِ أَوْ فَلَّكِ أَوْ جَمَعَ كُلاًّ لَكِ . قَالَتِ الثَّامِنَةُ زَوْجِي الرِّيحُ رِيحُ زَرْنَبٍ وَالْمَسُّ مَسُّ أَرْنَبٍ . قَالَتِ التَّاسِعَةُ زَوْجِي رَفِيعُ الْعِمَادِ طَوِيلُ النِّجَادِ عَظِيمُ الرَّمَادِ قَرِيبُ الْبَيْتِ مِنَ النَّادِي . قَالَتِ الْعَاشِرَةُ زَوْجِي مَالِكٌ وَمَا مَالِكٌ مَالِكٌ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكِ لَهُ إِبِلٌ كَثِيرَاتُ الْمَبَارِكِ قَلِيلاَتُ الْمَسَارِحِ إِذَا سَمِعْنَ صَوْتَ الْمِزْهَرِ أَيْقَنَّ أَنَّهُنَّ هَوَالِكُ . قَالَتِ الْحَادِيَةَ عَشْرَةَ زَوْجِي أَبُو زَرْعٍ فَمَا أَبُو زَرْعٍ أَنَاسَ مِنْ حُلِيٍّ أُذُنَىَّ وَمَلأَ مِنْ شَحْمٍ عَضُدَىَّ وَبَجَّحَنِي فَبَجِحَتْ إِلَىَّ نَفْسِي وَجَدَنِي فِي أَهْلِ غُنَيْمَةٍ بِشَقٍّ فَجَعَلَنِي فِي أَهْلِ صَهِيلٍ وَأَطِيطٍ وَدَائِسٍ وَمُنَقٍّ فَعِنْدَهُ أَقُولُ فَلاَ أُقَبَّحُ وَأَرْقُدُ فَأَتَصَبَّحُ وَأَشْرَبُ فَأَتَقَنَّحُ . أُمُّ أَبِي زَرْعٍ فَمَا أُمُّ أَبِي زَرْعٍ عُكُومُهَا رَدَاحٌ وَبَيْتُهَا فَسَاحٌ . ابْنُ أَبِي زَرْعٍ فَمَا ابْنُ أَبِي زَرْعٍ مَضْجِعُهُ كَمَسَلِّ شَطْبَةٍ وَيُشْبِعُهُ ذِرَاعُ الْجَفْرَةِ . بِنْتُ أَبِي زَرْعٍ فَمَا بِنْتُ أَبِي زَرْعٍ طَوْعُ أَبِيهَا وَطَوْعُ أُمِّهَا وَمِلْءُ كِسَائِهَا وَغَيْظُ جَارَتِهَا . جَارِيَةُ أَبِي زَرْعٍ فَمَا جَارِيَةُ أَبِي زَرْعٍ لاَ تَبُثُّ حَدِيثَنَا تَبْثِيثًا وَلاَ تُنَقِّثُ مِيرَتَنَا تَنْقِيثًا وَلاَ تَمْلأُ بَيْتَنَا تَعْشِيشًا . قَالَتْ خَرَجَ أَبُو زَرْعٍ وَالأَوْطَابُ تُمْخَضُ فَلَقِيَ امْرَأَةً مَعَهَا وَلَدَانِ لَهَا كَالْفَهْدَيْنِ يَلْعَبَانِ مِنْ تَحْتِ خَصْرِهَا بِرُمَّانَتَيْنِ فَطَلَّقَنِي وَنَكَحَهَا فَنَكَحْتُ بَعْدَهُ رَجُلاً سَرِيًّا رَكِبَ شَرِيًّا وَأَخَذَ خَطِّيًّا وَأَرَاحَ عَلَىَّ نَعَمًا ثَرِيًّا وَأَعْطَانِي مِنْ كُلِّ رَائِحَةٍ زَوْجًا . قَالَ كُلِي أُمَّ زَرْعٍ وَمِيرِي أَهْلَكِ فَلَوْ جَمَعْتُ كُلَّ شَىْءٍ أَعْطَانِي مَا بَلَغَ أَصْغَرَ آنِيَةِ أَبِي زَرْعٍ . قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُنْتُ لَكِ كَأَبِي زَرْعٍ لأُمِّ زَرْعٍ " .
وَحَدَّثَنِيهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ، بْنُ سَلَمَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ عَيَايَاءُ طَبَاقَاءُ . وَلَمْ يَشُكَّ وَقَالَ قَلِيلاَتُ الْمَسَارِحِ . وَقَالَ وَصِفْرُ رِدَائِهَا وَخَيْرُ نِسَائِهَا وَعَقْرُ جَارَتِهَا . وَقَالَ وَلاَ تَنْقُثُ مِيرَتَنَا تَنْقِيثًا . وَقَالَ وَأَعْطَانِي مِنْ كُلِّ ذَابِحَةٍ زَوْجًا .
وَحَدَّثَنِيهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ، بْنُ سَلَمَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ عَيَايَاءُ طَبَاقَاءُ . وَلَمْ يَشُكَّ وَقَالَ قَلِيلاَتُ الْمَسَارِحِ . وَقَالَ وَصِفْرُ رِدَائِهَا وَخَيْرُ نِسَائِهَا وَعَقْرُ جَارَتِهَا . وَقَالَ وَلاَ تَنْقُثُ مِيرَتَنَا تَنْقِيثًا . وَقَالَ وَأَعْطَانِي مِنْ كُلِّ ذَابِحَةٍ زَوْجًا .

তাহকীক: