আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৪৬- ফাযায়েল ও শামাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৫৯২৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬৯-১
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯২৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আলী ইবনে হুজর সা’দী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললো, হে সৃষ্টির সেরা! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তিনি তো ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)।
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، وَابْنُ، فُضَيْلٍ عَنِ الْمُخْتَارِ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا الْمُخْتَارُ، بْنُ فُلْفُلٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا خَيْرَ الْبَرِيَّةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ذَاكَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯২৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬৯-২
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯২৬। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ سَمِعْتُ مُخْتَارَ بْنَ فُلْفُلٍ، مَوْلَى عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . بِمِثْلِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯২৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬৯-৩
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯২৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে ...... অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْمُخْتَارِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯২৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭০
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯২৮। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) খাতনা করেছেন কুড়াল (জাতীয় অস্ত্র) দিয়ে, তখন তাঁর বয়স ছিল আশি বছর।
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيَّ - عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً بِالْقَدُومِ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৫১-৩
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯২৯। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর চেয়ে অধিকতর সন্দেহ প্রবণ হওয়ার যোগ্য। যখন তিনি বলেছিলেনঃ হে আমার প্রতিপালক! আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন, আমাকে দেখান। তিনি বললেনঃ তুমি কি তবে বিশ্বাস কর নি? তিনি বললেনঃ কেন করব না, তবে তা কেবল আমার চিত্ত-প্রশান্তির জন্য (২ঃ ২৬০)।
(অনুরূপ) লুত (আলাইহিস সালাম) কে আল্লাহ রহম করুন, তিনি শক্ত-কঠিন স্তম্ভের আশ্রয় চাইতেন। (অনুরূপ) আমি যদি ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর ন্যায় দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী থাকতাম, তবে আহবানকারীর ডাকে তৎক্ষণাৎ সাড়া দিতাম।
(অনুরূপ) লুত (আলাইহিস সালাম) কে আল্লাহ রহম করুন, তিনি শক্ত-কঠিন স্তম্ভের আশ্রয় চাইতেন। (অনুরূপ) আমি যদি ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর ন্যায় দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দী থাকতাম, তবে আহবানকারীর ডাকে তৎক্ষণাৎ সাড়া দিতাম।
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نَحْنُ أَحَقُّ بِالشَّكِّ مِنْ إِبْرَاهِيمَ إِذْ قَالَ رَبِّ أَرِنِي كَيْفَ تُحْيِي الْمَوْتَى . قَالَ أَوَلَمْ تُؤْمِنْ قَالَ بَلَى وَلَكِنْ لِيَطْمَئِنَّ قَلْبِي . وَيَرْحَمُ اللَّهُ لُوطًا لَقَدْ كَانَ يَأْوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ وَلَوْ لَبِثْتُ فِي السِّجْنِ طُولَ لَبْثِ يُوسُفَ لأَجَبْتُ الدَّاعِيَ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৫১-৪
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯৩০। ইনশা-আল্লাহ আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে ......... ইউনুস সূত্রে যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنَاهُ إِنْ، شَاءَ اللَّهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، وَأَبَا، عُبَيْدٍ أَخْبَرَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَدِيثِ يُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৫১-৫
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯৩১। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ লূত (আলাইহিস সালাম) কে আল্লাহ ক্ষমা করে দিন, তিনি (এমন কঠিন সংকটের সম্মুখীন হয়েছিলেন যে) শক্ত-কঠিন স্তম্ভের আশ্রয় চেয়েছিলেন।
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَغْفِرُ اللَّهُ لِلُوطٍ إِنَّهُ أَوَى إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৯৩২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৭১
৩৯. ইবরাহীম খলীল (আলাইহিস সালাম) এর মর্যাদা
৫৯৩২। আবু তাহির (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নবী ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কখনো মিথ্যা বলেন নি; তিনবার (রূপক মিথ্যা) ব্যতীত। দু’বার আল্লাহ সস্পর্কিত। একবার তো তিনি বলেছিলেন, আমি অসুস্থ আর তাঁর কথা, ″বরং এদের বড়টাই একাজ করেছে″ (মূর্তি ভেঙ্গেছে)। আরেকটা ’সারা’ সম্পর্কে। যখন তিনি এক অত্যাচারীর দেশে গিয়েছিলেন, (স্ত্রী) সারাও সঙ্গে ছিলেন। সারা ছিলেন সেরা সুন্দরী। তখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সারাকে বললেন, এ অত্যাচারী রাজা যদি জানতে পারে যে, তুমি আমার স্ত্রী, তবে তোমাকে ছিনিয়ে নেবে। কাজেই তোমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, তুমি বলবে যে, তুমি আমার বোন। ইসলামের দিক দিয়ে তুমি তো আমার বোনই হও। কেননা তুমি আর আমি ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন মুসলিম আছে বলে আমার জানা নেই।
যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সে অত্যাচারীর দেশে পৌছলেন, তখন রাজার লোকজন তাঁর কাছে নারীকে দেখতে পেয়ে রাজার কাছে এসে বলল, আপনার দেশে এমন একজন স্ত্রীলোক এসেছে, আপনিই শুধু তার উপযুক্ত। রাজা সারাকে ডেকে পাঠালে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। সারা যখন রাজার কাছে পৌছলেন, সে সম্মোহিতের মত সারার দিকে হাত বাড়াতেই তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে এটে গেলো। রাজা বললো, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে যাওয়ার জন্য দুআ কর, আমি তোমাকে বিরক্ত করবো না। তিনি দুআ করলেন।
পুনরায় সে হাত বাড়াল, তখন প্রথম মুষ্টির চেয়ে অধিক শক্ত হয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেল। সারাকে সে আগের মতই বললো। তিনি দুআ করলেন। পুনরায় সে হাত বাড়াল। তখন প্রথম দুবারের চেয়ে আরো অধিক কঠিনভাবে তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেলো। তখন রাজা বললো, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে দেয়ার জন্য দুআ কর। আল্লাহর কসম, তোমাকে আমি উত্যক্ত করব না। তিনি দুআ করলেন। তার হাত খুলে গেলো।
তখন সে ঐ লোকটিকে ডাকলো যে সারাকে এনেছিলো। বললো, তুই তো আমার কাছে শয়তান নিয়ে এসেছিস, মানুষ আনিস নি। একে আমার দেশ থেকে বের করে দে। সাথে হাজেরাকে দিয়ে দে। বর্ণনাকারী বলেন, সারা এগিয়ে চললেন। ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাঁদের দেখে এগিয়ে এলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, কি খবর? তিনি বললেন, ভালোই আল্লাহ তাআলা আমার উপর থেকে পাপাচারীর হাতকে ফিরিয়ে রেখেছেন। আর একটা সেবিকাও দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, এই (সেবিকাই) তোমাদের মা, হে আসমানের [ কুদরতী ] পানির সন্তানেরা!
যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সে অত্যাচারীর দেশে পৌছলেন, তখন রাজার লোকজন তাঁর কাছে নারীকে দেখতে পেয়ে রাজার কাছে এসে বলল, আপনার দেশে এমন একজন স্ত্রীলোক এসেছে, আপনিই শুধু তার উপযুক্ত। রাজা সারাকে ডেকে পাঠালে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। সারা যখন রাজার কাছে পৌছলেন, সে সম্মোহিতের মত সারার দিকে হাত বাড়াতেই তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে এটে গেলো। রাজা বললো, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে যাওয়ার জন্য দুআ কর, আমি তোমাকে বিরক্ত করবো না। তিনি দুআ করলেন।
পুনরায় সে হাত বাড়াল, তখন প্রথম মুষ্টির চেয়ে অধিক শক্ত হয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেল। সারাকে সে আগের মতই বললো। তিনি দুআ করলেন। পুনরায় সে হাত বাড়াল। তখন প্রথম দুবারের চেয়ে আরো অধিক কঠিনভাবে তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেলো। তখন রাজা বললো, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে দেয়ার জন্য দুআ কর। আল্লাহর কসম, তোমাকে আমি উত্যক্ত করব না। তিনি দুআ করলেন। তার হাত খুলে গেলো।
তখন সে ঐ লোকটিকে ডাকলো যে সারাকে এনেছিলো। বললো, তুই তো আমার কাছে শয়তান নিয়ে এসেছিস, মানুষ আনিস নি। একে আমার দেশ থেকে বের করে দে। সাথে হাজেরাকে দিয়ে দে। বর্ণনাকারী বলেন, সারা এগিয়ে চললেন। ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাঁদের দেখে এগিয়ে এলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, কি খবর? তিনি বললেন, ভালোই আল্লাহ তাআলা আমার উপর থেকে পাপাচারীর হাতকে ফিরিয়ে রেখেছেন। আর একটা সেবিকাও দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, এই (সেবিকাই) তোমাদের মা, হে আসমানের [ কুদরতী ] পানির সন্তানেরা!
باب مِنْ فَضَائِلِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَطُّ إِلاَّ ثَلاَثَ كَذَبَاتٍ ثِنْتَيْنِ فِي ذَاتِ اللَّهِ قَوْلُهُ ( إِنِّي سَقِيمٌ) . وَقَوْلُهُ ( بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا) وَوَاحِدَةً فِي شَأْنِ سَارَةَ فَإِنَّهُ قَدِمَ أَرْضَ جَبَّارٍ وَمَعَهُ سَارَةُ وَكَانَتْ أَحْسَنَ النَّاسِ فَقَالَ لَهَا إِنَّ هَذَا الْجَبَّارَ إِنْ يَعْلَمْ أَنَّكِ امْرَأَتِي يَغْلِبْنِي عَلَيْكِ فَإِنْ سَأَلَكِ فَأَخْبِرِيهِ أَنَّكِ أُخْتِي فَإِنَّكِ أُخْتِي فِي الإِسْلاَمِ فَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ فِي الأَرْضِ مُسْلِمًا غَيْرِي وَغَيْرَكِ فَلَمَّا دَخَلَ أَرْضَهُ رَآهَا بَعْضُ أَهْلِ الْجَبَّارِ أَتَاهُ فَقَالَ لَهُ لَقَدْ قَدِمَ أَرْضَكَ امْرَأَةٌ لاَ يَنْبَغِي لَهَا أَنْ تَكُونَ إِلاَّ لَكَ . فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَأُتِيَ بِهَا فَقَامَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ إِلَى الصَّلاَةِ فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ لَمْ يَتَمَالَكْ أَنْ بَسَطَ يَدَهُ إِلَيْهَا فَقُبِضَتْ يَدُهُ قَبْضَةً شَدِيدَةً فَقَالَ لَهَا ادْعِي اللَّهَ أَنْ يُطْلِقَ يَدِي وَلاَ أَضُرُّكِ . فَفَعَلَتْ فَعَادَ فَقُبِضَتْ أَشَدَّ مِنَ الْقَبْضَةِ الأُولَى فَقَالَ لَهَا مِثْلَ ذَلِكَ فَفَعَلَتْ فَعَادَ فَقُبِضَتْ أَشَدَّ مِنَ الْقَبْضَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ فَقَالَ ادْعِي اللَّهَ أَنْ يُطْلِقَ يَدِي فَلَكِ اللَّهَ أَنْ لاَ أَضُرَّكِ . فَفَعَلَتْ وَأُطْلِقَتْ يَدُهُ وَدَعَا الَّذِي جَاءَ بِهَا فَقَالَ لَهُ إِنَّكَ إِنَّمَا أَتَيْتَنِي بِشَيْطَانٍ وَلَمْ تَأْتِنِي بِإِنْسَانٍ فَأَخْرِجْهَا مِنْ أَرْضِي وَأَعْطِهَا هَاجَرَ . قَالَ فَأَقْبَلَتْ تَمْشِي فَلَمَّا رَآهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ انْصَرَفَ فَقَالَ لَهَا مَهْيَمْ قَالَتْ خَيْرًا كَفَّ اللَّهُ يَدَ الْفَاجِرِ وَأَخْدَمَ خَادِمًا . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَتِلْكَ أُمُّكُمْ يَا بَنِي مَاءِ السَّمَاءِ .

তাহকীক: