আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৪০- সালামের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৫৫০৪
আন্তর্জাতিক নং: ২১৮২-১
১৪. ’আজনবী’ নারী পথ-শ্রান্ত হলে তাকে আরোহণে সঙ্গী করার বৈধতা
৫৫০৪। মুহাম্মাদ ইবনুল আ’লা আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যুবাইর (রাযিঃ) আমাকে বিয়ে করলেন, তখন ঘোড়াটি ছাড়া কোন সম্পদ কোন গোলাম এবং অন্য কিছু পৃথিবীতে তার ছিল না। তিনি বলেন, আমি তার ঘোড়াটাকে ঘাস দিতাম তার সাংসারিক কাজকর্মও আঞ্জাম দিতাম। আমি তার পরিচর্যা করতাম, তার পানিবাহী উটের জন্য খেজুর বীচি কুটতাম, তাকে ঘাস দিতাম, পানি নিয়ে আসতাম, তার ডোল ইত্যাদি মেরামত করতাম এবং (রুটির) আটা মাখতাম। কিন্তু আমি ভাল রুটি পাকাতে পারতাম না। তাই আমার কয়েকজন আনসারী পড়শী আমাকে রুটি পাকিয়ে দিত। তারা ছিল নিঃস্বার্থ নারী।

আমি যুবাইর এর জমি থেকে, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে জায়গীররূপে দিয়েছেলেন, খেজুর বীচি (কুড়িয়ে) আমার মাথায় করে বয়ে আনতাম। সে (জমি) ছিল এক ক্রোশের দুই-তৃতীয়াংশ (প্রায় পৌনে দু’মাইল) দুরে। তিনি বলেন, আমি একদিন আসছিলাম আর (বিচীর বোঝা) আমার মাথায় ছিল। (পথে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাক্ষাত পেলাম, তখন তাঁর সঙ্গে তাঁর সাহাবীগণের একটি ছোট জামাআত ছিল। তিনি আমাকে ডাকলেন এবং (তাঁর বাহন উটটিকে বসাবার জন্য) ইখ ইখ (শব্দ) করলেন যাতে আমাকে তাঁর পেছনে তুলে নিতে পারেন।

তিনি [আসমা (রাযিঃ)] বলেন আমি লজ্জাবোধ করলাম আর আমি ছিলাম তোমার [যুবাইর (রাযিঃ)] এর আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে অবগত। তিনি যুবাইর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! তোমার মাথায় করে বীচি বয়ে আনাটা (আমার কাছে) তার সঙ্গে তোমার আরোহণের চাইতে অধিক কঠিন (ও কষ্টকর)। তিনি বলেন, এরপরে (পিতা) আবু বকর (রাযিঃ) আমার কাছে একটি খাদিম পাঠিয়ে দিলেন। ঘোড়াটি দেখাশুনার কাজে সে আমার পক্ষে যথেষ্ট হয়ে গেল। সে যেন আমাকে এ দায়িত্ব থেকে আযাদ করেছিল।
باب جَوَازِ إِرْدَافِ الْمَرْأَةِ الأَجْنَبِيَّةِ إِذَا أَعْيَتْ فِي الطَّرِيقِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَبُو كُرَيْبٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ تَزَوَّجَنِي الزُّبَيْرُ وَمَا لَهُ فِي الأَرْضِ مِنْ مَالٍ وَلاَ مَمْلُوكٍ وَلاَ شَىْءٍ غَيْرَ فَرَسِهِ - قَالَتْ - فَكُنْتُ أَعْلِفُ فَرَسَهُ وَأَكْفِيهِ مَئُونَتَهُ وَأَسُوسُهُ وَأَدُقُّ النَّوَى لِنَاضِحِهِ وَأَعْلِفُهُ وَأَسْتَقِي الْمَاءَ وَأَخْرِزُ غَرْبَهُ وَأَعْجِنُ وَلَمْ أَكُنْ أُحْسِنُ أَخْبِزُ وَكَانَ يَخْبِزُ لِي جَارَاتٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَكُنَّ نِسْوَةَ صِدْقٍ - قَالَتْ - وَكُنْتُ أَنْقُلُ النَّوَى مِنْ أَرْضِ الزُّبَيْرِ الَّتِي أَقْطَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَأْسِي وَهْىَ عَلَى ثُلُثَىْ فَرْسَخٍ - قَالَتْ - فَجِئْتُ يَوْمًا وَالنَّوَى عَلَى رَأْسِي فَلَقِيتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَدَعَانِي ثُمَّ قَالَ " إِخْ إِخْ " . لِيَحْمِلَنِي خَلْفَهُ - قَالَتْ - فَاسْتَحْيَيْتُ وَعَرَفْتُ غَيْرَتَكَ فَقَالَ وَاللَّهِ لَحَمْلُكِ النَّوَى عَلَى رَأْسِكِ أَشَدُّ مِنْ رُكُوبِكِ مَعَهُ . قَالَتْ حَتَّى أَرْسَلَ إِلَىَّ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَ ذَلِكَ بِخَادِمٍ فَكَفَتْنِي سِيَاسَةَ الْفَرَسِ فَكَأَنَّمَا أَعْتَقَتْنِي .
হাদীস নং: ৫৫০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২১৮২-২
১৪. ’আজনবী’ নারী পথ-শ্রান্ত হলে তাকে আরোহণে সঙ্গী করার বৈধতা
৫৫০৫। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ আল গুবারী (রাহঃ) ......... ইবনে আবু মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আসমা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি সাংসারিক কাজে যুবাইর (রাযিঃ) এর সহায়তা করতাম। তার একটি ঘোড়া ছিল। আমি (-ই) তার পরিচর্যা করতাম। ঘোড়াটির পরিচর্যা করার চাইতে কোন কাজ আমার কাছে কঠিনতর ছিল না। আমি তার জন্য ঘাস সংগ্রহ করতাম তার দেখাশুনা ও সেবা-পরিচর্যা করতে থাকতাম। রাবী বলেন এরপর একটি খাদিমা পেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কিছু যুদ্ধবন্দী এলে তিনি তাকে একটি খাদিমা দিলেন। তিনি [আসমা (রাযিঃ)] বলেন, সে (খাদিমা) ঘোড়ার পরিচর্যায় আমার পক্ষে যথেষ্ট হল এবং আমি দায়িত্বমুক্ত হলাম। সে সময় এক ব্যক্তি আমার কাছে এসে বলল, হে আব্দুল্লাহর মা! আমি একজন অভাবগ্রস্ত লোক, আপনার বাড়ির ছায়ায় বসে বেচাকেনা করার ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, আমি তোমাকে অনুমতি দিয়ে ফেললে যুবাইর (রাযিঃ) (হয়ত) তা প্রত্যাখ্যান করবেন। তাই এক কাজ কর, যুবাইর (রাযিঃ) উপস্থিত থাকা অবস্থায় তুমি এসে আমার কাছে আবেদন করবে।

যথাসময় এসে সে বলল, হে আব্দুল্লাহর মা! আমি একজন অভাবগ্রস্ত লোক, আপনার বাড়ির ছায়ায় বসে বেচাকেনা করার ইরাদা করেছি। তিনি বললেন, আমার বাড়ি ছাড়া তোমার জন্য মদীনায় আর কোন জায়গা নেই (কি)? তখন যুবাইর (রাযিঃ) তাকে বললেন, একটা অভাবী লোককে বেচাকেনা করতে দিতে তুমি বাধা সাধছ কেন? এরপর সে (সেখানে) বেচাকেনা করে (বেশকিছু) উপার্জন করল। আমি খাদিমাটি তার কাছে বেচে দিলাম। এ সময় যুবাইর (রাযিঃ) আমার কাছে প্রবেশ করল তখনও তার (বিক্রয়লব্ধ) মূল্য আমার কোলের উপর ছিল। সে বলল ওগুলো আমাকে হেবা করে দাও। তিনি বলেন, (আমি বললাম), আমি ওগুলো সাদ্‌কা করে দিয়েছি।
باب جَوَازِ إِرْدَافِ الْمَرْأَةِ الأَجْنَبِيَّةِ إِذَا أَعْيَتْ فِي الطَّرِيقِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ أَسْمَاءَ، قَالَتْ كُنْتُ أَخْدُمُ الزُّبَيْرَ خِدْمَةَ الْبَيْتِ وَكَانَ لَهُ فَرَسٌ وَكُنْتُ أَسُوسُهُ فَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْخِدْمَةِ شَىْءٌ أَشَدَّ عَلَىَّ مِنْ سِيَاسَةِ الْفَرَسِ كُنْتُ أَحْتَشُّ لَهُ وَأَقُومُ عَلَيْهِ وَأَسُوسُهُ . قَالَ ثُمَّ إِنَّهَا أَصَابَتْ خَادِمًا جَاءَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَبْىٌ فَأَعْطَاهَا خَادِمًا . قَالَتْ كَفَتْنِي سِيَاسَةَ الْفَرَسِ فَأَلْقَتْ عَنِّي مَئُونَتَهُ فَجَاءَنِي رَجُلٌ فَقَالَ يَا أُمَّ عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ فَقِيرٌ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَ فِي ظِلِّ دَارِكِ . قَالَتْ إِنِّي إِنْ رَخَّصْتُ لَكَ أَبَى ذَاكَ الزُّبَيْرُ فَتَعَالَ فَاطْلُبْ إِلَىَّ وَالزُّبَيْرُ شَاهِدٌ فَجَاءَ فَقَالَ يَا أُمَّ عَبْدِ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ فَقِيرٌ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَ فِي ظِلِّ دَارِكِ . فَقَالَتْ مَا لَكَ بِالْمَدِينَةِ إِلاَّ دَارِي فَقَالَ لَهَا الزُّبَيْرُ مَا لَكِ أَنْ تَمْنَعِي رَجُلاً فَقِيرًا يَبِيعُ فَكَانَ يَبِيعُ إِلَى أَنْ كَسَبَ فَبِعْتُهُ الْجَارِيَةَ فَدَخَلَ عَلَىَّ الزُّبَيْرُ وَثَمَنُهَا فِي حَجْرِي . فَقَالَ هَبِيهَا لِي . قَالَتْ إِنِّي قَدْ تَصَدَّقْتُ بِهَا .