আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৪০- সালামের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৫৪৯১
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭৪
৯. কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা গেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কুধারণাকে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব
৫৪৯১। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ইবনে কা’নাব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার স্ত্রীগণের কোন একজনের সঙ্গে ছিলেন, তখন তাঁর কাছ দিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিল। তিনি তাকে ডাকলেন সে (কাছে) এলে বললেন ওহে, এ হচ্ছে স্ত্রী আমার অমুক। সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অন্য কারো ব্যাপারে আমি কুধারণা করলেও হয়ত করতাম, কিন্তু আপনার ব্যাপারে তো কুধারণা করতাম না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ শয়তান মানুষের রক্ত প্রবাহের শিরায় শিরায় চলাচল করে থাকে।
باب بيان أنه يستحب لمن رئي خاليا بامرأة وكانت زوجته أو محرما له أن يقول هذه فلانة ليدفع ظن السوء به
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ مَعَ إِحْدَى نِسَائِهِ فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَدَعَاهُ فَجَاءَ فَقَالَ " يَا فُلاَنُ هَذِهِ زَوْجَتِي فُلاَنَةُ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ كُنْتُ أَظُنُّ بِهِ فَلَمْ أَكُنْ أَظُنُّ بِكَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ " .
হাদীস নং: ৫৪৯২
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭৫-১
৯. কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা গেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কুধারণাকে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব
৫৪৯২। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) (শব্দ বর্ণনায় তারা উভয়ে কাছাকাছি) ......... সাফইয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইতিকাফরত অবস্থায় ছিলেন। আমি রাতের বেলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলাম। (কিছু সময়) তাঁর সঙ্গে কথা বললাম, তারপর ফিরে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। তিনিও আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্য আমার সাথে উঠে দাড়ালেন। (রাবী বলেনঃ) তখন তার [সাফিয়্যা (রাযিঃ)] এর বাসস্থান ছিল উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) এর বাড়িতে। তখন (সেখানে দিয়ে) আনসারী দুই ব্যক্তি যাচ্ছিল। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে (এক মহিলার সাথে) দেখতে পেয়ে দ্রুত যেতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা দুজন ধীরে চল। এ কিন্তু সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (আমার স্ত্রী)। তারা দুজন বলল, সুবহানাল্লাহ! ইয়া রাসুলাল্লাহ (আমরা তো কিছু মনে করিনি)! তিনি বললেনঃ শয়তান মানুষের শিরায় শিরায় চলাচল করে। আর আমি শংকিত হলাম যে, সে তোমাদের উভয়ের অন্তরে কোন কুধারণা কিংবা (বর্ণনা সন্দেহ) এ জাতীয় কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে।
باب بيان أنه يستحب لمن رئي خاليا بامرأة وكانت زوجته أو محرما له أن يقول هذه فلانة ليدفع ظن السوء به
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ لأَنْقَلِبَ فَقَامَ مَعِيَ لِيَقْلِبَنِي . وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ " . فَقَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَرًّا " . أَوْ قَالَ " شَيْئًا " .
হাদীস নং: ৫৪৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১৭৬-১
৯. কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা গেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কুধারণাকে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব
৫৪৯৩। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আাবু-দারিমী (রাহঃ) ......... আলী ইবনে হুসাইন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সহধর্মিণী সাফিয়্যা (রাযিঃ) তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রমযানের শেষ দশকে মসজিদে (নববীতে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইতিকাফকালে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে কিছু সময় কথাবার্তা বললেন, এরপর ফিরে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। নবী (ﷺ)ও তাঁকে এগিয়ে দিতে উঠে দাঁড়ালেন। ...... এরপর (পৃর্ববর্তী হাদীসের রাবী) মা’মার (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মানুযায়ী হাদীস উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, নবী (ﷺ) বললেনঃ শয়তান মানুষের রক্ত প্রবাহের শিরায় শিরায় পৌছে যায় (’চলে’) প্রবাহিত হয়, বলেননি (বরং তিনি এ রিওয়ায়াত يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ বলেছেন, তিনি يَجْرِي বলেননি।


১০. পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে হাযির হয়ে ফাঁকা জায়গা পেলে সেখানে বসে পড়া; অন্যথায় সবার পিছনে বসা باب مَنْ أَتَى مَجْلِسًا فَوَجَدَ فُرْجَةً فَجَلَسَ فِيهَا وَإِلاَّ وَرَاءَهُمْ :




حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، أَنَّالله عليه وسلم بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَالنَّاسُ مَعَهُ إِذْ أَقْبَلَ نَفَرٌ ثَلاَثَةٌ فَأَقْبَلَ اثْنَانِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَهَبَ وَاحِدٌ . قَالَ فَوَقَفَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَّا أَحَدُهُمَا فَرَأَى فُرْجَةً فِي الْحَلْقَةِ فَجَلَسَ فِيهَا وَأَمَّا الآخَرُ فَجَلَسَ خَلْفَهُمْ وَأَمَّا الثَّالِثُ فَأَدْبَرَ ذَاهِبًا فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكُمْ عَنِ النَّفَرِ الثَّلاَثَةِ أَمَّا أَحَدُهُمْ فَأَوَى إِلَى اللَّهِ فَآوَاهُ اللَّهُ وَأَمَّا الآخَرُ فَاسْتَحْيَا فَاسْتَحْيَا اللَّهُ مِنْهُ وَأَمَّا الآخَرُ فَأَعْرَضَ فَأَعْرَضَ اللَّهُ عَنْهُ "

৫৪৯৩/১। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু ওয়াকিদ লায়সী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে আমাদের মধ্যে বসা ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে সাহাবীগণের এক জামাআত ছিল। এ সময় তিনজনের একটি দল আসতে লাগলো। এদের দু’জন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে এগিয়ে এল, আর একজন চলে গেল। রাবী বলেনঃ তারা দু’জন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে থেমে গেল। তারপর তাদের একজন সমাবেশের মাঝে একটু ফাঁকা জায়গা দেখতে পেয়ে সেখানে বসে গেল, দ্বিতীয়জন তাদের (মজলিসের) পিছনে বসল আর তৃতীয় ব্যক্তি পেছনে ফিরে যেতে লাগল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (মজলিস থেকে) ফারেগ হলে বললেন, শোন! তিনজনের ক্ষুদে দলটি সম্পর্কে কি আমি তোমাদের খবর দিব না? তাদের একজন তো আল্লাহর নিকটে আশ্রয় নিল, আল্লাহ তাআলা তাকে আশ্রয় দিলেন। আর একজন লজ্জা-সংকোচ করল, আল্লাহ তার লজ্জা-(এর মর্যাদা) রক্ষা করলেন। আর তৃতীয়জন ফিরে গেল, আল্লাহ তাআলাও তাকে এড়িয়ে গেলেন।
باب بَيَانِ أَنَّهُ يُسْتَحَبُّ لِمَنْ رُئِيَ خَالِيًا بِامْرَأَةٍ وَكَانَتْ زَوْجَةً أَوْ مَحْرَمًا لَهُ
وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ صَفِيَّةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ وَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا . ثُمَّ ذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ مَعْمَرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ " . وَلَمْ يَقُلْ " يَجْرِي " .
.