আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৩৯- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৫৪২৭
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৪-১
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪২৭। আব্দুল আ’লা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আবু তালহা আনসারী এর জন্ম হলে আমি তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে নিয়ে গেলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি আবা’ গায়ে তাঁর উটের শরীরে মালিশ করছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সঙ্গে কি খেজুর আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। এরপর আমি তাঁর হাতে কয়েকটি খেজুর দিলাম। তিনি সেগুলো তাঁর মুখে দিয়ে চিবালেন। পরে শিশুটির মুখ ফাঁক করে তার মুখে দিয়ে দিলেন। শিশুটি তা চুষতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আনসারীদের খেজুর প্রীতি আর তিনি তার নাম রাখলেন, আব্দুল্লাহ।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ، بْنِ مَالِكٍ قَالَ ذَهَبْتُ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الأَنْصَارِيِّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ وُلِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي عَبَاءَةٍ يَهْنَأُ بَعِيرًا لَهُ فَقَالَ " هَلْ مَعَكَ تَمْرٌ " . فَقُلْتُ نَعَمْ . فَنَاوَلْتُهُ تَمَرَاتٍ فَأَلْقَاهُنَّ فِي فِيهِ فَلاَكَهُنَّ ثُمَّ فَغَرَ فَا الصَّبِيِّ فَمَجَّهُ فِي فِيهِ فَجَعَلَ الصَّبِيُّ يَتَلَمَّظُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " حُبُّ الأَنْصَارِ التَّمْرَ " . وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ .
হাদীস নং: ৫৪২৮
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৪-২
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪২৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু তালহা (রাযিঃ) এর এক ছেলে রোগে ভুগছিল। আবু তালহা (রাযিঃ) (তাঁর কাজে) বেরিয়ে যাওয়ার পর শিশুটি মারা যায়। যখন আবু তালহা (রাযিঃ) ফিরে এলেন, তিনি (স্ত্রীকে) জিজ্ঞাসা করলেন, আমার ছেলের অবস্থা কি? (স্ত্রী) উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) বললেন, সে আগের চাইতে শান্ত আছে। এরপর তিনি তাঁকে রাতের খাবার দিলেন, তিনি তা খেলেন, তারপর তার সঙ্গে মিলিত হলেন। এরপর তিনি অবসর হলে উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ) বললেন, শিশুটিকে দাফন করে এস।

সকাল হলে আবু তালহা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে এসে তাঁকে (সব) ঘটনা বললেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি আজ রাতে মিলিত হয়েছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (দুআ করে) বললেন, ইয়া আল্লাহ। তাদের উভয়ের জন্য বরকত দিন। এরপর তার একটি ছেলে জন্ম গ্রহণ করে।

তখন আবু তালহা (রাযিঃ) আমাকে বললেন, তাকে (কোলে) তুলে নবী (ﷺ) এর খিদমতে নিয়ে যাও। [উম্মে সুলায়ম (রাযিঃ)] তার সাথে কয়েকটি খেজুরও দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে (শিশুটিকে) হাতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, তার সাথে কিছু আছে কি? তারা বললেন, হ্যাঁ, কয়েকটি খেজুর। তখন নবী (ﷺ) সেগুলো নিয়ে চিবালেন। এরপর তা তাঁর মুখ থেকে নিয়ে শিশুটির মুখে দিলেন। তারপর তার জন্য বরকতের দুআ করলেন এবং তার নাম রাখলেন আব্দুল্লাহ।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ، سِيرِينَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ ابْنٌ لأَبِي طَلْحَةَ يَشْتَكِي فَخَرَجَ أَبُو طَلْحَةَ فَقُبِضَ الصَّبِيُّ فَلَمَّا رَجَعَ أَبُو طَلْحَةَ قَالَ مَا فَعَلَ ابْنِي قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ هُوَ أَسْكَنُ مِمَّا كَانَ . فَقَرَّبَتْ إِلَيْهِ الْعَشَاءَ فَتَعَشَّى ثُمَّ أَصَابَ مِنْهَا فَلَمَّا فَرَغَ قَالَتْ وَارُوا الصَّبِيَّ . فَلَمَّا أَصْبَحَ أَبُو طَلْحَةَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ " أَعْرَسْتُمُ اللَّيْلَةَ " . قَالَ نَعَمْ قَالَ " اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمَا " . فَوَلَدَتْ غُلاَمًا فَقَالَ لِي أَبُو طَلْحَةَ احْمِلْهُ حَتَّى تَأْتِيَ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم . فَأَتَى بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَبَعَثَتْ مَعَهُ بِتَمَرَاتٍ فَأَخَذَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَمَعَهُ شَىْءٌ " . قَالُوا نَعَمْ تَمَرَاتٌ . فَأَخَذَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَمَضَغَهَا ثُمَّ أَخَذَهَا مِنْ فِيهِ فَجَعَلَهَا فِي فِي الصَّبِيِّ ثُمَّ حَنَّكَهُ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ .
হাদীস নং: ৫৪২৯
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৪-৩
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪২৯। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে এ কিসসা সহকারে রাবী ইয়াযীদ (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ نَحْوَ حَدِيثِ يَزِيدَ .
হাদীস নং: ৫৪৩০
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৫
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪৩০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আব্দুল্লাহ ইবনে বাররাদ আশআরী ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার একটি ছেলের জন্ম হলে আমি তাকে নিয়ে নবী (ﷺ) এর খিদমতে হাযির হলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম এবং একটি খেজুর চিবিয়ে তিনি তাকে ’তাহনীক’ করলেন বরকত দিলেন।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ وُلِدَ لِي غُلاَمٌ فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَمَّاهُ إِبْرَاهِيمَ وَحَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ .
হাদীস নং: ৫৪৩১
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৬-১
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪৩১। হাকাম ইবনে মুসা আবু সালিহ (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনে যুবাইর ও ফাতিমা বিনতে মুনযির ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) যখন হিজরত করলেন, তখন তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কে গর্ভে ধারণ করছিলেন। কুবায় পৌছলে আব্দুল্লাহকে প্রসব করলেন। প্রসবের পর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে গেলেন, যেন তিনি তাকে (নবজাতককে) খেজুর চিবিয়ে বরকত দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শিশুটিকে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিজের কোলে রাখলেন। তারপর একটি খেজুর আনতে বললেন।

রাবী বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, তা খুঁজে পাওয়ার পূর্ব আমাদের কিছু সময় বিলম্ব হল। এরপর তিনি তা চিবিয়ে নিজ মুখ থেকে তার মুখে দিয়ে দিলেন। সুতরাং তার পেটে প্রথম যা ঢুকল, তা ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর লালা। আসমা (রাযিঃ) আরও বলেছেন, তারপর তাকে হাত বুলিয়ে দিলেন এবং তার জন্য দুআ করলেন, আর তার নাম রাখলেন আব্দুল্লাহ। অতঃপর সাত কিংবা আট বছর বয়সে সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে বায়আত হওয়ার জন্য এল। (পিতা) যুবাইর (রাযিঃ) তাকে তা করার উপদেশ দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে দেখে মৃদু হাসলেন। এরপর তাকে বায়’আত করে নিলেন।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى أَبُو صَالِحٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ الْمُنْذِرِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُمَا قَالاَ خَرَجَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ حِينَ هَاجَرَتْ وَهِيَ حُبْلَى بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَقَدِمَتْ قُبَاءً فَنُفِسَتْ بِعَبْدِ اللَّهِ بِقُبَاءٍ ثُمَّ خَرَجَتْ حِينَ نُفِسَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُحَنِّكَهُ فَأَخَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا فَوَضَعَهُ فِي حَجْرِهِ ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَمَكَثْنَا سَاعَةً نَلْتَمِسُهَا قَبْلَ أَنْ نَجِدَهَا فَمَضَغَهَا ثُمَّ بَصَقَهَا فِي فِيهِ فَإِنَّ أَوَّلَ شَىْءٍ دَخَلَ بَطْنَهُ لَرِيقُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَتْ أَسْمَاءُ ثُمَّ مَسَحَهُ وَصَلَّى عَلَيْهِ وَسَمَّاهُ عَبْدَ اللَّهِ ثُمَّ جَاءَ وَهُوَ ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ أَوْ ثَمَانٍ لِيُبَايِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَهُ بِذَلِكَ الزُّبَيْرُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُ مُقْبِلاً إِلَيْهِ ثُمَّ بَايَعَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪৩২
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৬-২
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪৩২। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) ......... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি মক্কায় (থাকাকালে) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কে গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেনঃ আমি (মক্কা থেকে) মদীনায় (হিজরত উদ্দেশ্যে) বের হলাম। তখন আমার গর্ভকাল পূর্ণ হয়ে আসছে। আমি মদীনায় এসে কুবায় অবতরণ করলাম এবং কুবায় তাকে জন্ম দিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে গেলাম। তিনি তাকে (নবজাতককে) তাঁর কোলে রাখলেন, তারপর একটি খেজুর আনিয়ে তা চিবালেন, তারপর তাঁর মুখ থেকে লালাসহ তার (শিশুটির) মুখে দিলেন। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর লালাই ছিল প্রথম জিনিস, যা তার পেটে প্রবেশ করল। এরপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দেওয়ার পর তার জন্য দুআ করলেন এবং তাকে বরকত (-এর দুআ) দিলেন। এ শিশুই ছিল (মদীনায়) হিজরতের পর ইসলামের প্রথম নবজাতক।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ، أَنَّهَا حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ قَالَتْ فَخَرَجْتُ وَأَنَا مُتِمٌّ، فَأَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَنَزَلْتُ بِقُبَاءٍ فَوَلَدْتُهُ بِقُبَاءٍ ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعَهُ فِي حَجْرِهِ ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ فَمَضَغَهَا ثُمَّ تَفَلَ فِي فِيهِ فَكَانَ أَوَّلَ شَىْءٍ دَخَلَ جَوْفَهُ رِيقُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ حَنَّكَهُ بِالتَّمْرَةِ ثُمَّ دَعَا لَهُ وَبَرَّكَ عَلَيْهِ وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي الإِسْلاَمِ .
হাদীস নং: ৫৪৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৬-৩
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪৩৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আসমা বিনতে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কে গর্ভে ধারণকৃত অবস্থায় হিজরত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে পৌছলেন। তারপর তিনি উসামা এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ، بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا هَاجَرَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ حُبْلَى بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ .
হাদীস নং: ৫৪৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৭
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪৩৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে (নবজাতক) শিশুদের নিয়ে আসা হতো। তিনি তাদের জন্য বরকতের দুআ করতেন এবং তাহনীক করে (খেজুর চিবিয়ে তাদের মুখে) দিতেন।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، - يَعْنِي ابْنَ عُرْوَةَ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيُبَرِّكُ عَلَيْهِمْ وَيُحَنِّكُهُمْ .
হাদীস নং: ৫৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৮
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪৩৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরকে তাহনীক করে দেয়ার জন্য (তার মুখে খেজুর চিবিয়ে দেওয়ার জন্য) নিয়ে এলাম। অতঃপর আমরা একটি খেজুর তালাশ করলাম এবং তা খুজে পাওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দেখা দিল।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جِئْنَا بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُحَنِّكُهُ فَطَلَبْنَا تَمْرَةً فَعَزَّ عَلَيْنَا طَلَبُهَا .
হাদীস নং: ৫৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ২১৪৯
৫. সন্তান জন্ম নিলে নবজাতককে ’তাহনীক’ করা খুরমা ইত্যাদি (চিবিয়ে তার মুখে ’বরকত’ দেয়া) এবং (এ উদ্দেশ্যে) তাকে কোন সালিহ (পুণ্যবান) ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিনে নাম রাখা জায়েয। আব্দুল্লাহ এবং ইবরাহীম ও অন্যান্য নবীগণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব
৫৪৩৬। মুহাম্মাদ ইবনে সাহল তামীমী ও আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুনযির ইবনে আবু উসায়দ (রাযিঃ) কে তাঁর জন্মের পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে নিয়ে আসা হল। নবী (ﷺ) তাকে তার রানের উপরে রাখলেন। আবু উসায়দ (রাযিঃ) (পাশে) বসা ছিলেন। নবী (ﷺ) তাঁর সামনের কোন কিছুতে মনোনিবেশ করলেন। আবু উসায়দ (রাযিঃ) তার ছেলের বিষয়ে (কাউকে) নির্দেশ করলেন। তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর থেকে তুলে নেয়া হল। তারা তাকে তুলে নেয়ার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সচেতন হলেন এবং বললেন, শিশুটি কোথায়? আবু উসায়দ (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা তাকে সরিয়ে নিয়েছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তার নাম কি? তারা বলল, অমূক ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ না, বরং তার নাম মুনযির। এভাবে সেদিন তিনি তার নাম রাখলেন।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَحْنِيكِ الْمَوْلُودِ عِنْدَ وِلَادَتِهِ وَحَمْلِهِ إِلَى صَالِحٍ يُحَنِّكُهُ وَجَوَازِ تَسْمِيَتِهِ يَوْمَ وِلَادَتِهِ وَاسْتِحْبَابِ التَّسْمِيَةِ بِعَبْدِ اللَّهِ وَإِبْرَاهِيمَ وَسَائِرِ أَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلَام
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ مُطَرِّفٍ أَبُو غَسَّانَ - حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ أُتِيَ بِالْمُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ وُلِدَ فَوَضَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى فَخِذِهِ وَأَبُو أُسَيْدٍ جَالِسٌ فَلَهِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِشَىْءٍ بَيْنَ يَدَيْهِ فَأَمَرَ أَبُو أُسَيْدٍ بِابْنِهِ فَاحْتُمِلَ مِنْ عَلَى فَخِذِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْلَبُوهُ فَاسْتَفَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَيْنَ الصَّبِيُّ " . فَقَالَ أَبُو أُسَيْدٍ أَقْلَبْنَاهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ " مَا اسْمُهُ " . قَالَ فُلاَنٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " لاَ وَلَكِنِ اسْمُهُ الْمُنْذِرُ " . فَسَمَّاهُ يَوْمَئِذٍ الْمُنْذِرَ .