আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৩৭- পানাহার ও পানীয় দ্রব্যাদীর বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৫১৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২০৫৩-১
৩০. রসুন খাওয়া বৈধ। আর যে ব্যক্তি ’বড়দের’ সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে, তার জন্য এটা খাওয়া বর্জন করা উচিত। এ ধরনের অন্যান্য (দুর্গন্ধ যুক্ত) বস্তুর হুকুমও তাই
৫১৮৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু আইয়ুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কোন খাবার আনা হলে তিনি কিছু খেতেন আর অবশিষ্টটুকু আমার কাছে পাঠিয়ে দিতেন। একদিন তিনি এমন কিছু খাবার পাঠিয়ে দিলেন যা থেকে কিছুই গ্রহণ করেননি; কেননা তাতে রসুন ছিল। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম- এটা কি হারাম? তিনি বললেনঃ না। তবে আমি গন্ধের দরুন ওটা অপছন্দ করি। তিনি বললেন, তাহলে আমিও অপছন্দ করবো, যা আপনি অপছন্দ করেন।
باب إِبَاحَةِ أَكْلِ الثُّومِ وَأَنَّهُ يَنْبَغِي لِمَنْ أَرَادَ خِطَابِ الْكِبَارِ تَرْكُهُ وَكَذَا مَا فِي مَعْنَاهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ أَكَلَ مِنْهُ وَبَعَثَ بِفَضْلِهِ إِلَىَّ وَإِنَّهُ بَعَثَ إِلَىَّ يَوْمًا بِفَضْلَةٍ لَمْ يَأْكُلْ مِنْهَا لأَنَّ فِيهَا ثُومًا فَسَأَلْتُهُ أَحَرَامٌ هُوَ قَالَ " لاَ وَلَكِنِّي أَكْرَهُهُ مِنْ أَجْلِ رِيحِهِ " . قَالَ فَإِنِّي أَكْرَهُ مَا كَرِهْتَ .
হাদীস নং: ৫১৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০৫৩-২
৩০. রসুন খাওয়া বৈধ। আর যে ব্যক্তি ’বড়দের’ সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে, তার জন্য এটা খাওয়া বর্জন করা উচিত। এ ধরনের অন্যান্য (দুর্গন্ধ যুক্ত) বস্তুর হুকুমও তাই
৫১৮৪। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... শুবা (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।
باب إِبَاحَةِ أَكْلِ الثُّومِ وَأَنَّهُ يَنْبَغِي لِمَنْ أَرَادَ خِطَابِ الْكِبَارِ تَرْكُهُ وَكَذَا مَا فِي مَعْنَاهُ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫১৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০৫৩-৩
৩০. রসুন খাওয়া বৈধ। আর যে ব্যক্তি ’বড়দের’ সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে, তার জন্য এটা খাওয়া বর্জন করা উচিত। এ ধরনের অন্যান্য (দুর্গন্ধ যুক্ত) বস্তুর হুকুমও তাই
৫১৮৫। হাজ্জাজ ইবনে শাঈর ও আহমাদ ইবনে সাঈদ ইবনে সাখর (রাহঃ) ......... আবু আইয়ুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, (হিজরতের সময়) নবী (ﷺ) তাঁর বাড়িতে অতিথি হলেন। নবী (ﷺ) থাকতেন নীচ তলায়, আর আবু আইয়ুব (রাযিঃ) থাকতেন উপর তলায়। এক রাত্রে আবু আইয়ুব (রাযিঃ) জাগ্রত হয়ে বললেন, আমরা তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মাথার উপর চলাফেরা করি। তখন তাঁরা সেখান থেকে সরে গিয়ে এক কোণে রাত কাটালেন। এরপর (সকালে) নবী (ﷺ) কে তিনি বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বললেনঃ নীচ তলায়ই বেশী সুবিধা। তখন তিনি বললেন, আপনি নীচে থাকবেন এমন ছাদে আমি উঠবো না।

এরপর নবী (ﷺ) উপর তলায় এবং আবু আইয়্যুব (রাযিঃ) নীচ তলায় স্থান পরিবর্তন করলেন। তিনি নবী (ﷺ) এর জন্য খাবার তৈরী করতেন। যখন (অবশিষ্ট) খাবার ফিরিয়ে আনা হতো, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, তিনি (রাসুল (ﷺ)) কোন স্থানে তাঁর আঙ্গুল লাগিয়েছেন? এরপর তাঁর আঙ্গুলের স্থান থেকে বেছে বেছে খেতেন।

একদিন তিনি তাঁর জন্য খাবার তৈরী করলেন, যাতে ছিল রসুন। তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনা হলে তিনি নবী (ﷺ) এর আঙ্গুলের স্থান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। তাঁকে বলা হলো, তিনি এগুলো আহার করেননি। এতে তিনি ঘাবড়িয়ে গেলেন এবং তাঁর নিকট গেলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন ওটা কি হারাম? নবী (ﷺ) বললেনঃ না। তবে আমি ওটা অপছন্দ করি। তিনি বললেন, তাহলে আপনি যা অপছন্দ করেন, আমিও তা অপছন্দ করি। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) এর কাছে তখন ওহী আসত।
باب إِبَاحَةِ أَكْلِ الثُّومِ وَأَنَّهُ يَنْبَغِي لِمَنْ أَرَادَ خِطَابِ الْكِبَارِ تَرْكُهُ وَكَذَا مَا فِي مَعْنَاهُ
وَحَدَّثَنِي حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ، - وَاللَّفْظُ مِنْهُمَا قَرِيبٌ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، - فِي رِوَايَةِ حَجَّاجِ بْنِ يَزِيدَ أَبُو زَيْدٍ الأَحْوَلُ - حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَفْلَحَ، مَوْلَى أَبِي أَيُّوبَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ عَلَيْهِ فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي السُّفْلِ وَأَبُو أَيُّوبَ فِي الْعُلْوِ - قَالَ - فَانْتَبَهَ أَبُو أَيُّوبَ لَيْلَةً فَقَالَ نَمْشِي فَوْقَ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَتَنَحَّوْا فَبَاتُوا فِي جَانِبٍ ثُمَّ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " السُّفْلُ أَرْفَقُ " . فَقَالَ لاَ أَعْلُو سَقِيفَةً أَنْتَ تَحْتَهَا . فَتَحَوَّلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْعُلْوِ وَأَبُو أَيُّوبَ فِي السُّفْلِ فَكَانَ يَصْنَعُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم طَعَامًا فَإِذَا جِيءَ بِهِ إِلَيْهِ سَأَلَ عَنْ مَوْضِعِ أَصَابِعِهِ فَيَتَتَبَّعُ مَوْضِعَ أَصَابِعِهِ فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فِيهِ ثُومٌ فَلَمَّا رُدَّ إِلَيْهِ سَأَلَ عَنْ مَوْضِعِ أَصَابِعِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقِيلَ لَهُ لَمْ يَأْكُلْ . فَفَزِعَ وَصَعِدَ إِلَيْهِ فَقَالَ أَحَرَامٌ هُوَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ وَلَكِنِّي أَكْرَهُهُ " . قَالَ فَإِنِّي أَكْرَهُ مَا تَكْرَهُ أَوْ مَا كَرِهْتَ . قَالَ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُؤْتَى .