আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৭- পানাহার ও পানীয় দ্রব্যাদীর বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৫০৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৪-১
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৫৬। উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয আম্বারী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য রাতের প্রথমভাগে নাবীয তৈরী করা হতো। তিনি তা পান করতেন, সেদিন (রাত বিগত) সকালে, আগামী রাতে, পরবর্তী দিনে এরপরের রাতে এবং পরদিন আসর পর্যন্ত। এরপরও যদি কিছু অবশিষ্ট থেকে যেত তা তিনি তাঁর খাদিমকে পান করাতেন অথবা ফেলে দিতে আদেশ দিতেন।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ، أَبِي عُمَرَ الْبَهْرَانِيِّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْتَبَذُ لَهُ أَوَّلَ اللَّيْلِ فَيَشْرَبُهُ إِذَا أَصْبَحَ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَاللَّيْلَةَ الَّتِي تَجِيءُ وَالْغَدَ وَاللَّيْلَةَ الأُخْرَى وَالْغَدَ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ بَقِيَ شَىْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ أَمَرَ بِهِ فَصُبَّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৪-২
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৫৭। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া বাহরানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট নাবীযের কথা আলোচনা করলে তিনি বললেন, রাসুল (ﷺ) এর জন্য (চামড়া) মশকে নাবীয তৈরী করা হতো। শু’বা বলেন, সোমবারের (পূর্ববর্তী রোববার দিন শেষের) রাতে করা হলে তিনি তা সোমবার দিন ও মঙ্গলবার আসর পর্যন্ত পান করতেন। এরপরও কিছু অবশিষ্ট থাকলে তিনি তা খাদিমকে পান করাতেন বা ফেলে দিতেন।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ يَحْيَى الْبَهْرَانِيِّ، قَالَ ذَكَرُوا النَّبِيذَ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْتَبَذُ لَهُ فِي سِقَاءٍ - قَالَ شُعْبَةُ مِنْ لَيْلَةِ الاِثْنَيْنِ - فَيَشْرَبُهُ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَالثَّلاَثَاءِ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ فَضَلَ مِنْهُ شَىْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ صَبَّهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৪-৩
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৫৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আবু কুরায়ব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য কিসমিস ভিজিয়ে রাখা হতো। তিনি সেদিন তার পরের দিন এবং পরের দিনের পরে তৃতিয় দিন বিকাল পর্যন্ত তা পান করতেন। এরপর তিনি তা কাউকে পান করিয়ে দিতে অথবা ফেলা দিতে আদেশ করতেন।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ وَأَبِي كُرَيْبٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْقَعُ لَهُ الزَّبِيبُ فَيَشْرَبُهُ الْيَوْمَ وَالْغَدَ وَبَعْدَ الْغَدِ إِلَى مَسَاءِ الثَّالِثَةِ ثُمَّ يَأْمُرُ بِهِ فَيُسْقَى أَوْ يُهَرَاقُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৪-৪
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৫৯। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য মশকের (চামড়ার পাত্রে) মধ্যে কিসমিসের নাবীয তৈরী করা হতো। তিনি সেদিন, তার পরবর্তী দিন এবং পরের দিনের পরের দিন পর্যন্ত তা পান করতেন। তৃতীয় দিনের বিকাল হলে তিনি নিজে তা পান করতেন এবং অন্যকে পান করাতেন। এরপরও যদি কিছু অবশিষ্ট থাকত, তিনি তা ফেলে দিতেন।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ يَحْيَى أَبِي عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْبَذُ لَهُ الزَّبِيبُ فِي السِّقَاءِ فَيَشْرَبُهُ يَوْمَهُ وَالْغَدَ وَبَعْدَ الْغَدِ فَإِذَا كَانَ مِسَاءُ الثَّالِثَةِ شَرِبَهُ وَسَقَاهُ فَإِنْ فَضَلَ شَىْءٌ أَهْرَاقَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৪-৫
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৬০। মুহাম্মাদ ইবনে আবু খালাফ (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া নাখঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক লোক ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে মদ ক্রয়-বিক্রয় ও এর ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো। তিনি বললেন, তোমরা কি মুসলমান? তারা বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে এর ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবসা বৈধ হবে না। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তারা তাঁকে নাবীয সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার সফরে গিয়ে যখন প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন তাঁর সাহাবীদের থেকে কিছু লোক হানতাম, নাকীর ও দুব্বার মধ্যে নাবীয তৈরী করছিলো। তিনি আদেশ দিলে তা ঢেলে ফেলা হয়। এরপর তিনি মশক আনতে আদেশ দিলেন। তারপর তাতে কিসমিস ও পানি দিয়ে সারারাত রাখা হলো। সেদিন সকালে এবং আগামী রাত ও তার পরবর্তী বিকাল পর্যন্ত তিনি তা থেকে পান করেন আর অন্যদের পান করতে দেন। রাত অতিবাহিত হলে তিনি অবশিষ্ট অংশ সম্বন্ধে আদেশ দিলেন, তা ঢেলে ফেলা হলো।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى أَبِي عُمَرَ النَّخَعِيِّ، قَالَ سَأَلَ قَوْمٌ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ بَيْعِ الْخَمْرِ، وَشِرَائِهَا، وَالتِّجَارَةِ فِيهَا فَقَالَ أَمُسْلِمُونَ أَنْتُمْ قَالُوا نَعَمْ . قَالَ فَإِنَّهُ لاَ يَصْلُحُ بَيْعُهَا وَلاَ شِرَاؤُهَا وَلاَ التِّجَارَةُ فِيهَا . قَالَ فَسَأَلُوهُ عَنِ النَّبِيذِ فَقَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ ثُمَّ رَجَعَ وَقَدْ نَبَذَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فِي حَنَاتِمَ وَنَقِيرٍ وَدُبَّاءٍ فَأَمَرَ بِهِ فَأُهْرِيقَ ثُمَّ أَمَرَ بِسِقَاءٍ فَجُعِلَ فِيهِ زَبِيبٌ وَمَاءٌ فَجُعِلَ مِنَ اللَّيْلِ فَأَصْبَحَ فَشَرِبَ مِنْهُ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَلَيْلَتَهُ الْمُسْتَقْبِلَةَ وَمِنَ الْغَدِ حَتَّى أَمْسَى فَشَرِبَ وَسَقَى فَلَمَّا أَصْبَحَ أَمَرَ بِمَا بَقِيَ مِنْهُ فَأُهَرِيقَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৫-১
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৬১। শায়বান ইবনে ফাররুখ (রাহঃ) ......... ছুমামা ইবনে হাযন কুশায়রী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করে তাঁকে নাবীয সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আয়িশা (রাযিঃ) এক হাবশী ক্রীতদাসীকে ডাকলেন এবং বললেন, একে জিজ্ঞাসা কর, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য সে নাবীয তৈরী করতো। পরে হাবশী মেয়েটি বললো, রাতে আমি তাঁর জন্য মশকের মধ্যে নাবীয তৈরী করতাম এবং সেটি মুখ বন্ধ করে ঝুলিয়ে রাখতাম। সকাল হলে তিনি এর থেকে পান করতেন।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ، - يَعْنِي ابْنَ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيَّ - حَدَّثَنَا ثُمَامَةُ، - يَعْنِي ابْنَ حَزْنٍ الْقُشَيْرِيَّ - قَالَ لَقِيتُ عَائِشَةَ فَسَأَلْتُهَا عَنِ النَّبِيذِ، فَدَعَتْ عَائِشَةُ جَارِيَةً حَبَشِيَّةً فَقَالَتْ سَلْ هَذِهِ فَإِنَّهَا كَانَتْ تَنْبِذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتِ الْحَبَشِيَّةُ كُنْتُ أَنْبِذُ لَهُ فِي سِقَاءٍ مِنَ اللَّيْلِ وَأُوكِيهِ وَأُعَلِّقُهُ فَإِذَا أَصْبَحَ شَرِبَ مِنْهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫০৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৫-২
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৬২। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না আম্বারী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নাবীয প্রস্তুত করতাম যেটির মুখ বন্ধ থাকত উপরের দিকে এবং যেটির (নীচের দিকে) অনেকগুলো ছিদ্র ছিল। আমরা সকালে নাবীয তৈরী করলে রাতেই তিনি পান করতেন। আবার রাতে করলে সকালেই তিনি পান করতেন।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا نَنْبِذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سِقَاءٍ يُوكَى أَعْلاَهُ وَلَهُ عَزْلاَءُ نَنْبِذُهُ غُدْوَةً فَيَشْرَبُهُ عِشَاءً وَنَنْبِذُهُ عِشَاءً فَيَشْرَبُهُ غُدْوَةً .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৬-২
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৬৪। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাহল (রাহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আবু উসায়দ সাঈদী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দাওয়াত করলেন। তারপর বর্ণনাকারী উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি একথা বলেন নি যে, ″আহার সমাপন করলে সে নাবীযটুকু তিনি তাঁকে পান করতে দেন।″
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلاً، يَقُولُ أَتَى أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَعَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ وَلَمْ يَقُلْ فَلَمَّا أَكَلَ سَقَتْهُ إِيَّاهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৫০৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৬-৩
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৬৫। মুহাম্মাদ ইবনে সাহল-তামীমী (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেছেন, ″পাথর নির্মিত পাত্রে″ (ভেজানো হয়েছিল), এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আহার শেষ করলে তিনি তা নরম করে একমাত্র তাঁকেই পান করতে দিয়েছিলেন।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي أَبَا غَسَّانَ - حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، بِهَذَا الْحَدِيثِ وَقَالَ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الطَّعَامِ أَمَاثَتْهُ فَسَقَتْهُ تَخُصُّهُ بِذَلِكَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫০৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৭
৯. যে নাবীয (খেজুর ভেজানো পানি) গাড় হয়নি এবং নেশা সৃষ্টিকারী হয়নি, তা মুবাহ হওয়া
৫০৬৬। মুহাম্মাদ ইবনে সাহল তামীমী ও আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আরবের জনৈকা মহিলার প্রসঙ্গ আলোচিত হলো। তিনি আবু উসায়দ (রাযিঃ) কে তার নিকট লোক পাঠানোর জন্য আদেশ দিলেন। তিনি লোক (দূত) পাঠালে উক্ত মহিলা এলো এবং সাঈদা গোত্রের দুর্গে অবস্থান গ্রহণ করলো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে তার নিকট আসলেন। তিনি যখন তার কাছে পৌছলেন তখন মহিলা মস্তকাবনত হয়ে বসেছিল। তিনি তার সাথে কথোপকথন করলে সে বললো, আমি আপনার থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। তিনি বললেন, আমিও তোমাকে আশ্রয় (নিস্তার) দিলাম। লোকেরা মহিলাকে বললো, তুমি জান ইনি কে? সে বললো, না। তারা বললো, ইনি তো আল্লাহর রাসুল। তিনি তোমাকে বিবাহের প্রস্তাব করতে এসেছিলেন।
তখন সে বললো, আমি তো হতভাগী। সাহল (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেদিন ফিরে এসে তার সাহাবীদের সাথে বনু সাঈদার সাকীফায় (বৈধ জায়গায়) উপবেশন করেন। এরপর তিনি সাহলকে বললেন, আমাদেরকে কিছু পান করাও। সাহল বলেনঃ পরে আমি একটি পেয়ালাটি বের করে তাদের সকলকেই তা থেকে পান করিয়েছিলাম। আবু হাযিম (রাহঃ) বলেন, সাহল (রাযিঃ) আমাদের সামনে পেয়ালাটি বের করলে আমরা তাতে পান করলাম। তারপর উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তা চাইলে, তিনি তাঁকে সেটি দান করেন। আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) এর বর্ণনায় আছে, তিনি বললেন, হে সাহল! তুমি আমাদেরকে পান করাও।
তখন সে বললো, আমি তো হতভাগী। সাহল (রাযিঃ) বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেদিন ফিরে এসে তার সাহাবীদের সাথে বনু সাঈদার সাকীফায় (বৈধ জায়গায়) উপবেশন করেন। এরপর তিনি সাহলকে বললেন, আমাদেরকে কিছু পান করাও। সাহল বলেনঃ পরে আমি একটি পেয়ালাটি বের করে তাদের সকলকেই তা থেকে পান করিয়েছিলাম। আবু হাযিম (রাহঃ) বলেন, সাহল (রাযিঃ) আমাদের সামনে পেয়ালাটি বের করলে আমরা তাতে পান করলাম। তারপর উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) তা চাইলে, তিনি তাঁকে সেটি দান করেন। আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) এর বর্ণনায় আছে, তিনি বললেন, হে সাহল! তুমি আমাদেরকে পান করাও।
باب إِبَاحَةِ النَّبِيذِ الَّذِي لَمْ يَشْتَدَّ وَلَمْ يَصِرْ مُسْكِرًا
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلٍ التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ - قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ سَهْلٍ، حَدَّثَنَا - ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ مُطَرِّفٍ أَبُو غَسَّانَ - أَخْبَرَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةٌ مِنَ الْعَرَبِ فَأَمَرَ أَبَا أُسَيْدٍ أَنْ يُرْسِلَ إِلَيْهَا فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَقَدِمَتْ فَنَزَلَتْ فِي أُجُمِ بَنِي سَاعِدَةَ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى جَاءَهَا فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَإِذَا امْرَأَةٌ مُنَكِّسَةٌ رَأْسَهَا فَلَمَّا كَلَّمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ قَالَ " قَدْ أَعَذْتُكِ مِنِّي " . فَقَالُوا لَهَا أَتَدْرِينَ مَنْ هَذَا فَقَالَتْ لاَ . فَقَالُوا هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَكِ لِيَخْطُبَكِ قَالَتْ أَنَا كُنْتُ أَشْقَى مِنْ ذَلِكَ . قَالَ سَهْلٌ فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ حَتَّى جَلَسَ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ ثُمَّ قَالَ " اسْقِنَا " . لِسَهْلٍ قَالَ فَأَخْرَجْتُ لَهُمْ هَذَا الْقَدَحَ فَأَسْقَيْتُهُمْ فِيهِ . قَالَ أَبُو حَازِمٍ فَأَخْرَجَ لَنَا سَهْلٌ ذَلِكَ الْقَدَحَ فَشَرِبْنَا فِيهِ قَالَ ثُمَّ اسْتَوْهَبَهُ بَعْدَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَوَهَبَهُ لَهُ . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ " اسْقِنَا يَا سَهْلُ " .

তাহকীক: