আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৭- পানাহার ও পানীয় দ্রব্যাদীর বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪৯৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৭৯-২
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৬৪। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামীমী (রাহঃ) ......... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে বদর দিবসে আমি গনিমত (যুদ্ধলব্ধ মাল) থেকে একটি বয়স্কা উটনী পেয়েছিলাম। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (খুমুস থেকে) আমাকে আর একটি বয়স্কা উটনী দিয়েছিলেন। একদিন আমি জনৈক আনসারী ব্যক্তির দরজার সামনে সে দুটি বসিয়ে রাখলাম। আমার ইচ্ছা ছিল, সে দুটির পিঠে করে কিছু ইযখির (ঘাস) বয়ে আনবো, আর তা বিক্রয় করে ফাতিমা (রাযিঃ) এর ওলীমায় সাহায্য নিব। আমার সাথে ছিল বনু কায়নুকা গোত্রের জনৈক স্বর্ণকার। হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাযিঃ) সে বাড়িতেই মদ্যপান করছিল। তার সাথে ছিল একজন গায়িকা। সে (তার গানের মধ্যে) বললোঃأَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ অর্থাৎ হে হামযা! হৃষ্টপুষ্ট উটনী দুটির কাছে যাও (এবং তোমার মেহমানদের জন্য তা যবেহ কর)।
এরপর হামযা সে দু’টির কাছে তরবারিসহ ছুটে গেল। পরে দুটিরই কুঁজ কেটে ফেললো এবং তাদের পাঁজর (পেট) ফেঁড়ে ফেললো। এরপর সে এ দু’টির কলিজা বের করে নিল। আমি ইবনে শিহাবকে বললাম, (বর্ণনায় কি এ কথা আছে যে,) তিনি কুঁজ (গোশত) থেকেও নিলেন? তিনি বললেন, (এভাবে আছে) কুঁজ দুটি কেটে সাথে নিয়ে গেলেন।
ইবনে শিহাব বলেন, আলী (রাযিঃ) বলেন, এ মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গেলাম। তাঁর কাছে ছিল যায়দ ইবনে হারিসা। তারপর আমি তাঁকে সমস্ত ঘটনা অবহিত করলাম। তিনি যায়দকে সাথে নিয়ে বের হলেন। আমিও তার সঙ্গে চললাম। হামযার কাছে গিয়ে তাকে কিছু কড়া কথা বললেন। হামযা (মাদকগ্রস্ত অবস্থায়) চোখ তুলে বললো, তোমরা তো আমার বাবার গোলাম বৈ কিছু নও। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পিছু হেঁটে চললেন এবং এভাবে তিনি তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসলেন।
৪৯৬৫। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এরপর হামযা সে দু’টির কাছে তরবারিসহ ছুটে গেল। পরে দুটিরই কুঁজ কেটে ফেললো এবং তাদের পাঁজর (পেট) ফেঁড়ে ফেললো। এরপর সে এ দু’টির কলিজা বের করে নিল। আমি ইবনে শিহাবকে বললাম, (বর্ণনায় কি এ কথা আছে যে,) তিনি কুঁজ (গোশত) থেকেও নিলেন? তিনি বললেন, (এভাবে আছে) কুঁজ দুটি কেটে সাথে নিয়ে গেলেন।
ইবনে শিহাব বলেন, আলী (রাযিঃ) বলেন, এ মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গেলাম। তাঁর কাছে ছিল যায়দ ইবনে হারিসা। তারপর আমি তাঁকে সমস্ত ঘটনা অবহিত করলাম। তিনি যায়দকে সাথে নিয়ে বের হলেন। আমিও তার সঙ্গে চললাম। হামযার কাছে গিয়ে তাকে কিছু কড়া কথা বললেন। হামযা (মাদকগ্রস্ত অবস্থায়) চোখ তুলে বললো, তোমরা তো আমার বাবার গোলাম বৈ কিছু নও। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পিছু হেঁটে চললেন এবং এভাবে তিনি তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসলেন।
৪৯৬৫। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ أَصَبْتُ شَارِفًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَغْنَمٍ يَوْمَ بَدْرٍ وَأَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَارِفًا أُخْرَى فَأَنَخْتُهُمَا يَوْمًا عِنْدَ بَابِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَحْمِلَ عَلَيْهِمَا إِذْخِرًا لأَبِيعَهُ وَمَعِيَ صَائِغٌ مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ فَأَسْتَعِينَ بِهِ عَلَى وَلِيمَةِ فَاطِمَةَ وَحَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَشْرَبُ فِي ذَلِكَ الْبَيْتِ مَعَهُ قَيْنَةٌ تُغَنِّيهِ فَقَالَتْ أَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ فَثَارَ إِلَيْهِمَا حَمْزَةُ بِالسَّيْفِ فَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا ثُمَّ أَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا . قُلْتُ لاِبْنِ شِهَابٍ وَمِنَ السَّنَامِ قَالَ قَدْ جَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا فَذَهَبَ بِهَا . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ قَالَ عَلِيٌّ فَنَظَرْتُ إِلَى مَنْظَرٍ أَفْظَعَنِي فَأَتَيْتُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَخَرَجَ وَمَعَهُ زَيْدٌ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُ فَدَخَلَ عَلَى حَمْزَةَ فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ فَرَفَعَ حَمْزَةُ بَصَرَهُ فَقَالَ هَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لآبَائِي فَرَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَهْقِرُ حَتَّى خَرَجَ عَنْهُمْ .
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৭৯-৪
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৬৬। আবু বকর ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, বদরের দিন আমার জন্য গনিমত থেকে আমার অংশে একটি বয়স্কা উটনী ছিল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেদিন এক-পঞ্চমাংশ থেকে আমাকে আর একটি পূর্ণ বয়স্কা উটনী দিয়েছিলেন। আমি যখন রাসুল-তনয়া ফাতিমা-এর সঙ্গে বাসর যাপনের ইচ্ছা করলাম, তখন বানু কায়নুকা গোত্রের জনৈক স্বর্ণকার ও আমি পরস্পর চুক্তিতে আব্দ্ধ হলাম। সে আমার সঙ্গে যাবে আর আমরা (দু’জনে) ইযখির (ঘাস) নিয়ে আসবো। আমি ইচ্ছা করলাম, এগুলি স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রয় করে তা দিয়ে আমার বিবাহের ওলীমার ব্যাপারে সাহায্য নিব। আমি উট দুটির জন্য জীন, থলে এবং রশি ইত্যাদি জিনিস সংগ্রহ করছিলাম। আর আমার উট দুটি জনৈক আনসারী ব্যক্তির ঘরের পাশে বসানো ছিল। আমিও যা সংগ্রহ করবার সংগ্রহ করলাম।
এমন সময় হঠাৎ দেখি সে দুটির কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে,পাঁজর (পেট) ফেঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং উভয়ের কলিজা বের করে নেয়া হয়েছে। আমিএ দৃশ্য দেখে আমার দু’চোখ (এর অশ্রু) সহ্য করতে পারলাম না। আমি বলে উঠলম, এ কাজ কোন ব্যক্তি করলো? লোকেরা বললো, হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। সে এ বাড়িতে আনসারদের একদল সূরাপায়ীর সাথে আছে। এক গায়িকা তাকে ও তার সাথীদেরকে গান শুনাচ্ছিল। সে তার গানে বললোঃأَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ হে হামযা! তুমি মোটাসোটা উট দুটির প্রতি তোমার আকর্ষণ আছে কি? তখন হামযা তলোয়ার নিয়ে ডঠলো, উট দু’টির কুঁজ কেটে ফেললো, পেট (পাজর) ফেঁড়ে ফেললো এবং কলিজা বের করে নিলো।
আলী (রাযিঃ) বলেন, অবশেষে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গেলাম। তাঁর কাছে ছিল যায়দ ইবনে হারিসা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার চেহারার অবস্থা দেখে বুঝতে পারলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ, আজকের মত দিন আমি আর কখনও দেখিনি! হামযা আমার উট দুটির উপর চড়াও হয়ে উভয়ের কুঁজ দুটি কেটে ফেলেছে, পেট ফেঁড়ে ফেলেছে (এবং কলিজা বের করে নিয়েছে) সে ঐ বাড়িতে আছে আর তার সঙ্গে আছে সূরাপায়ীর এক দল।
তিনি বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার চাঁদর নিয়ে আসতে বললেন। পরে তা পরিধান করে হেঁটে চললেন। আমি এবং যায়দ ইবনে হারিসা তাঁর পিছনে পিছনে চললাম। অবশেষে তিনি হামযা যে ঘরে ছিল, সে ঘরের দরজায় এসে অনুমতি চাইলেন। তারা তাঁকে অনুমতি দিল। তিনি প্রবেশ করেই দেখতে পেলেন সূরাপায়ীর দল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হামযার কৃতকর্মের জন্য তাকে ভৎর্সনা করতে লাগলেন।
দেখা গেল, হামযার চোখ দুটি লাল। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে তাকালো। এরপর সে তার দৃষ্টি ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে তুলে তা নিবদ্ধ করলো তাঁর হাঁটুর দিকে, তারপর আরো উপরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো তাঁর নাভির দিকে, এরপর দৃষ্টি তুললো তাঁর চেহারার দিকে। তারপর হামযা বললো, তোমরা তো আমার পিতার গোলাম বৈ কিছুই নও। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বুঝতে পারলেন সে নেশাগ্রন্ত, তখন তিনি পিছনে হেঁটে বের হয়ে পড়লেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বের হলাম।
মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কুহযায (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
এমন সময় হঠাৎ দেখি সে দুটির কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে,পাঁজর (পেট) ফেঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং উভয়ের কলিজা বের করে নেয়া হয়েছে। আমিএ দৃশ্য দেখে আমার দু’চোখ (এর অশ্রু) সহ্য করতে পারলাম না। আমি বলে উঠলম, এ কাজ কোন ব্যক্তি করলো? লোকেরা বললো, হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। সে এ বাড়িতে আনসারদের একদল সূরাপায়ীর সাথে আছে। এক গায়িকা তাকে ও তার সাথীদেরকে গান শুনাচ্ছিল। সে তার গানে বললোঃأَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ হে হামযা! তুমি মোটাসোটা উট দুটির প্রতি তোমার আকর্ষণ আছে কি? তখন হামযা তলোয়ার নিয়ে ডঠলো, উট দু’টির কুঁজ কেটে ফেললো, পেট (পাজর) ফেঁড়ে ফেললো এবং কলিজা বের করে নিলো।
আলী (রাযিঃ) বলেন, অবশেষে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গেলাম। তাঁর কাছে ছিল যায়দ ইবনে হারিসা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার চেহারার অবস্থা দেখে বুঝতে পারলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ, আজকের মত দিন আমি আর কখনও দেখিনি! হামযা আমার উট দুটির উপর চড়াও হয়ে উভয়ের কুঁজ দুটি কেটে ফেলেছে, পেট ফেঁড়ে ফেলেছে (এবং কলিজা বের করে নিয়েছে) সে ঐ বাড়িতে আছে আর তার সঙ্গে আছে সূরাপায়ীর এক দল।
তিনি বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার চাঁদর নিয়ে আসতে বললেন। পরে তা পরিধান করে হেঁটে চললেন। আমি এবং যায়দ ইবনে হারিসা তাঁর পিছনে পিছনে চললাম। অবশেষে তিনি হামযা যে ঘরে ছিল, সে ঘরের দরজায় এসে অনুমতি চাইলেন। তারা তাঁকে অনুমতি দিল। তিনি প্রবেশ করেই দেখতে পেলেন সূরাপায়ীর দল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হামযার কৃতকর্মের জন্য তাকে ভৎর্সনা করতে লাগলেন।
দেখা গেল, হামযার চোখ দুটি লাল। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দিকে তাকালো। এরপর সে তার দৃষ্টি ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে তুলে তা নিবদ্ধ করলো তাঁর হাঁটুর দিকে, তারপর আরো উপরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো তাঁর নাভির দিকে, এরপর দৃষ্টি তুললো তাঁর চেহারার দিকে। তারপর হামযা বললো, তোমরা তো আমার পিতার গোলাম বৈ কিছুই নও। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন বুঝতে পারলেন সে নেশাগ্রন্ত, তখন তিনি পিছনে হেঁটে বের হয়ে পড়লেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে বের হলাম।
মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে কুহযায (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
وَحَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ أَبُو عُثْمَانَ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ، بْنِ عَلِيٍّ أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِي شَارِفًا مِنَ الْخُمُسِ يَوْمَئِذٍ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْتَنِيَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاعَدْتُ رَجُلاً صَوَّاغًا مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ يَرْتَحِلُ مَعِيَ فَنَأْتِي بِإِذْخِرٍ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ مِنَ الصَّوَّاغِينَ فَأَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَىَّ مَتَاعًا مِنَ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ وَشَارِفَاىَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَجَمَعْتُ حِينَ جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ فَإِذَا شَارِفَاىَ قَدِ اجْتُبَّتْ أَسْنِمَتُهُمَا وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَىَّ حِينَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الْمَنْظَرَ مِنْهُمَا قُلْتُ مَنْ فَعَلَ هَذَا قَالُوا فَعَلَهُ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فِي شَرْبٍ مِنَ الأَنْصَارِ غَنَّتْهُ قَيْنَةٌ وَأَصْحَابَهُ فَقَالَتْ فِي غِنَائِهَا أَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ فَقَامَ حَمْزَةُ بِالسَّيْفِ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا فَأَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا قَالَ عَلِيٌّ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ - قَالَ - فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي وَجْهِيَ الَّذِي لَقِيتُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكَ " قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَىَّ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَهَا هُوَ ذَا فِي بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ - قَالَ - فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرِدَائِهِ فَارْتَدَاهُ ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ حَتَّى جَاءَ الْبَابَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ فَاسْتَأْذَنَ فَأَذِنُوا لَهُ فَإِذَا هُمْ شَرْبٌ فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ فَإِذَا حَمْزَةُ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ إِلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى سُرَّتِهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ فَقَالَ حَمْزَةُ وَهَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ثَمِلٌ فَنَكَصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى وَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ .
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُهْزَاذَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮০-১
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৬৭। আবু রবী সুলাইমান ইবনে দাউদ আতাকী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মদ হারাম হওয়ার দিন আমি আবু তালহার বাড়িতে লোকদের মদ্যপান করাচ্ছিলাম। তারা শুকনো ও কাঁচা খেজুরের (রসে তৈরী) মদ্যপান করতো। হঠাৎ শুনতে পেলাম এক ব্যক্তি ঘোষণা দিচ্ছে। তিনি বললেন, বের হয়ে দেখ (কী ব্যাপার)। আমি বের হয়ে দেখলাম, এক ব্যক্তি ঘোষণা দিচ্ছেঃ শুনে রাখ, মদ হারাম করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরপর মদীনার অলিগলি দিয়ে মদের ঢল প্রবাহিত হতে থাকে।
আবু তালহা আমাকে বললেন, বের হও এবং এগুলো ঢেলে দিয়ে আস। তারপর আমি সেগুলো ঢেলে দেই। তারা সকলে বা তাদের কেউ কেউ বললেন, অমুক নিহত হয়েছে এবংঅমুক নিহত হয়েছে, তাদের পেটে মদ আছে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না একথাও আনাস (রাযিঃ) এর হাদীসের অন্তর্ভুক্ত কিনা। এরপর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃ “যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা যা খেয়েছে, তাতে তাদের কোন পাপ নেই যদি তারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং ঈমান আনে ও সৎকাজ করে” (৫ঃ ৯৩)।
আবু তালহা আমাকে বললেন, বের হও এবং এগুলো ঢেলে দিয়ে আস। তারপর আমি সেগুলো ঢেলে দেই। তারা সকলে বা তাদের কেউ কেউ বললেন, অমুক নিহত হয়েছে এবংঅমুক নিহত হয়েছে, তাদের পেটে মদ আছে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না একথাও আনাস (রাযিঃ) এর হাদীসের অন্তর্ভুক্ত কিনা। এরপর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃ “যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা যা খেয়েছে, তাতে তাদের কোন পাপ নেই যদি তারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং ঈমান আনে ও সৎকাজ করে” (৫ঃ ৯৩)।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
حَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ، سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ سَاقِيَ الْقَوْمِ يَوْمَ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ فِي بَيْتِ أَبِي طَلْحَةَ وَمَا شَرَابُهُمْ إِلاَّ الْفَضِيخُ الْبُسْرُ وَالتَّمْرُ . فَإِذَا مُنَادٍ يُنَادِي فَقَالَ اخْرُجْ فَانْظُرْ فَخَرَجْتُ فَإِذَا مُنَادٍ يُنَادِي أَلاَ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ - قَالَ - فَجَرَتْ فِي سِكَكِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ لِي أَبُو طَلْحَةَ اخْرُجْ فَاهْرِقْهَا . فَهَرَقْتُهَا فَقَالُوا أَوْ قَالَ بَعْضُهُمْ قُتِلَ فُلاَنٌ قُتِلَ فُلاَنٌ وَهِيَ فِي بُطُونِهِمْ - قَالَ فَلاَ أَدْرِي هُوَ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ - فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ)

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮০-২
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৬৮। ইয়াহয়া ইবনে আইয়্যুব (রাহঃ) ......... আব্দুল আযীয ইবনে সুহায়ব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, লোকেরা আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলো “ফাযীখ” (খেজুরের তৈরী মদ) সম্বন্ধে। তিনি বললেন, তোমরা যাকে ‘ফাযীখ’ বলে থাক, তোমাদের এ ফাযীখ ছাড়া আমাদের অন্য কোন মদ-ই ছিল না। আমি আমাদের বাড়িতে আবু তালহা, আবু আইয়্যুব (রাযিঃ) এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আরো কিছু সাহাবীকে মদ্যপান করাচ্ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললো, তোমাদের নিকট কি কোন খবর পৌছেছে? আমরা বললাম, না। সে বললো, মদ তো হারাম করা হয়েছে। তিনি (আবু তালহা) বললেন, হে আনাস! এ মটকাগুলো ঢেলে দাও। তিনি বলেনঃ তারা উক্ত ব্যক্তির খবরের পর কোন অনুসন্ধানও করেননি, এ সম্বন্ধে কোন প্রশ্নও করেননি।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، قَالَ سَأَلُوا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الْفَضِيخِ، فَقَالَ مَا كَانَتْ لَنَا خَمْرٌ غَيْرَ فَضِيخِكُمْ هَذَا الَّذِي تُسَمُّونَهُ الْفَضِيخَ إِنِّي لَقَائِمٌ أَسْقِيهَا أَبَا طَلْحَةَ وَأَبَا أَيُّوبَ وَرِجَالاً مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِنَا إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ هَلْ بَلَغَكُمُ الْخَبَرُ قُلْنَا لاَ قَالَ فَإِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ فَقَالَ يَا أَنَسُ أَرِقْ هَذِهِ الْقِلاَلَ قَالَ فَمَا رَاجَعُوهَا وَلاَ سَأَلُوا عَنْهَا بَعْدَ خَبَرِ الرَّجُلِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৯৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮০-৩
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৬৯। ইয়াহয়া ইবনে আইয়্যুব (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি গোত্রের লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে আমার চাচাদের “ফাযীখ” পান করাচ্ছিলাম। আর আমি তাদের সবার চেয়ে বয়সে ছোট ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বললো। মদ তো হারাম করা হয়েছে। তারা সকলে বললেন, হে আনাস! এ পাত্রগুলো উল্টিয়ে দাও। আমি সেগুলো উল্টে ফেলে দিলাম। তিনি বলেন, আমি আনাসকে বললাম, ফাযীখ কি? তিনি বললেন, কাঁচা-পাকা খেজুর (দ্বারা তৈরী মদ)। তিনি বলেন, আবু বকর ইবনে আনাস বলেছেন, তখন এটাই ছিল তাদের মদ। সুলাইমান বলেনঃ আমার কাছে এক ব্যক্তি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (আনাস) একথাও বলেছেন।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ وَأَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ إِنِّي لَقَائِمٌ عَلَى الْحَىِّ عَلَى عُمُومَتِي أَسْقِيهِمْ مِنْ فَضِيخٍ لَهُمْ وَأَنَا أَصْغَرُهُمْ سِنًّا فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّهَا قَدْ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ فَقَالُوا اكْفَأْهَا يَا أَنَسُ . فَكَفَأْتُهَا . قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ مَا هُوَ قَالَ بُسْرٌ وَرُطَبٌ . قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَنَسٍ كَانَتْ خَمْرَهُمْ يَوْمَئِذٍ . قَالَ سُلَيْمَانُ وَحَدَّثَنِي رَجُلٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ ذَلِكَ أَيْضًا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮০-৪
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৭০। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আলা (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি গোত্রের মাঝে দাঁড়িয়ে তাদের মদ্যপান করাচ্ছিলাম। এরপর বর্ণনাকারী (পূর্ববর্তী রিওয়ায়াতের) ইবনে উলায়্যার অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি বলেন, তারপর আবু বকর ইবনে আনাস বললেন, তখনকার দিনে ওটাই ছিল তাদের মদ। আনাস (রাযিঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি একথা অস্বীকার করেননি। ইবনে আব্দুল আলা মু’তামির এর সূত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেনঃ যারা তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁদের একজন আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, তিনি আনাসকে বলতে শুনেছেন তখনকার দিনে সেটাই ছিল তাদের মদ।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ كُنْتُ قَائِمًا عَلَى الْحَىِّ أَسْقِيهِمْ . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَنَسٍ كَانَ خَمْرَهُمْ يَوْمَئِذٍ . وَأَنَسٌ شَاهِدٌ فَلَمْ يُنْكِرْ أَنَسٌ ذَاكَ . وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الأَعْلَى حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ عَنْ أَبِيهِ قَالَ حَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ كَانَ مَعِي أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ كَانَ خَمْرَهُمْ يَوْمَئِذٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮০-৫
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৭১। ইয়াহয়া ইবনে আইয়্যুব (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবু তালহা, আবু দুজানা ও মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) কে আনসারীদের একদল লোকসহ মদ্যপান করাচ্ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি আমাদের কাছে এসে বলল, একটি (নতুন) ব্যাপার ঘটেছে, মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর আমরা সেদিন পাত্রগুলো উপুড় করে ফেলে দিয়েছিলাম। সে মদ ছিল কাঁচা-পাকা মিশ্রিত খেজুরের তৈরী।
কাতাদা বলেন, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই মদ হারাম করা হয়েছে। তখনকার দিনে তাদের সাধারণ প্রচলিত মদ ছিলো কাঁচা-পাকা সংমিশ্রিত খেজুরের তৈরী।
কাতাদা বলেন, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই মদ হারাম করা হয়েছে। তখনকার দিনে তাদের সাধারণ প্রচলিত মদ ছিলো কাঁচা-পাকা সংমিশ্রিত খেজুরের তৈরী।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ وَأَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ أَسْقِي أَبَا طَلْحَةَ وَأَبَا دُجَانَةَ وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ فِي رَهْطٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَدَخَلَ عَلَيْنَا دَاخِلٌ فَقَالَ حَدَثَ خَبَرٌ نَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ . فَكَفَأْنَاهَا يَوْمَئِذٍ وَإِنَّهَا لَخَلِيطُ الْبُسْرِ وَالتَّمْرِ . قَالَ قَتَادَةُ وَقَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ لَقَدْ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ وَكَانَتْ عَامَّةُ خُمُورِهِمْ يَوْمَئِذٍ خَلِيطَ الْبُسْرِ وَالتَّمْرِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮০-৬
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৭২। আবু গাসসান আল-মিসমাঈ, মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি একটি মদের পাত্র থেকে, যাতে কাচা-পাকা খেজুরের মদ ছিল- আবু তালহা, আবু দুজানা ও সুহাঈল ইবনে বায়দা (রাযিঃ) কে মদ্যপান করাচ্ছিলাম। অতঃপর বর্ণনাকারী সাঈদ (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالُوا أَخْبَرَنَا مُعَاذُ، بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ إِنِّي لأَسْقِي أَبَا طَلْحَةَ وَأَبَا دُجَانَةَ وَسُهَيْلَ ابْنَ بَيْضَاءَ مِنْ مَزَادَةٍ فِيهَا خَلِيطُ بُسْرٍ وَتَمْرٍ . بِنَحْوِ حَدِيثِ سَعِيدٍ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮১
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৭৩। আবু তাহির আহমদ ইবনে আমর ইবনে সারহ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে, তিনি তাঁকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাঁচা-পাকা খেজুর মিশিয়ে মদ তৈরী করা এবং তা পান করা থেকে নিষেধ করেছেন। যেদিন মদ হারাম করা হয়, সেদিন তা-ই ছিল তাদের সাধারণ মদ।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ قَتَادَةَ بْنَ دِعَامَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يُخْلَطَ التَّمْرُ وَالزَّهْوُ ثُمَّ يُشْرَبَ وَإِنَّ ذَلِكَ كَانَ عَامَّةَ خُمُورِهِمْ يَوْمَ حُرِّمَتِ الْخَمْرُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮০-৭
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৭৪। আবু তাহির (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবু উবাইদা ইবনে জাররাহ, আবু তালহা ও উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) কে মদ্যপান করাচ্ছিলাম, যা ছিল কাঁচা ও শুকনো খেজুরের দ্বারা তৈরী। এরপর জনৈক আগন্তুক এসে বললো, মদ তো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবু তালহা (রাযিঃ) বললেন, হে আনাস! তুমি এই কলসটির কাছে গিয়ে সেটি ভেঙে ফেল। আমি আমাদের মিহ্রাসটির (ছিদ্রযুক্ত পাথর) কাছে গেলাম এবং সেটিকে নীচের দিকে ফেলে দিয়ে আঘাত করলাম। ফলে সেটি ভেঙে খণ্ড খণ্ড হয়ে গেল।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ أَسْقِي أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ وَأَبَا طَلْحَةَ وَأُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ شَرَابًا مِنْ فَضِيخٍ وَتَمْرٍ فَأَتَاهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ . فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ يَا أَنَسُ قُمْ إِلَى هَذِهِ الْجَرَّةِ فَاكْسِرْهَا . فَقُمْتُ إِلَى مِهْرَاسٍ لَنَا فَضَرَبْتُهَا بِأَسْفَلِهِ حَتَّى تَكَسَّرَتْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৯৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৮২
১. মদ হারাম এবং আঙ্গুরের রস থেকে খুরমা ও কাঁচা-পাকা খেজুর এবং কিসমিস (ইত্যাদি) ও অন্যান্য নেশাকারক দ্রব্য হতে তা তৈরী হওয়ার বর্ণনা
৪৯৭৫। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... জাফর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, আল্লাহ তাআলা যে আয়াতে মদ হারাম করেছেন, সেটি এমন সময় নাযিল করেছেন, যখন মদীনায় খেজুরের তৈরী মদই পান করা হতো।
باب تَحْرِيمِ الْخَمْرِ وَبَيَانِ أَنَّهَا تَكُونُ مِنْ عَصِيرِ الْعِنَبِ وَمِنَ التَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالزَّبِيبِ وَغَيْرِهَا مِمَّا يُسْكِرُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، - يَعْنِي الْحَنَفِيَّ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ، بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ لَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ الآيَةَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ فِيهَا الْخَمْرَ وَمَا بِالْمَدِينَةِ شَرَابٌ يُشْرَبُ إِلاَّ مِنْ تَمْرٍ .

তাহকীক: