আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-১
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ইবনে কানাব (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে হারামুয (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাজদা (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে পাঁচটি ব্যাপারে প্রশ্ন করে পত্র লিখলেন। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, যদি আমি ইলম গোপনকারীর হওয়ার আশঙ্কা না করতাম তা হলে আমি তার কাছে জবাব লিখতাম না। নাজদ সে পত্রে তাকে লিখেছিলেন, হামদ ও নামাযের পর আমাকে অবহিত করুন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি মহিলাদেরকে নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করতেন? তিনি তাদেরকে কি গনিমতের ভাগ দিতেন কি? শত্রুপক্ষের বালকদেরকে হত্যা করতেন? আর কখন ইয়াতীমের ইয়াতীমদের অবসান ঘটে? আর গনিমতের এক পঞ্চমাংশের হকদার কারা?
জবাবে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) লিখলেন, তুমি আমাকে লিখিত প্রশ্ন করেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি মহিলাদেরকে নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করতেন? হ্যাঁ, তিনি তাদেরকে নিয়ে যুদ্ধ যাত্রা করতেন এবং তাঁরা আহতদের সেবা-শুশ্রূষা করতেন এবং গনিমতের মাল থেকে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হতো, কিন্তু গনিমতের ভাগ তাদের জন্য বরাদ্দ করা হতো না। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনও শিশুদের হত্যা করতেন না। সুতরাং তুমিও শিশুদেরকে হত্যা করবে না। আর তোমার লিপিতে আমাকে এও প্রশ্ন করেছে যে, কখন ইয়াতীমের ইয়াতীমদের অবসান হয়? আমার জীবনের শপথ! অনেক সময় কোন ব্যক্তির দাড়ি গজিয়ে যায়; অথচ সে তার নিজের হক গ্রহণে দূর্বল থাকে এবং অন্য কারো হক দানের বেলায়ও কাল থাকে। সুতরাং যখন সে লোকদের মতো নিজের অধিকার বুঝে নিতে পারে তখনই তার ইয়াতীমদের অবসান ঘটে।
আর তুমি লিখেছ, খুমুস কাদের প্রাপ্য? আমবা বলি, তা আমাদের (আহলে বাইতদের) জন্যই, কিন্তু আমাদের গোত্রের লোকেরা (বনু উমাইয়া) তা অস্বীকার করছে।
জবাবে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) লিখলেন, তুমি আমাকে লিখিত প্রশ্ন করেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি মহিলাদেরকে নিয়ে যুদ্ধযাত্রা করতেন? হ্যাঁ, তিনি তাদেরকে নিয়ে যুদ্ধ যাত্রা করতেন এবং তাঁরা আহতদের সেবা-শুশ্রূষা করতেন এবং গনিমতের মাল থেকে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হতো, কিন্তু গনিমতের ভাগ তাদের জন্য বরাদ্দ করা হতো না। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনও শিশুদের হত্যা করতেন না। সুতরাং তুমিও শিশুদেরকে হত্যা করবে না। আর তোমার লিপিতে আমাকে এও প্রশ্ন করেছে যে, কখন ইয়াতীমের ইয়াতীমদের অবসান হয়? আমার জীবনের শপথ! অনেক সময় কোন ব্যক্তির দাড়ি গজিয়ে যায়; অথচ সে তার নিজের হক গ্রহণে দূর্বল থাকে এবং অন্য কারো হক দানের বেলায়ও কাল থাকে। সুতরাং যখন সে লোকদের মতো নিজের অধিকার বুঝে নিতে পারে তখনই তার ইয়াতীমদের অবসান ঘটে।
আর তুমি লিখেছ, খুমুস কাদের প্রাপ্য? আমবা বলি, তা আমাদের (আহলে বাইতদের) জন্যই, কিন্তু আমাদের গোত্রের লোকেরা (বনু উমাইয়া) তা অস্বীকার করছে।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، أَنَّ نَجْدَةَ، كَتَبَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ خَمْسِ، خِلاَلٍ . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَوْلاَ أَنْ أَكْتُمَ، عِلْمًا مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِ . كَتَبَ إِلَيْهِ نَجْدَةُ أَمَّا بَعْدُ فَأَخْبِرْنِي هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْزُو بِالنِّسَاءِ وَهَلْ كَانَ يَضْرِبُ لَهُنَّ بِسَهْمٍ وَهَلْ كَانَ يَقْتُلُ الصِّبْيَانَ وَمَتَى يَنْقَضِي يُتْمُ الْيَتِيمِ وَعَنِ الْخُمْسِ لِمَنْ هُوَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ كَتَبْتَ تَسْأَلُنِي هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْزُو بِالنِّسَاءِ وَقَدْ كَانَ يَغْزُو بِهِنَّ فَيُدَاوِينَ الْجَرْحَى وَيُحْذَيْنَ مِنَ الْغَنِيمَةِ وَأَمَّا بِسَهْمٍ فَلَمْ يَضْرِبْ لَهُنَّ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ يَقْتُلُ الصِّبْيَانَ فَلاَ تَقْتُلِ الصِّبْيَانَ وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي مَتَى يَنْقَضِي يُتْمُ الْيَتِيمِ فَلَعَمْرِي إِنَّ الرَّجُلَ لَتَنْبُتُ لِحْيَتُهُ وَإِنَّهُ لَضَعِيفُ الأَخْذِ لِنَفْسِهِ ضَعِيفُ الْعَطَاءِ مِنْهَا فَإِذَا أَخَذَ لِنَفْسِهِ مِنْ صَالِحِ مَا يَأْخُذُ النَّاسُ فَقَدْ ذَهَبَ عَنْهُ الْيُتْمُ وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنِ الْخُمْسِ لِمَنْ هُوَ وَإِنَّا كُنَّا نَقُولُ هُوَ لَنَا . فَأَبَى عَلَيْنَا قَوْمُنَا ذَاكَ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-২
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে হারামুয (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাজদা (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে কয়েকটি ব্যাপারে প্রশ্ন করে পত্র লিখেন। পরবর্তী অংশ সুলাইমান ইবনে বিলালের হাদীসের অনুরূপ। তবে হাতীমের এ হাদীসে রয়েছে যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শিশুদেরকে হত্যা করতেন না। সুতরাং তুমিও শিশুদেরকে হত্যা করবে না। তবে যদি তুমি তা জানতে পারো, যে খিযির সেই বালক সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন, যাকে তিনি হত্যা করছিলেন, তবে স্বতন্ত্র কথা।
এ হাদীসের একজন রাবী ইসহাক (রাহঃ) তাঁর বর্ণনায় সূত্র এতটুকু বাড়িয়েছেন- আর যদি তুমি বেছে বের করতে পারো মুমিনকে, তবে তুমি কাফিরকে হত্যা করবে এবং মুমিনকে ছেড়ে দেবে।
এ হাদীসের একজন রাবী ইসহাক (রাহঃ) তাঁর বর্ণনায় সূত্র এতটুকু বাড়িয়েছেন- আর যদি তুমি বেছে বের করতে পারো মুমিনকে, তবে তুমি কাফিরকে হত্যা করবে এবং মুমিনকে ছেড়ে দেবে।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، أَنَّ نَجْدَةَ، كَتَبَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ خِلاَلٍ، . بِمِثْلِ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ حَاتِمٍ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ يَقْتُلُ الصِّبْيَانَ فَلاَ تَقْتُلِ الصِّبْيَانَ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ تَعْلَمُ مَا عَلِمَ الْخَضِرُ مِنَ الصَّبِيِّ الَّذِي قَتَلَ . وَزَادَ إِسْحَاقُ فِي حَدِيثِهِ عَنْ حَاتِمٍ وَتُمَيِّزَ الْمُؤْمِنَ فَتَقْتُلَ الْكَافِرَ وَتَدَعَ الْمُؤْمِنَ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-৩
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৫। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে হুরমুয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নাজদা ইবনে আমির হারুরী (খারেজী) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট পত্র লিখে জানতে চাইলেন, জিহাদে উপস্থিত গোলাম ও মহিলাদের গনিমতের অংশ দেওয়া হবে কি? আর (শক্রপক্ষের) বালকদের হত্যা সম্পর্কে এবং ইয়াতীম সম্পর্কে যে, কখন তার ইয়াতীমতের অবস্থান ঘটবে? এবং যাবিল কুরবা বা (রাসুলের) নিকটাত্নীয় কারা? তখন তিনি ইয়াযীদকে বললেন, তুমি তাকে লিখ, তার নির্বুদ্ধিতায় পতিত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে আমি তাকে পত্র লিখাতাম না। লিখ, তুমি আমাকে লিখেছে এ প্রশ্ন করে যে, যারা জিহাদে যোগ দিয়েছে এমন নারী এবং গোলামকে কি গনীমতের কিছু দেয়া হবে?
তাদের (নির্ধারিত) কিছুই দেয়া হবে না। তবে বখশীশরূপে অনুদান (রূপে) দেওয়া হবে। তুমি আমাকে প্রশ্ন করে লিখেছ বালকদের হত্যা সম্পর্কে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনও তাদেরকে হত্যা করেননি এবং তুমিও তাদেরকে হত্যা করবে না। যদি তুমি তাদের ব্যাপারে তা জানতে পারো যা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সঙ্গী [খিযির (আলাইহিস সালাম)] জানতে পেরেছিলেন, যে ছেলেটিকে তিনি হত্যা করেছিলেন, তার সম্পর্কে তবে (তা স্বতন্ত্র কথা)। তার ইয়াতীম নাম ঘুচবে না যতক্ষণ না সে বালিগ হবে এবং তার মধ্যে বুদ্ধিমত্তা পরিলক্ষিত হবে। আর তুমি আমাকে যাবিল কুরবা, সম্বন্ধে প্রশ্ন করে লিখেছ যে, তারা কারা? আমরা মনে করতাম, আমরাই তারা। কিন্তু আমাদের (ক্ষমতাসীন) লোকেরা তা অস্বীকার করেছে।
তাদের (নির্ধারিত) কিছুই দেয়া হবে না। তবে বখশীশরূপে অনুদান (রূপে) দেওয়া হবে। তুমি আমাকে প্রশ্ন করে লিখেছ বালকদের হত্যা সম্পর্কে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনও তাদেরকে হত্যা করেননি এবং তুমিও তাদেরকে হত্যা করবে না। যদি তুমি তাদের ব্যাপারে তা জানতে পারো যা মুসা (আলাইহিস সালাম) এর সঙ্গী [খিযির (আলাইহিস সালাম)] জানতে পেরেছিলেন, যে ছেলেটিকে তিনি হত্যা করেছিলেন, তার সম্পর্কে তবে (তা স্বতন্ত্র কথা)। তার ইয়াতীম নাম ঘুচবে না যতক্ষণ না সে বালিগ হবে এবং তার মধ্যে বুদ্ধিমত্তা পরিলক্ষিত হবে। আর তুমি আমাকে যাবিল কুরবা, সম্বন্ধে প্রশ্ন করে লিখেছ যে, তারা কারা? আমরা মনে করতাম, আমরাই তারা। কিন্তু আমাদের (ক্ষমতাসীন) লোকেরা তা অস্বীকার করেছে।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ الْحَرُورِيُّ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنِ الْعَبْدِ، وَالْمَرْأَةِ يَحْضُرَانِ الْمَغْنَمَ هَلْ يُقْسَمُ لَهُمَا وَعَنْ قَتْلِ الْوِلْدَانِ وَعَنِ الْيَتِيمِ مَتَى يَنْقَطِعُ عَنْهُ الْيُتْمُ وَعَنْ ذَوِي الْقُرْبَى مَنْ هُمْ فَقَالَ لِيَزِيدَ اكْتُبْ إِلَيْهِ فَلَوْلاَ أَنْ يَقَعَ فِي أُحْمُوقَةٍ مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِ اكْتُبْ إِنَّكَ كَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنِ الْمَرْأَةِ وَالْعَبْدِ يَحْضُرَانِ الْمَغْنَمَ هَلْ يُقْسَمُ لَهُمَا شَىْءٌ وَإِنَّهُ لَيْسَ لَهُمَا شَىْءٌ إِلاَّ أَنْ يُحْذَيَا وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنْ قَتْلِ الْوِلْدَانِ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقْتُلْهُمْ وَأَنْتَ فَلاَ تَقْتُلْهُمْ إِلاَّ أَنْ تَعْلَمَ مِنْهُمْ مَا عَلِمَ صَاحِبُ مُوسَى مِنَ الْغُلاَمِ الَّذِي قَتَلَهُ وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنِ الْيَتِيمِ مَتَى يَنْقَطِعُ عَنْهُ اسْمُ الْيُتْمِ وَإِنَّهُ لاَ يَنْقَطِعُ عَنْهُ اسْمُ الْيُتْمِ حَتَّى يَبْلُغَ وَيُؤْنَسَ مِنْهُ رُشْدٌ وَكَتَبْتَ تَسْأَلُنِي عَنْ ذَوِي الْقُرْبَى مَنْ هُمْ وَإِنَّا زَعَمْنَا أَنَّا هُمْ فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْنَا قَوْمُنَا .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-৪
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৬। আব্দুর রহমান ইবনে বাশশার আব্দী (রাহঃ) ......... ইয়াযীদ ইবনে হারামুয (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাজদা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে পত্র লিখে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। আবু ইসহাক বলেন,... সুফিয়ান (রাহঃ) অনুরূপ হাদীস বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ . قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، بِهَذَا الْحَدِيثِ بِطُولِهِ.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-৫
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৭। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... কায়েস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াযীদ ইবনে হারামুযকে আমি এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম ইয়াযীদ ইবনে হারামুয থেকে বর্ণিত। তিনি বলে, নাজদা ইবনে আমির ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে পত্র লিখেন। রাবী বলেন , ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) যখন তাঁর পত্রখানি পাঠ করেন এবং যখন তিনি তার জবাব লিখেন তখন আমি তার (ইবনে আব্বাস) সামনেই উপস্থিত ছিলাম। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, যদি সে (অপকর্মের) দুর্গন্ধে পতিত হবে বলে আশঙ্কা না করতাম তবে আমি তার কাছে জবাব লিখতাম না। তার চোখ কোন দিন না জুড়াক।
রাবী বলেন, তারপর তিনি তাকে লিখলেন, তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ, আল্লাহ (গনিমতের অংশ সংক্রান্ত আয়াতে) (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর) সে ঘনিষ্ঠজন সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন তাহা কারা? আমরা মনে করি, আমরাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সেই ঘনিষ্ঠজন। তিনি লোকেরা তা অস্বীকার করে। আর তুমি ইয়াতীম সম্পর্কে প্রশ্ন করেছ যে, কখন তার ইয়াতীমত্বের অবসান ঘটে? যখন সে বিবাহযোগ্য হয়, তার মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনা পরিলক্ষিত হয় এবং তার সস্পদ তার কাছে প্রত্যার্পণ করা হয়, তখন তার ইয়াতীমদের অবসান ঘটে।
আর তুমি প্রশ্ন করেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি মুশরিকদের কোন ছেলে সন্তানকে হত্যা করতেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন দিন তাদের ছেলে সন্তানদের কাউকে হত্যা করেননি। সুতরাং, তুমিও তাদের কাউকে হত্যা কররে না। অবশ্য যদি তুমি অবগত হও, যা অবগত হয়েছিলেন খিযির (আলাইহিস সালাম) সে বালকটির সম্পর্কে যখন তিনি তাকে হত্যা করেন। আর তুমি প্রশ্ন করেছ, নারী ও গোলাম সম্পর্কে, যখন তারা যুদ্ধে উপস্থিত থাকে, তাদের জন্য নির্ধারিত অংশ নেই। তরে লোকদের গনিমতের মাল থেকে তারা বখশীশ (অনুদান) পায়।
রাবী বলেন, তারপর তিনি তাকে লিখলেন, তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ, আল্লাহ (গনিমতের অংশ সংক্রান্ত আয়াতে) (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর) সে ঘনিষ্ঠজন সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন তাহা কারা? আমরা মনে করি, আমরাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সেই ঘনিষ্ঠজন। তিনি লোকেরা তা অস্বীকার করে। আর তুমি ইয়াতীম সম্পর্কে প্রশ্ন করেছ যে, কখন তার ইয়াতীমত্বের অবসান ঘটে? যখন সে বিবাহযোগ্য হয়, তার মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনা পরিলক্ষিত হয় এবং তার সস্পদ তার কাছে প্রত্যার্পণ করা হয়, তখন তার ইয়াতীমদের অবসান ঘটে।
আর তুমি প্রশ্ন করেছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি মুশরিকদের কোন ছেলে সন্তানকে হত্যা করতেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন দিন তাদের ছেলে সন্তানদের কাউকে হত্যা করেননি। সুতরাং, তুমিও তাদের কাউকে হত্যা কররে না। অবশ্য যদি তুমি অবগত হও, যা অবগত হয়েছিলেন খিযির (আলাইহিস সালাম) সে বালকটির সম্পর্কে যখন তিনি তাকে হত্যা করেন। আর তুমি প্রশ্ন করেছ, নারী ও গোলাম সম্পর্কে, যখন তারা যুদ্ধে উপস্থিত থাকে, তাদের জন্য নির্ধারিত অংশ নেই। তরে লোকদের গনিমতের মাল থেকে তারা বখশীশ (অনুদান) পায়।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ قَيْسًا، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ فَشَهِدْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ حِينَ قَرَأَ كِتَابَهُ وَحِينَ كَتَبَ جَوَابَهُ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنْ أَرُدَّهُ عَنْ نَتْنٍ يَقَعُ فِيهِ مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِ وَلاَ نُعْمَةَ عَيْنٍ قَالَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ إِنَّكَ سَأَلْتَ عَنْ سَهْمِ ذِي الْقُرْبَى الَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ مَنْ هُمْ وَإِنَّا كُنَّا نَرَى أَنَّ قَرَابَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُمْ نَحْنُ فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْنَا قَوْمُنَا وَسَأَلْتَ عَنِ الْيَتِيمِ مَتَى يَنْقَضِي يُتْمُهُ وَإِنَّهُ إِذَا بَلَغَ النِّكَاحَ وَأُونِسَ مِنْهُ رُشْدٌ وَدُفِعَ إِلَيْهِ مَالُهُ فَقَدِ انْقَضَى يُتْمُهُ وَسَأَلْتَ هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْتُلُ مِنْ صِبْيَانِ الْمُشْرِكِينَ أَحَدًا فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ يَقْتُلُ مِنْهُمْ أَحَدًا وَأَنْتَ فَلاَ تَقْتُلْ مِنْهُمْ أَحَدًا إِلاَّ أَنْ تَكُونَ تَعْلَمُ مِنْهُمْ مَا عَلِمَ الْخَضِرُ مِنَ الْغُلاَمِ حِينَ قَتَلَهُ وَسَأَلْتَ عَنِ الْمَرْأَةِ وَالْعَبْدِ هَلْ كَانَ لَهُمَا سَهْمٌ مَعْلُومٌ إِذَا حَضَرُوا الْبَأْسَ فَإِنَّهُمْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ سَهْمٌ مَعْلُومٌ إِلاَّ أَنْ يُحْذَيَا مِنْ غَنَائِمِ الْقَوْمِ.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-৬
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৮। আবু কুরায়েব (রাহঃ) ......... ইয়াযিদ ইবনে হারামুয (রাহঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, নাজদা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে লিখেছিলেন, রাবী এ হাদীসের কিছু অংশ রেওয়ায়েত করেছেন। তবে তাঁদের হাদীসসমুহের মতো তিনি কাহিনী পুরোপুরি বর্ণনা করেননি।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ الأَعْمَشُ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ . فَذَكَرَ بَعْضَ الْحَدِيثِ وَلَمْ يُتِمَّ الْقِصَّةَ كَإِتْمَامِ مَنْ ذَكَرْنَا حَدِيثَهُمْ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-৭
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৯। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... উম্মে আতিয়্যা আনসারীয়াহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমি তাঁদের শিবিরের পশ্চাতে অবস্থান করতাম। তাদের খাবার তৈরী করতাম, আহতদের চিকিৎসা করতাম এবং রোগীদের সেবা-শুশ্রুষা (দেখা-শুনা) করতাম।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ حَفْصَةَ، بِنْتِ سِيرِينَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ الأَنْصَارِيَّةِ، قَالَتْ غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْعَ غَزَوَاتٍ أَخْلُفُهُمْ فِي رِحَالِهِمْ فَأَصْنَعُ لَهُمُ الطَّعَامَ وَأُدَاوِي الْجَرْحَى وَأَقُومُ عَلَى الْمَرْضَى.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৫৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮১২-৮
৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনিমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৪০। আমর আন নাকিদ (রাহঃ) ......... হিশাম ইবনে হাসসান (রাহঃ) এর সূত্রেও হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: