আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৪৫১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০১
৪২. ইয়াহুদী দুর্ধর্ষ নেতা কা’ব ইবনে আশরাফের নিধন
৪৫১৩। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম হানযালী ও আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে মিসওয়ার যুহরী (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কাব ইবনে আশরাফের (নিধনের) জন্য কে আছ? কেননা, সে আল্লাহ তাআলা ও তার রাসুল (ﷺ) কে কষ্ট দিয়েছে। তখন মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি চান যে, আমি তাকে হত্যা করি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তবে আমাকে (প্রয়োজনমত কথা বানিয়ে) বলার অনুমতি দিন। তিনি বললেন, বলো।

তারপর তিনি তার কাছে এলেন। তিনি (কথা প্রসঙ্গে তাদের পূর্বেকার) পারস্পরিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেন এবং বললেন, “এ ব্যক্তি তো (অর্থাৎ নবী (ﷺ)) সাদ্‌কা উসূল করতে চায় এবং সে আমাদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে।” সে যখন তা শুনতে পেলো, তখন বললো, আরো অপেক্ষা কর। আল্লাহর কসম, তোমরা তার কারণে বিরক্ত হবেই। তখন তিনি বললেন, আমরা সবে মাত্র তাঁর অনুসারী হয়েছি। তাই ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে গড়ায় তা না দেখে এ মুহূর্তেই তাকে ত্যাগ করাটাও সমীচীন মনে করছি না।

এখন আমি চাই তুমি আমাকে কিছু ধার দাও। সে বললো, তুমি আমার কাছে কী বন্ধক রাখবে? তিনি বললেন, তুমি কি চাও সে বললো, তোমাদের নারীদের আমার কাছে বন্ধক রাখ। তিনি বললেন, “তুমি হলে আরবের সবচাইতে সুন্দর পুরুষ। এ অবস্থায় তোমার কাছেআমাদের রমণীদের কি বন্ধক রাখতে পারি? তখন সে বললো, তা হলে তোমাদের সন্তানদের আমার কাছে বন্ধক রাখ। জবাবে তিনি বললেন, “আমাদের কারো সন্তানকে এ বলে গালি দেয়া হবে যে, তাকে মাত্র দুই ওসাক (প্রায় দশ মণ পরিমাণ) খেজুরের বিনিময়ে বন্ধক রাখা হয়েছে। আমরা বরং তোমার কাছে যুদ্ধাস্ত্র বন্ধক রাখবো। সে বললো, ঠিক আছে।”

তখন তার সাথে ওয়াদাবদ্ধ হলেন যে, হারিস, আবু আবস ইবনে জাবর ও আব্বাদ ইবনে বিশর সহ তার কাছে আসবেন। তারপর রাতের বেলা তারা তার কাছে আসলেন এবং তাকে ডাকলেন। সে তাদের কাছে নেমে এল। রাবী সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, রাবী আমর ব্যতীত অন্যরা বলেন, তখন তার স্ত্রী তাকে বললো, আমি এমন একটি আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি তা যেন খুনের স্বর। সে বললো, এ হচ্ছে মুহাম্মাদ আর তার দুধ ভাই আবু নাইলা। সম্ভ্রান্ত লোককে যদি রাতের বেলা অস্ত্রঘাতের মুখে ডাকা হয় তবুও সে ডাকে সে সাড়া দেয়।। মুহাম্মাদ (তার সঙ্গীদের) বললেন, সে যখন আসবে, তখন আমি তার শির লক্ষ্য করে আমার হাত বাড়াবো। যখন আমি তা ভালমতো ধরে নেবো, তখন তোমরা তোমাদের কাজ সেরে নেবে।

তিনি বলেন, তারপর সে গায়ে চাঁদর জড়িয়ে নীচে নেমে এল। তারা বললেন, আমরা তোমার নিকট থেকে অতি সুঘ্রাণ পাচ্ছি। সে বললো, হ্যাঁ আমার স্ত্রী অমুক হচ্ছেন আরবের সর্বাধিক সুঘ্রাণের মহিলা। তখন তিনি বললেন, আমাকে তা থেকে একটু সুবাস নিতে অনুমতি দিবেন? তখন সে বললো, হ্যাঁ। তখন মাথা কাছে টেনে শুকলেন। তারপর আবার শুকলেন। এরপর পুনরায় বললেন, আমাকে কি আবারও একটু ঘ্রাণ নিতে দিবেন একথা বলে তিনি তার মাথা শক্ত করে ধরে সাথীদের বললেন, তোমরা সেরে ফেল। তিনি বলেন, তখন তাঁরা তাকে হত্যা করে ফেললো।
باب قَتْلِ كَعْبِ بْنِ الأَشْرَفِ طَاغُوتِ الْيَهُودِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمِسْوَرِ، الزُّهْرِيُّ كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - وَاللَّفْظُ لِلزُّهْرِيِّ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعْتُ جَابِرًا، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لِكَعْبِ بْنِ الأَشْرَفِ فَإِنَّهُ قَدْ آذَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ " . فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَهُ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ ائْذَنْ لِي فَلأَقُلْ قَالَ " قُلْ " . فَأَتَاهُ فَقَالَ لَهُ وَذَكَرَ مَا بَيْنَهُمَا وَقَالَ إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَدْ أَرَادَ صَدَقَةً وَقَدْ عَنَّانَا . فَلَمَّا سَمِعَهُ قَالَ وَأَيْضًا وَاللَّهِ لَتَمَلُّنَّهُ . قَالَ إِنَّا قَدِ اتَّبَعْنَاهُ الآنَ وَنَكْرَهُ أَنْ نَدَعَهُ حَتَّى نَنْظُرَ إِلَى أَىِّ شَىْءٍ يَصِيرُ أَمْرُهُ - قَالَ - وَقَدْ أَرَدْتُ أَنْ تُسْلِفَنِي سَلَفًا قَالَ فَمَا تَرْهَنُنِي قَالَ مَا تُرِيدُ . قَالَ تَرْهَنُنِي نِسَاءَكُمْ قَالَ أَنْتَ أَجْمَلُ الْعَرَبِ أَنَرْهَنُكَ نِسَاءَنَا قَالَ لَهُ تَرْهَنُونِي أَوْلاَدَكُمْ . قَالَ يُسَبُّ ابْنُ أَحَدِنَا فَيُقَالُ رُهِنَ فِي وَسْقَيْنِ مِنْ تَمْرٍ . وَلَكِنْ نَرْهَنُكَ اللأْمَةَ - يَعْنِي السِّلاَحَ - قَالَ فَنَعَمْ . وَوَاعَدَهُ أَنْ يَأْتِيَهُ بِالْحَارِثِ وَأَبِي عَبْسِ بْنِ جَبْرٍ وَعَبَّادِ بْنِ بِشْرٍ قَالَ فَجَاءُوا فَدَعَوْهُ لَيْلاً فَنَزَلَ إِلَيْهِمْ قَالَ سُفْيَانُ قَالَ غَيْرُ عَمْرٍو قَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ إِنِّي لأَسْمَعُ صَوْتًا كَأَنَّهُ صَوْتُ دَمٍ قَالَ إِنَّمَا هَذَا مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ وَرَضِيعُهُ وَأَبُو نَائِلَةَ إِنَّ الْكَرِيمَ لَوْ دُعِيَ إِلَى طَعْنَةٍ لَيْلاً لأَجَابَ . قَالَ مُحَمَّدٌ إِنِّي إِذَا جَاءَ فَسَوْفَ أَمُدُّ يَدِي إِلَى رَأْسِهِ فَإِذَا اسْتَمْكَنْتُ مِنْهُ فَدُونَكُمْ قَالَ فَلَمَّا نَزَلَ نَزَلَ وَهُوَ مُتَوَشِّحٌ فَقَالُوا نَجِدُ مِنْكَ رِيحَ الطِّيبِ قَالَ نَعَمْ تَحْتِي فُلاَنَةُ هِيَ أَعْطَرُ نِسَاءِ الْعَرَبِ . قَالَ فَتَأْذَنُ لِي أَنْ أَشُمَّ مِنْهُ قَالَ نَعَمْ فَشُمَّ . فَتَنَاوَلَ فَشَمَّ ثُمَّ قَالَ أَتَأْذَنُ لِي أَنْ أَعُودَ قَالَ فَاسْتَمْكَنَ مِنْ رَأْسِهِ ثُمَّ قَالَ دُونَكُمْ . قَالَ فَقَتَلُوهُ .