আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৪৪৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬৮-১
২২. যারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তাদের হত্যা করা বৈধ হওয়া এবং দুর্গের অধিবাসীদের কোন ন্যায়পরায়ণ বিচারিক যোগ্যতা সম্পন্ন বিচারকের ফায়সালার উপরে আত্মসমর্পণ বৈধ
৪৪৪৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, বনু কুরায়যার অবরুদ্ধ লোকেরা সা’দ ইবনে মুআয (রাযিঃ) এর ফয়সালা মেনে নিতে সম্মত হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সা’দ (রাযিঃ) এর নিকট লোক পাঠালেন। তিনি একটি গাধার উপর আরোহণ করে আগমন করলেন। যখন তিনি মসজিদের নিকটবর্তী হলেন তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আনসারীদেরকে বললেনঃ তোমরা তোমাদের নেতাকে অথবা বললেন, উত্তম ব্যক্তিকে সম্বর্ধনা প্রদান করে নিয়ে এসো। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এরা (সব অবরুদ্ধ দুর্গবাসীরা) তোমার ফয়সালায় আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছে। তখন তিনি বললেন, তাদের মধ্যকার যুদ্ধের উপযুক্ত (যুবক) লোকদেরকে হত্যা করা হোক এবং তাদের নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করা হোক। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী বিচার করেছেো।

বর্ণনাকারী ইবনে মুসান্না (রাহঃ) কোন কোন সময় বলেছেনঃ তুমি বাদশাহর (আল্লাহর) হুকুম অনুযায়ী বিচার করেছ। তিনি وَرُبَّمَا قَالَ কথাটি উল্লেখ করেননি।
باب جَوَازِ قِتَالِ مَنْ نَقَضَ الْعَهْدَ وَجَوَازِ إِنْزَالِ أَهْلِ الْحِصْنِ عَلَى حُكْمِ حَاكِمٍ عَدْلٍ أَهْلٍ لِلْحُكْمِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، - عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ بْنَ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ، الْخُدْرِيَّ قَالَ نَزَلَ أَهْلُ قُرَيْظَةَ عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى سَعْدٍ فَأَتَاهُ عَلَى حِمَارٍ فَلَمَّا دَنَا قَرِيبًا مِنَ الْمَسْجِدِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلأَنْصَارِ " قُومُوا إِلَى سَيِّدِكُمْ - أَوْ خَيْرِكُمْ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ هَؤُلاَءِ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِكَ " . قَالَ تَقْتُلُ مُقَاتِلَتَهُمْ وَتَسْبِي ذُرِّيَّتَهُمْ . قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " قَضَيْتَ بِحُكْمِ اللَّهِ - وَرُبَّمَا قَالَ - قَضَيْتَ بِحُكْمِ الْمَلِكِ " . وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ الْمُثَنَّى وَرُبَّمَا قَالَ " قَضَيْتَ بِحُكْمِ الْمَلِكِ " .
হাদীস নং: ৪৪৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬৮-২
২২. যারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তাদের হত্যা করা বৈধ হওয়া এবং দুর্গের অধিবাসীদের কোন ন্যায়পরায়ণ বিচারিক যোগ্যতা সম্পন্ন বিচারকের ফায়সালার উপরে আত্মসমর্পণ বৈধ
৪৪৪৫। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... শুবা (রাহঃ) এর থেকে এ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি এ কথাটুকু তাঁর হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে, “রাসুল (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী বিচার করেছে”। আর একবার বলেছেন, ″তুমি বাদশাহর (আল্লাহর) হুকুম অনুযায়ী বিচার করেছ।″
باب جَوَازِ قِتَالِ مَنْ نَقَضَ الْعَهْدَ وَجَوَازِ إِنْزَالِ أَهْلِ الْحِصْنِ عَلَى حُكْمِ حَاكِمٍ عَدْلٍ أَهْلٍ لِلْحُكْمِ
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي حَدِيثِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ حَكَمْتَ فِيهِمْ بِحُكْمِ اللَّهِ " . وَقَالَ مَرَّةً " لَقَدْ حَكَمْتَ بِحُكْمِ الْمَلِكِ " .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৪৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬৯-১
২২. যারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তাদের হত্যা করা বৈধ হওয়া এবং দুর্গের অধিবাসীদের কোন ন্যায়পরায়ণ বিচারিক যোগ্যতা সম্পন্ন বিচারকের ফায়সালার উপরে আত্মসমর্পণ বৈধ
৪৪৪৬। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও মুহাম্মাদ ইবনে আলা হামদানী (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন সা’দ (রাযিঃ) আঘাতপ্রাপ্ত হন। কুরাইশের ইবনুল আরিকা নামক এক ব্যক্তি তাঁর (হাতের প্রধান) শিরায় তীর নিক্ষেপ করেছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সা’দ (রাযিঃ) এর জন্যে মসজিদে একটি তাবু স্থাপন করে দিলেন, যেন নিকট থেকে তাকে দেখাশোনা করা যায়। যখন তিনি (রাসুল (ﷺ)) খন্দকের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন তখন অস্ত্র রেখে সবেমাত্র গোসলের কাজ সমাপ্ত করলেন। এমন সময় জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তার মাথা থেকে ধূলিবালি ঝড়তে ঝাড়তে আগমন করলেন।

এরপর বললেন, আপনি অস্ত্র রেখে দিয়েছেন? আল্লাহর শপথ! আমরা তো অস্ত্র রাখিনি। তাদের দিকে গমন করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, কোন দিকে? তখন তিনি বনু কুরাইযার দিকে ইঙ্গিত করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের সাথে যুদ্ধ করলেন। তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ফয়সালা মেনে নেয়ার শর্তে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের বিচারের ভার (তাদের নেতা) সা’দ (রাযিঃ) এর প্রতি অর্পণ করলেন। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, আমি ফয়সালা দিচ্ছি যে, তাদের মধ্যে যুদ্ধের উপযুক্ত (যুবক) লোকদেরকে হত্যা করা হবে, নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের সম্পদ সমূহ বণ্টন করা হবে।
باب جَوَازِ قِتَالِ مَنْ نَقَضَ الْعَهْدَ وَجَوَازِ إِنْزَالِ أَهْلِ الْحِصْنِ عَلَى حُكْمِ حَاكِمٍ عَدْلٍ أَهْلٍ لِلْحُكْمِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ نُمَيْرٍ، قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أُصِيبَ سَعْدٌ يَوْمَ الْخَنْدَقِ رَمَاهُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ يُقَالُ لَهُ ابْنُ الْعَرِقَةِ . رَمَاهُ فِي الأَكْحَلِ فَضَرَبَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْمَةً فِي الْمَسْجِدِ يَعُودُهُ مِنْ قَرِيبٍ فَلَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْخَنْدَقِ وَضَعَ السِّلاَحَ فَاغْتَسَلَ فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ وَهُوَ يَنْفُضُ رَأْسَهُ مِنَ الْغُبَارِ فَقَالَ وَضَعْتَ السِّلاَحَ وَاللَّهِ مَا وَضَعْنَاهُ اخْرُجْ إِلَيْهِمْ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَأَيْنَ " . فَأَشَارَ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ فَقَاتَلَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلُوا عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحُكْمَ فِيهِمْ إِلَى سَعْدٍ قَالَ فَإِنِّي أَحْكُمُ فِيهِمْ أَنْ تُقْتَلَ الْمُقَاتِلَةُ وَأَنْ تُسْبَى الذُّرِّيَّةُ وَالنِّسَاءُ وَتُقْسَمَ أَمْوَالُهُمْ .
হাদীস নং: ৪৪৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬৯-২
২২. যারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তাদের হত্যা করা বৈধ হওয়া এবং দুর্গের অধিবাসীদের কোন ন্যায়পরায়ণ বিচারিক যোগ্যতা সম্পন্ন বিচারকের ফায়সালার উপরে আত্মসমর্পণ বৈধ
৪৪৪৭। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... হিশাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বলেছেন, আমাকে অবহিত করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই তুমি তাদের ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালা অনুযায়ী বিচার করেছ।
باب جَوَازِ قِتَالِ مَنْ نَقَضَ الْعَهْدَ وَجَوَازِ إِنْزَالِ أَهْلِ الْحِصْنِ عَلَى حُكْمِ حَاكِمٍ عَدْلٍ أَهْلٍ لِلْحُكْمِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ قَالَ أَبِي فَأُخْبِرْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَقَدْ حَكَمْتَ فِيهِمْ بِحُكْمِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৪৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬৯-৩
২২. যারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তাদের হত্যা করা বৈধ হওয়া এবং দুর্গের অধিবাসীদের কোন ন্যায়পরায়ণ বিচারিক যোগ্যতা সম্পন্ন বিচারকের ফায়সালার উপরে আত্মসমর্পণ বৈধ
৪৪৪৮। আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সা’দ (রাযিঃ) বলেছেন, তঁরে আঘাত শুকিয়ে যাচ্ছিল (এবং তিনি ক্রমান্বয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন)। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি জানেন, আমার নিকট আপনার রাসুলকে যে সম্প্রদায় অস্বীকার করেছে, তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আপনার পথে যুদ্ধ করার চাইতে অধিক পছন্দনীয় বিষয় আর নেই। হে আল্লাহ! যদি কুরাইশদের সাথে যুদ্ধ করা এখনও বাকী থাকে তবে আপনি আমাকে জীবিত রাখুন, যেন আমি আপনার পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি। হে আল্লাহ! আমি মনে করি যে, আমাদের এবং তাদের মধ্যে আপনি যুদ্ধ রহিত করেছেন। যদি তাই হয়, তবে আপনি আমার এই ক্ষতস্থান প্রবাহিত করে দিন এবং এতেই আমাকে মৃত্যু (শাহাদত) নসীব করুন। তখন তার ক্ষতস্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে লাগল। মসজিদে বনু গিফারের একটি তাবু ছিল। তাদের দিকে রক্ত প্রবাহের কারণে তারা ঘাবড়িয়ে গেল। তখন তারা বলল, হে তাবুবাসী! তোমাদের দিক থেকে এ কি আসছে? দেখা গেল যে, সা’দ (রাযিঃ) এর ক্ষতস্থান থেকে তখন প্রবল ধারায় রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল এবং এতেই তিনি ইন্‌তিকাল করেন।
باب جَوَازِ قِتَالِ مَنْ نَقَضَ الْعَهْدَ وَجَوَازِ إِنْزَالِ أَهْلِ الْحِصْنِ عَلَى حُكْمِ حَاكِمٍ عَدْلٍ أَهْلٍ لِلْحُكْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ سَعْدًا، قَالَ وَتَحَجَّرَ كَلْمُهُ لِلْبُرْءِ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنْ لَيْسَ أَحَدٌ أَحَبَّ إِلَىَّ أَنْ أُجَاهِدَ فِيكَ مِنْ قَوْمٍ كَذَّبُوا رَسُولَكَ صلى الله عليه وسلم وَأَخْرَجُوهُ اللَّهُمَّ فَإِنْ كَانَ بَقِيَ مِنْ حَرْبِ قُرَيْشٍ شَىْءٌ فَأَبْقِنِي أُجَاهِدْهُمْ فِيكَ اللَّهُمَّ فَإِنِّي أَظُنُّ أَنَّكَ قَدْ وَضَعْتَ الْحَرْبَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَإِنْ كُنْتَ وَضَعْتَ الْحَرْبَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَافْجُرْهَا وَاجْعَلْ مَوْتِي فِيهَا . فَانْفَجَرَتْ مِنْ لَبَّتِهِ فَلَمْ يَرُعْهُمْ - وَفِي الْمَسْجِدِ مَعَهُ خَيْمَةٌ مِنْ بَنِي غِفَارٍ - إِلاَّ وَالدَّمُ يَسِيلُ إِلَيْهِمْ فَقَالُوا يَا أَهْلَ الْخَيْمَةِ مَا هَذَا الَّذِي يَأْتِينَا مِنْ قِبَلِكُمْ فَإِذَا سَعْدٌ جُرْحُهُ يَغِذُّ دَمًا فَمَاتَ مِنْهَا .
হাদীস নং: ৪৪৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬৯-৪
২২. যারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে তাদের হত্যা করা বৈধ হওয়া এবং দুর্গের অধিবাসীদের কোন ন্যায়পরায়ণ বিচারিক যোগ্যতা সম্পন্ন বিচারকের ফায়সালার উপরে আত্মসমর্পণ বৈধ
৪৪৪৯। আলী ইবনে হাসান ইবনে সুলাইমান কুফী ......... হিশাম (রাহঃ) থেকে একই সূত্রে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি এইটুকু ব্যতিক্রম বলেছেন যে, “সেই রাত থেকেই রক্ত প্রবাহিত হতে লাগলো। এভাবে অনবরত রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল। অবশেষে তিনি মারা যান। তিনি তার হাদীসে অরো কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। এ সম্পকে (সা’দ (রাযিঃ) কে ভৎর্সনা করে) একজন কবি বলেনঃ

হে সা’দ ইবনু মুআয! বনু কুরায়যা

এবং বনু নাযীর এর খবর কি? তোমার জীবনের শপথ! সা’দ

ইবনে মুআযকে যে প্রভাতে বহন করে আনা হয়েছিল, তিনি

অবশ্যই অতি সহনশীল (হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন)। (হে আউস সম্প্রদায়)

তোমরা তোমাদের ডেগগুলো (অর্থাৎ তোমাদের মিত্রদের) খালি রেখে দিয়েছ,

তাতে আজ কোন কিছু নেই। (অর্থাৎ তোমাদের মিত্ররা তোমাদের দ্বারা

কোন সহায়তা লাভ করেনি) হয়েছে। অথচ তোমাদের বিপক্ষের (খাযরাজ সম্প্রদায়ের)

ডেগগুলো গরম, তা টগবগ করছে (অর্থাৎ তারা তাদের মিত্ররদের উপকার করেছে)

সম্ভ্রান্ত আবু হুবাব (আব্দুল্লাহ ইবন উবাই) বলেছিলেন, তোমরা হে

বনু কায়নূকা গোত্র! অবস্থান করে চলে যেও না।

আর তারা তাদের শহরে ভারী পাথর।

যে রূপে ময়তানে (পাহাড়ে) পাথরগুলো ভারী হয়েছে।
باب جَوَازِ قِتَالِ مَنْ نَقَضَ الْعَهْدَ وَجَوَازِ إِنْزَالِ أَهْلِ الْحِصْنِ عَلَى حُكْمِ حَاكِمٍ عَدْلٍ أَهْلٍ لِلْحُكْمِ
وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَانْفَجَرَ مِنْ لَيْلَتِهِ فَمَازَالَ يَسِيلُ حَتَّى مَاتَ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ قَالَ فَذَاكَ حِينَ يَقُولُ الشَّاعِرُ أَلاَ يَا سَعْدُ سَعْدَ بَنِي مُعَاذٍ فَمَا فَعَلَتْ قُرَيْظَةُ وَالنَّضِيرُ لَعَمْرُكَ إِنَّ سَعْدَ بَنِي مُعَاذٍ غَدَاةَ تَحَمَّلُوا لَهُوَ الصَّبُورُ تَرَكْتُمْ قِدْرَكُمْ لاَ شَىْءَ فِيهَا وَقِدْرُ الْقَوْمِ حَامِيَةٌ تَفُورُ وَقَدْ قَالَ الْكَرِيمُ أَبُو حُبَابٍ أَقِيمُوا قَيْنُقَاعُ وَلاَ تَسِيرُوا وَقَدْ كَانُوا بِبَلْدَتِهِمْ ثِقَالاً كَمَا ثَقُلَتْ بِمَيْطَانَ الصُّخُورُ
tahqiq

তাহকীক: