আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৪৪২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৬
১৫. ’ফায়’ এর হুকুম
৪৪২২। আহমাদ ইবনে হাম্বল ও মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... হাম্মাম ইবনে মুনাব্বিহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) যে সব হাদীস আমার কাছে বর্ণনা করেছেন তন্মধ্যে একটি হল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা যে কোন জনপদে উপনিত হয়ে অবস্থান করবে, সেখান (প্রাপ্ত ফাই এর) এক অংশ পাবে। আর যে কোন জনপদের অধিবাসীরা আল্লাহ ও তার রাসুলের অবাধ্যতা করবে, (অর্থাৎ যুদ্ধ করবে) তবে তার (সম্পদের) এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। আর (অবশিষ্ট সম্পদ) তোমাদের জন্য।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيُّمَا قَرْيَةٍ أَتَيْتُمُوهَا وَأَقَمْتُمْ فِيهَا فَسَهْمُكُمْ فِيهَا وَأَيُّمَا قَرْيَةٍ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ خُمُسَهَا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ ثُمَّ هِيَ لَكُمْ " .
হাদীস নং: ৪৪২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৭-১
১৫. ’ফায়’ এর হুকুম
৪৪২৩। কুতায়বা ইবনে সাঈদ, মুহাম্মাদ ইবনে আব্বাদ, আবু বকর ইবনে আবু শায়রা ও ইসহাক (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী নযীর গোত্রের সস্পদ সে মালের অন্তর্গত যা আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বিনা যুদ্ধে প্রদান করেন। মুসলমানরা ঘোড়া এঘং উট দাবড়িয়ে (যুদ্ধ করে) দখল করে নি। অতএব, এই সম্পদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল। সুতরাং তিনি তা থেকে স্বীয় পরিবারের এক বছরের ভরণ-পোষণের খরচ দিতেন এবং অবশিষ্ট সম্পদ যুদ্ধের ঘোড়া এবং প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় খাতে আল্লাহর পথে ব্যয় করেন।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي شَيْبَةَ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِمَّا لَمْ يُوجِفْ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ بِخَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ فَكَانَتْ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً فَكَانَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَةٍ وَمَا بَقِيَ يَجْعَلُهُ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلاَحِ عُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ .
হাদীস নং: ৪৪২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৭-২
১৫. ’ফায়’ এর হুকুম
৪৪২৪। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে এ সনদে (উল্লিখিত হাদীস) বর্ণনা করেছেন।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৪২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৭-৩
১৫. ’ফায়’ এর হুকুম
৪৪২৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসম যুবায়ী (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। মালিক ইবনে আউস (রাযিঃ) তাঁকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। বেলা উঠে গেলে আমি তাঁর নিকট এলাম। তখন আমি তাকে তার বাসস্থানে খাটের উপর বসা অবস্থায় পেলাম। তাতে চাটাই ছাড়া আর কোন বিছানা ছিল না। তিনি চামড়ার একটি বালিশের উপর হেলান দিয়ে ছিলেন। তখন তিনি আমাকে বললেন, হে মালু! (অর্থাৎ হে মালিক)। হঠাৎ তোমার সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবারের লোকজন আমার কাছে এলো, আমি তাদেরকে কিছু দেওয়ার মনস্থ করেছি। তুমি তা গ্রহণ কর এবং তাদের মধ্যে বণ্টন করে দাও।

আমি বললাম, আপনি যদি এর নির্দেশ আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে দিতেন, (তা হলে ভালো হতো)। তখন তিনি বললেন, হে মালু (অর্থাৎ হে মালিক), তুমি তা গ্রহণ কর। এমন সময় ইয়ারফা (রাহঃ) তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন! আপনার সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন উসমান, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ, যুবাইর এবং সা’দ। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ তাদেরকে আসতে দাও। তখন সকলেই প্রবেশ করলেন। এরপর পূনরায় ইয়ারফা আগমন করলো এবং বলল, আব্বাস এবং আলী (রাযিঃ) আপনার সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন। তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ তাদেরকেও আসতে দাও।

এরপর আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার মধ্যে এবং এই মিথ্যাবাদী, পাপী, প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতকের মধ্যে মীমাংসা করে দিন। তখন লোকেরা বললো, হ্যাঁ- হে আমীরুল মু’মিনীন! তাদের মধ্যে বিযয়টি নিষ্পত্তি করে দিন এবং তাদের নিস্কৃতি দিন। (মালিক ইবনে আউস (রাযিঃ) বললেন, আমার ধারণা হল যে, তারা দু’জন অর্থাৎ আলী এবং আব্বাস (রাযিঃ) তাদেরকে পূর্বাহ্নে পাঠিয়ে ছিলেন এ ব্যাপারটির জন্যেই, যেন তাঁরা উমর (রাযিঃ) কে ব্যপারটি বুঝিয়ে নিষ্পত্তি করে দেন।)

উমর (রাযিঃ) বললেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করুন। আমি আপনাদের সে মহান আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যার আদেশে আকাশ এবং পৃথিবী যথাস্থানে অবস্থিত। আপনাদের কি জানা নেই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ [আমরা (নবীগণ) কাউকে ওয়ারিস বানিয়ে যায় না], আমরা যা রেখে যাই তা হবে সাদ্‌কা। তখন তারা বললেন, হ্যাঁ, আমরা তা জানি।

এবার তিনি আলী এবং আব্বাস (রাযিঃ) এর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে সে মহান আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যার নির্দেশে আকাশ এবং পৃথিবী যথাস্থানে অবস্থিত। আপনারা কি অবগত নন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ [আমরা (নবী (সম্প্রদায়) কাউকে উত্তরাধিকার করে যাই না।] আমরা যা রেখে যাই, তা হবে সাদ্‌কা। তখন তারা উভয়েই বললেন, হ্যা। আমরা তা জানি।

তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ তা-আলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছেন, যা তিনি ব্যতীত অন্য কাউকে প্রদান করেননি। তিনি বলেন, ″আল্লাহ তাআলা জনপদবাসীর নিকট থেকে তার রাসূলকে যা প্রদান করেছেন- তা আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্য নির্দিষ্ট।″ আমার জানা নেই যে, এ পঠিত আয়াতের পূর্বেও কোন আয়াত পাঠ করেছিলেন কিনা?

অতঃপর উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তো তোমাদেরকে বনু নাযীর গোত্র থেকে প্রাপ্ত সস্পদ বল্টন করে দিয়েছেন। আল্লাহর শপথ! তিনি সম্পদকে নিজের জন্য সংরক্ষিত করে যাননি। আর তিনি এমনও করেননি যে, নিজে সম্পদ নিয়েছেন এবং তোমাদেরকে তা দেননি। পরিশেষে যে সম্পদ রইল তা থেকে আপন পরিবারের এক বছরের ভরণ পোষণের খরচ রেখে অবশিষ্ট সম্পদ বায়তুল মালে জমা দেন।

এরপর উমর (রাযিঃ) বললেন, আপনাদেরকে সে মহান আল্লাহর কসম করে বলছি, যার নির্দেশে আকাশ ও পৃথিবী যথাস্থানে অবস্থিত। আপনারা কি সে সব কথা অবগত আছেন। তখন তারা বলেন, হ্যাঁ, আমরা তা জানি। এরপর তিনি আব্বাস এবং আলী (রাযিঃ) উভয়কে অনুরূপ শপথ প্রদান করলেন, যেরূপ তিনি ইতিপূর্বে আগত সম্প্রদায়ের লোকদেরকে প্রদান করেছিলেন। তিনি বললেন, আপনারা উভয়ই কি এসব কথা জানেন? তখন তাঁরা বললেন, হ্যাঁ।

অতঃপর উমর-(রাযিঃ) বললেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্‌তিকাল হল তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন যে, আমিই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওয়ালী। আর আপনারা উভয়েই এসেছিলেন, আপনি আপনার ভাতিজা থেকে মীরাস দাবী করতে। আর ইনি এসেছেন, তার স্ত্রী (ফাতেমার) পিতা থেকে মীরাস গ্রহণ করতে। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ (আমাদের নবীগণের) সম্পত্তিতে কোন মিরাস-বন্টন নেই। আমরা যা পরিত্যাগ করে যাই তা হবে সাদ্‌কা। আপনারা উভয়েই তো তাকে মিথ্যাবাদী, অপরাধী, বিশ্বাসঘাতক এবং খিয়ানতকারী মনে করছেন। প্রকৃতপক্ষে নিশ্চয়ই তিনি [আবু বকর সিদীক (রাযিঃ)] সত্যবাদী, পূণ্যবান, সত্যপথ প্রদর্শক এবং সত্যের অনুসারী ছিলেন।

এরপর আবু বকর (রাযিঃ) ইন্‌তিকাল করলেন। তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকর (রাযিঃ) এর ওয়ালী হলাম। সুতরাং আপনারা উভয়েই আমাকেও তার মত মিথ্যাবাদী, পাপী, বিশ্বাসঘাতক এবং খেয়ানতকারী মনে করছেন। আল্লাহ অবগত আছেন যে, নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী, পূণ্যবান, সত্যপথের অনুসারী এবং সত্যের অনুসারী। আমি সে সম্পদেরও ওলী বা অভিভাবক। অতঃপর আপনি এবং ইনি এসেছেন। আপনারা উভয়েই এক ছিলেন এবং আপনাদের দাবীও এক ছিল। সুতরাং আপনারা বলছেন যে, এসব আমাদের কাছে দিয়ে দিন।

আমি বলি-যদি আপনারা চান, তবে আমি তা আপনাদেরকে দিয়ে দেব এই শর্তে যে, আপনারা এই সম্পদ দ্বারা সে কাজ করবেন, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করতেন। অতএব, আপনারা এ শর্তে আমার নিকট থেকে তা ’গ্রহণ করলেন। এরপর উমর (রাযিঃ) বললেন, আমার কথা কি যথার্থ? তখন উভয়েই বললেন, হ্যাঁ। উমর (রাযিঃ) বললেন, তারপরও আপনারা দু’জন আমার কাছে এসেছেন, আপনাদের মাঝে (সম্পদের) মীমাংসা করে দেয়ার জন্য। আল্লাহর কসম। আমি আপনাদের উভয়ের মাঝে এ ব্যতীত আর কোন মীমাংসা করতে পারবো না কিয়ামত পর্যন্ত। আর যদি আপনারা এতে অপারগ হন, তবে তা আপনারা আমার কাছে ফেরত দিন।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ مَالِكَ بْنَ أَوْسٍ، حَدَّثَهُ قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَجِئْتُهُ حِينَ تَعَالَى النَّهَارُ - قَالَ - فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِهِ جَالِسًا عَلَى سَرِيرٍ مُفْضِيًا إِلَى رِمَالِهِ مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ مِنْ أَدَمٍ . فَقَالَ لِي يَا مَالُ إِنَّهُ قَدْ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ وَقَدْ أَمَرْتُ فِيهِمْ بِرَضْخٍ فَخُذْهُ فَاقْسِمْهُ بَيْنَهُمْ - قَالَ - قُلْتُ لَوْ أَمَرْتَ بِهَذَا غَيْرِي قَالَ خُذْهُ يَا مَالُ . قَالَ فَجَاءَ يَرْفَا فَقَالَ هَلْ لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ فَقَالَ عُمَرُ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا ثُمَّ جَاءَ . فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عَبَّاسٍ وَعَلِيٍّ قَالَ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمَا فَقَالَ عَبَّاسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا الْكَاذِبِ الآثِمِ الْغَادِرِ الْخَائِنِ . فَقَالَ الْقَوْمُ أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَاقْضِ بَيْنَهُمْ وَأَرِحْهُمْ . فَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ يُخَيَّلُ إِلَىَّ أَنَّهُمْ قَدْ كَانُوا قَدَّمُوهُمْ لِذَلِكَ - فَقَالَ عُمَرُ اتَّئِدَا أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ أَتَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَاهُ صَدَقَةٌ " . قَالاَ نَعَمْ . فَقَالَ عُمَرُ إِنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَزَّ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم بِخَاصَّةٍ لَمْ يُخَصِّصْ بِهَا أَحَدًا غَيْرَهُ قَالَ ( مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ) مَا أَدْرِي هَلْ قَرَأَ الآيَةَ الَّتِي قَبْلَهَا أَمْ لاَ . قَالَ فَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَكُمْ أَمْوَالَ بَنِي النَّضِيرِ فَوَاللَّهِ مَا اسْتَأْثَرَ عَلَيْكُمْ وَلاَ أَخَذَهَا دُونَكُمْ حَتَّى بَقِيَ هَذَا الْمَالُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُ مِنْهُ نَفَقَةَ سَنَةٍ ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ أُسْوَةَ الْمَالِ . ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ أَتَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ نَشَدَ عَبَّاسًا وَعَلِيًّا بِمِثْلِ مَا نَشَدَ بِهِ الْقَوْمَ أَتَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ . قَالَ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُمَا تَطْلُبُ مِيرَاثَكَ مِنَ ابْنِ أَخِيكَ وَيَطْلُبُ هَذَا مِيرَاثَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . فَرَأَيْتُمَاهُ كَاذِبًا آثِمًا غَادِرًا خَائِنًا وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ ثُمَّ تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ وَأَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوَلِيُّ أَبِي بَكْرٍ فَرَأَيْتُمَانِي كَاذِبًا آثِمًا غَادِرًا خَائِنًا وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنِّي لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ فَوَلِيتُهَا ثُمَّ جِئْتَنِي أَنْتَ وَهَذَا وَأَنْتُمَا جَمِيعٌ وَأَمْرُكُمَا وَاحِدٌ فَقُلْتُمَا ادْفَعْهَا إِلَيْنَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ أَنْ تَعْمَلاَ فِيهَا بِالَّذِي كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذْتُمَاهَا بِذَلِكَ قَالَ أَكَذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ . قَالَ ثُمَّ جِئْتُمَانِي لأَقْضِيَ بَيْنَكُمَا وَلاَ وَاللَّهِ لاَ أَقْضِي بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَرُدَّاهَا إِلَىَّ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৪২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৭-৪
১৫. ’ফায়’ এর হুকুম
৪৪২৬। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম, মুহাম্মাদ ইবনে রাফি’ ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... মালিক ইবনে আউস ইবনে হাদছান (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। এরপর বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের কতিপয় পরিবারের লোক আমার কাছে উপস্থিত হল ...... তারপর মালিক (রাযিঃ) এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তার হাদীসে রয়েছে যে, তিনি তাঁর পরিবারের জন্য তা থেকে এক বছরের খরচ দিয়ে দিতেন। অনেক সময় মা’মার (রাহঃ) বলেছেন যে, তার পরিবারের জন্য তা থেকে এক বছরের খোরাকী রেখে দিতেন। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ আল্লাহর মালের ভাণ্ডারে (বায়তুল মালে) জমা দিতেন।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ، بْنِ الْحَدَثَانِ قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ حَضَرَ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ . بِنَحْوِ حَدِيثِ مَالِكٍ . غَيْرَ أَنَّ فِيهِ، فَكَانَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ مِنْهُ سَنَةً وَرُبَّمَا قَالَ مَعْمَرٌ يَحْبِسُ قُوتَ أَهْلِهِ مِنْهُ سَنَةً ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ مِنْهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ .
tahqiq

তাহকীক: