আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৪৪১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫১-৩
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
১৩. নিহত শত্রুর ব্যক্তিগত সম্পদ (সালাব) হত্যাকারী মুজাহিদদের প্রাপ্য
৪৪১৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামিমী, কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও আবু তাহির (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হুনাইনের যুদ্ধের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে বের হলাম। আমরা যখন শক্রদের মুখামুখি হলাম তখন মুসলমানদের মধ্যে ছুটাছুটি আরম্ভ হল। এ সময় আমি একজন মুশরিককে দেখতে পেলাম যে, সে একজন মূসলমানের উপর চড়ে বসেছে। তখন আমি একটু ঘুরে এসে তার পিছন দিক দিয়ে তার কাঁধের উপর আঘাত করলাম। তখন সে আমার দিকে অগ্রসর হয়ে আমাকে এমনভাবে চেপে ধরল যে, আমি এতে মৃত্যুর গন্ধ পেলাম। এপর সে মৃত্যু মুখে ঢলে পড়ল এবং আমাকে ছেড়ে দিল।
এরপর আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর সঙ্গে মিলিত হলাম। তিনি বললেন, লোকদের কী হয়েছে? আমি বললাম এ আল্লাহর কাজ (ইচ্ছা)। তারপর (পলায়নপর) লোকেরা এল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন (যুদ্ধ ক্ষেত্রে) বসেছিলেন। তিনি বললেন, যে মুসলিম সৈন্য অপর কোন শক্র সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং এতে তার প্রমাণ আছে, তবে তার (পরিত্যক্ত) সম্পদ তারই (হত্যাকারী মুজাহিদেরই প্রাপ্য)।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি দাঁড়ালাম এবং বললাম, আমার জন্যে কে সাক্ষ্য দেবে? তারপর আমি বসে পড়লাম। তারপর তিনি আবার সেরূপ কথা বললেন, আমি দাঁড়ালাম এবং বললাম কে আমার জন্যে সাক্ষ্য দেবে? এবং আমি বসে পড়লাম। তিনি তৃতীয়বারও ঐরূপ বললেন। বর্ণনাকারী বলেন, তা শুনে আমি (আবার) দাঁড়ালাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আবু কাতাদা! তোমার কি হয়েছে? আমি তখন তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম।
তখন এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ (আবু কাতাদা) সত্য বলেছেন। ঐ নিহত ব্যক্তির (পরিত্যক্ত) সম্পদ আমার কাছে রক্ষিত আছে। আপনি তার হক (আমাকে দেওয়া) এর ব্যাপারে তাঁকে রাজি করিয়ে দেন। তখন আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) বললেন, না, আল্লাহর কসম! তা হতে পারে না। আল্লাহর সিংহসমূহের মধ্য হতে কোন এক সিংহ (যোদ্ধা) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন, তার প্রাপ্য সম্পদ যেন তোমাকে প্রদানের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মনস্থ না করেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ (আবু বকর) ঠিকই বলেছেন। সুতরাং তিনি বললেন, তাকে (আবু কাতাদাকে) দিয়ে দাও। তখন সে তা দিয়ে দিল। আবু কাতাদা (রাযিঃ) বললেন, আমি তা থেকে লৌহ বর্মটি বিক্রি করলাম এবং তা দিয়ে বনী সালামার মহল্লায় একটি ফলের বাগান খরিদ করলাম। এই ছিল আমার ইসলামী জীবনের প্রথম অর্জিত সম্পদ।
লাইস (রাহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেন আল্লাহর সিংহসমূহের মধ্য থেকে কোন এক সিংহকে বাদ দিয়ে তা কুরাইশের কোন শৃগালকে (কাপুরুষকে) প্রদান না করেন।
এরপর আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর সঙ্গে মিলিত হলাম। তিনি বললেন, লোকদের কী হয়েছে? আমি বললাম এ আল্লাহর কাজ (ইচ্ছা)। তারপর (পলায়নপর) লোকেরা এল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন (যুদ্ধ ক্ষেত্রে) বসেছিলেন। তিনি বললেন, যে মুসলিম সৈন্য অপর কোন শক্র সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং এতে তার প্রমাণ আছে, তবে তার (পরিত্যক্ত) সম্পদ তারই (হত্যাকারী মুজাহিদেরই প্রাপ্য)।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি দাঁড়ালাম এবং বললাম, আমার জন্যে কে সাক্ষ্য দেবে? তারপর আমি বসে পড়লাম। তারপর তিনি আবার সেরূপ কথা বললেন, আমি দাঁড়ালাম এবং বললাম কে আমার জন্যে সাক্ষ্য দেবে? এবং আমি বসে পড়লাম। তিনি তৃতীয়বারও ঐরূপ বললেন। বর্ণনাকারী বলেন, তা শুনে আমি (আবার) দাঁড়ালাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আবু কাতাদা! তোমার কি হয়েছে? আমি তখন তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম।
তখন এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ (আবু কাতাদা) সত্য বলেছেন। ঐ নিহত ব্যক্তির (পরিত্যক্ত) সম্পদ আমার কাছে রক্ষিত আছে। আপনি তার হক (আমাকে দেওয়া) এর ব্যাপারে তাঁকে রাজি করিয়ে দেন। তখন আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) বললেন, না, আল্লাহর কসম! তা হতে পারে না। আল্লাহর সিংহসমূহের মধ্য হতে কোন এক সিংহ (যোদ্ধা) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন, তার প্রাপ্য সম্পদ যেন তোমাকে প্রদানের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মনস্থ না করেন।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ (আবু বকর) ঠিকই বলেছেন। সুতরাং তিনি বললেন, তাকে (আবু কাতাদাকে) দিয়ে দাও। তখন সে তা দিয়ে দিল। আবু কাতাদা (রাযিঃ) বললেন, আমি তা থেকে লৌহ বর্মটি বিক্রি করলাম এবং তা দিয়ে বনী সালামার মহল্লায় একটি ফলের বাগান খরিদ করলাম। এই ছিল আমার ইসলামী জীবনের প্রথম অর্জিত সম্পদ।
লাইস (রাহঃ) এর বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেন আল্লাহর সিংহসমূহের মধ্য থেকে কোন এক সিংহকে বাদ দিয়ে তা কুরাইশের কোন শৃগালকে (কাপুরুষকে) প্রদান না করেন।
كتاب الجهاد والسير
باب اسْتِحْقَاقِ الْقَاتِلِ سَلَبَ الْقَتِيلِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ، كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيِّ، وَكَانَ، جَلِيسًا لأَبِي قَتَادَةَ قَالَ قَالَ أَبُو قَتَادَةَ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ .
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ، قَالَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
وَحَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حُنَيْنٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ جَوْلَةٌ . قَالَ فَرَأَيْتُ رَجُلاً مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَدْ عَلاَ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَاسْتَدَرْتُ إِلَيْهِ حَتَّى أَتَيْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ فَضَرَبْتُهُ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ وَأَقْبَلَ عَلَىَّ فَضَمَّنِي ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيحَ الْمَوْتِ ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَأَرْسَلَنِي فَلَحِقْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ مَا لِلنَّاسِ فَقُلْتُ أَمْرُ اللَّهِ . ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ رَجَعُوا وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ " مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ " . قَالَ فَقُمْتُ فَقُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ فَقُمْتُ فَقُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ الثَّالِثَةَ فَقُمْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ " . فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ صَدَقَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَلَبُ ذَلِكَ الْقَتِيلِ عِنْدِي فَأَرْضِهِ مِنْ حَقِّهِ . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ لاَهَا اللَّهِ إِذًا لاَ يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسُدِ اللَّهِ يُقَاتِلُ عَنِ اللَّهِ وَعَنْ رَسُولِهِ فَيُعْطِيكَ سَلَبَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " صَدَقَ فَأَعْطِهِ إِيَّاهُ " . فَأَعْطَانِي قَالَ فَبِعْتُ الدِّرْعَ فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِي بَنِي سَلِمَةَ فَإِنَّهُ لأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الإِسْلاَمِ . وَفِي حَدِيثِ اللَّيْثِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ كَلاَّ لاَ يُعْطِيهِ أُضَيْبِعَ مِنْ قُرَيْشٍ وَيَدَعُ أَسَدًا مِنْ أُسُدِ اللَّهِ . وَفِي حَدِيثِ اللَّيْثِ، لَأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ، قَالَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
وَحَدَّثَنَا أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حُنَيْنٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ جَوْلَةٌ . قَالَ فَرَأَيْتُ رَجُلاً مِنَ الْمُشْرِكِينَ قَدْ عَلاَ رَجُلاً مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَاسْتَدَرْتُ إِلَيْهِ حَتَّى أَتَيْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ فَضَرَبْتُهُ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ وَأَقْبَلَ عَلَىَّ فَضَمَّنِي ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيحَ الْمَوْتِ ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَأَرْسَلَنِي فَلَحِقْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ مَا لِلنَّاسِ فَقُلْتُ أَمْرُ اللَّهِ . ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ رَجَعُوا وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ " مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ " . قَالَ فَقُمْتُ فَقُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ مِثْلَ ذَلِكَ فَقَالَ فَقُمْتُ فَقُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ الثَّالِثَةَ فَقُمْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ " . فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ صَدَقَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَلَبُ ذَلِكَ الْقَتِيلِ عِنْدِي فَأَرْضِهِ مِنْ حَقِّهِ . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ لاَهَا اللَّهِ إِذًا لاَ يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسُدِ اللَّهِ يُقَاتِلُ عَنِ اللَّهِ وَعَنْ رَسُولِهِ فَيُعْطِيكَ سَلَبَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " صَدَقَ فَأَعْطِهِ إِيَّاهُ " . فَأَعْطَانِي قَالَ فَبِعْتُ الدِّرْعَ فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِي بَنِي سَلِمَةَ فَإِنَّهُ لأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الإِسْلاَمِ . وَفِي حَدِيثِ اللَّيْثِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ كَلاَّ لاَ يُعْطِيهِ أُضَيْبِعَ مِنْ قُرَيْشٍ وَيَدَعُ أَسَدًا مِنْ أُسُدِ اللَّهِ . وَفِي حَدِيثِ اللَّيْثِ، لَأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
১৩. নিহত শত্রুর ব্যক্তিগত সম্পদ (সালাব) হত্যাকারী মুজাহিদদের প্রাপ্য
৪৪১৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামিমী (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বদরের দিন যুদ্ধ সারিতে অবস্থান করছিলাম। এমন সময় আমি আমার ডান ও বাম দিকে তাকিয়ে দেখি যে, আমি দু’জন আনসারী তরুণের মাঝে আছি। আমি তখন আশা করেছিলাম, যদি আমি দু’জন শক্তিশালী যুবকের মাঝে থাকতাম। এমন সময় তাদের একজন আমাকে ইঙ্গিতে বলল, হে চাচা! আপনি কি আবু জাহেলকে চিনেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তবে তাকে দিয়ে তোমার কী প্রয়োজন, হে ভ্রাতুষ্পূত্র? সে বলল, আমি সংবাদ জেনেছি যে, সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে গালাগালি করে। সেই আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার জীবন, যদি আমি তাকে দেখতে পাই তবে অবশ্যই আমার দেহ তার দীহ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না- যতক্ষণ না আমাদের দুজনের মধ্যে যার মৃত্যু পূর্বে হওয়া অবধারিত তার মৃত্যু হয়।
বর্ণনাকারী বলেন, কিশোরের এই কথা শুনে আমি আাচর্যাম্বিত হলাম। তারপর অপর কিশোর আমার দিকে ইঙ্গিত করে অনুরূপ কথা বলল। পরে বেশী সময় অতিবাহিত হয়নি, হঠাৎ আমি দেখলাম আবু জাহেল লোকদের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, আমি তখন কিশোর দু’জনকে বললাম, এই সেই যার ব্যক্তি যার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসা করেছ। তারা উভয়ে দৌঁড়ে গিয়ে তাদের তলোয়ার দ্বারা তাকে আঘাত করলো এবং হত্যা করে ফেললো। অতঃপর উভয়েই ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এই ঘটনার সংবাদ দিল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কে হত্যা করেছে তাদের প্রত্যেকেই বলল, আমি তাকে হত্যা করেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের তলোয়ার কি মুছে ফেলেছ? তারা তখন বললো, না। তখন তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) উভয়ের তলোয়ার (পরীক্ষা করে) দেখলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা উভয়েই তাকে হত্যা করেছ। অতএব, (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) মুআয ইবনে আমর ইবনে জামুহকে ’সালাব’ প্রদানের নির্দেশ দেন। (আর সেই দুই ব্যক্তি হলেন, মুআয ইবনে আমর ইবনে জামুহ এবং মুআয ইবনে আফরা (রাযিঃ)।)
বর্ণনাকারী বলেন, কিশোরের এই কথা শুনে আমি আাচর্যাম্বিত হলাম। তারপর অপর কিশোর আমার দিকে ইঙ্গিত করে অনুরূপ কথা বলল। পরে বেশী সময় অতিবাহিত হয়নি, হঠাৎ আমি দেখলাম আবু জাহেল লোকদের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, আমি তখন কিশোর দু’জনকে বললাম, এই সেই যার ব্যক্তি যার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসা করেছ। তারা উভয়ে দৌঁড়ে গিয়ে তাদের তলোয়ার দ্বারা তাকে আঘাত করলো এবং হত্যা করে ফেললো। অতঃপর উভয়েই ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এই ঘটনার সংবাদ দিল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কে হত্যা করেছে তাদের প্রত্যেকেই বলল, আমি তাকে হত্যা করেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের তলোয়ার কি মুছে ফেলেছ? তারা তখন বললো, না। তখন তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) উভয়ের তলোয়ার (পরীক্ষা করে) দেখলেন। তারপর বললেনঃ তোমরা উভয়েই তাকে হত্যা করেছ। অতএব, (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) মুআয ইবনে আমর ইবনে জামুহকে ’সালাব’ প্রদানের নির্দেশ দেন। (আর সেই দুই ব্যক্তি হলেন, মুআয ইবনে আমর ইবনে জামুহ এবং মুআয ইবনে আফরা (রাযিঃ)।)
كتاب الجهاد والسير
باب اسْتِحْقَاقِ الْقَاتِلِ سَلَبَ الْقَتِيلِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّهُ قَالَ بَيْنَا أَنَا وَاقِفٌ، فِي الصَّفِّ يَوْمَ بَدْرٍ نَظَرْتُ عَنْ يَمِينِي، وَشِمَالِي، فَإِذَا أَنَا بَيْنَ، غُلاَمَيْنِ مِنَ الأَنْصَارِ حَدِيثَةٍ أَسْنَانُهُمَا تَمَنَّيْتُ لَوْ كُنْتُ بَيْنَ أَضْلَعَ مِنْهُمَا فَغَمَزَنِي أَحَدُهُمَا . فَقَالَ يَا عَمِّ هَلْ تَعْرِفُ أَبَا جَهْلٍ قَالَ قُلْتُ نَعَمْ وَمَا حَاجَتُكَ إِلَيْهِ يَا ابْنَ أَخِي قَالَ أُخْبِرْتُ أَنَّهُ يَسُبُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَئِنْ رَأَيْتُهُ لاَ يُفَارِقُ سَوَادِي سَوَادَهُ حَتَّى يَمُوتَ الأَعْجَلُ مِنَّا . قَالَ فَتَعَجَّبْتُ لِذَلِكَ فَغَمَزَنِي الآخَرُ فَقَالَ مِثْلَهَا - قَالَ - فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ نَظَرْتُ إِلَى أَبِي جَهْلٍ يَزُولُ فِي النَّاسِ فَقُلْتُ أَلاَ تَرَيَانِ هَذَا صَاحِبُكُمَا الَّذِي تَسْأَلاَنِ عَنْهُ قَالَ فَابْتَدَرَاهُ فَضَرَبَاهُ بِسَيْفَيْهِمَا حَتَّى قَتَلاَهُ ثُمَّ انْصَرَفَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَاهُ . فَقَالَ " أَيُّكُمَا قَتَلَهُ " . فَقَالَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا أَنَا قَتَلْتُ . فَقَالَ " هَلْ مَسَحْتُمَا سَيْفَيْكُمَا " . قَالاَ لاَ . فَنَظَرَ فِي السَّيْفَيْنِ فَقَالَ " كِلاَكُمَا قَتَلَهُ " . وَقَضَى بِسَلَبِهِ لِمُعَاذِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ وَالرَّجُلاَنِ مُعَاذُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ وَمُعَاذُ ابْنُ عَفْرَاءَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৩-১
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
১৩. নিহত শত্রুর ব্যক্তিগত সম্পদ (সালাব) হত্যাকারী মুজাহিদদের প্রাপ্য
৪৪১৮। আবু তাহির আহমাদ ইবনে আমর ইবনে সারহ (রাহঃ) ......... আউফ ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হিময়ার গোত্রের এক ব্যক্তি শক্র পক্ষের এক ব্যক্তিকে হত্যা করছেন এবং তার পরিত্যক্ত সম্পদ (সালাব) নিতে চাইছেন। কিন্তু খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) তাকে নিষেধ করলেন। তিনি ছিলেন তাদের সেনাপতি। তারপর আউফ ইবনে মালিক (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলেন এবং ঐ ঘটনার সংবাদ দিলেন। তখন তিনি খালিদ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি (নিহত ব্যক্তির) সম্পদ তাকে দিলে না কেন? খালিদ (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি তাকে প্রচুর সম্পদ বিবেচনা করেছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাকে তা দিয়ে দাও।
তারপর খালিদ (রাযিঃ) আউফ (রাযিঃ) এর কাছ দিয়ে গেলেন এবং তাঁর চাঁদর ধরে টান দিয়ে বললেন, আমি তোমার নামে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে নালিশ করার কথা বলেছিলাম তা পূর্ণ করেছি কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা শুনতে পেলেন। এতে তিনি রাগাম্বিত হলেন। এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে খালিদ! তুমি তাকে তা দেবে না। হে খালিদ! তুমি তাকে তা দেবে না। তোমরা কি আমার খাতিরে আমার সেনাপতিদের (একটু) ছাড় দিবে না? নিশ্চয়ই তোমাদের এবং তাদের দৃষ্টান্ত এমন, যেমন কোন ব্যক্তি উট কিংবা ছাগল চরাবার জন্য রাখলো। রাখাল মাঠে তা চরালো। তারপর পিপাসার সময় পানি পান করানোর জন্য জলাশয়ে নিয়ে গেল। পরিস্কার পানি পান করতে শুরু করল এবং ঘোলাটে পানি পরিত্যাগ করলো। অর্থাৎ তার পরিস্কার অংশ তোমাদের জন্য এবং অপরিস্কার অংশ (জবাবদিহীতার) তোমাদের নেতাদের উপর।
তারপর খালিদ (রাযিঃ) আউফ (রাযিঃ) এর কাছ দিয়ে গেলেন এবং তাঁর চাঁদর ধরে টান দিয়ে বললেন, আমি তোমার নামে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে নালিশ করার কথা বলেছিলাম তা পূর্ণ করেছি কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা শুনতে পেলেন। এতে তিনি রাগাম্বিত হলেন। এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে খালিদ! তুমি তাকে তা দেবে না। হে খালিদ! তুমি তাকে তা দেবে না। তোমরা কি আমার খাতিরে আমার সেনাপতিদের (একটু) ছাড় দিবে না? নিশ্চয়ই তোমাদের এবং তাদের দৃষ্টান্ত এমন, যেমন কোন ব্যক্তি উট কিংবা ছাগল চরাবার জন্য রাখলো। রাখাল মাঠে তা চরালো। তারপর পিপাসার সময় পানি পান করানোর জন্য জলাশয়ে নিয়ে গেল। পরিস্কার পানি পান করতে শুরু করল এবং ঘোলাটে পানি পরিত্যাগ করলো। অর্থাৎ তার পরিস্কার অংশ তোমাদের জন্য এবং অপরিস্কার অংশ (জবাবদিহীতার) তোমাদের নেতাদের উপর।
كتاب الجهاد والسير
باب اسْتِحْقَاقِ الْقَاتِلِ سَلَبَ الْقَتِيلِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَتَلَ رَجُلٌ مِنْ حِمْيَرَ رَجُلاً مِنَ الْعَدُوِّ فَأَرَادَ سَلَبَهُ فَمَنَعَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَكَانَ وَالِيًا عَلَيْهِمْ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ لِخَالِدٍ " مَا مَنَعَكَ أَنْ تُعْطِيَهُ سَلَبَهُ " . قَالَ اسْتَكْثَرْتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " ادْفَعْهُ إِلَيْهِ " . فَمَرَّ خَالِدٌ بِعَوْفٍ فَجَرَّ بِرِدَائِهِ ثُمَّ قَالَ هَلْ أَنْجَزْتُ لَكَ مَا ذَكَرْتُ لَكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتُغْضِبَ فَقَالَ " لاَ تُعْطِهِ يَا خَالِدُ لاَ تُعْطِهِ يَا خَالِدُ هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُونَ لِي أُمَرَائِي إِنَّمَا مَثَلُكُمْ وَمَثَلُهُمْ كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتُرْعِيَ إِبِلاً أَوْ غَنَمًا فَرَعَاهَا ثُمَّ تَحَيَّنَ سَقْيَهَا فَأَوْرَدَهَا حَوْضًا فَشَرَعَتْ فِيهِ فَشَرِبَتْ صَفْوَهُ وَتَرَكَتْ كَدَرَهُ فَصَفْوُهُ لَكُمْ وَكَدَرُهُ عَلَيْهِمْ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৩-২
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
১৩. নিহত শত্রুর ব্যক্তিগত সম্পদ (সালাব) হত্যাকারী মুজাহিদদের প্রাপ্য
৪৪১৯। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আউফ ইবনে মালিক আশজাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়দ ইবনে হারেসা (রাযিঃ) এর সঙ্গে যারা মুতার যুদ্ধে গমন করেছিলেন, তন্মধ্যে আমিও ছিলাম। ইয়ামানের একজন ’সহযোগ্য’ (সৈনিক) আমার সাথী হল। এরপর তিনি নবী (ﷺ) থেকে উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি হাদীসে বলেছেন যে, আউফ (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর আমি বললাম, হে খালিদ! তুমি কি জাননা যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শক্র থেকে নেয়া সম্পদ হত্যাকারীর মুজাহিদের প্রাপ্য বলে নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, কিন্তু এই সম্পদ আমার কাছে অধিক মনে হল। (তাই আমি নিষেধ করেছিলাম।)
كتاب الجهاد والسير
باب اسْتِحْقَاقِ الْقَاتِلِ سَلَبَ الْقَتِيلِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ مَنْ خَرَجَ مَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ وَرَافَقَنِي مَدَدِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِنَحْوِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فِي الْحَدِيثِ قَالَ عَوْفٌ فَقُلْتُ يَا خَالِدُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي اسْتَكْثَرْتُهُ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৪
- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ
১৩. নিহত শত্রুর ব্যক্তিগত সম্পদ (সালাব) হত্যাকারী মুজাহিদদের প্রাপ্য
৪৪২০। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু সালামা ইবনে আকওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে হাওয়াযিন গোত্রের সঙ্গে যুদ্ধে ছিলাম। একদা আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে সকালের খাওয়ায় সামিল ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি লাল রংের উটে চড়ে এসে তাকে বসাল এবং তার কোমর থেকে একটি চামড়ার রশি বের করে এর দ্বারা সে তার উটকে বাঁধলো। এরপর সে এসে লোকদের সাথে খানা খেতে লাগল এবং এদিক সেদিক তাকাতে লাগলো (গুপ্তচর)। আমাদের মধ্যে দুর্বলতা ও নম্রতা ছিল। সওয়ারীও কম ছিল। আমাদের কেউ কেউ পায়ে হেঁটে চলত (পদাতিক ছিল)।
এমন সময় সে ব্যক্তি দ্রুত গতিতে নিজের উটের কাছে এসে এর রশি খুললো। এরপর একে বসিয়ে এর উপর সওয়ার হল তারপর দাবড়ালো এবং উট তাকে নিয়ে ছুটল। তখন এক ব্যক্তি একটি ধূসর বর্ণের উটনীর উপর আরোহণ করে তার পশ্চাদ্ধাবন করলো। সালামা (রাযিঃ) বলেন, আমি বের হয়ে দৌড় দিলাম। প্রথমত আমি উটনীর পিছনে গিয়ে পৌছলাম। এরপর আমি আরও অগ্রসর হয়ে সে উটের পশ্চাতে পৌছলাম। অতঃপর আরও অগ্রসর হয়ে আমি উটের লাগাম ধরে ফেললাম এবং আমি একে বসালাম।
যখন উটটি তার হাটু মাটিতে রাখল, তখন আমি তলোয়ার বের করে লোকটির মাথায় আঘাত করলাম। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। এরপর আমি উটটি টেনে নিয়ে এলাম। এর উপর ঐ ব্যক্তির আসবাব পত্র ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকজন সহ আমাকে এগিয়ে নিলেন। তিনি বললেনঃ কে এই লোকটিকে হত্যা করেছে? লোকেরা বলল, ইবনে আকওয়া। তিনি বললেনঃ তার সালাব (নিহত ব্যক্তির থেকে ছিনিয়ে আনা সমুদয় সম্পদ) তার (আকওয়ার পুত্র সালামার) জন্য।
এমন সময় সে ব্যক্তি দ্রুত গতিতে নিজের উটের কাছে এসে এর রশি খুললো। এরপর একে বসিয়ে এর উপর সওয়ার হল তারপর দাবড়ালো এবং উট তাকে নিয়ে ছুটল। তখন এক ব্যক্তি একটি ধূসর বর্ণের উটনীর উপর আরোহণ করে তার পশ্চাদ্ধাবন করলো। সালামা (রাযিঃ) বলেন, আমি বের হয়ে দৌড় দিলাম। প্রথমত আমি উটনীর পিছনে গিয়ে পৌছলাম। এরপর আমি আরও অগ্রসর হয়ে সে উটের পশ্চাতে পৌছলাম। অতঃপর আরও অগ্রসর হয়ে আমি উটের লাগাম ধরে ফেললাম এবং আমি একে বসালাম।
যখন উটটি তার হাটু মাটিতে রাখল, তখন আমি তলোয়ার বের করে লোকটির মাথায় আঘাত করলাম। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। এরপর আমি উটটি টেনে নিয়ে এলাম। এর উপর ঐ ব্যক্তির আসবাব পত্র ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকজন সহ আমাকে এগিয়ে নিলেন। তিনি বললেনঃ কে এই লোকটিকে হত্যা করেছে? লোকেরা বলল, ইবনে আকওয়া। তিনি বললেনঃ তার সালাব (নিহত ব্যক্তির থেকে ছিনিয়ে আনা সমুদয় সম্পদ) তার (আকওয়ার পুত্র সালামার) জন্য।
كتاب الجهاد والسير
باب اسْتِحْقَاقِ الْقَاتِلِ سَلَبَ الْقَتِيلِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي سَلَمَةُ بْنُ الأَكْوَعِ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَوَازِنَ فَبَيْنَا نَحْنُ نَتَضَحَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ فَأَنَاخَهُ ثُمَّ انْتَزَعَ طَلَقًا مِنْ حَقَبِهِ فَقَيَّدَ بِهِ الْجَمَلَ ثُمَّ تَقَدَّمَ يَتَغَدَّى مَعَ الْقَوْمِ وَجَعَلَ يَنْظُرُ وَفِينَا ضَعْفَةٌ وَرِقَّةٌ فِي الظَّهْرِ وَبَعْضُنَا مُشَاةٌ إِذْ خَرَجَ يَشْتَدُّ فَأَتَى جَمَلَهُ فَأَطْلَقَ قَيْدَهُ ثُمَّ أَنَاخَهُ وَقَعَدَ عَلَيْهِ فَأَثَارَهُ فَاشْتَدَّ بِهِ الْجَمَلُ فَاتَّبَعَهُ رَجُلٌ عَلَى نَاقَةٍ وَرْقَاءَ . قَالَ سَلَمَةُ وَخَرَجْتُ أَشْتَدُّ فَكُنْتُ عِنْدَ وَرِكِ النَّاقَةِ . ثُمَّ تَقَدَّمْتُ حَتَّى كُنْتُ عِنْدَ وَرِكِ الْجَمَلِ ثُمَّ تَقَدَّمْتُ حَتَّى أَخَذْتُ بِخِطَامِ الْجَمَلِ فَأَنَخْتُهُ فَلَمَّا وَضَعَ رُكْبَتَهُ فِي الأَرْضِ اخْتَرَطْتُ سَيْفِي فَضَرَبْتُ رَأْسَ الرَّجُلِ فَنَدَرَ ثُمَّ جِئْتُ بِالْجَمَلِ أَقُودُهُ عَلَيْهِ رَحْلُهُ وَسِلاَحُهُ فَاسْتَقْبَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ مَعَهُ فَقَالَ " مَنْ قَتَلَ الرَّجُلَ " . قَالُوا ابْنُ الأَكْوَعِ . قَالَ " لَهُ سَلَبُهُ أَجْمَعُ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: