আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
৩৩- জিহাদের বিধানাবলী ও নবীজীর যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৪৩৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৪১
৬. দুশমনের সম্মুখীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা মাকরূহ; আর সম্মুখীন হয়ে গেলে সবরের নির্দেশ
৪৩৯১। হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানী ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা শক্রর মুখোমুখি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করো না আর যখন মুখোমুখি হয়ে পড় তখন ধৈর্যধারণ করবে।
باب كَرَاهَةِ تَمَنِّي لِقَاءِ الْعَدُوِّ وَالأَمْرِ بِالصَّبْرِ عِنْدَ اللِّقَاءِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيُّ - عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاصْبِرُوا" .
হাদীস নং: ৪৩৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৪২-১
৬. দুশমনের সম্মুখীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা মাকরূহ; আর সম্মুখীন হয়ে গেলে সবরের নির্দেশ
৪৩৯২। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আবুন নযর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের মধ্য থেকে আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি, যার নাম ছিল আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা, তার লেখা (চিঠি) থেকে বর্ণনা করেছেন। এ চিঠি তিনি লিখেছিলেন, উমর ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) এর নিকট, যখন তিনি (খারিজীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত) হারুরিয়া অভিযানে যাচ্ছিলেন। এতে তিনি তাকে অবহিত করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার কোন এক অভিযানে যখন দুশমনের সম্মুখীন হলেন তখন অপেক্ষা করতে লাগলেন। অবশেষে যখন সুর্য ঢলে পড়ল তখন তিনি সঙ্গীদের মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে লোকজন! তোমরা শক্রর মুখোমুখি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করো না। বরং আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার প্রার্থনা কর। আর যখন তোমরা শক্রর সামনাসামনি হয়ে যাও তখন ধৈর্য ধারণ করবে। আর জেনে রেখো যে, জান্নাত তরবারীর ছায়াতলে। তারপর নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে দুআ করলেন, ইয়া আল্লাহ! তুমি কিতাব অবতীর্ণকারী, মেঘমালা পরিচালনাকারী এবং শত্রুদলকে পরাভূতকারী। তুমি তাদের পরাজিত কর এবং তাদের উপর আমাদের সাহায্য কর।
باب كَرَاهَةِ تَمَنِّي لِقَاءِ الْعَدُوِّ وَالأَمْرِ بِالصَّبْرِ عِنْدَ اللِّقَاءِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى، بْنُ عُقْبَةَ عَنْ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ كِتَابِ، رَجُلٍ مِنْ أَسْلَمَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُقَالُ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى فَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ حِينَ سَارَ إِلَى الْحَرُورِيَّةِ يُخْبِرُهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي بَعْضِ أَيَّامِهِ الَّتِي لَقِيَ فِيهَا الْعَدُوَّ يَنْتَظِرُ حَتَّى إِذَا مَالَتِ الشَّمْسُ قَامَ فِيهِمْ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ لاَ تَتَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ وَاسْأَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ فَإِذَا لَقِيتُمُوهُمْ فَاصْبِرُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ " . ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ وَمُجْرِيَ السَّحَابِ وَهَازِمَ الأَحْزَابِ اهْزِمْهُمْ وَانْصُرْنَا عَلَيْهِمْ " .