আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

৩০- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৪৩১২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭০৯-১
৯. ’হুদুদ’ শরীয়তের কর্তৃক নির্দিষ্ট শাস্তি অপরাধীর জন্য ’কাফফারা’ পাপ ক্ষমা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে
৪৩১২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামীমী (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা কোন এক বৈঠকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন যে, তোমরা আমার কাছে এ কথার বায়আত গ্রহণ কর যে, তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, ব্যভিচার করবে না, চুরি করবেনা এবং কাউকে হত্যা করবে না যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। কিন্তু ন্যায়সঙ্গতভাবে (অর্থাৎ কিসাস হিসাবে অথবা হত্যাযোগ্য কোন অপরাধে)। অতএব, তোমাদের মধ্য থেকে যে তা পূর্ণ করবে, সে তার প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাবে। আর যদি কেউ উল্লিখিত অপরাধের কোন একটিতে পতিত হয়ে শাস্তি ভোগ করে, তবে তাই তার জন্য কাফফারা (ক্ষতিপূরণ) হয়ে যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তি উল্লিখিত অপরাধের কোন একটিতে পতিত হয় অতঃপর আল্লাহ তাআলা তা গোপন রাখেন, তবে বিষয়টি মহান আল্লাহর ইখতিয়ারে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তিও দিতে পারেন।
باب الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لأَهْلِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَابْنُ نُمَيْرٍ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَجْلِسٍ فَقَالَ " تُبَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَعُوقِبَ بِهِ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ وَمَنْ أَصَابَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَفَا عَنْهُ وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ " .
হাদীস নং: ৪৩১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭০৯-২
৯. ’হুদুদ’ শরীয়তের কর্তৃক নির্দিষ্ট শাস্তি অপরাধীর জন্য ’কাফফারা’ পাপ ক্ষমা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে
৪৩১৩। আব্দ ইবনে হুমাইদ (রাহঃ) ......... যুহরী (রাহঃ) থেকে একই সূত্রে উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তিনি তার হাদীসে শুধু এটুকু অধিক বর্ণনা করেছেন যে, ″অতঃপর তিনি আমাদের কাছে নারীদের (বায়’আত সংক্রান্ত) আয়াত (অর্থঃ) ″তারা যেন আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করে ...... শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন।″ [সূরা মুমতাহিনাঃ ১২]
باب الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لأَهْلِهَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ فَتَلاَ عَلَيْنَا آيَةَ النِّسَاءِ ( أَنْ لاَ يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا) الآيَةَ .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৩১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭০৯-৩
৯. ’হুদুদ’ শরীয়তের কর্তৃক নির্দিষ্ট শাস্তি অপরাধীর জন্য ’কাফফারা’ পাপ ক্ষমা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে
৪৩১৪। ইসমাঈল ইবনে সালিম (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের থেকে অনুরূপ অঙ্গীকার (বায়’আত) নিলেন, যেরূপ অঙ্গীকার নিয়েছেন মহিলাদের থেকে যেন আমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করি, চুরি না করি, ব্যভিচার না করি, আমাদের সন্তানদেরকে হত্যা না করি এবং একে অপরের বিরুদ্ধে অপবাদ না দেই। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তা পূর্ণ করবে তার প্রতিদান আল্লাহর কাছে পাবে।

আর তোমাদের মধ্যে যদি কেউ এমন কোন অপরাধ করে যাতে (হদ্দ) শরীয়তের শাস্তি অত্যাবশ্যকীয় হয়, অতঃপর তার উপর সেই শাস্তি কার্যকর করা হয়, তবে তা তার অপরাধের কাফফারা (বদলা) হয়ে যাবে। আর যাকে (যে ব্যক্তির পাপ কার্য) আল্লাহ গোপন রাখলেন, তার বিষয় আল্লাহর ইখতিয়ারে। যদি তিনি ইচ্ছা করেন তবে তাকে শাস্তি দিবেন। আর যদি ইচ্ছে করেন তবে তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
باب الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لأَهْلِهَا
وَحَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا أَخَذَ عَلَى النِّسَاءِ أَنْ لاَ نُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ نَسْرِقَ وَلاَ نَزْنِيَ وَلاَ نَقْتُلَ أَوْلاَدَنَا وَلاَ يَعْضَهَ بَعْضُنَا بَعْضًا " فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَتَى مِنْكُمْ حَدًّا فَأُقِيمَ عَلَيْهِ فَهُوَ كَفَّارَتُهُ وَمَنْ سَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ " .
হাদীস নং: ৪৩১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭০৯-৪
৯. ’হুদুদ’ শরীয়তের কর্তৃক নির্দিষ্ট শাস্তি অপরাধীর জন্য ’কাফফারা’ পাপ ক্ষমা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে
৪৩১৫। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ (রাহঃ) ......... উভয়ে উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সে সব নাকীব (গোত্রের প্রতিনিধি ও মুখপাত্র)-দের একজন ছিলাম, যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বায়আত নিয়েছিলেন। আমরা শপথ নিলাম যে, আমরা আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করবো না, ব্যভিচার করবো না, চুরি করবো না, কাউকে হত্যা করবো না, যা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন। কিন্তু ন্যায়সঙ্গতভাবে। (অর্থাৎ কিসাস বা হদ্দ- এর মাধ্যমে) এবং লুটতরাজ (ছিনতাই) করবো না ও কোন প্রকার নিষিদ্ধ কর্মও করবো না। যদি আমরা ঐরূপ কার্যাবলী করতে পারি তবে আমাদের জান্নাত মিলবে। আর যদি আমরা উল্লিখিত অপরাধের কোনটিতে লিপ্ত হই, তবে এর ফায়সালা আল্লাহর কাছেই। ইবনে রুমহ (রাহঃ) (তার রিওয়ায়াতে) বলেন, এর ফায়সালা মহান আল্লাহর কাছেই।
باب الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لأَهْلِهَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ قَالَ إِنِّي لَمِنَ النُّقَبَاءِ الَّذِينَ بَايَعُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ بَايَعْنَاهُ عَلَى أَنْ لاَ نُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ نَزْنِيَ وَلاَ نَسْرِقَ وَلاَ نَقْتُلَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ نَنْتَهِبَ وَلاَ نَعْصِيَ فَالْجَنَّةُ إِنْ فَعَلْنَا ذَلِكَ فَإِنْ غَشِينَا مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا كَانَ قَضَاءُ ذَلِكَ إِلَى اللَّهِ . وَقَالَ ابْنُ رُمْحٍ كَانَ قَضَاؤُهُ إِلَى اللَّهِ .