আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

২৬- অছিয়াত সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৪০৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-১
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৬৩। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামীমী (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে দেখতে আসেন; এমন রোগের সময় যাতে আমি মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! রোগের কারণে আমার কি অবস্থা হয়েছে তা আপনি দেখতে পাচ্ছেন। আমি একজন সম্পদশালী ব্যক্তি, অথচ একটি মাত্র কন্যা সন্তান ব্যতীত আমার আর কোন ওয়ারিস নাই। সুতরাং আমি আমার সস্পদের দুই-তৃতীয়াংশ সাদ্‌কা করতে পারি কি? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে কি অর্ধেক মাল সাদ্‌কা করতে পারি? তিনি বললেন, না। বরং এক তৃতীয়াংশ এবং এক তৃতীয়াংশও বেশী।

তোমার ওয়ারিসদের সচ্ছল অবস্থায় রেখে যাওয়া তোমার জন্য উত্তম, এই অবস্থা থেকে যে, তাদের তুমি অভাবগ্রস্ত অবস্থায় ছেড়ে যাবে যে, তারা মানুষের নিকট হাত পাতবে। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তুমি যা কিছুই খরচ কর তাতে তোমাকে প্রতিদান দেয়া হবে। এমন কি, সে লোকমাটির বিনিময়েও যা তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি তো আমার সাথীদের থেকে পিছনে রয়ে যাচ্ছি। তিনি বললেন, তুমি যখনই পিছনে থেকে (বেঁচে থেকে) আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন আমল করবে তখনই তার দ্বারা তোমার সম্মান ও মর্যাদাই বৃদ্ধি পাবে। আর সম্ভবত তুমি পরবর্তীতেও থাকবে (অর্থাৎ দীর্ঘায়ু লাভ করবে।) এমনকি বহু সম্প্রদায় তোমার দ্বারা লাভবান হবে এবং বহু লোক তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (নবীজী দুআ করলেন।) ইয়া আল্লাহ! আমার সাথীদের হিজরত অক্ষুণ্ণ রাখুন এবং তাদেরকে পাশ্চাতে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু সা’দ ইবনে খাওলার জন্য আফসোস! রাবী বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। কারণ, তিনি মক্কায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ مِنْ وَجَعٍ أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى الْمَوْتِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَلَغَنِي مَا تَرَى مِنَ الْوَجَعِ وَأَنَا ذُو مَالٍ وَلاَ يَرِثُنِي إِلاَّ ابْنَةٌ لِي وَاحِدَةٌ أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَىْ مَالِي قَالَ " لاَ " . قَالَ قُلْتُ أَفَأَتَصَدَّقُ بِشَطْرِهِ قَالَ " لاَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَلَسْتَ تُنْفِقُ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلاَّ أُجِرْتَ بِهَا حَتَّى اللُّقْمَةُ تَجْعَلُهَا فِي فِي امْرَأَتِكَ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي قَالَ " إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ فَتَعْمَلَ عَمَلاً تَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ إِلاَّ ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً وَلَعَلَّكَ تُخَلَّفُ حَتَّى يُنْفَعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ اللَّهُمَّ أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ " . قَالَ رَثَى لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَنْ تُوُفِّيَ بِمَكَّةَ .
হাদীস নং: ৪০৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-২
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৬৪। কুতায়বা ইবনে সাঈদ, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, আবু তাহির, হারামালা, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... সহ সকলেই যুহরীর সূত্রে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
tahqiq

তাহকীক:

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪০৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-৩
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৬৫। ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমার রোগের খোঁজখবর নেয়ার জন্য আমার নিকট আগমন করেন। তারপর যুহরীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেন। এবং সা’দ ইবনে খাওলার প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) এর উক্তি উল্লেখ করেন নি। তবে এতে একথা রয়েছে, কোন ব্যক্তি যে স্থান থেকে হিজরত করেছে তথায় মৃত্যুবরণ করুক, এটা নবী (ﷺ) পছন্দ করতেন না।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ، إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَىَّ يَعُودُنِي . فَذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَعْدِ ابْنِ خَوْلَةَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَكَانَ يَكْرَهُ أَنْ يَمُوتَ بِالأَرْضِ الَّتِي هَاجَرَ مِنْهَا .
হাদীস নং: ৪০৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-৪
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৬৬। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... মুসআব ইবনে সা’দ (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি একবার পিড়িত হয়ে পড়ি এবং নবী (ﷺ) এর নিকট সংবাদ পাঠাই। (তিনি আসলেন) আমি বললাম, আমার সম্পত্তি যে রূপে ইচ্ছা বন্টন করার অনুমতি দান করুন। তিনি অসম্মতি জানালেন। আমি বললাম, তা হলে অর্ধেক? তিনি তাও অস্বীকার করলেন। আমি বললাম, তাহলে এক-তৃতীয়াংশ? রাবী বলেন, এক-তৃর্তীয়াংশ বলার পর নবী (ﷺ) নীরব থাকেন। রাবী বলেন, এরপর থেকে এক তৃতীয়াংশ বৈধ সাব্যস্ত হয়।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ، بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنِي مُصْعَبُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَرِضْتُ فَأَرْسَلْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ دَعْنِي أَقْسِمْ مَالِي حَيْثُ شِئْتُ فَأَبَى . قُلْتُ فَالنِّصْفُ فَأَبَى . قُلْتُ فَالثُّلُثُ قَالَ فَسَكَتَ بَعْدَ الثُّلُثِ . قَالَ فَكَانَ بَعْدُ الثُّلُثُ جَائِزًا .
হাদীস নং: ৪০৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-৫
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৬৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... সিমাক (রাহঃ) এর সূত্রে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি ″এরপর থেকে এক তৃতীয়াংশ বৈধ সাব্যস্ত হয়″ কথাটি উল্লেখ করেননি।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . وَلَمْ يَذْكُرْ فَكَانَ بَعْدُ الثُّلُثُ جَائِزًا .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-৬
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৬৮। কাসিম ইবনে যাকারিয়া (রাহঃ) ......... মুসআব ইবনে সা’দ (রাযিঃ) এর সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) আমার অসুস্থতায় আমাকে দেখতে এলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আমি কি আমার সমস্ত সম্পদ ওসিয়াত করে যাব। তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তা হলে অর্ধেক? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে এক তৃতীয়াংশ? তিনি বললেন, হ্যাঁ এবং বললেন এক-তৃতীয়াংশও অনেক।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَادَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ . قَالَ " لاَ " . قُلْتُ فَالنِّصْفُ . قَالَ " لاَ " . فَقُلْتُ أَبِالثُّلُثِ فَقَالَ " نَعَمْ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ " .
হাদীস নং: ৪০৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-৭
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৬৯। মুহাম্মাদ ইবনে আবু উমর মক্কী (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) এর তিন পুত্র তাদের পিতার থেকে বর্ণনা করেন যে, মক্কায় নবী (ﷺ) সা’দের অসুখ দেখার জন্য তাঁর কাছে আসেন। সা’দ (রাযিঃ) কেঁদে ফেলেন। নবী (ﷺ) বললেন, তুমি কেন কাঁদছ? তিনি বললেন, আমি ভয় পাচ্ছি, যে স্থান থেকে হিজরত করেছি, সেথায় না আমি মারা যাই; যেমনিভাবে সা’দ ইবনে খাওলা (রাযিঃ) মারা গিয়েছেন। নবী (ﷺ) বললেন, ইয়া আল্লাহ! সা’দকে শিফা দান করুন। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার প্রচুর সম্পদ আছে। আর একমাত্র কন্যাই আমার ওয়ারিস। তবে কি আমার সমুদয় সম্পদ ওসিয়াত করতে পারি? তিনি বললেন, না। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, তবে কি দুই-তৃতীয়াংশ তিনি বললেন, না। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, তা হলে অর্ধেক? তিনি বললেন, না। সা’দ বললেন, তাহলে এক তৃতীয়াংশ তিনি বললেন, হ্যাঁ, এক তৃতীয়াংশ। আর এক তৃতীয়াংশও অনেক।

তোমার সস্পদ থেকে তুমি যা সাদ্‌কা কর তা তো সাদ্‌কাই। এবং তোমার পরিবারের জন্য যা খরচ কর তাও সাদ্‌কা আর তোমার মাল থেকে তোমার স্ত্রী যা খায় তাও সাদ্‌কা। তোমার পরিবার-পরিজনকে যদি তুমি সম্পদশালী রেখে যাও, (অথবা বলেছেন স্বচ্ছন্দে রেখে যাও) তবে তা তাদের মানুষের নিকট হাতপাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম। আর একথা বলতে তিনি তার হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ عَمْرِو، بْنِ سَعِيدٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ ثَلاَثَةٍ، مِنْ وَلَدِ سَعْدٍ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُهُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَى سَعْدٍ يَعُودُهُ بِمَكَّةَ فَبَكَى قَالَ " مَا يُبْكِيكَ " . فَقَالَ قَدْ خَشِيتُ أَنْ أَمُوتَ بِالأَرْضِ الَّتِي هَاجَرْتُ مِنْهَا كَمَا مَاتَ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا " . ثَلاَثَ مِرَارٍ . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالاً كَثِيرًا وَإِنَّمَا يَرِثُنِي ابْنَتِي أَفَأُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ قَالَ " لاَ " . قَالَ فَبِالثُّلُثَيْنِ قَالَ " لاَ " . قَالَ فَالنِّصْفُ قَالَ " لاَ " . قَالَ فَالثُّلُثُ قَالَ " الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّ صَدَقَتَكَ مِنْ مَالِكَ صَدَقَةٌ وَإِنَّ نَفَقَتَكَ عَلَى عِيَالِكَ صَدَقَةٌ وَإِنَّ مَا تَأْكُلُ امْرَأَتُكَ مِنْ مَالِكَ صَدَقَةٌ وَإِنَّكَ أَنْ تَدَعَ أَهْلَكَ بِخَيْرٍ - أَوْ قَالَ بِعَيْشٍ - خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ " . وَقَالَ بِيَدِهِ .
হাদীস নং: ৪০৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-৮
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৭০। আবু রাবী আতাকী (রাহঃ) ......... সা’দ (রাযিঃ) এর তিন পুত্র থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেছেন, সা’দ (রাযিঃ) মক্কায় রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার অসুস্থতার খোঁজখবর নেয়ার জন্য তাঁর নিকট আসেন। পরবর্তী অংশ সাকাফীর হাদীসের অনুরূপ।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ ثَلاَثَةٍ، مِنْ وَلَدِ سَعْدٍ قَالُوا مَرِضَ سَعْدٌ بِمَكَّةَ فَأَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ . بِنَحْوِ حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ .
হাদীস নং: ৪০৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৮-৯
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৭১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার নিকট সা’দ ইবনে মালিকের তিন পুত্র বর্ণনা করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আমার নিকট (তার সাথীর অনুরূপ অর্থাৎ অভিন্ন রূপে) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার অসুস্থতার খোঁজখবর নেয়ার জন্য তার নিকট গমন করেন। পরবর্তী অংশ আমর ইবনে সাঈদ সূত্রে বর্ণিত হুমায়দ হিময়ারীর (রাহঃ) হাদীসের অনুরূপ।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ حُمَيْدِ، بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنِي ثَلاَثَةٌ، مِنْ وَلَدِ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُنِيهِ بِمِثْلِ حَدِيثِ صَاحِبِهِ فَقَالَ مَرِضَ سَعْدٌ بِمَكَّةَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ . بِمِثْلِ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ عَنْ حُمَيْدٍ الْحِمْيَرِيِّ .
হাদীস নং: ৪০৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২৯
১. এক-তৃতীয়াংশের ওসিয়্যাত
৪০৭২। ইবরাহীম ইবনে মুসা রাযী, আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হায়! লোকজন যদি এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে এক চতুর্থাংশ করতো। কেননা, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এক তৃতীয়াংশ এবং এক-তৃতীয়াংশও বেশী। ওকী’র হাদীসে আছে বড় বা বেশী।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَوْ أَنَّ النَّاسَ، غَضُّوا مِنَ الثُّلُثِ إِلَى الرُّبُعِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ " . وَفِي حَدِيثِ وَكِيعٍ " كَبِيرٌ أَوْ كَثِيرٌ " .