আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

২১- গোলাম আযাদ করা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৩৬৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-১
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৩৫। ইয়হইয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একবার একটি দাসী খরিদ করে তাকে মুক্ত করে দিবেন বলে ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। তখন সে দাসীর মনিবেরা তাকে জানালেন যে, আমরা আপনার কাছ থেকে এই শর্তে দাসটি বিক্রয় করতে পারি যে, তার ওয়ালার অধিকারী আমরাই থাকব। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে উপস্থাপন করলাম। তিনি বললেন, এই শর্ত তোমাকে ওয়ালা থেকে বঞ্চিত করবে না। কেননা মুক্তিদাতার জন্যই ’ওয়ালার হক’ নির্ধারিত।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ، جَارِيَةً تُعْتِقُهَا فَقَالَ أَهْلُهَا نَبِيعُكِهَا عَلَى أَنَّ وَلاَءَهَا لَنَا . فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لاَ يَمْنَعُكِ ذَلِكَ فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ ".
হাদীস নং: ৩৬৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-২
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৩৬। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উরওয়া (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, বারীরা (রাযিঃ) তাঁর লিখিত মুক্তি চুক্তির বিনিময় পরিশোধের ব্যাপারে সাহায্যের জন্য আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে এল। সে তার লিখিত মুক্তিপণের কিছুই আদায় করে নি। তখন আয়িশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি তোমার মুনিবের কাছে ফিরে যাও। যদি তারা এ শর্তে সন্মতি জ্ঞাপন করে যে, আমি তোমার লিখিত মুক্তিপণের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করলে তোমার ওয়ালা আমার প্রাপ্য হবে, তবে তা আমি করতে পারি। বারীরা তার মুনিবদের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করল। কিন্তু তারা সে প্রস্তাব গ্রাহ্য করল না এবং বলে পাঠাল, যদি তিনি সাওয়াবের আশায় তোমার লিখিত মুক্তিপণ আদায়ের দায়িত্ব নেন তাহলে নিতে পারেন, তবে তোমার ওয়ালা আমাদের জন্যই থাকবে।

এরপর তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বিষয়টি রাসুল (ﷺ) এর কাছে উপস্থাপন করলেন। তখন তিনি তাকে বললেন, তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দিতে পার। কেননা ওয়ালা, মুক্তিদাতার জন্যই নির্ধারিত। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বললেনঃ লোকদের কী হয়েছে তারা এমন কতক শর্তারোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। যে ব্যক্তি এমন শর্তারোপ করবে যা আল্লাহর কিতাবে নেই- সে শর্তের কোন মূল্য নেই যদি ও সে একশো বার শর্তারোপ করে। আল্লাহর শর্তই কেবল যথার্থ ও নির্ভরযোগ্য।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ بَرِيرَةَ جَاءَتْ عَائِشَةَ تَسْتَعِينُهَا فِي كِتَابَتِهَا وَلَمْ تَكُنْ قَضَتْ مِنْ كِتَابَتِهَا شَيْئًا فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ ارْجِعِي إِلَى أَهْلِكِ فَإِنْ أَحَبُّوا أَنْ أَقْضِيَ عَنْكِ كِتَابَتَكِ وَيَكُونَ وَلاَؤُكِ لِي . فَعَلْتُ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ بَرِيرَةُ لأَهْلِهَا فَأَبَوْا وَقَالُوا إِنْ شَاءَتْ أَنْ تَحْتَسِبَ عَلَيْكِ فَلْتَفْعَلْ وَيَكُونَ لَنَا وَلاَؤُكِ . فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ابْتَاعِي فَأَعْتِقِي . فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ " . ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا بَالُ أُنَاسٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَنِ اشْتَرَطَ شَرْطًا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَلَيْسَ لَهُ وَإِنْ شَرَطَ مِائَةَ مَرَّةٍ شَرْطُ اللَّهِ أَحَقُّ وَأَوْثَقُ " .
হাদীস নং: ৩৬৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-৩
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৩৭। আবু তাহির (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনুয যুবাইর (রাহঃ) নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, বারীরা (রাযিঃ) আমার কাছে এল। সে বলল, হে আয়িশা! আমি আমার মুনিবের কাছে মুক্তিপণের চুক্তিতে আব্দ্ধ হয়েছি যে, বছরে এক উকিয়া (চল্লিশ দিরহামে এক উকিয়া) করে নয় বছরে সর্বমোট নয় উকিয়া পরিশোধ করব। এরপর লাঈস (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।

তবে এই বর্ণনায় এতটুকু বেশী আছেঃ তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) বললেন, তাদের এ শর্ত করা তোমাকে “ওয়ালা” প্রাপ্তি হতে বাধা দিবে না। তুমি তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দিতে পার। উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) এই হাদীসে উল্লেখ করেন, তখন রাসুলাল্লাহ (ﷺ) লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে যান এবং আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর মহিমা বর্ণনা করেন।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ بَرِيرَةُ إِلَىَّ فَقَالَتْ يَا عَائِشَةُ إِنِّي كَاتَبْتُ أَهْلِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُوقِيَّةٌ . بِمَعْنَى حَدِيثِ اللَّيْثِ وَزَادَ فَقَالَ " لاَ يَمْنَعُكِ ذَلِكِ مِنْهَا ابْتَاعِي وَأَعْتِقِي " . وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ " .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-৪
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৩৮। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা হামদানী (রাহঃ) ......... আবু উসামা হতে, তিনি হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) হতে, তিনি নিজ পিতা হতে এবং তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদিন বারীরা (রাযিঃ) আমার কাছে এল। এরপর সে বলল, আমার মুনিব আমাকে প্রতি বছর এক উকিয়া করে নয় বছরে নয় উকিয়া (চল্লিশ দিরহামে এক উকিয়া) আদায় করার শর্তে আমাকে মুক্তিদানের চুক্তি করেছে। আপনি আমাকে সাহায্য করুন। আমি [আয়িশা (রাযিঃ)] তাকে বললাম, তোমার মুনিব যদি এই শর্তে রাজী হয় যে, তোমার মুক্তিপণ এক সঙ্গে আদায় করে দিলে তোমার “ওয়ালা” আমার প্রাপ্য হবে তাহলে আমি তোমাকে মুক্তির ব্যাপারে সাহায্য করতে পারি।

তখন বারীরা (রাযিঃ) এই বিষয়টি তার মুনিবের কাছে উত্থাপন করলে তাদের জন্য ’ওয়ালা’ ব্যতিরেকে তারা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। এরপর সে আমার (আয়িশা (রাযিঃ) এর) কাছে এসে তাদের কথা বলল। তিনি বলেন, আমি তাকে ধমক দিয়ে বললাম, তাহলে আল্লাহর কসম! আমি রাজী নই। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিষয়টি শুনলেন এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন। তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। এরপর তিনি বললেন, হে আয়িশা! তুমি তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দাও এবং তাদের জন্য ওয়ালার শর্তে রাবী হয়ে যাও। প্রকৃত পক্ষে ওয়ালা সেই পাবে যে মুক্তি দান করে। আমি (আয়িশা) তাই করলাম।

রাবী বলেন, এরপর সন্ধ্যাবেলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভাষণ দিলেন। তিনি আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা ও তাঁর মহিমা ঘোষণা করলেন। এরপর বললেনঃ লোকের অবস্থা এই পর্যায়ে নেমে গিয়েছে যে, তারা এমন সব শর্তারোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। স্মরণ রাখ, যে শর্ত আল্লাহর কিতাবে নেই তা বাতিল বলে গণ্য, যদিও শতবার শর্তারোপ করা হয়। আল্লাহর কিতাবের শর্তই যথার্থ, আল্লাহর শর্তই নির্ভরযোগ্য। তোমাদের মধ্যে কতক লোকের কি হয়েছে যে, তারা অপরকে বলে অমুককে মুক্ত করে দাও আর ’ওয়ালা’ গ্রহণ করব আমরা? অথচ “ওয়ালা” তো তারই যে আযাদ করে।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ، بْنُ عُرْوَةَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَتْ عَلَىَّ بَرِيرَةُ فَقَالَتْ إِنَّ أَهْلِي كَاتَبُونِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ فِي تِسْعِ سِنِينَ فِي كُلِّ سَنَةٍ أُوقِيَّةٌ . فَأَعِينِينِي . فَقُلْتُ لَهَا إِنْ شَاءَ أَهْلُكِ أَنْ أَعُدَّهَا لَهُمْ عَدَّةً وَاحِدَةً وَأُعْتِقَكِ وَيَكُونَ الْوَلاَءُ لِي فَعَلْتُ . فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لأَهْلِهَا فَأَبَوْا إِلاَّ أَنْ يَكُونَ الْوَلاَءُ لَهُمْ فَأَتَتْنِي فَذَكَرَتْ ذَلِكَ قَالَتْ فَانْتَهَرْتُهَا فَقَالَتْ لاَهَا اللَّهِ إِذَا قَالَتْ . فَسَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَنِي فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ " اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا وَاشْتَرِطِي لَهُمُ الْوَلاَءَ فَإِنَّ الْوَلاَءَ لِمَنْ أَعْتَقَ " . فَفَعَلْتُ - قَالَتْ - ثُمَّ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشِيَّةً فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَمَا بَالُ أَقْوَامٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ كِتَابُ اللَّهِ أَحَقُّ وَشَرْطُ اللَّهِ أَوْثَقُ مَا بَالُ رِجَالٍ مِنْكُمْ يَقُولُ أَحَدُهُمْ أَعْتِقْ فُلاَنًا وَالْوَلاَءُ لِي إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ " .
হাদীস নং: ৩৬৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-৫
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৩৯। আবু বকর ইবনে শায়বা, আবু কুরায়ব ইবনে নুমাইর হতে, আবু কুরায়ব ওয়াকী (রাহঃ) হতে, যুহাইর ইবনে হারব ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) জারীর হতে, আর তারা সকলে হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) হতে আবু উসামা ......... হিশাম বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ একই সনদে বর্ণনা করেছেন।

তবে জারীর বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছেঃ তিনি বলেন, তার (বারীরার) স্বামী ছিল দাস। সে কারণে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইখতিয়ার দান করেছিলেন। (যখন সে মুক্ত হবে তখন দাস স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বহাল রাখতে কিংবা তা নাকচ করে দিতে পারবে- এই ইখতিয়ার তাকে দেওয়া হয়েছিল)। সে নিজকেই বেছে নিল (দাস স্বামীকে পছন্দ করল না)। যদি সে স্বাধীন হত তাহলে তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) তাকে (বারীরাকে) ইখতিয়ার প্রদান করতেন না। আর তাদের বর্ণিত হাদীসে أَمَّا بَعْدُ (অতঃপর) শব্দটির উল্লেখ নেই।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ جَرِيرٍ قَالَ وَكَانَ زَوْجُهَا عَبْدًا فَخَيَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا وَلَوْ كَانَ حُرًّا لَمْ يُخَيِّرْهَا . وَلَيْسَ فِي حَدِيثِهِمْ " أَمَّا بَعْدُ " .
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৬৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-৬
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৪০। যুহাইর ইবনে হারব ও মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরার কল্যাণে তিনটি শরী’আতী বিধান লাভ হয়েছিলঃ

১. তার মুনিবেরা তাকে বিক্রি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল এবং তার ‘ওয়ালার’র উপর তাদের অধিকার লাভের শর্তারোপ করেছিল। আমি নবী (ﷺ) এর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলাম। তিনি আমাকে বললেন, তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দাও। কেননা ‘ওয়ালা’ তারই প্রাপ্য যে আযাদ করে।

২. যখন তাকে (বারীরাকে) মুক্ত করে দেওয়া হল তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে (তার দাস স্বামীকে রাখা, না রাখার) ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। এরপর সে নিজেকে বেছে নিল। (তার দাস স্বামীকে প্রত্যাখ্যান করল)।

৩. তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] বলেন, লোকেরা বারীরাকে সাদ্‌কা-খয়রাত করত এবং সে তা (সাদ্‌কাকৃত জিনিস) থেকে আমাদের কাছে হাদিয়া পাঠাত। আমি নবী (ﷺ) এর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলাম। তিনি বললেন, “তা তার জন্য সাদ্‌কা এবং তোমাদের জন্য হাদিয়া। সুতরাং তোমরা তা খেতে পার।”
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلاَثُ قَضِيَّاتٍ أَرَادَ أَهْلُهَا أَنْ يَبِيعُوهَا وَيَشْتَرِطُوا وَلاَءَهَا فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا فَإِنَّ الْوَلاَءَ لِمَنْ أَعْتَقَ " . قَالَتْ وَعَتَقَتْ فَخَيَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا . قَالَتْ وَكَانَ النَّاسُ يَتَصَدَّقُونَ عَلَيْهَا وَتُهْدِي لَنَا . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَهُوَ لَكُمْ هَدِيَّةٌ فَكُلُوهُ " .
হাদীস নং: ৩৬৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-৭
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৪১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কতিপয় আনসার মুনিবের কাছ থেকে বারীরাকে খরিদ করলেন। তবে তারা (সে সময়) ‘ওয়ালা’র শর্তারোপ করেছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ‘ওয়ালা’ তারই প্রাপ্য যে অনুগ্রহ প্রদর্শন করে (মুক্তিদাতা)। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। তার স্বামী ছিল ক্রীতদাস। একবার সে আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে কিছু পরিমাণ গোশত হাদিয়া পাঠাল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা যদি এই গোশত থেকে আমার জন্য কিছুটা রান্না করে আনতে......। তখন আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, এতো বারীরা সাদ্‌কা হিসেবে পেয়েছে (আর আপনার জন্য সাদ্‌কা হারাম)। তিনি বললেন, তা তার জন্য সাদ্‌কা এবং আমাদের জন্য হাদিয়া।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، . أَنَّهَا اشْتَرَتْ بَرِيرَةَ مِنْ أُنَاسٍ مِنَ الأَنْصَارِ . وَاشْتَرَطُوا الْوَلاَءَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْوَلاَءُ لِمَنْ وَلِيَ النِّعْمَةَ " . وَخَيَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ زَوْجُهَا عَبْدًا وَأَهْدَتْ لِعَائِشَةَ لَحْمًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ صَنَعْتُمْ لَنَا مِنْ هَذَا اللَّحْمِ " . قَالَتْ عَائِشَةُ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ . فَقَالَ " هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ وَلَنَا هَدِيَّةٌ " .
হাদীস নং: ৩৬৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-৯
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৪২। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি মুক্ত করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বারীরাকে খরিদ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। কিন্তু তারা (বারীরার মুনিবেরা) তার “ওয়ালার” অধিকার লাভের শর্তারোপ করে বসল। তখন তিনি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে উত্থাপন করলেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দাও। আসলে “ওযালা” সেই পাবে যে মুক্তিদান করে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য কিছু গোশত হাদিয়া রূপে পেশ করা হল। তখন তারা নবী (ﷺ) কে বললেন, এই গোশত বারীরাকে সাদ্‌কা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তিনি বললেন, এতো তার জন্য সাদ্‌কা এবং আমাদের জন্য হাদিয়া। তাকে (বারীরাকে) এ অবস্থায় ইখতিয়ার দেওয়া হল যে, তার স্বামী ছিল স্বাধীন। শু’বা (রাহঃ) বলেন, আমি পুনরায় তাকে (আব্দুর রহমানকে) তার (বারীরার) স্বামী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আমি জানি না।


৩৬৪২/১। আহমদ ইবনে উসমান নাওফালী (রাহঃ) ......... শুবা (রাহঃ) এর সূত্রে এই সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ، الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ، يُحَدِّثُ عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ، بَرِيرَةَ لِلْعِتْقِ فَاشْتَرَطُوا وَلاَءَهَا فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا فَإِنَّ الْوَلاَءَ لِمَنْ أَعْتَقَ " . وَأُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَحْمٌ فَقَالُوا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ . فَقَالَ " هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ وَهُوَ لَنَا هَدِيَّةٌ " . وَخُيِّرَتْ . فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَكَانَ زَوْجُهَا حُرًّا . قَالَ شُعْبَةُ ثُمَّ سَأَلْتُهُ عَنْ زَوْجِهَا فَقَالَ لاَ أَدْرِي .
وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
হাদীস নং: ৩৬৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-১০
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৪৩। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, বারীরার স্বামী ছিল দাস।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي هِشَامٍ، قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ، وَأَبُو هِشَامٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ زَوْجُ بَرِيرَةَ عَبْدًا .
হাদীস নং: ৩৬৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৪-১১
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৪৪। আবু তাহির (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী অয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরার ঘটনায় তিনটি বিধান জারী হয়েছে

১. যখন সে মুক্তি লাভ করেছিল তখন স্বামীর (বৈবাহিক সূত্র বহাল রাখা, না রাখার) ব্যাপারে তাকে ইখতিয়ার প্রদান করা হয়েছিল।

২. তাকে গোশত সাদ্‌কা করা হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার (আয়িশার) কাছে এলেন। তখন গোশতের হাড়ি উনুনের উপর টগবগ করছিল। তিনি খাবার চাইলেন। তখন তাঁর সামনে রুটি এবং ঘর থেকে তরকারী পরিবেশন করা হল। তিনি বললেন, আমি কি লক্ষ্য করি নি যে, উনুনের উপর হ্যাঁড়ি আছে যার মধ্যে গোশত রয়েছে। তারা বললেনঃ জি হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ওটা তো এমন গোশত যা বারীরাকে সাদ্‌কা করা হয়েছে। আমরা তা থেকে আপনাকে খাওয়ানো পছন্দ করি না। তখন তিনি বললেন, এতে তার জন্য সাদ্‌কা এবং তার পক্ষ থেকে তা আমাদের জন্য হাদিয়া।

৩. নবী (ﷺ) তার (বারীরার) মুক্তির ব্যাপারে বললেন, ″ওয়ালা″ তারই প্রাপ্য যে আযাদ করে।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي، عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلاَثُ سُنَنٍ خُيِّرَتْ عَلَى زَوْجِهَا حِينَ عَتَقَتْ وَأُهْدِيَ لَهَا لَحْمٌ فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْبُرْمَةُ عَلَى النَّارِ فَدَعَا بِطَعَامٍ فَأُتِيَ بِخُبْزٍ وَأُدُمٍ مِنْ أُدُمِ الْبَيْتِ فَقَالَ " أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً عَلَى النَّارِ فِيهَا لَحْمٌ " . فَقَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ فَكَرِهْنَا أَنْ نُطْعِمَكَ مِنْهُ . فَقَالَ " هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَهُوَ مِنْهَا لَنَا هَدِيَّةٌ " . وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيهَا " إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ " .
হাদীস নং: ৩৬৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৫
১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৪৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আয়িশা (রাযিঃ) একটি দাসী খরিদ করে মুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তার মুনিবেরা তাদের জন্য তার ব্যতিরেকে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। তবে“ওয়ালা” তাদের থাকলে ভিন্ন কথা। তিনি এই বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে উত্থাপন করলেন। তখন তিনি বললেন, তুমি তাকে খরিদ করে মুক্তি দিয়ে দাও। তা (মুক্তি দেওয়া) তোমাকে “ওয়ালা” থেকে বাধাপ্রাপ্ত করবে না। কেননা ″ওয়ালা″ তারই প্রাপ্য যে মুক্তিদান করে।
باب إِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، حَدَّثَنِي سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أَرَادَتْ عَائِشَةُ أَنْ تَشْتَرِيَ، جَارِيَةً تُعْتِقُهَا فَأَبَى أَهْلُهَا إِلاَّ أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْوَلاَءُ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لاَ يَمْنَعُكِ ذَلِكِ فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ " .