আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
২০- লি'আনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৩৬০৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯২-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬০৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) মালিক থেকে, তিনি ইবনে শিহাব থেকে তিনি সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, উয়ায়মির আজলানী (রাযিঃ) আসিম ইবনে আদী আনসারী (রাযিঃ)-এর কাছে এসে তাকে বললেন, হে আসিম! যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন পুরুষকে (সঙ্গম করতে) পায়; তবে তোমার অভিমত কি? সে কি তাকে হত্যা করবে? আর তখন তো তোমরা তাকে (কিসাসের বিনিময়ে) হত্যা করবে। যদি তা না হয় তবে সে কী করবে? হে আসিম! তুমি আমার জন্য এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা কর। তখন আসিম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই রকম প্রশ্ন করা অপছন্দ করলেন এবং এটি দুষনীয় মনে করলেন।
ফলে আসিম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট থেকে যা শুনলেন এতে বড়ই দুঃখিত হলেন। যখন আসিম ফিরে এলেন, তখন উয়ায়মির তার কাছে এসে বললেন, হে আসিম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে কী বলেছেন? আসিম উয়ায়মিরকে বললেন, তুমি আমার কাছে ভাল কাজ নিয়ে আস নি। তুমি যে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে বলেছ তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুবই অপছন্দ করেছেন। উয়ায়মির (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হব না। তখন উয়ায়মির গেলেন এবং লোক সমাবেশে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে তাকে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে (সঙ্গম করতে) দেখতে পায় তাহলে সে কি তাকে কতল করে ফেলবে? এরপর তো (কিসাস হিসাবে) আপনারা তাকে কতল করে ফেলবেন। অথবা সে কী করবে?
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে (আল্লাহর) হুকুম নাযিল হয়েছে। তুমি যাও, তোমার স্ত্রীকে নিয়ে এসো। সাহল বললেন, এরপর তারা উভয় (স্বামী -স্ত্রী) লিআন করলেন। আর আমিও তখন লোকজনদের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। যখন তারা লিআন সমাধা করলেন তখন উয়ায়মির বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমি তাকে আমার স্ত্রীত্বে বহাল রাখি তাহলে তো আমি তার উপর মিথ্যারোপকারী সাব্যস্ত হবো। একথা বলেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে নির্দেশ দেওয়ার আগেই। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, তখন থেকে লিআনকারীদের জন্য এটাই সুন্নত হিসেবে সাব্যস্ত হল।
ফলে আসিম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট থেকে যা শুনলেন এতে বড়ই দুঃখিত হলেন। যখন আসিম ফিরে এলেন, তখন উয়ায়মির তার কাছে এসে বললেন, হে আসিম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে কী বলেছেন? আসিম উয়ায়মিরকে বললেন, তুমি আমার কাছে ভাল কাজ নিয়ে আস নি। তুমি যে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে বলেছ তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুবই অপছন্দ করেছেন। উয়ায়মির (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা না করে ক্ষান্ত হব না। তখন উয়ায়মির গেলেন এবং লোক সমাবেশে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে তাকে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে (সঙ্গম করতে) দেখতে পায় তাহলে সে কি তাকে কতল করে ফেলবে? এরপর তো (কিসাস হিসাবে) আপনারা তাকে কতল করে ফেলবেন। অথবা সে কী করবে?
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে (আল্লাহর) হুকুম নাযিল হয়েছে। তুমি যাও, তোমার স্ত্রীকে নিয়ে এসো। সাহল বললেন, এরপর তারা উভয় (স্বামী -স্ত্রী) লিআন করলেন। আর আমিও তখন লোকজনদের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। যখন তারা লিআন সমাধা করলেন তখন উয়ায়মির বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমি তাকে আমার স্ত্রীত্বে বহাল রাখি তাহলে তো আমি তার উপর মিথ্যারোপকারী সাব্যস্ত হবো। একথা বলেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে নির্দেশ দেওয়ার আগেই। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, তখন থেকে লিআনকারীদের জন্য এটাই সুন্নত হিসেবে সাব্যস্ত হল।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ، السَّاعِدِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُوَيْمِرًا الْعَجْلاَنِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ الأَنْصَارِيِّ فَقَالَ لَهُ أَرَأَيْتَ يَا عَاصِمُ لَوْ أَنَّ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَسَلْ لِي عَنْ ذَلِكَ يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَسَأَلَ عَاصِمٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا حَتَّى كَبُرَ عَلَى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلَى أَهْلِهِ جَاءَهُ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ يَا عَاصِمُ مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ عَاصِمٌ لِعُوَيْمِرٍ لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ قَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتُهُ عَنْهَا . قَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللَّهِ لاَ أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَهُ عَنْهَا . فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَطَ النَّاسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ نَزَلَ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا " . قَالَ سَهْلٌ فَتَلاَعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا فَرَغَا قَالَ عُوَيْمِرٌ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا . فَطَلَّقَهَا ثَلاَثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانَتْ سُنَّةَ الْمُتَلاَعِنَيْنِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯২-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬০৬। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আজলান গোত্রের উয়ায়মির আনাসারী আসিম ইবনে আদীর কাছে এলেন ...... পরবর্তী অংশ মালিক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তিনি তার হাদীসে একথাও বলেছেন, ““উয়ায়ামির তার স্ত্রীকে পৃথক করে দেওয়াতে পরবর্তীতে লিআনকারীদ্বয়ের জন্য তা সুন্নত রূপে পরিগণিত হল।” তিনি তার বর্ণনায় আরও উল্লেখ করেছেন, “সাহল বলেছেন- সে মহিলাটি ছিল গর্তবতী। সে গর্ভজাত সন্তানটি পরবর্তীতে তারই পুত্র হিসেবে গণ্য হয়।” এরপর এই বিধান প্রবর্তিত হল যে, সে তার মায়ের উত্তরাধিকারী হবে এবং তার মা আল্লাহর নির্ধারিত হিস্যা হিসেবে তার থেকে মিরাসের অধিকারী হবে।
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ الأَنْصَارِيُّ، أَنَّ عُوَيْمِرًا الأَنْصَارِيَّ، مِنْ بَنِي الْعَجْلاَنِ أَتَى عَاصِمَ بْنَ عَدِيٍّ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَأَدْرَجَ فِي الْحَدِيثِ قَوْلَهُ وَكَانَ فِرَاقُهُ إِيَّاهَا بَعْدُ سُنَّةً فِي الْمُتَلاَعِنَيْنِ . وَزَادَ فِيهِ قَالَ سَهْلٌ فَكَانَتْ حَامِلاً فَكَانَ ابْنُهَا يُدْعَى إِلَى أُمِّهِ . ثُمَّ جَرَتِ السُّنَّةُ أَنَّهُ يَرِثُهَا وَتَرِثُ مِنْهُ مَا فَرَضَ اللَّهُ لَهَا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯২-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬০৭। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে ইবনে শিহাব (রাহঃ) বনু সাঈদা গোত্রের সাহল ইবনে সা’দ বর্ণিত দুই লিআনকারী ও তার বিধান সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তিনি (সাহল) বলেন, জনৈক আনসারী নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন এবং বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি কোন লোক তার স্ত্রীর সঙ্গে (সঙ্গম করতে) অন্য কোন পুরুষকে দেখতে পায় তাহলে সে সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? এরপর পুরো ঘটনাসহ হাদীস বর্ণনা করেন। এতে অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, উভয়ে (সামী-স্ত্রী) মসজিদের ভেতরে লিআন করলেন আর আমি উপস্থিত ছিলাম। আর তিনি এ হাদীসে বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে কোন নির্দেশ দেওয়ার পূর্বেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে নবী (ﷺ) এর সম্মুখেই তাকে পৃথক করে দেন। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ এটাই উভয় লিআনকারীর মধ্যকার বিচ্ছেদ।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنِ الْمُتَلاَعِنَيْنِ، وَعَنِ السُّنَّةِ، فِيهِمَا عَنْ حَدِيثِ، سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَخِي بَنِي سَاعِدَةَ أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً وَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ . وَزَادَ فِيهِ فَتَلاَعَنَا فِي الْمَسْجِدِ وَأَنَا شَاهِدٌ . وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَطَلَّقَهَا ثَلاَثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَفَارَقَهَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " ذَاكُمُ التَّفْرِيقُ بَيْنَ كُلِّ مُتَلاَعِنَيْنِ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৩-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬০৮। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুসআবের স্ত্রীর ব্যাপারে আমাকে দুই লিআনকারীর মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তাদের বিচ্ছিন্ন করা হবে কি না। তিনি বলেন, তখন আমি কী বলব তা আমার ভাষা ছিল না এরপর আমি মক্কায় ইবনে উমর (রাযিঃ) এর বাসভবনে গেলাম। আমি তার গোলামকে বললাম, আমার জন্য অনুমতি নিয়ে এসো। সে বলল, তিনি এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি আমার কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন। তিনি বললেন, ইবনে জুবাইর? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ভিতরে এসো। আল্লাহর কসম! এই সময় তোমার বিশেষ প্রয়োজনই নিয়ে এসেছে।
আমি ভিতরে গিয়ে দেখতে পেলাম তিনি একটি কম্বল বিছিয়ে একটি বালিশের উপর হেলান দিয়ে আছেন। বালিশটি খেজুর ছোবড়ায় ভর্তি ছিলো। আমি বললাম, হে আবু আব্দুর রহমান! দু’জন লি আনকারী এদের কি পৃথক করা হবে? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! হ্যাঁ। সর্বপ্রথম এই বিষয়ে অমুকের পুত্র অমুক জিজ্ঞাসা করেছিল। সে বলেছিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কী বলেন, যদি আমাদের মধ্যে কেউ তার স্ত্রীকে অশ্লীল কাজে লিপ্ত দেখতে পায় তাহলে সে কী করবে? যদি সে বলাবলি করে তাহলে তো গুরুতর আকার ধারণ করবে। যদি সে নীরব থাকে, তাহলে এমন সাংঘাতিক বিষয়ে কি করে নীরব থাকবে?
তিনি বলেন, তখন নবী (ﷺ) চুপ রইলেন; কোন উত্তর দিলেন না। সে ব্যক্তি আবার তার কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যে বিষয়টি সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার নিজের উপরই তা ঘটেছে। তখন আল্লাহ সূরা নূরের এই আয়াত গুলো নাযিল করেনঃ ″আর যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ তারা নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্যের ধরন হরে এই যে, সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে বলবে, সে অবশ্যি সত্যবাদী এবং পঞ্চমবার বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হবে। আর স্ত্রীর শাস্তি রহিত করা হবে যদি সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যাবাদী এবং পঞ্চমবারে বলবে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব″ (সূরা নূরঃ ৬-৯)।
তিনি তাকে এই আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে শোনালেন। এরপর তাকে নসীহত করলেন এবং স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজতর। সে বলল, না। সেই মহান সত্তার কসম যিনি আপনাকে নবী হিসেবে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আমি তার (আমার স্ত্রীর) উপর কোন মিথ্যা আরোপ করি নি। এরপর তিনি মহিলাকে ডেকে পাঠালেন এবং এবং তাকে নসীহাত করলেন, তাকে পরকালের ভয় দেখালেন, সর্বোপরি তাকে জানিয়ে দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজতর। সে বলল, না সেই মহান সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, নিশ্চয়ই সে মিথ্যাবাদী।
এরপর তিনি পুরুষ লোকটির দ্বারা লিআন বাক্য পাঠ করাতে শুরু করলেন। তখন সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দিল যে, সে তার কথায় সত্যবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে মিথ্যবাদী হয় তা হলে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসুক। এরপর তিনি (নবী (ﷺ) স্ত্রীলোকটিকে ডেকে পাঠালেন। সেও আল্লাহর নামে কসম করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে (তার স্বামী) সত্যবাদী হয় তাহলে তার (মহিলার) উপর আল্লাহর গযব পতিত হোক। তখন নবী (ﷺ) তাদের উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন।
আমি ভিতরে গিয়ে দেখতে পেলাম তিনি একটি কম্বল বিছিয়ে একটি বালিশের উপর হেলান দিয়ে আছেন। বালিশটি খেজুর ছোবড়ায় ভর্তি ছিলো। আমি বললাম, হে আবু আব্দুর রহমান! দু’জন লি আনকারী এদের কি পৃথক করা হবে? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! হ্যাঁ। সর্বপ্রথম এই বিষয়ে অমুকের পুত্র অমুক জিজ্ঞাসা করেছিল। সে বলেছিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কী বলেন, যদি আমাদের মধ্যে কেউ তার স্ত্রীকে অশ্লীল কাজে লিপ্ত দেখতে পায় তাহলে সে কী করবে? যদি সে বলাবলি করে তাহলে তো গুরুতর আকার ধারণ করবে। যদি সে নীরব থাকে, তাহলে এমন সাংঘাতিক বিষয়ে কি করে নীরব থাকবে?
তিনি বলেন, তখন নবী (ﷺ) চুপ রইলেন; কোন উত্তর দিলেন না। সে ব্যক্তি আবার তার কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যে বিষয়টি সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার নিজের উপরই তা ঘটেছে। তখন আল্লাহ সূরা নূরের এই আয়াত গুলো নাযিল করেনঃ ″আর যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ তারা নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্যের ধরন হরে এই যে, সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে বলবে, সে অবশ্যি সত্যবাদী এবং পঞ্চমবার বলবে, সে মিথ্যাবাদী হলে তার উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হবে। আর স্ত্রীর শাস্তি রহিত করা হবে যদি সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামীই মিথ্যাবাদী এবং পঞ্চমবারে বলবে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব″ (সূরা নূরঃ ৬-৯)।
তিনি তাকে এই আয়াতগুলো তিলাওয়াত করে শোনালেন। এরপর তাকে নসীহত করলেন এবং স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজতর। সে বলল, না। সেই মহান সত্তার কসম যিনি আপনাকে নবী হিসেবে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আমি তার (আমার স্ত্রীর) উপর কোন মিথ্যা আরোপ করি নি। এরপর তিনি মহিলাকে ডেকে পাঠালেন এবং এবং তাকে নসীহাত করলেন, তাকে পরকালের ভয় দেখালেন, সর্বোপরি তাকে জানিয়ে দিলেন যে, দুনিয়ার শাস্তি আখিরাতের শাস্তির তুলনায় সহজতর। সে বলল, না সেই মহান সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, নিশ্চয়ই সে মিথ্যাবাদী।
এরপর তিনি পুরুষ লোকটির দ্বারা লিআন বাক্য পাঠ করাতে শুরু করলেন। তখন সে চারবার আল্লাহর নামে কসম করে সাক্ষ্য দিল যে, সে তার কথায় সত্যবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে মিথ্যবাদী হয় তা হলে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসুক। এরপর তিনি (নবী (ﷺ) স্ত্রীলোকটিকে ডেকে পাঠালেন। সেও আল্লাহর নামে কসম করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবারে সে বলল, যদি সে (তার স্বামী) সত্যবাদী হয় তাহলে তার (মহিলার) উপর আল্লাহর গযব পতিত হোক। তখন নবী (ﷺ) তাদের উভয়কে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ، جُبَيْرٍ قَالَ سُئِلْتُ عَنِ الْمُتَلاَعِنَيْنِ، فِي إِمْرَةِ مُصْعَبٍ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا قَالَ فَمَا دَرَيْتُ مَا أَقُولُ فَمَضَيْتُ إِلَى مَنْزِلِ ابْنِ عُمَرَ بِمَكَّةَ فَقُلْتُ لِلْغُلاَمِ اسْتَأْذِنْ لِي . قَالَ إِنَّهُ قَائِلٌ فَسَمِعَ صَوْتِي . قَالَ ابْنُ جُبَيْرٍ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ ادْخُلْ فَوَاللَّهِ مَا جَاءَ بِكَ هَذِهِ السَّاعَةَ إِلاَّ حَاجَةٌ فَدَخَلْتُ فَإِذَا هُوَ مُفْتَرِشٌ بَرْذَعَةً مُتَوَسِّدٌ وِسَادَةً حَشْوُهَا لِيفٌ قُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُتَلاَعِنَانِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ نَعَمْ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ سَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فُلاَنُ بْنُ فُلاَنٍ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ أَنْ لَوْ وَجَدَ أَحَدُنَا امْرَأَتَهُ عَلَى فَاحِشَةٍ كَيْفَ يَصْنَعُ إِنْ تَكَلَّمَ تَكَلَّمَ بِأَمْرٍ عَظِيمٍ . وَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى مِثْلِ ذَلِكَ قَالَ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُجِبْهُ فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَتَاهُ فَقَالَ إِنَّ الَّذِي سَأَلْتُكَ عَنْهُ قَدِ ابْتُلِيتُ بِهِ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَؤُلاَءِ الآيَاتِ فِي سُورَةِ النُّورِ ( وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ) فَتَلاَهُنَّ عَلَيْهِ وَوَعَظَهُ وَذَكَّرَهُ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ قَالَ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا كَذَبْتُ عَلَيْهَا . ثُمَّ دَعَاهَا فَوَعَظَهَا وَذَكَّرَهَا وَأَخْبَرَهَا أَنَّ عَذَابَ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ عَذَابِ الآخِرَةِ . قَالَتْ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنَّهُ لَكَاذِبٌ فَبَدَأَ بِالرَّجُلِ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ وَالْخَامِسَةُ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ ثُمَّ ثَنَّى بِالْمَرْأَةِ فَشَهِدَتْ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ وَالْخَامِسَةُ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ثُمَّ فَرَّقَ بَيْنَهُمَا.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬০৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৩-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬০৯। আলী ইবনে হুজর সা’দী (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) বললেন, মুসআব ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর শাসনামলে দুই লিআনকারী সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না কি উত্তর দেব। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এর কাছে এসে বললাম, দুই লিআনকারী সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তাদের মধ্যে কি বিচ্ছিন্ন সাধন করা হবে? এরপর তিনি ইবনে নুমাইর (রাহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
وَحَدَّثَنِيهِ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ، أَبِي سُلَيْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، قَالَ سُئِلْتُ عَنِ الْمُتَلاَعِنَيْنِ، زَمَنَ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَلَمْ أَدْرِ مَا أَقُولُ فَأَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَقُلْتُ أَرَأَيْتَ الْمُتَلاَعِنَيْنِ أَيُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا ثُمَّ ذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬১০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৩-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১০। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, আবু বকর ইবনে শায়বা ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ লিআনকারীদ্বয়ের (লিআন বাক্য পাঠের ব্যাপারে) হিসাব আল্লাহর দায়িত্ব। তোমাদের দু’জনের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী তার (তোমার স্ত্রীর) উপর তোমার কোন অধিকার নেই। লোকটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মালের (প্রদত্ত মোহর) কি হবে? তিনি বললেন, তুমি তোমার মাল পাবে না। যদি তুমি তার ব্যাপারে সত্যবাদী হও তাহলে তোমার দেওয়া সস্পদ ঐ বস্তুর বিনিময়ে বলে গণ্য হবে যা দ্বারা তুমি তার লজ্জাস্থান হালাল করেছ। আর যদি তুমি তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাক তাহলে তার থেকে মাল ফেরত পাওয়া তো আরো দুরের কথা।
যুহাইর (রাহঃ) তার বর্ণনায় বলেছেন যে, সুফিয়ান (রাহঃ) সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) এর সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বলতে শুনেছেন।
যুহাইর (রাহঃ) তার বর্ণনায় বলেছেন যে, সুফিয়ান (রাহঃ) সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) এর সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বলতে শুনেছেন।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ، جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْمُتَلاَعِنَيْنِ " حِسَابُكُمَا عَلَى اللَّهِ أَحَدُكُمَا كَاذِبٌ لاَ سَبِيلَ لَكَ عَلَيْهَا " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَالِي قَالَ " لاَ مَالَ لَكَ إِنْ كُنْتَ صَدَقْتَ عَلَيْهَا فَهْوَ بِمَا اسْتَحْلَلْتَ مِنْ فَرْجِهَا وَإِنْ كُنْتَ كَذَبْتَ عَلَيْهَا فَذَاكَ أَبْعَدُ لَكَ مِنْهَا " . قَالَ زُهَيْرٌ فِي رِوَايَتِهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৩-৫
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১১। আবুর রাবী যাহরানী (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী আজলান গোত্রের দুই জনকে (স্বামী-স্ত্রী) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ ভাল ভাবেই জালেন যে, নিশ্চয়ই তোমাদের দু’জনের একজন মিথ্যাবাদী। এরপর তোমাদের কেউ কি তাওবার জন্য প্রস্তুত আছ?
৩৬১১/১। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) বলেন যে, আমি লিআন সম্পর্কে ইবনে উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করলেন।
৩৬১১/১। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) বলেন যে, আমি লিআন সম্পর্কে ইবনে উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করলেন।
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ فَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَخَوَىْ بَنِي الْعَجْلاَنِ وَقَالَ " اللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا تَائِبٌ " .
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنِ اللِّعَانِ، . فَذَكَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنِ اللِّعَانِ، . فَذَكَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৩-৬
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১২। আবু গাসনান মিসমাঈ, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুস’আব (ইবনে যুবাইর) (রাযিঃ) তার শাসনামলে লিআনকারীদের বিচ্ছিন্ন করেন নি। সাঈদ বলেন, এরপর বিষয়টি আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) এর কাছে উত্থাপন করলাম। তখন তিনি বললেন, নবী (ﷺ) বনু আজলান গোত্রের দু’জনকে (স্বামী-স্ত্রীকে) বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন।
وَحَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَاللَّفْظُ لِلْمِسْمَعِيِّ وَابْنِ الْمُثَنَّى - قَالُوا حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ - قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ لَمْ يُفَرِّقِ الْمُصْعَبُ بَيْنَ الْمُتَلاَعِنَيْنِ . قَالَ سَعِيدٌ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ . فَقَالَ فَرَّقَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَخَوَىْ بَنِي الْعَجْلاَنِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৪-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১৩। সাঈদ ইবনে মনসুর, কুতায়বা ইবনে সাঈদ ও ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... এস্থলে হাদীসটি ইয়াহয়ার বর্ণনা অনুসারে উদ্ধৃত হল। তিনি বলেন, আমি মালিককে জিজ্ঞাসা করলাম, নাফি’ কি আপনার কাছে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে করেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় তার স্ত্রীর উপর লিআন করেছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের দু’জনকে পৃথক করে দেন এবং সন্তানের বংশ পরিচয় তার মায়ের সাথে যুক্ত করেন। তিনি (মালিক) বলেন, হ্যাঁ।
وَحَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ يَحْيَى - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ قُلْتُ لِمَالِكٍ حَدَّثَكَ نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَجُلاً، لاَعَنَ امْرَأَتَهُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَفَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَهُمَا وَأَلْحَقَ الْوَلَدَ بِأُمِّهِ قَالَ نَعَمْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৪-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একজন আনসারী পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে লিআন করান এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেন।
৩৬১৪/১। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন।
৩৬১৪/১। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও উবাইদুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ لاَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَامْرَأَتِهِ وَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا .
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৫-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১৫। যুহাইর ইবনে হারব, উসমান ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি একবার জুমআর রাতে মসজিদে ছিলাম। তখন জনৈক আনসারী সেখানে উপস্থিত হল। সে বলল, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে দেখতে পায়, সে যদি এ নিয়ে কথা বলে, তাহলে আপনারা তো তাকে কোড়া লাগাবেন? অথবা সে যদি তাকে হত্যা করে ফেলে তাহলে তো আপনারা তাকে কতল করবেন। যদি সে নীরব থাকে তাহলে তো তাকে সংঘাতিক গোস্যাসহ নীরব থাকতে হবে। আল্লাহর কসম! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবই।
পরদিন সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে সে প্রশ্ন করল। সে বলল, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে (সঙ্গম করতে) দেখতে পায় এবং সেই এ নিয়ে কথা বলে তাহলে আপনারা তাকে কোড়া লাগাবেন।যদি তাকে হত্যা করে ফেলে তাহলে তো আপনারা তাকে হত্যা করে ফেলবেন। আর যদি নীরব থাকে তবে তো তাকে ক্রোধ নিয়ে নীরব থাকতে হবে। (সুতরাং তার উপায় কি?) তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! তুমি এর ফয়সালা দাও এবং তিনি দুআ করতে লাগলেন। অনন্তর লিআনের আয়াত অবতীর্ণ হলঃ
″আর যারা তাদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেয় অথচ তারা নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই″ ......... এই আয়াতগুলো। (সূরা নূরঃ ৬-৯)।
এরপর সে ব্যক্তি লোকজনের সামনে লিআনের পরীক্ষার সম্মুখীন হল। তারপর সে তার স্ত্রীসহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এল এবং তারা উভয়ে লিআন করল। লোকটি আল্লাহর নামে কসম করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে সত্যবাদী। এরপর পঞ্চমবারে বলল, সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তাহলে তার উপরে আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক। এরপর মহিলাটি লিআনের জন্য অগ্রসর হল। নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ থাম (যদি তোমার স্বামীর উক্তি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তুমি তা স্বীকার করে নাও)। কিন্তু সে অস্বীকার করল এবং লিআন করে ফেলল। যখন তারা দু’জন ফিরে চলল তখন তিনি (নবী (ﷺ)) বললেন, সম্ভবত এই মহিলা কালোকায় কুঞ্চিত কেশধারী সন্তান প্রসব করবে। অবশেষে তার গর্ভে একটি কালোকায় কুঞ্চিত কেশধারী সন্তানই জন্ম দিয়েছিল।
৩৬১৫/১। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আমাশ (রাহঃ) থেকে এই একই সনদে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
পরদিন সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে সে প্রশ্ন করল। সে বলল, যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোন পুরুষকে (সঙ্গম করতে) দেখতে পায় এবং সেই এ নিয়ে কথা বলে তাহলে আপনারা তাকে কোড়া লাগাবেন।যদি তাকে হত্যা করে ফেলে তাহলে তো আপনারা তাকে হত্যা করে ফেলবেন। আর যদি নীরব থাকে তবে তো তাকে ক্রোধ নিয়ে নীরব থাকতে হবে। (সুতরাং তার উপায় কি?) তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! তুমি এর ফয়সালা দাও এবং তিনি দুআ করতে লাগলেন। অনন্তর লিআনের আয়াত অবতীর্ণ হলঃ
″আর যারা তাদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেয় অথচ তারা নিজেরা ব্যতীত তাদের কোন সাক্ষী নেই″ ......... এই আয়াতগুলো। (সূরা নূরঃ ৬-৯)।
এরপর সে ব্যক্তি লোকজনের সামনে লিআনের পরীক্ষার সম্মুখীন হল। তারপর সে তার স্ত্রীসহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এল এবং তারা উভয়ে লিআন করল। লোকটি আল্লাহর নামে কসম করে চারবার সাক্ষ্য দিল যে, সে সত্যবাদী। এরপর পঞ্চমবারে বলল, সে যদি মিথ্যাবাদী হয় তাহলে তার উপরে আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক। এরপর মহিলাটি লিআনের জন্য অগ্রসর হল। নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ থাম (যদি তোমার স্বামীর উক্তি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তুমি তা স্বীকার করে নাও)। কিন্তু সে অস্বীকার করল এবং লিআন করে ফেলল। যখন তারা দু’জন ফিরে চলল তখন তিনি (নবী (ﷺ)) বললেন, সম্ভবত এই মহিলা কালোকায় কুঞ্চিত কেশধারী সন্তান প্রসব করবে। অবশেষে তার গর্ভে একটি কালোকায় কুঞ্চিত কেশধারী সন্তানই জন্ম দিয়েছিল।
৩৬১৫/১। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আমাশ (রাহঃ) থেকে এই একই সনদে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ إِنَّا لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ فِي الْمَسْجِدِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً فَتَكَلَّمَ جَلَدْتُمُوهُ أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ وَإِنْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ وَاللَّهِ لأَسْأَلَنَّ عَنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ فَقَالَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً فَتَكَلَّمَ جَلَدْتُمُوهُ أَوْ قَتَلَ قَتَلْتُمُوهُ أَوْ سَكَتَ سَكَتَ عَلَى غَيْظٍ . فَقَالَ " اللَّهُمَّ افْتَحْ " . وَجَعَلَ يَدْعُو فَنَزَلَتْ آيَةُ اللِّعَانِ ( وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ) هَذِهِ الآيَاتُ فَابْتُلِيَ بِهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْنِ النَّاسِ فَجَاءَ هُوَ وَامْرَأَتُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَلاَعَنَا فَشَهِدَ الرَّجُلُ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ بِاللَّهِ إِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ ثُمَّ لَعَنَ الْخَامِسَةَ أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنَ الْكَاذِبِينَ فَذَهَبَتْ لِتَلْعَنَ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَهْ " . فَأَبَتْ فَلَعَنَتْ فَلَمَّا أَدْبَرَا قَالَ " لَعَلَّهَا أَنْ تَجِيءَ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا " . فَجَاءَتْ بِهِ أَسْوَدَ جَعْدًا.
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ، أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، جَمِيعًا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ، أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، جَمِيعًا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৬
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৫১৬। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি একটি বিষয়ে আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম। আমার ধারণা ছিল যে, আমার জিজ্ঞাসিত বিষয়ের জ্ঞান তার কাছে আছে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, হিলাল ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) শরীক ইবনে সাহমার সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্কে ব্যভিচারের অভিযোগ আনলেন। তিনি ছিলেন বারা ইবনে মালিকের বৈপিত্রেয় ভাই। ইসলামে ইনিই সর্বপ্রথম লিআন করেন। রাবী বলেন, তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে লিআন সম্পন্ন করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা ঐ মহিলার প্রতি নযর রাখবে। যদি সে সরল কেশধারী গৌর বর্ণের লালচোখ বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তাহলে সে হল ইবনে উমাইয়ার ঔরষজাত সন্তান। আর যদি সে (মহিলা) সুরমা চোখ বিশিষ্ট কুঞ্চিত কেশ, সরু নাক বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে তাহলে সে শরীক ইবনে সাহমার সন্তান। রাবী আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি জানতে পারলাম যে, ঐ মহিলাটি সুরমা চোখ বিশিষ্ট কুঞ্চিত কেশধারী সরু নলা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করেছে।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَأَنَا أُرَى، أَنَّ عِنْدَهُ، مِنْهُ عِلْمًا . فَقَالَ إِنَّ هِلاَلَ بْنَ أُمَيَّةَ قَذَفَ امْرَأَتَهُ بِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ وَكَانَ أَخَا الْبَرَاءِ بْنِ مَالِكٍ لأُمِّهِ وَكَانَ أَوَّلَ رَجُلٍ لاَعَنَ فِي الإِسْلاَمِ - قَالَ - فَلاَعَنَهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبْصِرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَبْيَضَ سَبِطًا قَضِيءَ الْعَيْنَيْنِ فَهُوَ لِهِلاَلِ بْنِ أُمَيَّةَ وَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ جَعْدًا حَمْشَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ ابْنِ سَحْمَاءَ " . قَالَ فَأُنْبِئْتُ أَنَّهَا جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ جَعْدًا حَمْشَ السَّاقَيْنِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৭-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১৭। মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ ইবনে মুহাজির মিসরী ও ঈসা ইবনে হাম্মাদ মিসরী (রাহঃ) লাঈস (রাহঃ) থেকে ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট লিআনের আলোচনা করা হয়। তখন আসিম ইবনে আদী (রাযিঃ) ঐ বিষয়ে কিছু কথা বলে ফিরে গেলেন। অতঃপর তার গোত্রের একজন লোক তার কাছে এসে অভিযোগ করল যে, সে তার স্ত্রীর সঙ্গে এক (অপিরিচিত) লোককে দেখতে পেয়েছে। তখন আসিম (রাযিঃ) বললেন, আমি আমার উক্তির (বক্তব্যের) কারণে এই মুসীবতে পতিত হলাম। তখন তিনি তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এলেন। এরপর সে তাকে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে) সেই ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করল যাকে সে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখতে পেয়েছিল।
এ লোকটি ছিল হরিৎ বর্ণবিশিষ্ট কালোকায় ও সরল কেশধারী। আর সে যাকে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখতে পেয়েছিল সে ছিল সুঠাম দেহী, ছোটা নলা ও বাদামী রং বিশিষ্ট। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ তুমি বিষয়টি সমাধা করে দাও। সে মহিলা এমন একটি সন্তান প্রসব করল, যে ছিল ঐ লোকটির মত যাকে স্বামী তার সঙ্গে দেখতে পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের উভয়ের মধ্যে লিআন করালেন। তখন জনৈক ব্যক্তি সে মজলিসেই ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলল, এই কি সেই মহিলা যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, “যদি আমি বিনা প্রমাণে কাউকে রজম করতাম তবে একেই রজম করতাম।” তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, না- সে ছিল অপর এক মহিলা যে মুসলমানদের মাঝে অশ্লীলতা করত।
এ লোকটি ছিল হরিৎ বর্ণবিশিষ্ট কালোকায় ও সরল কেশধারী। আর সে যাকে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখতে পেয়েছিল সে ছিল সুঠাম দেহী, ছোটা নলা ও বাদামী রং বিশিষ্ট। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ তুমি বিষয়টি সমাধা করে দাও। সে মহিলা এমন একটি সন্তান প্রসব করল, যে ছিল ঐ লোকটির মত যাকে স্বামী তার সঙ্গে দেখতে পেয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের উভয়ের মধ্যে লিআন করালেন। তখন জনৈক ব্যক্তি সে মজলিসেই ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলল, এই কি সেই মহিলা যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, “যদি আমি বিনা প্রমাণে কাউকে রজম করতাম তবে একেই রজম করতাম।” তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, না- সে ছিল অপর এক মহিলা যে মুসলমানদের মাঝে অশ্লীলতা করত।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحِ بْنِ الْمُهَاجِرِ، وَعِيسَى بْنُ حَمَّادٍ الْمِصْرِيَّانِ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ رُمْحٍ - قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنِ الْقَاسِمِ، بْنِ مُحَمَّدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ ذُكِرَ التَّلاَعُنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عَاصِمُ بْنُ عَدِيٍّ فِي ذَلِكَ قَوْلاً ثُمَّ انْصَرَفَ فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ يَشْكُو إِلَيْهِ أَنَّهُ وَجَدَ مَعَ أَهْلِهِ رَجُلاً . فَقَالَ عَاصِمٌ مَا ابْتُلِيتُ بِهَذَا إِلاَّ لِقَوْلِي فَذَهَبَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي وَجَدَ عَلَيْهِ امْرَأَتَهُ وَكَانَ ذَلِكَ الرَّجُلُ مُصْفَرًّا قَلِيلَ اللَّحْمِ سَبِطَ الشَّعَرِ وَكَانَ الَّذِي ادَّعَى عَلَيْهِ أَنَّهُ وَجَدَ عِنْدَ أَهْلِهِ خَدْلاً آدَمَ كَثِيرَ اللَّحْمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ بَيِّنْ " . فَوَضَعَتْ شَبِيهًا بِالرَّجُلِ الَّذِي ذَكَرَ زَوْجُهَا أَنَّهُ وَجَدَهُ عِنْدَهَا فَلاَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَهُمَا فَقَالَ رَجُلٌ لاِبْنِ عَبَّاسٍ فِي الْمَجْلِسِ أَهِيَ الَّتِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ رَجَمْتُ أَحَدًا بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ رَجَمْتُ هَذِهِ " . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لاَ تِلْكَ امْرَأَةٌ كَانَتْ تُظْهِرُ فِي الإِسْلاَمِ السُّوءَ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৭-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১৮। আহমাদ ইবনে ইউসুফ আযদী (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে দুজন লিআনকারীর প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল। পরবর্তী অংশ লাঈসের হাদীসের অনুরূপ। অবশ্য এতে সুঠাম দেহী উল্লেখ করার পর তিনি অতিরিক্ত বলেছেন, ″সে ছিল কুঞ্চিত কেশধারী।″
وَحَدَّثَنِيهِ أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ ذُكِرَ الْمُتَلاَعِنَانِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِ حَدِيثِ اللَّيْثِ وَزَادَ فِيهِ بَعْدَ قَوْلِهِ كَثِيرَ اللَّحْمِ قَالَ جَعْدًا قَطَطًا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৭-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬১৯। আমরুন নাকিদ ও ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকটে দুই লিআনকারীর বিষয় উত্থাপন করা হল। তখন ইবনে শাদ্দাদ (রাহঃ) বললেন, এরা কি ঐ দু’জন যাদের সম্পর্কে নবী (ﷺ) বলেছিলেন, আমি যদি কাউকে বিনা প্রমাণে “রজম করতাম তবে ঐ মহিলাকে রজম” করতাম। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, না, এ সে মহিলা নয়। সে ছিল অপর এক মহিলা যার ব্যাপার প্রকাশ্য ছিল। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) তার বর্ণনায় কাসিম ইবনে মুহাম্মাদের সূত্রে বলেন যে, আমি এ হাদীস ইবনে আব্বাসের কাছে শুনেছি।
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ وَذُكِرَ الْمُتَلاَعِنَانِ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ ابْنُ شَدَّادٍ أَهُمَا اللَّذَانِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ رَاجِمًا أَحَدًا بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ لَرَجَمْتُهَا " . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لاَ تِلْكَ امْرَأَةٌ أَعْلَنَتْ . قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৮-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬২০। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সা’দ ইবনে উবাদা আনসারী (রাযিঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে লোকটি সম্পর্কে আপনার অভিমত কি যে তার স্ত্রীর সাথে অপর পুরুষকে পায়? সে কি তাকে কতল করে ফেলবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ না। সা’দ (রাযিঃ) বললেন, নিশ্চয়ই (সে তাকে কতল করবে), সেই সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দ্বারা সম্মানিত করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা শোন তোমাদের সরদার কী বলছেন।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ الأَنْصَارِيَّ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ الرَّجُلَ يَجِدُ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً أَيَقْتُلُهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ " . قَالَ سَعْدٌ بَلَى وَالَّذِي أَكْرَمَكَ بِالْحَقِّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اسْمَعُوا إِلَى مَا يَقُولُ سَيِّدُكُمْ ".

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৮-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬২১। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) বলেছেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি যদি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কাউকে দেখতে পাই তাহলে চারজন সাক্ষী যোগার করা পর্যন্ত আমি কি তাকে অবকাশ দেব? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ وَجَدْتُ مَعَ امْرَأَتِي رَجُلاً أَأُمْهِلُهُ حَتَّى آتِيَ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ قَالَ " نَعَمْ " .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৮-৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬২২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে কোন পুরুষকে দেখতে পাই তবে চারজন সাক্ষী হাযির না করা পর্যন্ত আমি কি তাকে স্পর্শ করব না? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি (সা’দ) বললেন, কখনও নয়, সেই মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন অবশ্যই আমি তার (চারজন সাক্ষী হাযিল করার) আগেই দ্রুত তার প্রতি তলোয়ার ব্যবহার করব। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা মনযোগ দিয়ে শোন, তোমাদের সরদার কী বলছেন। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় আত্মমর্যাদার অধিকারী। আর আমি তার চাইতেও অধিকতর আত্মমর্যাদাশীল এবং আল্লাহ আমার চাইতেও অধিক আত্মমর্যাদাবান।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ، حَدَّثَنِي سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ وَجَدْتُ مَعَ أَهْلِي رَجُلاً لَمْ أَمَسَّهُ حَتَّى آتِيَ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَعَمْ " . قَالَ كَلاَّ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنْ كُنْتُ لأُعَاجِلُهُ بِالسَّيْفِ قَبْلَ ذَلِكَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اسْمَعُوا إِلَى مَا يَقُولُ سَيِّدُكُمْ إِنَّهُ لَغَيُورٌ وَأَنَا أَغْيَرُ مِنْهُ وَاللَّهُ أَغْيَرُ مِنِّي " .
হাদীস নং: ৩৬২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৯-১
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬২৩। উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর কাওয়ারীরী ও আবু কামিল ফুযায়ল ইবনে হুসাইন জাহদারী (রাহঃ) ......... মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) বললেন, যদি আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে অপর কোন পুরুষকে দেখতে পাই তবে নিশ্চয়ই আমি তাকে আমার তরবারীর ধার দিয়ে তার উপর আঘাত হানব- পার্শ্ব দিয়ে নয়। একথা নবী (ﷺ) এর কাছে পৌঁছল। তিনি বললেন, তোমরা কি সা’দের আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে আশ্চর্য হয়েছে? আল্লাহর কসম! আমি তার চাইতে অধিকতর আত্মমর্যাদাবোধসস্পন্ন। আর আল্লাহ আমার তুলনায় অধিকতর মর্যাদাবান। আল্লাহ তাঁর আত্মমর্যাদার কারণে প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় অশ্নীল কর্ম হারাম করে দিয়েছেন। আর আল্লাহর তুলনায় অধিক আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কেউ নেই এবং আল্লাহর চাইতে অধিকতর ওযর পছন্দকারী কেউ নেই। এ কারণেই আল্লাহ তাঁর নবী-রাসুলদের সুসংবাদদাতা ও তীতি প্রদর্শনকারীরূপে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহর চাইতে অধিকতর প্রশংসা পছন্দকারী কেউ নেই। এই কারণে তিনি জান্নাতের অঙ্গীকার করেছেন।
حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ وَرَّادٍ، - كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ - عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ لَوْ رَأَيْتُ رَجُلاً مَعَ امْرَأَتِي لَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ غَيْرَ مُصْفِحٍ عَنْهُ . فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَتَعْجَبُونَ مِنْ غَيْرَةِ سَعْدٍ فَوَاللَّهِ لأَنَا أَغْيَرُ مِنْهُ وَاللَّهُ أَغْيَرُ مِنِّي مِنْ أَجْلِ غَيْرَةِ اللَّهِ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَلاَ شَخْصَ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ وَلاَ شَخْصَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْعُذْرُ مِنَ اللَّهِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ بَعَثَ اللَّهُ الْمُرْسَلِينَ مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ وَلاَ شَخْصَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمِدْحَةُ مِنَ اللَّهِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ وَعَدَ اللَّهُ الْجَنَّةَ " .
হাদীস নং: ৩৬২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৯৯-২
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৬২৪। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুল মালিক ইবনে উমায়র (রাহঃ) সূত্রে এই সনদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি তার বর্ণনার অনুরূপ তরবারীর ″পার্শ্ব দিয়ে নয়″ শব্দটির উল্লেখ করেছেন এবং তিনি তাعَنْهُ (তার) শব্দটি উল্লেখ করেন নি।
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، بْنِ عُمَيْرٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ . وَقَالَ غَيْرَ مُصْفِحٍ . وَلَمْ يَقُلْ عَنْهُ .