আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৯- ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৩৫৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৩-১
৩. তালাকের নিয়ত না করে স্ত্রীকে ’হারাম’ সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে
৩৫৪৪। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... হিশাম দাসতাওয়াই (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) সূত্রে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে (লিখিতরূপে) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (সাঈদ) বলেছেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) স্ত্রীকে নিজের জন্য হারাম করা সম্বন্ধে বলতেন যে, তা কসম (ইয়ামীন) সাব্যস্ত হবে, তার কাফফারা আদায় করতে হবে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) (এ প্রসঙ্গে) আরো বলেছেন, (পবিত্র কুরআনের)لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ (আয়াত উদ্ধৃত করে-) ″তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।″ (সূরা আহযাবঃ ২১)।
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هِشَامٍ، - يَعْنِي الدَّسْتَوَائِيَّ - قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ يُحَدِّثُ عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْحَرَامِ يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا . وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ( لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ) .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৩-২
৩. তালাকের নিয়ত না করে স্ত্রীকে ’হারাম’ সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে
৩৫৪৫। ইয়াহয়া ইবনে বিশর হারীরী (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে নিজের জন্য হারাম (ঘোষণা) করলে তা কসম সাব্যস্ত হবে, তার কাফফারা আদায় করবে। তিনি আরো বলেছেনঃلَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ ″তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।″ (সূরা আহযাবঃ ২১)।
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ الْحَرِيرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ - عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ إِذَا حَرَّمَ الرَّجُلُ عَلَيْهِ امْرَأَتَهُ فَهْىَ يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا وَقَالَ ( لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ)

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৪-১
৩. তালাকের নিয়ত না করে স্ত্রীকে ’হারাম’ সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে
৩৫৪৬। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... উবাইদ ইবনে উমায়র (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) কে খবর প্রদান করতে শুনেছেন যে, নবী (ﷺ) (অসর পরবর্তী সময় হুজরাসমূহে আবর্তনকালে) যায়নাব বিনতে জাহশ (রাযিঃ) এর গৃহে অবস্থান করে সেখানে মধু পান করেন। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমি ও হাফসা মিলে এরূপ যুক্তি-পরামর্শ করলাম যে, আমাদের দু’জনের মাঝে যার কাছেই নবী (ﷺ) (প্রথমে) আগমন করবেন সে বলবে- ″আমি আপনার মুখে মাগাফীর* এর দুর্গন্ধ পাচ্ছি আপনি মাগাফীর খেয়েছেন।″ পরে এদের কোন একজনের কাছে গেলে সে তাকে অনুরূপ বলল। নবী (ﷺ) বললেন, বরং আমি তো যায়নাব বিনতে জাহশের ঘরে মধু পান করেছি এবং পুনরায় কখনো পান করব না। তখন নাযিল হলঃ
″হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন, আপনি তা হারাম করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনা করছেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। আল্লাহ তোমাদের শপথ হতে মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহ তাদের সহায়; তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। স্মরণ কর, নবী তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন। অতঃপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিয়েছে এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন নবী এ বিষয় কিছু ব্যক্ত করলেন; কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নবী তা তার সে স্ত্রীকে জানালেন তখন সে বলল, কে আপনাকে তা অবহিত করল? নবী বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত। যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুঁকে পড়েছে- আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন″ (সূরা আত তাহরীমঃ ১ ৪)
এতে ″যদি তোমরা উভয় তাওবা কর″ (অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর) দ্বারা আয়িশা ও হাফসা (রাযিঃ) উদ্দেশ্য। এবং যখন ″নবী তার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন″ দ্বারা “বরং আমি মধুপান করেছি এবং আর কখনো পান করবো না উদ্দেশ্য”।
″হে নবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন, আপনি তা হারাম করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনা করছেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। আল্লাহ তোমাদের শপথ হতে মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহ তাদের সহায়; তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। স্মরণ কর, নবী তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন। অতঃপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিয়েছে এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন নবী এ বিষয় কিছু ব্যক্ত করলেন; কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নবী তা তার সে স্ত্রীকে জানালেন তখন সে বলল, কে আপনাকে তা অবহিত করল? নবী বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত। যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুঁকে পড়েছে- আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন″ (সূরা আত তাহরীমঃ ১ ৪)
এতে ″যদি তোমরা উভয় তাওবা কর″ (অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর) দ্বারা আয়িশা ও হাফসা (রাযিঃ) উদ্দেশ্য। এবং যখন ″নবী তার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন″ দ্বারা “বরং আমি মধুপান করেছি এবং আর কখনো পান করবো না উদ্দেশ্য”।
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يُخْبِرُ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، تُخْبِرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَمْكُثُ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَيَشْرَبُ عِنْدَهَا عَسَلاً قَالَتْ فَتَوَاطَأْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ أَنَّ أَيَّتَنَا مَا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلْتَقُلْ إِنِّي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ مَغَافِيرَ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَدَخَلَ عَلَى إِحْدَاهُمَا فَقَالَتْ ذَلِكَ لَهُ . فَقَالَ " بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلَنْ أَعُودَ لَهُ " . فَنَزَلَ ( لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) إِلَى قَوْلِهِ ( إِنْ تَتُوبَا) لِعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ ( وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا) لِقَوْلِهِ " بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭৪-৩
৩. তালাকের নিয়ত না করে স্ত্রীকে ’হারাম’ সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে
৩৫৪৭। আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আ’লা ও হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) (আবু উসামা সূত্রে) ......... হিশামের পিতা (উরওয়া) সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণানা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিষ্ট দ্রব (হালুয়া) ও মধু পছন্দ করতেন। তার নিয়ম হচ্ছিল আসরের নামায আদায়ের পরে স্ত্রীদের ঘরে ঘরে এক চক্কর ঘুরে আসতেন এবং তাদের সান্নিধ্য গমন করতেন। এভাবে তিনি হাফসা (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং তার কাছে স্বাভাবিকভাবে আব্দ্ধ থাকার সময়ের চেয়ে অধিক সময় আব্দ্ধ রইলেন। আমি (আয়িশা) এ বিষয় জিজ্ঞাসা করলে আমাকে বলা হল তাকে (হাফসাকে) তার গোত্রের কোন মহিলা এক পাত্র মধু হাদিয়া দিয়েছিল। তাই সে তা থেকে কিছু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে পান করিয়ে ছিল।
(আয়িশা বলেন,) আমি বললাম, ওহে! আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তাঁর জন্য কৌশল অবলম্বন করব। আমি বিষয়টি সাওদা এর সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং তাঁকে বললাম, নবী (ﷺ) তোমার কাছে আগমন করলে তিনি তো তোমার সন্নিকটে আসবেন, তখন তুমি তাঁকে বলবে, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন। তখন তিনি তো তোমাকে বলবেন- না, তখন তুমি তাঁকে বলবে, (তবে) এ দুর্গন্ধ কিসের? আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট হতে দুর্গন্ধ পাওয়া যাবে এটা ছিল তাঁর কাছে অতি অসহনীয় বিষয়। তখন তিনি তোমাকে বলবেন- হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। তুমি তখন তাকে বলবে, ’ঐ মধুর মৌমাছি-উরফূত (গাছের কষ) চুষেছে।” আর আমিও তাঁকে এভাবেই বলব। আর তুমিও হে সাফিয়্যা! তাই বলবে।
পরে যখন নবী (ﷺ) সাওদা (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, সাওদা (রাযিঃ) এর বর্ণনা- “কসম সে সত্তার যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই! তুমি আমাকে যা কিছু বলেছিলে তা তাঁর কাছে প্রকাশ করেই দিচ্ছিলাম প্রায়- তিনি (নবী (ﷺ)) তখন দরজায়- তোমার ভয় তা আর করা হল না। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নিকটবর্তীহলে সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন কি? তিনি বললেন, না। সে (সাওদা) বলল, তবে এ ঘ্রাণ কিসের? নবী (ﷺ) বললেন, হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। সাওদা বলল, (তবে-তাই) তার মৌমাছি উরফূত চুষেছে।
পরে নবী (ﷺ) আমার নিকট আগমন করলে আমিও তাঁকে অনুরূপ বললাম। অতঃপর সাফইয়্যা (রাযিঃ) এর কাছে গেলে সেও অনুরূপ বলল। পরে (আবার) নবী (ﷺ) হাফসা এর নিকট গেলে সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি আপনাকে তা পান করতে দিব না? নবী (ﷺ) বললেন, “তার প্রতি আমার কোন চাহিদা নেই।” আয়িশা বলেন, সাওদা (রাযিঃ) বলতে লাগল, আল্লাহর কসম! আমরা তো তাকে (একটি প্রিয় পানীয় হতে) বঞ্চিত করে দিয়েছি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, চুপ থাক।
(ইমাম মুসলিম এর শাগরিদ) আবু ইসহাক ইবরাহীম (গ্রন্থকার হতে এ গ্রন্থের রিওয়ায়াতকারী) বলেন, হাসান ইবনে বিশর (রাহঃ) আবু উসামা (রাহঃ) সূত্রে আমাকে অবিকল এ হাদীস শুনিয়েছেন। সূওয়ায়দ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) সূত্রে ঐ সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।*
* অর্থাৎ ইমাম মুসলিম (রাহঃ) একজন রাবীর মাধ্যমে আবু উসামা (রাহঃ) হতে এ হাদীস আহরণ করেছেন। আর আবু ইসহাক ইবরাহীম যিনি ইমাম মুসলিমের বিশিষ্ট শাগরিদ- তিনিও অন্য একটি সনদে একজন রাবী- হাসান ইবন বিশ্বরের মাধ্যমে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। ফলে এ হাদীসে তার সনদ উন্নীত হয়ে তার শায়খ ইমাম মুসলিমের সমপর্যায়ে পৌঁছেছে- অনুবাদ
(আয়িশা বলেন,) আমি বললাম, ওহে! আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তাঁর জন্য কৌশল অবলম্বন করব। আমি বিষয়টি সাওদা এর সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং তাঁকে বললাম, নবী (ﷺ) তোমার কাছে আগমন করলে তিনি তো তোমার সন্নিকটে আসবেন, তখন তুমি তাঁকে বলবে, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন। তখন তিনি তো তোমাকে বলবেন- না, তখন তুমি তাঁকে বলবে, (তবে) এ দুর্গন্ধ কিসের? আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট হতে দুর্গন্ধ পাওয়া যাবে এটা ছিল তাঁর কাছে অতি অসহনীয় বিষয়। তখন তিনি তোমাকে বলবেন- হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। তুমি তখন তাকে বলবে, ’ঐ মধুর মৌমাছি-উরফূত (গাছের কষ) চুষেছে।” আর আমিও তাঁকে এভাবেই বলব। আর তুমিও হে সাফিয়্যা! তাই বলবে।
পরে যখন নবী (ﷺ) সাওদা (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, সাওদা (রাযিঃ) এর বর্ণনা- “কসম সে সত্তার যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই! তুমি আমাকে যা কিছু বলেছিলে তা তাঁর কাছে প্রকাশ করেই দিচ্ছিলাম প্রায়- তিনি (নবী (ﷺ)) তখন দরজায়- তোমার ভয় তা আর করা হল না। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর নিকটবর্তীহলে সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন কি? তিনি বললেন, না। সে (সাওদা) বলল, তবে এ ঘ্রাণ কিসের? নবী (ﷺ) বললেন, হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। সাওদা বলল, (তবে-তাই) তার মৌমাছি উরফূত চুষেছে।
পরে নবী (ﷺ) আমার নিকট আগমন করলে আমিও তাঁকে অনুরূপ বললাম। অতঃপর সাফইয়্যা (রাযিঃ) এর কাছে গেলে সেও অনুরূপ বলল। পরে (আবার) নবী (ﷺ) হাফসা এর নিকট গেলে সে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি আপনাকে তা পান করতে দিব না? নবী (ﷺ) বললেন, “তার প্রতি আমার কোন চাহিদা নেই।” আয়িশা বলেন, সাওদা (রাযিঃ) বলতে লাগল, আল্লাহর কসম! আমরা তো তাকে (একটি প্রিয় পানীয় হতে) বঞ্চিত করে দিয়েছি। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, চুপ থাক।
(ইমাম মুসলিম এর শাগরিদ) আবু ইসহাক ইবরাহীম (গ্রন্থকার হতে এ গ্রন্থের রিওয়ায়াতকারী) বলেন, হাসান ইবনে বিশর (রাহঃ) আবু উসামা (রাহঃ) সূত্রে আমাকে অবিকল এ হাদীস শুনিয়েছেন। সূওয়ায়দ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... হিশাম ইবনে উরওয়া (রাহঃ) সূত্রে ঐ সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।*
* অর্থাৎ ইমাম মুসলিম (রাহঃ) একজন রাবীর মাধ্যমে আবু উসামা (রাহঃ) হতে এ হাদীস আহরণ করেছেন। আর আবু ইসহাক ইবরাহীম যিনি ইমাম মুসলিমের বিশিষ্ট শাগরিদ- তিনিও অন্য একটি সনদে একজন রাবী- হাসান ইবন বিশ্বরের মাধ্যমে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন। ফলে এ হাদীসে তার সনদ উন্নীত হয়ে তার শায়খ ইমাম মুসলিমের সমপর্যায়ে পৌঁছেছে- অনুবাদ
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ فَكَانَ إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ دَارَ عَلَى نِسَائِهِ فَيَدْنُو مِنْهُنَّ فَدَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ فَاحْتَبَسَ عِنْدَهَا أَكْثَرَ مِمَّا كَانَ يَحْتَبِسُ فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لِي أَهْدَتْ لَهَا امْرَأَةٌ مِنْ قَوْمِهَا عُكَّةً مِنْ عَسَلٍ فَسَقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ شَرْبَةً فَقُلْتُ أَمَا وَاللَّهِ لَنَحْتَالَنَّ لَهُ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسَوْدَةَ وَقُلْتُ إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ فَإِنَّهُ سَيَدْنُو مِنْكِ فَقُولِي لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ لاَ . فَقُولِي لَهُ مَا هَذِهِ الرِّيحُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَشْتَدُّ عَلَيْهِ أَنْ يُوجَدَ مِنْهُ الرِّيحُ - فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ . فَقُولِي لَهُ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ وَسَأَقُولُ ذَلِكَ لَهُ وَقُولِيهِ أَنْتِ يَا صَفِيَّةُ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى سَوْدَةَ قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ وَالَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَقَدْ كِدْتُ أَنْ أُبَادِئَهُ بِالَّذِي قُلْتِ لِي وَإِنَّهُ لَعَلَى الْبَابِ فَرَقًا مِنْكِ فَلَمَّا دَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ قَالَ " لاَ " . قَالَتْ فَمَا هَذِهِ الرِّيحُ قَالَ " سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ " . قَالَتْ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ . فَلَمَّا دَخَلَ عَلَىَّ قُلْتُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ دَخَلَ عَلَى صَفِيَّةَ فَقَالَتْ بِمِثْلِ ذَلِكَ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ أَسْقِيكَ مِنْهُ قَالَ " لاَ حَاجَةَ لِي بِهِ " . قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَقَدْ حَرَمْنَاهُ . قَالَتْ قُلْتُ لَهَا اسْكُتِي .
قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، بِهَذَا سَوَاءً وَحَدَّثَنِيهِ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، بِهَذَا سَوَاءً وَحَدَّثَنِيهِ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: