আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৯- ত্বালাক - বিবাহ বিচ্ছেদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং: ৩৫২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২০। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামীমী (রাহঃ) ......... নাফি’ (রাহঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময়কালে তিনি (ইবনে উমর) তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) এ বিষয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তাকে (আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে) আদেশ কর, যেন সে তাকে (স্ত্রীকে) রাজআত করে (পুনঃ স্ত্রীরূপে গ্রহণ করে) নেয়। অতঃপর তার (হায়য হতে) পবিত্র হওয়ার পরে পুনঃ হায়য আসা এবং তার পরে পুনঃ পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাকে স্থিতাবস্থায় রেখে দেয়। এরপর পরবর্তী সময় তার ইচ্ছা হলে তাকে (স্ত্রীরূপে) রেখে দিবে। আর ইচ্ছা হলে সহবাসের পূর্বে তাকে তালাক দিবে। এটা হল সে ইদ্দত* যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের তালাক দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ আদেশ করেছেন।
*হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দিতে ইচ্ছে কর, তখন তাদের তালাক দিও ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে (সূরা আত-তালাক : ১) এ আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত।
*হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের তালাক দিতে ইচ্ছে কর, তখন তাদের তালাক দিও ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে (সূরা আত-তালাক : ১) এ আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ لْيَتْرُكْهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ تَحِيضَ ثُمَّ تَطْهُرَ ثُمَّ إِنْ شَاءَ أَمْسَكَ بَعْدُ وَإِنْ شَاءَ طَلَّقَ قَبْلَ أَنْ يَمَسَّ فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ" .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-২
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২১। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া, কুতায়বা ও ইবনে রুমহ (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর এক স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় এক তালাক দিয়ে দেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে হুকুম দিলেন যেন সে স্ত্রীকে রাজ’আত করে নেয়। অতঃপর পবিত্র হওয়ার পরে পুনঃ আর একটি হায়য হওয়া পর্যন্ত তাকে নিজের কাছে রেখে দিবে। এরপর তার (এ পরবর্তী) হায়য হতে পবিত্র হওযা পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। তখন যদি তাকে তালাক দেওয়ার ইচ্ছা হয় তবে পবিত্র হওয়ার সময় তার সঙ্গে সহবাস করার আগে তাকে তালাক দিবে। এটাই হল সে ইদ্দত যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের তালাক প্রদানের আদেশ আল্লাহ দিয়েছেন।
ইবনে রুমহ (রাহঃ) তার রিওয়ায়াতে অধিক বলেছেন এবং এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসিত হলে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাদের (প্রশ্নকর্তাদের) যে কাউকে বলতেনঃ দেখ, তুমি তোমার স্ত্রীকে (যতক্ষণ) একবার কিংবা দুইবার তালাক দিয়ে থাক, তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এরূপ (রাজ’আত) করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তুমি তাকে তিন তালাক দিয়ে দিলে তবে সে (স্ত্রী) তোমার জন্য হারাম হয়ে যাবে- যতক্ষণ না তুমি ব্যতীত অন্য কাউকে সে বিয়ে করে। আর তোমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তোমাকে যে বিধান দিয়েছিলেন তাতে তুমি তার প্রতি অবাধ্যতা দেখালে।
ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বলেছেনঃ রাবী লাঈস (রাহঃ) (কুতায়বা প্রমুখের শায়খ) তার বর্ণনায় বলেছেন, ’একটি তালাক’ তিনি এটা সঠিকই বর্ণনা করেছেন।*
* অর্থাৎ অন্যান্য বর্ণনাকারীদের মত তিনি এ ব্যাপারে কোনও রূপ অবহেলার পরিচয় দেন নি, বরং যা শুনেছেন অতি সতর্কতার সাথে তা হুবহু বর্ণনা করেছেন।
ইবনে রুমহ (রাহঃ) তার রিওয়ায়াতে অধিক বলেছেন এবং এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসিত হলে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাদের (প্রশ্নকর্তাদের) যে কাউকে বলতেনঃ দেখ, তুমি তোমার স্ত্রীকে (যতক্ষণ) একবার কিংবা দুইবার তালাক দিয়ে থাক, তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এরূপ (রাজ’আত) করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তুমি তাকে তিন তালাক দিয়ে দিলে তবে সে (স্ত্রী) তোমার জন্য হারাম হয়ে যাবে- যতক্ষণ না তুমি ব্যতীত অন্য কাউকে সে বিয়ে করে। আর তোমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তোমাকে যে বিধান দিয়েছিলেন তাতে তুমি তার প্রতি অবাধ্যতা দেখালে।
ইমাম মুসলিম (রাহঃ) বলেছেনঃ রাবী লাঈস (রাহঃ) (কুতায়বা প্রমুখের শায়খ) তার বর্ণনায় বলেছেন, ’একটি তালাক’ তিনি এটা সঠিকই বর্ণনা করেছেন।*
* অর্থাৎ অন্যান্য বর্ণনাকারীদের মত তিনি এ ব্যাপারে কোনও রূপ অবহেলার পরিচয় দেন নি, বরং যা শুনেছেন অতি সতর্কতার সাথে তা হুবহু বর্ণনা করেছেন।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، رُمْحٍ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، - عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَةً لَهُ وَهْىَ حَائِضٌ تَطْلِيقَةً وَاحِدَةً فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُرَاجِعَهَا ثُمَّ يُمْسِكَهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ تَحِيضَ عِنْدَهُ حَيْضَةً أُخْرَى ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَطْهُرَ مِنْ حَيْضَتِهَا فَإِنْ أَرَادَ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَلْيُطَلِّقْهَا حِينَ تَطْهُرُ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُجَامِعَهَا فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ . وَزَادَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ إِذَا سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ قَالَ لأَحَدِهِمْ أَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَ امْرَأَتَكَ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَنِي بِهَذَا وَإِنْ كُنْتَ طَلَّقْتَهَا ثَلاَثًا فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْكَ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَكَ وَعَصَيْتَ اللَّهَ فِيمَا أَمَرَكَ مِنْ طَلاَقِ امْرَأَتِكَ . قَالَ مُسْلِمٌ جَوَّدَ اللَّيْثُ فِي قَوْلِهِ تَطْلِيقَةً وَاحِدَةً .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-৩
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২২। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম, তখন সে ঋতুবতী ছিল। উমর (রাযিঃ) বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তাকে রাজআত (পূনঃ গ্রহণ) করে। তারপর পবিত্র হয়ে পুনরায় আরেক হায়য আসা পর্যন্ত তাকে স্থিতাবস্থায় রেখে দেয়। পরে যখন পবিত্র হবে তখন তার সঙ্গে সহবাস করার আগে (সহবাসমুক্ত কালে) তাকে তালাক দিবে কিংবা তাকে (স্ত্রীরূপে) রেখে দিবে। কেননা, এটাই হল সে ইদ্দত যার প্রতি লক্ষ্য রেখে স্ত্রীদের তালাক দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা আদেশ করেছেন।
উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি নাফি (রাহঃ) কে বললাম, সেই এক তালাকের কী হল? তিনি বললেন, সেটিকে এক তালাক গণ্য করা হয়।
উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি নাফি (রাহঃ) কে বললাম, সেই এক তালাকের কী হল? তিনি বললেন, সেটিকে এক তালাক গণ্য করা হয়।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْىَ حَائِضٌ فَذَكَرَ ذَلِكَ عُمَرُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ لْيَدَعْهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى فَإِذَا طَهُرَتْ فَلْيُطَلِّقْهَا قَبْلَ أَنْ يُجَامِعَهَا أَوْ يُمْسِكْهَا فَإِنَّهَا الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ " . قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ قُلْتُ لِنَافِعٍ مَا صَنَعَتِ التَّطْلِيقَةُ قَالَ وَاحِدَةٌ اعْتَدَّ بِهَا .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-৪
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) সূত্রে এই সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে নাফি (রাহঃ) এর উদ্দেশ্যে উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) এর বক্তব্যটি এতে উল্লিখিত হয়নি। এছাড়া ইবনে মুসান্না (রাহঃ) তার রিওয়ায়াতে বলেছেনفَلْيَرْجِعْهَا এবং আবু বকর (রাহঃ) বলেছেনঃ فَلْيُرَاجِعْهَا (শব্দদ্বয় প্রত্যাহার করা অর্থে সমার্থাক)।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ عُبَيْدِ اللَّهِ لِنَافِعٍ . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى فِي رِوَايَتِهِ فَلْيَرْجِعْهَا . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَلْيُرَاجِعْهَا .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-৫
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২৪। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... নাফি’ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রীকে তার ঋতুকালীন অবস্থায় তালাক দিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) কে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে (ইবনে উমরকে) হুকুম দিলেন যে, স্ত্রীকে যেন রাজ’আত (পনঃগ্রহণ) করে নেয়।
এরপর তাকে অপর একটি ঋতুতে ঋতুবতী হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিবে। অতঃপর (ঋতু হতে) পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। পরে তার তিনি সঙ্গে সহবাস করার আগেই তাকে তালাক দিবে। এটাই হল সেই ইদ্দত যার প্রতি লক্ষ্য রেকে স্ত্রীদের তালাক দেওয়ার জন্য মহামহীয়ান আল্লাহ হুকুম করেছেন।
রাবী (নাফি’) বলেন, পরবর্তীতে স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তালাক প্রদানকারী পুরুষ (এর মাস’আলা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেন, যদি তুমি তাকে এক কিংবা দুই তালাক দিয়ে থাক, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে হুকুম দিয়েছেন যে, সে তাকে রাজআত করে নিবে। তারপর আর একটি হায়যে ঋতুবতী হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে, এরপর পবিত্রতা (তুহুর) পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। অতঃপর স্পর্শ (সহবাস) করার আগেই তালাক দিবে (যদি ইচ্ছা কর)। আর যদি নাকি তুমি তাকে তিন তালাক দিয়ে থাক তবে তুমি তোমার প্রতিপালকের অবাধ্য হয়েছ- তোমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে তিনি তোমাকে যে আদেশ প্রদান করেছেন সে ব্যাপারে এবং সে স্ত্রী তোমার সঙ্গ হতে বিচ্ছিন্ন (বাইন) হয়ে গিয়েছে।
এরপর তাকে অপর একটি ঋতুতে ঋতুবতী হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দিবে। অতঃপর (ঋতু হতে) পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। পরে তার তিনি সঙ্গে সহবাস করার আগেই তাকে তালাক দিবে। এটাই হল সেই ইদ্দত যার প্রতি লক্ষ্য রেকে স্ত্রীদের তালাক দেওয়ার জন্য মহামহীয়ান আল্লাহ হুকুম করেছেন।
রাবী (নাফি’) বলেন, পরবর্তীতে স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তালাক প্রদানকারী পুরুষ (এর মাস’আলা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেন, যদি তুমি তাকে এক কিংবা দুই তালাক দিয়ে থাক, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে হুকুম দিয়েছেন যে, সে তাকে রাজআত করে নিবে। তারপর আর একটি হায়যে ঋতুবতী হওয়া পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে, এরপর পবিত্রতা (তুহুর) পর্যন্ত তাকে অবকাশ দিবে। অতঃপর স্পর্শ (সহবাস) করার আগেই তালাক দিবে (যদি ইচ্ছা কর)। আর যদি নাকি তুমি তাকে তিন তালাক দিয়ে থাক তবে তুমি তোমার প্রতিপালকের অবাধ্য হয়েছ- তোমার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে তিনি তোমাকে যে আদেশ প্রদান করেছেন সে ব্যাপারে এবং সে স্ত্রী তোমার সঙ্গ হতে বিচ্ছিন্ন (বাইন) হয়ে গিয়েছে।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ أَنْ يَرْجِعَهَا ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ يُطَلِّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا فَتِلْكَ الْعِدَّةُ الَّتِي أَمَرَ اللَّهُ أَنْ يُطَلَّقَ لَهَا النِّسَاءُ . قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا سُئِلَ عَنِ الرَّجُلِ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ يَقُولُ أَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَهَا وَاحِدَةً أَوِ اثْنَتَيْنِ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ يَرْجِعَهَا ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى ثُمَّ يُمْهِلَهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ يُطَلِّقَهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا وَأَمَّا أَنْتَ طَلَّقْتَهَا ثَلاَثًا فَقَدْ عَصَيْتَ رَبَّكَ فِيمَا أَمَرَكَ بِهِ مِنْ طَلاَقِ امْرَأَتِكَ . وَبَانَتْ مِنْكَ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-৬
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২৫। আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন, আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম- তখন সে ঋতুবতী ছিল। উমর (রাযিঃ) তা নবী (ﷺ) এর নিকট উল্লেখ করলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাগাম্বিত হলেন। পরে বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তাকে রাজ’আত করে নেয়- যতক্ষণ না যে হায়য কালে তাকে তালাক দিয়েছে সেটি ব্যতীত আর একটি হায়য আসে।
তখন যদি তাকে তালাক দেওয়া তার মনঃপুত হয় তবে যেন তার হায়য থেকে পবিত্র হওয়া অবস্থায় তার সঙ্গে সহবাস করার আগে তাকে তালাক দেয়। তিনি আরো বললেন, এটাই হল ইদ্দতের (সময় নির্ণয়ের) জন্য তালাক প্রদান যেমন আল্লাহ হুকুম করেছেন।
(সালিম বলেন) আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাকে এক তালাক দিয়েছিলেন। সেটি তার তালাক গণনা করা হল (অর্থাৎ এক তালাক ধরা হল) এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশ অনুসারে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাকে (স্ত্রীকে) রাজআত করে নিয়েছিলেন।
তখন যদি তাকে তালাক দেওয়া তার মনঃপুত হয় তবে যেন তার হায়য থেকে পবিত্র হওয়া অবস্থায় তার সঙ্গে সহবাস করার আগে তাকে তালাক দেয়। তিনি আরো বললেন, এটাই হল ইদ্দতের (সময় নির্ণয়ের) জন্য তালাক প্রদান যেমন আল্লাহ হুকুম করেছেন।
(সালিম বলেন) আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাকে এক তালাক দিয়েছিলেন। সেটি তার তালাক গণনা করা হল (অর্থাৎ এক তালাক ধরা হল) এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নির্দেশ অনুসারে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাকে (স্ত্রীকে) রাজআত করে নিয়েছিলেন।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
حَدَّثَنِي عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ - عَنْ عَمِّهِ، أَخْبَرَنَا سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي وَهْىَ حَائِضٌ فَذَكَرَ ذَلِكَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَتَغَيَّظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا حَتَّى تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى مُسْتَقْبَلَةً سِوَى حَيْضَتِهَا الَّتِي طَلَّقَهَا فِيهَا فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يُطَلِّقَهَا فَلْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا مِنْ حَيْضَتِهَا قَبْلَ أَنْ يَمَسَّهَا فَذَلِكَ الطَّلاَقُ لِلْعِدَّةِ كَمَا أَمَرَ اللَّهُ " . وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ طَلَّقَهَا تَطْلِيقَةً وَاحِدَةً فَحُسِبَتْ مِنْ طَلاَقِهَا وَرَاجَعَهَا عَبْدُ اللَّهِ كَمَا أَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫২৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-৭
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২৬। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... (পূর্বোক্ত সনদের ন্যায়) যুহরী (রাহঃ) সূত্রে ঐ সনদে বর্ণিত। তবে এতে রাবী (সরাসরি ইবনে উমরের উক্তি উদ্বৃত করে) বলেছেন যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেছেন, পরে আমি তাকে রাজ’আত করে নিলাম এবং তাকে যে তালাকটি দিয়েছিলাম তা তার জন্য (একটি) তালাকরূপে গণ্য করলাম।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنِيهِ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنِي الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَرَاجَعْتُهَا وَحَسَبْتُ لَهَا التَّطْلِيقَةَ الَّتِي طَلَّقْتُهَا .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫২৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-৮
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা, যুহাইর ইবনে হারব ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... সালিম (রাহঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজের স্ত্রীকে তার হায়যা অবস্থায় তালাক দিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) বিষয়টি নবী (ﷺ) এর সকাশে উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, তাকে আদেশ কর যেন সে তাকে রাজ’আত করে নেয়। পরে যেন তাকে তুহর (পবিত্র) অবস্থায় কিংবা গর্ভাবস্থায় (অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে) তালাক দেয়।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى آلِ طَلْحَةَ عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَذَكَرَ ذَلِكَ عُمَرُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ لْيُطَلِّقْهَا طَاهِرًا أَوْ حَامِلاً " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-৯
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২৮। আহমাদ ইবনে উসমান ইবনে হাকীম আওদী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার (রাহঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজের স্ত্রীকে যখন সে হায়য অবস্থায় ছিল, তালাক দিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) এ বিষয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তাকে হুকুম কর যেন সে তাকে (স্ত্রীকে) রাজ’আত করে নেয়। তারপর যখন আর একটি হায়য দেখা দিবে তারপর আবার পবিত্র হবে, তখন তাকে তালাক দিবে কিংবা (স্ত্রীরূপে) রেখে দিবে।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ الأَوْدِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، - وَهُوَ ابْنُ بِلاَلٍ - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَسَأَلَ عُمَرُ عَنْ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا حَتَّى تَطْهُرَ ثُمَّ تَحِيضَ حَيْضَةً أُخْرَى ثُمَّ تَطْهُرَ ثُمَّ يُطَلِّقَ بَعْدُ أَوْ يُمْسِكَ " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১০
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫২৯। আলী ইবনে হুজর সা’দী (রাহঃ) ......... ইবনে সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বিশ বছর আমি এ অবস্থায় অবস্থান করলাম যে, আমি অবিশ্বস্ত মনে করি না এমন লোক আমাকে এ মর্মে হাদীস শোনাচ্ছিল যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তিন তালাক দিয়েছিলেন। ফলে তাকে রাজ’আত করে নেয়ার জন্য তিনি আদিষ্ট হয়েছিলেন। আমি এ বর্ণনাকারীদের প্রতি অনাস্থা ও সন্দেহ পোষণ করছিলাম না অথচ আমি ছিলাম প্রকৃত হাদীসের পরিচয় লাভে বঞ্চিত। অবশেষে আমি আবু গাল্লাব ইউনুস ইবনে জুবাইর আল বাহিলী (রাহঃ) এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। তিনি ছিলেন বিশ্বস্ত ও অস্থাভাজন।
তিনি আমাকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি (নিজে) ইবনে উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি (ইবনে উমর) তাঁকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে তার হায়য চলাকালে এক তালাক দিয়েছিলেন। তখন তাকে রাজ’আত করে নেয়ার জন্য তিনি আদিষ্ট হলেন। আমি বললাম, তার সে তালাক কি গণ্য করা হয়েছিল? তিনি বললেন তবে? (ইবনে উমর) যদি অপারগ হয়ে থাকেন ও নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। (তাই বলে কি তা আগ্রাহ্য হবে)?
তিনি আমাকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি (নিজে) ইবনে উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি (ইবনে উমর) তাঁকে হাদীস বর্ণনা করলেন যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে তার হায়য চলাকালে এক তালাক দিয়েছিলেন। তখন তাকে রাজ’আত করে নেয়ার জন্য তিনি আদিষ্ট হলেন। আমি বললাম, তার সে তালাক কি গণ্য করা হয়েছিল? তিনি বললেন তবে? (ইবনে উমর) যদি অপারগ হয়ে থাকেন ও নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। (তাই বলে কি তা আগ্রাহ্য হবে)?
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ، سِيرِينَ قَالَ مَكَثْتُ عِشْرِينَ سَنَةً يُحَدِّثُنِي مَنْ لاَ أَتَّهِمُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا وَهْىَ حَائِضٌ فَأُمِرَ أَنْ يُرَاجِعَهَا فَجَعَلْتُ لاَ أَتَّهِمُهُمْ وَلاَ أَعْرِفُ الْحَدِيثَ حَتَّى لَقِيتُ أَبَا غَلاَّبٍ يُونُسَ بْنَ جُبَيْرٍ الْبَاهِلِيَّ . وَكَانَ ذَا ثَبَتٍ فَحَدَّثَنِي أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ عُمَرَ فَحَدَّثَهُ أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ تَطْلِيقَةً وَهْىَ حَائِضٌ فَأُمِرَ أَنْ يَرْجِعَهَا - قَالَ - قُلْتُ أَفَحُسِبَتْ عَلَيْهِ قَالَ فَمَهْ . أَوَإِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১১
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩০। আবুর রাবী ও কুতায়বা (রাহঃ) ......... (পূর্বোক্ত সনদের রাবী) আইয়ুব (রাহঃ) এর সূত্রে ঐ সনদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন ...... উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে হুকুম করলেন।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو الرَّبِيعِ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১২
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩১। আব্দুল ওয়ারিস ইবনে আব্দুস সামাদ (রাহঃ) ......... আইয়ুব (রাহঃ) এর সূত্রে এ সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। এ সনদের হাদীসে রাবী বলেছেন, পরে উমর (রাযিঃ) এ বিষয়ে নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়ার জন্য তাঁর (ইবনে উমরের) প্রতি আদেশ প্রদান করলেন। যাতে অবশেষে তাকে (স্ত্রীকে) সহবাসবিহীন তুহর (পবিত্র) অবস্থায় তালাক দিতে পারে। তিনি (নবী (ﷺ)) আরো বললেন, তার ইদ্দত (এর সময়) এর পূর্ব ভাগে তাকে তালাক দিবে।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، عَنْ أَيُّوبَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَسَأَلَ عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا حَتَّى يُطَلِّقَهَا طَاهِرًا مِنْ غَيْرِ جِمَاعٍ وَقَالَ " يُطَلِّقُهَا فِي قُبُلِ عِدَّتِهَا " .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৩২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১৩
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩২। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম আদু দাওরাকী (রাহঃ) ......... (মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন সূত্রে) ইউনুস ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বললামঃ এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তাকে তালাক দিল। তিনি বললেন, তুমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে জান কি সে তাঁর স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিয়েছিল? তখন উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে হুকুম করলেন যে, সে (ইবনে উমর) তাকে (স্ত্রী) রাজ’আত করে নিবে। এরপর তার ইদ্দতের (নিশ্চয়তাযুক্ত সময়ের) প্রতীক্ষায় থাকবে।
ইউনূস (রাহঃ) বলেন, তখন আমি তাকে (ইবনে উমরকে) বললাম, কোন পুরুষ যখন তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিবে তখন ঐ তালাকটি হিসাবে গণনা করা হবে কি? তিনি বললেনঃ তবে আর কি? যদি নাকি সে অক্ষম হয় গিয়ে থাকে কিংবা বোকামী করে থাকে (তাহলে কি তার একাজের পরিণতি দেখা দিবে না)?
ইউনূস (রাহঃ) বলেন, তখন আমি তাকে (ইবনে উমরকে) বললাম, কোন পুরুষ যখন তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিবে তখন ঐ তালাকটি হিসাবে গণনা করা হবে কি? তিনি বললেনঃ তবে আর কি? যদি নাকি সে অক্ষম হয় গিয়ে থাকে কিংবা বোকামী করে থাকে (তাহলে কি তার একাজের পরিণতি দেখা দিবে না)?
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، سِيرِينَ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ رَجُلٌ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَقَالَ أَتَعْرِفُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَإِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ فَأَمَرَهُ أَنْ يَرْجِعَهَا ثُمَّ تَسْتَقْبِلَ عِدَّتَهَا . قَالَ فَقُلْتُ لَهُ إِذَا طَلَّقَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ أَتَعْتَدُّ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ فَقَالَ فَمَهْ أَوَإِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১৪
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩৩। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম- তখন সে হায়য অবস্থায় ছিল। তখন উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর নিকট গিয়ে তাঁর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলেন। নবী (ﷺ) বললেনঃ সে যেন তাকে রাজ’আত করে নেয়। পরে যখন সে (হায়য হতে) পবিত্র হবে তখন ইচ্ছা করলে তাকে তালাক দিরে।
ইউনুস (রাহঃ) বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বললাম, সে (তালাক) টি কি হিসাব করা হবে? তিনি বললেন, কোন বিষয় তাকে বাধা দিবে- বলত যদি সে অপারগ হয়ে থাকে এবং আহাম্মুকি করে থাকে (তবে কি তা গণ্য করা হবে না)?
ইউনুস (রাহঃ) বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বললাম, সে (তালাক) টি কি হিসাব করা হবে? তিনি বললেন, কোন বিষয় তাকে বাধা দিবে- বলত যদি সে অপারগ হয়ে থাকে এবং আহাম্মুকি করে থাকে (তবে কি তা গণ্য করা হবে না)?
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ جُبَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي وَهْىَ حَائِضٌ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لِيُرَاجِعْهَا . فَإِذَا طَهَرَتْ فَإِنْ شَاءَ فَلْيُطَلِّقْهَا " . قَالَ فَقُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ أَفَاحْتَسَبْتَ بِهَا قَالَ مَا يَمْنَعُهُ . أَرَأَيْتَ إِنْ عَجَزَ وَاسْتَحْمَقَ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১৫
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩৪। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে সীরীন (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে তার সে স্ত্রী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যাকে তিনি তালাক দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, তাকে আমি তালাক দিয়েছিলাম- যখন সে হায়য অবস্থায় ছিল। আমি বিষয়টি উমর (রাযিঃ) এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি তা নবী (ﷺ) কে জানালেন। তখন নবী (ﷺ) বললেন, তাকে আদেশ কর সে যেন তার স্ত্রীকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়। পরে যখন সে পাক হবে তখন যেন সে (ইচ্ছা করলে) তার পাক অবস্থায় তাকে তালাক দেয়। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, তবে কি হায়য অবস্থায় প্রদত্ত তালাকটি কি আপনি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, আমি কেন সেটা গণনায় ধরবো না? যদি আমি অক্ষম হই অথবা নির্বুদ্ধিতা প্রকাশ করি (তাহলে কি আমার এ কাজ গণনায় আসবে না)?
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ، سِيرِينَ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنِ امْرَأَتِهِ الَّتِي، طَلَّقَ فَقَالَ طَلَّقْتُهَا وَهْىَ حَائِضٌ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ فَذَكَرَهُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا فَإِذَا طَهَرَتْ فَلْيُطَلِّقْهَا لِطُهْرِهَا " . قَالَ فَرَاجَعْتُهَا ثُمَّ طَلَّقْتُهَا لِطُهْرِهَا . قُلْتُ فَاعْتَدَدْتَ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ الَّتِي طَلَّقْتَ وَهْىَ حَائِضٌ قَالَ مَا لِيَ لاَ أَعْتَدُّ بِهَا وَإِنْ كُنْتُ عَجَزْتُ وَاسْتَحْمَقْتُ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১৬
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩৫। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দই। উমর (রাযিঃ) বিষয়টি নবী (ﷺ) এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তাঁকে আদেশ কর সে যেন তার স্ত্রীকে রাজআত করে। পরে যখন সে পবিত্র হবে তখন যেন সে (ইচ্ছা করলে) তাকে পবিত্র অবস্থায় তালাক দেয়। আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বললাম, তবে কি হায়য অবস্থায় প্রদত্ত তালাকটি কি আপনি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, তবে?
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ طَلَّقْتُ امْرَأَتِي وَهْىَ حَائِضٌ فَأَتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ " مُرْهُ فَلْيُرَاجِعْهَا ثُمَّ إِذَا طَهَرَتْ فَلْيُطَلِّقْهَا " . قُلْتُ لاِبْنِ عُمَرَ أَفَاحْتَسَبْتَ بِتِلْكَ التَّطْلِيقَةِ قَالَ فَمَهْ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১৭
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩৬। ইয়াহয়া ইবনে হাবীব ও আব্দুর রহমান ইবনে বিশর (রাহঃ) ......... (পূর্বোক্ত সনদের ন্যায়) শু’বা (রাহঃ) সূত্রে এ সনদে রিওয়ায়াত করেছেন। তবে এ দু-জনের হাদীসে يُرَاجِعْهَا স্থলে لِيَرْجِعْهَا রয়েছে এবং এদের হাদীসে আরো রয়েছে যে, আনাস (রাহঃ) বলেন, আমি বললাম, আপনি কি সেটি হিসাবে ধরবেন? তিনি বললেন, তবে?
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ، بِشْرٍ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِهِمَا " لِيَرْجِعْهَا " . وَفِي حَدِيثِهِمَا قَالَ قُلْتُ لَهُ أَتَحْتَسِبُ بِهَا قَالَ فَمَهْ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১৮
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩৭। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... ইবনে তাউস (রাহঃ) এর পিতা (তাউস) সূত্রে বর্ণিত যে, তিনি স্ত্রীকে হায়য অবস্হায় তালাক প্রদানকারী পুরুষ (এর মাসআলা) সম্পর্কে ইবনে উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসিত হতে শুনলেন। তখন ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, তুমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর কে জান কি? লোকটি বলল, হ্যাঁ। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, সে তো তার স্ত্রীকে হায়য অবস্থায় তালাক দিয়েছিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর নিকট গিয়ে তাকে সংবাদ অবহিত করলে তিনি তাকে (স্ত্রীকে) পুনঃগ্রহণ করে নেয়ার জন্য তাঁকে আদেশ প্রদান করলেন। ইবনে তাউস (রাহঃ) বলেন, আমি তাঁকে (অর্থাৎ তার পিতাকে) এর অধিক বলতে শুনি নি।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ، يُسْأَلُ عَنْ رَجُلٍ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ حَائِضًا فَقَالَ أَتَعْرِفُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَإِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ حَائِضًا فَذَهَبَ عُمَرُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُرَاجِعَهَا قَالَ لَمْ أَسْمَعْهُ يَزِيدُ عَلَى ذَلِكَ لأَبِيهِ.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-১৯
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩৮। হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু যুবাইর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, আযযার মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) আব্দুর রহমান ইবনে আয়মান (রাহঃ) কে ইবনে উমর (রাযিঃ) এর কাছে প্রশ্ন করতে শুনলেন, আবু যুবাইর তখন শুনছিলেন- যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার হায়য অবস্থায় তালাক দিল তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে ইবনে উমর (রাযিঃ) তার স্ত্রীকে তালাক দিল যখন সে ঋতুবতী ছিল। উমর (রাযিঃ) এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) তার স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তাকে তালাক দিয়েছে।
নবী (ﷺ) তাকে বললেন, সে যেন তাকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়। সুতরাং (এভাবে) তিনি তাকে (স্ত্রীকে) ফিরিয়ে নিলেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) আরো বললেন, যখন (হায়য হতে) পবিত্র হয়ে যাবে তখন (ইচ্ছে করলে) যেন তালাক দেয় কিংবা রেখে দেয়। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, এবং (এ সময়) নবী (ﷺ) তিলাওয়াত করলেনঃيَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ (হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের তালাক করার ইচ্ছা করবেন তাদের তালাক দিও তাদের ইদ্দতের (সময় আগমনের) অগ্রভাগে (সূরা আত তালাকঃ ১)।
নবী (ﷺ) তাকে বললেন, সে যেন তাকে পুনঃগ্রহণ করে নেয়। সুতরাং (এভাবে) তিনি তাকে (স্ত্রীকে) ফিরিয়ে নিলেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) আরো বললেন, যখন (হায়য হতে) পবিত্র হয়ে যাবে তখন (ইচ্ছে করলে) যেন তালাক দেয় কিংবা রেখে দেয়। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, এবং (এ সময়) নবী (ﷺ) তিলাওয়াত করলেনঃيَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ (হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদের তালাক করার ইচ্ছা করবেন তাদের তালাক দিও তাদের ইদ্দতের (সময় আগমনের) অগ্রভাগে (সূরা আত তালাকঃ ১)।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَيْمَنَ، مَوْلَى عَزَّةَ يَسْأَلُ ابْنَ عُمَرَ وَأَبُو الزُّبَيْرِ يَسْمَعُ ذَلِكَ كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ حَائِضًا فَقَالَ طَلَّقَ ابْنُ عُمَرَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ عُمَرُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ وَهْىَ حَائِضٌ . فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لِيُرَاجِعْهَا " . فَرَدَّهَا وَقَالَ " إِذَا طَهَرَتْ فَلْيُطَلِّقْ أَوْ لِيُمْسِكْ " . قَالَ ابْنُ عُمَرَ وَقَرَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ فِي قُبُلِ عِدَّتِهِنَّ .

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১-২০
১. সম্মতি ব্যতীত ঋতুবতীকে তালাক প্রদান হারাম, যদি তালাক দেয় তবে তালাক হয়ে যাবে এবং তালাক প্রদানকারীকে রাজ’আতের নির্দেশ দিতে হবে
৩৫৩৯। হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে পূর্বোক্ত বর্ণনার ন্যায় রিওয়ায়াতে করেছেন।
باب تَحْرِيمِ طَلاَقِ الْحَائِضِ بِغَيْرِ رِضَاهَا وَأَنَّهُ لَوْ خَالَفَ وَقَعَ الطَّلاَقُ وَيُؤْمَرُ بِجْعَتِهَا
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، . نَحْوَ هَذِهِ الْقِصَّةِ .

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: