আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
المسند الصحيح لمسلم
১৭- বিবাহ-শাদীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৩২৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৪-১
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮০। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর আল হামদানী (রাহঃ) ......... কায়স (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে জিহাদে অংশ গ্রহণ করতাম এবং আমাদের সঙ্গে আমাদের স্ত্রীগণ থাকত না। আমরা বললাম, আমরা কি খাসী হব না? তিনি আমাদের তা থেকে নিষেধ করলেন। তারপর তিনি পরিধেয় বস্ত্র দানের বিনিময়ে আমাদের নির্দিষ্ট কালের জন্য নারীদের বিবাহ করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) পাঠ করলেনঃ ″হে মুমিনগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সেই সমুদয়কে তোমরা হারাম করো না এবং সীমালংঘন করো না আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের পছন্দ করেন না।″ (সূরা মায়িদাঃ ৮৭)
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي وَوَكِيعٌ، وَابْنُ، بِشْرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ لَنَا نِسَاءٌ فَقُلْنَا أَلاَ نَسْتَخْصِي فَنَهَانَا عَنْ ذَلِكَ ثُمَّ رَخَّصَ لَنَا أَنْ نَنْكِحَ الْمَرْأَةَ بِالثَّوْبِ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ قَرَأَ عَبْدُ اللَّهِ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلاَ تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ) .
হাদীস নং: ৩২৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৪-২
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮১। উসমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইসমাঈল ইবনে আবু খালিদ (রাহঃ) থেকে এই সনদে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তারপর তিনি উক্ত আয়াত পাঠ করলেন। তিনি বলেন নি যে, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) পাঠ করলেন।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ وَقَالَ ثُمَّ قَرَأَ عَلَيْنَا هَذِهِ الآيَةَ . وَلَمْ يَقُلْ قَرَأَ عَبْدُ اللَّهِ .
হাদীস নং: ৩২৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৪-৩
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইসমাঈল (রাহঃ) থেকে এই সূত্রে উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এতে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমরা ছিলাম যুবক। তাই আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি খাসী হব না? এতে ’জিহাদ’ শব্দের উল্লেখ নাই।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ كُنَّا وَنَحْنُ شَبَابٌ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَسْتَخْصِي وَلَمْ يَقُلْ نَغْزُو .
হাদীস নং: ৩২৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৫-১
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ও সালামা ইবনুল আকওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, আমাদের সামনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘোষক বেরিয়ে এসে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তোমাদের মুত’আ বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَسَنَ بْنَ مُحَمَّدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالاَ خَرَجَ عَلَيْنَا مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَذِنَ لَكُمْ أَنْ تَسْتَمْتِعُوا . يَعْنِي مُتْعَةَ النِّسَاءِ .
হাদীস নং: ৩২৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৫-২
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮৪। উমাইয়া ইবনে বিসতাম আল আয়শী (রাহঃ) ......... সালামা ইবনুল আকওয়া (রাযিঃ) ও জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকট এলেন এবং আমাদের মুত’আর (সাময়িক বিবাহের) অনুমতি দিলেন।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامَ الْعَيْشِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ زُرَيْعٍ - حَدَّثَنَا رَوْحٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْقَاسِمِ - عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَانَا فَأَذِنَ لَنَا فِي الْمُتْعَةِ .
হাদীস নং: ৩২৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৫-৩
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮৫। হাসান হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) বলেন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) উমরা পালন করতে এলেন। তখন আমরা তাঁর আবাসে তাঁর নিকট গেলাম। লোকেরা তাঁর নিকট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করল। অতঃপর তারা মুত’আর উল্লেখ করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে এবং আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) এর যুগে মুতআ (বিবাহ) করেছি।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ قَالَ عَطَاءٌ قَدِمَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مُعْتَمِرًا فَجِئْنَاهُ فِي مَنْزِلِهِ فَسَأَلَهُ الْقَوْمُ عَنْ أَشْيَاءَ ثُمَّ ذَكَرُوا الْمُتْعَةَ فَقَالَ نَعَمِ اسْتَمْتَعْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ .
হাদীস নং: ৩২৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৫-৪
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮৬। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) ......... আবু যুবাইর (রাহঃ) বলেন, আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছিঃ আমরা এক মুঠো খেজুর অথবা ময়দার বিনিময়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে এবং আবু বকর (রাযিঃ) এর যুগে মুতআ বিবাহ করতাম। শেষ পর্যন্ত উমর (রাযিঃ) আমর ইবনে হুরায়সের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তা নিষিদ্ধ করেছেন।*
*আমর ইবনে হুরায়স কূফায় এসে তার মুক্তদাসীকে মুত'আ বিবাহ করেন। এর ফলে সে গর্ভবতী হলে তাকে নিয়ে তিনি উমর ফারুক (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হন, এই সময় উমর ফারুক (রাযিঃ) কঠোরভাবে মুত'আ বিবাহ নিষিদ্ধ করেন (অনুচ্ছেদের সমাপ্তিতে বিস্তারিত আলোচনা দ্র)
*আমর ইবনে হুরায়স কূফায় এসে তার মুক্তদাসীকে মুত'আ বিবাহ করেন। এর ফলে সে গর্ভবতী হলে তাকে নিয়ে তিনি উমর ফারুক (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হন, এই সময় উমর ফারুক (রাযিঃ) কঠোরভাবে মুত'আ বিবাহ নিষিদ্ধ করেন (অনুচ্ছেদের সমাপ্তিতে বিস্তারিত আলোচনা দ্র)
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا نَسْتَمْتِعُ بِالْقُبْضَةِ مِنَ التَّمْرِ وَالدَّقِيقِ الأَيَّامَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ حَتَّى نَهَى عَنْهُ عُمَرُ فِي شَأْنِ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৫-৫
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮৭। হামিদ ইবনে উমর বাকারাবী (রাহঃ) ......... আবু নাদরাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এক ব্যক্তি তার নিকট এসে বলল, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ও ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) দুই প্রকারের মুতআ (তামাত্তু হজ্জ ও মুতআ বিবাহ) নিয়ে পরস্পর মতবিরোধ করেছেন। তখন জাবির (রাযিঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপস্থিতে দুই প্রকারের মুত’আই করেছি। অতঃপর উমর (রাযিঃ) আমাদের এই উভয়টই করতে নিষেধ করলেন। অতএব আমরা তা আর করি নি।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ عُمَرَ الْبَكْرَاوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، - يَعْنِي ابْنَ زِيَادٍ - عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَأَتَاهُ آتٍ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَابْنُ الزُّبَيْرِ اخْتَلَفَا فِي الْمُتْعَتَيْنِ فَقَالَ جَابِرٌ فَعَلْنَاهُمَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَهَانَا عَنْهُمَا عُمَرُ فَلَمْ نَعُدْ لَهُمَا .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৫-৬
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮৮। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... ইয়াস ইবনে সালামা (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (পিতা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আওতাস যুদ্ধের বছর তিন দিনের জন্য মুতআ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলেন। তারপর তিনি তা নিষিদ্ধ করেন।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْسٍ، عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ أَوْطَاسٍ فِي الْمُتْعَةِ ثَلاَثًا ثُمَّ نَهَى عَنْهَا .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩২৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-১
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৮৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... রাবী ইবনে সাবরা আল-জুহানী (রাহঃ) থেকে তাঁর পিতা সাবরা (রাযিঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মুত’আর অনুমতি দিলেন। তারপর আমি ও অপর এক ব্যক্তি বনু আমির গোত্রের একটি মহিলার নিকট গেলাম। সে ছিল দেখতে লম্বা ঘাড় বিশিষ্ট তরুণ উটের ন্যায়। আমরা নিজেদেরকে তার নিকট (মুতআ বিবাহের জন্য) পেশ করলাম। সে বলল, আমাকে কি দেবে? আমি বললাম, আমার চাঁদর। আমার সাথীও বলল, আমার চাঁদর। আমার চাঁদরের তুলনায় আমার সঙ্গীর চাঁদরটি ছিল উৎকৃষ্টতর; কিন্তু আমি ছিলাম তুলনায় কম বয়সের যূবক। সে যখন আমার সঙ্গীর চাঁদরের প্রতি তাকায় তখন তা তার পছন্দ হয় এবং বলল, তুমি এবং তোমার চাঁদরই আমার জন্য যথেষ্ট। অতএব আমি তার সাথে তিন দিন অতিবাহিত করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কারো কাছে মুত’আ বিবাহের সূত্রে কোন স্ত্রীলোক থাকলে সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয় (ত্যাগ করে)।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، سَبْرَةَ أَنَّهُ قَالَ أَذِنَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمُتْعَةِ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَرَجُلٌ إِلَى امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي عَامِرٍ كَأَنَّهَا بَكْرَةٌ عَيْطَاءُ فَعَرَضْنَا عَلَيْهَا أَنْفُسَنَا فَقَالَتْ مَا تُعْطِي فَقُلْتُ رِدَائِي . وَقَالَ صَاحِبِي رِدَائِي . وَكَانَ رِدَاءُ صَاحِبِي أَجْوَدَ مِنْ رِدَائِي وَ كُنْتُ أَشَبَّ مِنْهُ فَإِذَا نَظَرَتْ إِلَى رِدَاءِ صَاحِبِي أَعْجَبَهَا وَإِذَا نَظَرَتْ إِلَىَّ أَعْجَبْتُهَا ثُمَّ قَالَتْ أَنْتَ وَرِدَاؤُكَ يَكْفِينِي . فَمَكَثْتُ مَعَهَا ثَلاَثًا ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَىْءٌ مِنْ هَذِهِ النِّسَاءِ الَّتِي يَتَمَتَّعُ فَلْيُخَلِّ سَبِيلَهَا " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-২
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯০। আবু কামিল ফূযায়ল ইবনে হুসাইন জাহদারী (রাহঃ) ......... রাবী ইবনে সাবরা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁর পিতা মক্কা বিজয়াভিযানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমরা তথায় পূর্ণ ১৫ দিন অর্থাৎ ত্রিশটি দিবারাত্র অবস্থান করি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মুত’আর অনুমতি দিলেন। তখন আমি ও আমার গোত্রের এক ব্যক্তি বেরিয়ে পড়লাম। আমি তার তুলনায় আকর্ষনীয় চেহারার অধিকারী ছিলাম এবং সে ছিল প্রায় কুৎসিত। আমাদের উভয়ের সাথে একটি করে চাঁদর ছিল। আমার চাঁদরটি ছিল পূরাতন এবং আমার চাচাতো ভাইয়ের চাঁদরটি ছিল সম্পূর্ণ নতুন।
অবশেষে আমরা মক্কার নিম্নভূমিতে অথবা উচ্চভূমিতে পৌঁছে একটি যুবতী মেয়ের সাক্ষাত পেলাম, যাকে দেখতে অনেকটা উঠতি বয়সের চালক এবং লম্বা ঘাড় বিশিষ্ট উটের মত। আমরা প্রস্তাব দিলাম, আমাদের দু’জনের কারো সাথে তোমার মুতআ বিবাহ কি সম্ভব? সে বলল, তোমরা কী বিনিময় দিবে? তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ চাঁদর মেলে ধরল। সে তাদের উভয়ের দিকে তাকাতে লাগল। আমার সঙ্গীও তার দিকে তাকাল। সে তার সর্বাঙ্গ লক্ষ্য করে বলল, তার এই চাঁদর পুরাতন এবং আমার চাঁদর একেবারে নতুন। স্ত্রীলোকটি তিনবার কি চারবার বলল, তার চাঁদরটি গ্রহণে কোন ক্ষতি নেই। অতঃপর আমি তকে মুতআ বিবাহ করলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা হারাম ঘোষণা না করা পর্যন্ত ফিরে আসি নি।
অবশেষে আমরা মক্কার নিম্নভূমিতে অথবা উচ্চভূমিতে পৌঁছে একটি যুবতী মেয়ের সাক্ষাত পেলাম, যাকে দেখতে অনেকটা উঠতি বয়সের চালক এবং লম্বা ঘাড় বিশিষ্ট উটের মত। আমরা প্রস্তাব দিলাম, আমাদের দু’জনের কারো সাথে তোমার মুতআ বিবাহ কি সম্ভব? সে বলল, তোমরা কী বিনিময় দিবে? তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ চাঁদর মেলে ধরল। সে তাদের উভয়ের দিকে তাকাতে লাগল। আমার সঙ্গীও তার দিকে তাকাল। সে তার সর্বাঙ্গ লক্ষ্য করে বলল, তার এই চাঁদর পুরাতন এবং আমার চাঁদর একেবারে নতুন। স্ত্রীলোকটি তিনবার কি চারবার বলল, তার চাঁদরটি গ্রহণে কোন ক্ষতি নেই। অতঃপর আমি তকে মুতআ বিবাহ করলাম এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা হারাম ঘোষণা না করা পর্যন্ত ফিরে আসি নি।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ - حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتْحَ مَكَّةَ قَالَ فَأَقَمْنَا بِهَا خَمْسَ عَشْرَةَ - ثَلاَثِينَ بَيْنَ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ - فَأَذِنَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مُتْعَةِ النِّسَاءِ فَخَرَجْتُ أَنَا وَرَجُلٌ مِنْ قَوْمِي وَلِي عَلَيْهِ فَضْلٌ فِي الْجَمَالِ وَهُوَ قَرِيبٌ مِنَ الدَّمَامَةِ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنَّا بُرْدٌ فَبُرْدِي خَلَقٌ وَأَمَّا بُرْدُ ابْنِ عَمِّي فَبُرْدٌ جَدِيدٌ غَضٌّ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِأَسْفَلِ مَكَّةَ أَوْ بِأَعْلاَهَا فَتَلَقَّتْنَا فَتَاةٌ مِثْلُ الْبَكْرَةِ الْعَنَطْنَطَةِ فَقُلْنَا هَلْ لَكِ أَنْ يَسْتَمْتِعَ مِنْكِ أَحَدُنَا قَالَتْ وَمَاذَا تَبْذُلاَنِ فَنَشَرَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَّا بُرْدَهُ فَجَعَلَتْ تَنْظُرُ إِلَى الرَّجُلَيْنِ وَيَرَاهَا صَاحِبِي تَنْظُرُ إِلَى عِطْفِهَا فَقَالَ إِنَّ بُرْدَ هَذَا خَلَقٌ وَبُرْدِي جَدِيدٌ غَضٌّ . فَتَقُولُ بُرْدُ هَذَا لاَ بَأْسَ بِهِ . ثَلاَثَ مِرَارٍ أَوْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ اسْتَمْتَعْتُ مِنْهَا فَلَمْ أَخْرُجْ حَتَّى حَرَّمَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-৩
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯১। আহমাদ ইবনে সাঈদ ইবনে সাখর দারিমী (রাহঃ) ......... সাবরা জুহানী (রাযিঃ) বলেন, আমরা মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মক্কায় রওয়ানা হলাম ...... বাকী অংশ উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে রয়েছে, স্ত্রীলোকটি বলল, “এটা কি ঠিক হবে? তার চাঁদরটি পুরাতন ও ছেঁড়া।”
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، حَدَّثَنِي الرَّبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفَتْحِ إِلَى مَكَّةَ . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ بِشْرٍ . وَزَادَ قَالَتْ وَهَلْ يَصْلُحُ ذَاكَ وَفِيهِ قَالَ إِنَّ بُرْدَ هَذَا خَلَقٌ مَحٌّ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-৪
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯২। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... সাবরা (রাযিঃ) বলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদেরকে স্ত্রীলোকদের সাথে মুত’আ বিবাহের অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু অচিরেই আল্লাহ তাআলা তা হারাম করেছেন, কিয়ামতের দিন পর্যন্ত। অতএব যার নিকট এই ধরনের বিবাহ সূত্রে কোন স্ত্রীলোক আছে, সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয়। আর তোমরা তাদের যা কিছু দিয়েছ তা কেড়ে রেখে দিও না।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنِي الرَّبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ كُنْتُ أَذِنْتُ لَكُمْ فِي الاِسْتِمْتَاعِ مِنَ النِّسَاءِ وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ ذَلِكَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ مِنْهُنَّ شَىْءٌ فَلْيُخَلِّ سَبِيلَهُ وَلاَ تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا" .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-৫
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুল আযীয ইবনে উমর (রাহঃ) থেকে এই সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, সাবরা জুহানী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে (কাবার) দরজা ও রুকনের মাঝে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি ...... বাকী অংশ উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا بَيْنَ الرُّكْنِ وَالْبَابِ وَهُوَ يَقُولُ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩২৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-৬
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৪। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আব্দুল মালিক ইবনে রাবী ইবনে সাবরা জুহানী (রাহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর আমাদের মক্কায় প্রবেশকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মুত’আ বিবাহের অনুমতি দান করেন। তিনি আমাদের তা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত (নারী সঙ্গ ত্যাগ করে) বের হয়ে আসি নি।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمُتْعَةِ عَامَ الْفَتْحِ حِينَ دَخَلْنَا مَكَّةَ ثُمَّ لَمْ نَخْرُجْ مِنْهَا حَتَّى نَهَانَا عَنْهَا.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-৭
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৫। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... সাবরা ইবনে মা’বাদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) মক্কা বিজয়ের বছর তাঁর সাহাবীগণকে স্ত্রীলোকদের সাথে মুতআর অনুমতি দেন। সাবরা (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি এবং সুলায়ম গোত্রের আমার এক সাথী বের হয়ে পড়লাম এবং শেষ পর্যন্ত আমির গোত্রের এক যুবতীকে পেয়ে গেলাম। সে জোয়ান উটের ন্যায়। আমরা তার নিকট মুত’আ বিবাহের প্রস্তাব দিলাম এবং আমাদের চাঁদর তার সামনে পেশ করলাম। তখন সে তাকিয়ে দেখল এবং আমাকে আমার সঙ্গীর তুলনায় সুন্দর দেখতে পেল, অপরদিকে আমার চাঁদরের তুলনায় আমার সঙ্গীর চাঁদর উৎকৃষ্টতর দেখল। সে মনে মনে কিছুক্ষণ চিন্তা করল তারপর আমার সঙ্গীর চাইতে আমাকে অগ্রাধিকার দিল। তারা আমাদের সাথে তিন দিন থাকল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের পরিত্যাগ করতে আমাদের নির্দেশ দিলেন।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي رَبِيعَ بْنَ سَبْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ أَمَرَ أَصْحَابَهُ بِالتَّمَتُّعِ مِنَ النِّسَاءِ - قَالَ - فَخَرَجْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ حَتَّى وَجَدْنَا جَارِيَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ كَأَنَّهَا بَكْرَةٌ عَيْطَاءُ فَخَطَبْنَاهَا إِلَى نَفْسِهَا وَعَرَضْنَا عَلَيْهَا بُرْدَيْنَا فَجَعَلَتْ تَنْظُرُ فَتَرَانِي أَجْمَلَ مِنْ صَاحِبِي وَتَرَى بُرْدَ صَاحِبِي أَحْسَنَ مِنْ بُرْدِي فَآمَرَتْ نَفْسَهَا سَاعَةً ثُمَّ اخْتَارَتْنِي عَلَى صَاحِبِي فَكُنَّ مَعَنَا ثَلاَثًا ثُمَّ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِفِرَاقِهِنَّ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-৮
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৬। আমরূন নাকিদ (রাহঃ) ......... রাবী ইবনে সাবরা (রাহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী (ﷺ) মুত’আ (বিবাহ) করতে নিষেধ করেছেন।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ نِكَاحِ الْمُتْعَةِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-৯
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... রাবী ইবনে সাবরা (রাহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন মুত’আ নিষিদ্ধ করেন।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الرَّبِيعِ، بْنِ سَبْرَةَ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى يَوْمَ الْفَتْحِ عَنْ مُتْعَةِ النِّسَاءِ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-১০
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৮। হাসান আল হুলওয়ানী (রাহঃ) ......... রাবী ইবনে সাবরা জুহানী (রাহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের কালে স্ত্রীলোকদের সাথে মুতআ করতে নিষেধ করেছেন। তাঁর পিতা দুটি লাল চাঁদরের বিনিময়ে মুত’আ করেছিলেন।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنِيهِ حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُتْعَةِ زَمَانَ الْفَتْحِ مُتْعَةِ النِّسَاءِ وَأَنَّ أَبَاهُ كَانَ تَمَتَّعَ بِبُرْدَيْنِ أَحْمَرَيْنِ.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬-১১
- বিবাহ-শাদীর অধ্যায়
৩. মুত’আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৯। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) মক্কায় (ভাষণ দিতে) দাঁড়িয়ে বললেন, কিছু লোক এমন আছে আল্লাহ যেমন তাদের চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন তেমনি অন্তরকেও অন্ধ করে দিয়েছেন। তারা মুতআর পক্ষে ফাতওয়া দেয়। একথা বলে তিনি এক ব্যক্তির প্রতি ইঙ্গিত করলেন। সে ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)। তিনি তাঁকে ডাক দিয়ে বললেন, তুমি একটি অসভ্য ও রুঢ় ব্যক্তি। আমার জীবনের শপথ! ইমামুল মুত্তাকীন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে মুত’আ প্রচলিত ছিল। ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) তাকে বললেন, আপনি নিজে একবার করে দেখুন। আল্লাহর শপথ! আপনি যদি তা (মুতআ) করেন তাহলে আপনার জন্য নির্ধারিত পাথর দিয়েই আপনাকে রজম (পাথর নিক্ষেপে হত্যা) করব।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, খালিদ ইবনুল মুহাজির ইবনে সায়ফুল্লাহ (রাহঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি এক ব্যক্তির নিকট বসাছিলেন। এই সময় এক ব্যক্তি এসে তাকে মুত’আ সম্পর্কে ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করে। তিনি তাকে মুতআর অনুমতি দিলেন। ইবনে আবু উমরা আনসারী (রাযিঃ) তাকে বললেন, থামুন। সে বলল, কেন? আল্লাহর শপথ! ইমামুল মুত্তাকীন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে তা করা হত। ইবনে আবু উমরা (রাযিঃ) বললেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে নিরূপায় অবস্থায় তার অনুমতি ছিল (যেমন নিরূপায় অবস্থায়) মৃত জীব, রক্ত ও শুকরের (গোশত ভক্ষণের) ন্যায়। অতঃপর আল্লাহ তার দ্বীনকে শক্তিশালী এবং সুদৃড় করলেন এবং তা নিষিদ্ধ করলেন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাবী ইবনে সাবরা জুহানী আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁর পিতা বলেছেন, নবী (ﷺ) এর যুগে আমি দুটি লাল চাঁদরের বিনিময়ে আমির গোত্রের একটি স্ত্রীলোকের সাথে মুত’আ করেছিলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মুত’আ করতে নিষেধ করেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) আরও বলেন, আমি রাবী ইবনে সাবরাকে উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) এর নিকট তা বর্ণনা করতে শুনেছি, আমি তখন (সেখানে) বসা ছিলাম।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, খালিদ ইবনুল মুহাজির ইবনে সায়ফুল্লাহ (রাহঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি এক ব্যক্তির নিকট বসাছিলেন। এই সময় এক ব্যক্তি এসে তাকে মুত’আ সম্পর্কে ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করে। তিনি তাকে মুতআর অনুমতি দিলেন। ইবনে আবু উমরা আনসারী (রাযিঃ) তাকে বললেন, থামুন। সে বলল, কেন? আল্লাহর শপথ! ইমামুল মুত্তাকীন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে তা করা হত। ইবনে আবু উমরা (রাযিঃ) বললেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে নিরূপায় অবস্থায় তার অনুমতি ছিল (যেমন নিরূপায় অবস্থায়) মৃত জীব, রক্ত ও শুকরের (গোশত ভক্ষণের) ন্যায়। অতঃপর আল্লাহ তার দ্বীনকে শক্তিশালী এবং সুদৃড় করলেন এবং তা নিষিদ্ধ করলেন।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাবী ইবনে সাবরা জুহানী আমাকে জানিয়েছেন যে, তাঁর পিতা বলেছেন, নবী (ﷺ) এর যুগে আমি দুটি লাল চাঁদরের বিনিময়ে আমির গোত্রের একটি স্ত্রীলোকের সাথে মুত’আ করেছিলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মুত’আ করতে নিষেধ করেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) আরও বলেন, আমি রাবী ইবনে সাবরাকে উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) এর নিকট তা বর্ণনা করতে শুনেছি, আমি তখন (সেখানে) বসা ছিলাম।
كتاب النكاح
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، قَامَ بِمَكَّةَ فَقَالَ إِنَّ نَاسًا - أَعْمَى اللَّهُ قُلُوبَهُمْ كَمَا أَعْمَى أَبْصَارَهُمْ - يُفْتُونَ بِالْمُتْعَةِ - يُعَرِّضُ بِرَجُلٍ - فَنَادَاهُ فَقَالَ إِنَّكَ لَجِلْفٌ جَافٍ فَلَعَمْرِي لَقَدْ كَانَتِ الْمُتْعَةُ تُفْعَلُ عَلَى عَهْدِ إِمَامِ الْمُتَّقِينَ - يُرِيدُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَجَرِّبْ بِنَفْسِكَ فَوَاللَّهِ لَئِنْ فَعَلْتَهَا لأَرْجُمَنَّكَ بِأَحْجَارِكَ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي خَالِدُ بْنُ الْمُهَاجِرِ بْنِ سَيْفِ اللَّهِ أَنَّهُ بَيْنَا هُوَ جَالِسٌ عِنْدَ رَجُلٍ جَاءَهُ رَجُلٌ فَاسْتَفْتَاهُ فِي الْمُتْعَةِ فَأَمَرَهُ بِهَا فَقَالَ لَهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيُّ مَهْلاً . قَالَ مَا هِيَ وَاللَّهِ لَقَدْ فُعِلَتْ فِي عَهْدِ إِمَامِ الْمُتَّقِينَ . قَالَ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ إِنَّهَا كَانَتْ رُخْصَةً فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ لِمَنِ اضْطُرَّ إِلَيْهَا كَالْمَيْتَةِ وَالدَّمِ وَلَحْمِ الْخِنْزِيرِ ثُمَّ أَحْكَمَ اللَّهُ الدِّينَ وَنَهَى عَنْهَا . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَأَخْبَرَنِي رَبِيعُ بْنُ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ أَنَّ أَبَاهُ قَالَ قَدْ كُنْتُ اسْتَمْتَعْتُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ بِبُرْدَيْنِ أَحْمَرَيْنِ ثُمَّ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمُتْعَةِ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَسَمِعْتُ رَبِيعَ بْنَ سَبْرَةَ يُحَدِّثُ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَنَا جَالِسٌ .
তাহকীক: