আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ৩১১০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-১
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১০। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেনঃ তোমার জাতির লোকদের কুফরি পরিত্যাগের যুগটি নিকটবর্তী না হলে আমি কাবাঘর ভেঙ্গে তা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিতের উপর পুনর্নিমাণ করতাম। কারণ কুরাইশগণ কাবাঘর নির্মাণের সময় এর আয়তন ছোট করে দিয়েছে। আর তার পেছনে একটি দরজা স্থাপন করতাম।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْلاَ حَدَاثَةُ عَهْدِ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ لَنَقَضْتُ الْكَعْبَةَ وَلَجَعَلْتُهَا عَلَى أَسَاسِ إِبْرَاهِيمَ فَإِنَّ قُرَيْشًا حِينَ بَنَتِ الْبَيْتَ اسْتَقْصَرَتْ وَلَجَعَلْتُ لَهَا خَلْفًا " .
হাদীস নং: ৩১১১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-২
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১১। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... হিশাম (রাহঃ) থেকে এ সনদে বর্ণিত।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
হাদীস নং: ৩১১২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-৩
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তুমি কি দেখনি যে, তোমার গোত্রের লোকেরা কাবাঘর নির্মাণের সময় তা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিত্তিগুলোর চেয়ে ছোট করে দেয়? আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি তা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিতের উপর পুনর্নিমান করতে চান?

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমরা কওমের কুফরী পরিত্যাগের যুগটি যদি নিকটতর না হতো (তরে তাই করতাম)। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, যদিও বা আয়িশা (রাযিঃ) তা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মুখে শুনে থাকেন। তবে আমি মনে করি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিজর (হাতীম) সংলগ্ন রুকন দুটি স্পর্শ করা কেবল এ কারণেই পরিত্যাগ করেছেন যে, বায়তুল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর গোটা ভিতের উপর পুননির্মিত হয়নি।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، أَخْبَرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلَمْ تَرَىْ أَنَّ قَوْمَكِ حِينَ بَنَوُا الْكَعْبَةَ اقْتَصَرُوا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ " . قَالَتْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ تَرُدُّهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْلاَ حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ لَفَعَلْتُ " . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَئِنْ كَانَتْ عَائِشَةُ سَمِعَتْ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أُرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرَكَ اسْتِلاَمَ الرُّكْنَيْنِ اللَّذَيْنِ يَلِيَانِ الْحِجْرَ إِلاَّ أَنَّ الْبَيْتَ لَمْ يُتَمَّمْ عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ .
হাদীস নং: ৩১১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-৪
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১৩। আবুত-তাহির ও হারুন ইবনে সাঈদ আয়লী (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা যদি জাহিলী যুগের কাছাকাছি না হতো অথবা নিকট অতীতে কুফরী ত্যাগ না করত, তবে আমি অবশ্যই কাবায় পুঞ্জীভূত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করতাম, এর দরজা ভূমির সমতলে স্থাপন করতাম এবং হাতীমকে কাবার অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ، ح وَحَدَّثَنِي هَارُونُ، بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ نَافِعًا، مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي قُحَافَةَ، يُحَدِّثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ - أَوْ قَالَ بِكُفْرٍ - لأَنْفَقْتُ كَنْزَ الْكَعْبَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَجَعَلْتُ بَابَهَا بِالأَرْضِ وَلأَدْخَلْتُ فِيهَا مِنَ الْحِجْرِ " .
হাদীস নং: ৩১১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-৫
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১৪। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে মিনাআ (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছিঃ আমার খালা আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে বলেছেন যে, নবী (ﷺ) বললেনঃ হে আয়িশা! তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা নিকট অতীতে শিরক পরিত্যাগ না করলে আমি কাবাঘর ভেঙ্গে এর ভিত ভূমির সমতলে স্থাপন করতাম। এর দুটি দরজা করতাম- একটি পূর্বদিকে, অপরটি পশ্চিমদিকে এবং আল-হিজার (হাতীম) এর ছয় গজ স্থান কাবার অন্তর্ভুক্ত করতাম। কেননা কুরাইশরা কাবা ঘর নির্মাণকালে এর ভিত ছোট করে দেয়।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنِي ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سَلِيمُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ سَعِيدٍ، - يَعْنِي ابْنَ مِينَاءَ - قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، يَقُولُ حَدَّثَتْنِي خَالَتِي، - يَعْنِي عَائِشَةَ - قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَائِشَةُ لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِشِرْكٍ لَهَدَمْتُ الْكَعْبَةَ فَأَلْزَقْتُهَا بِالأَرْضِ وَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ بَابًا شَرْقِيًّا وَبَابًا غَرْبِيًّا وَزِدْتُ فِيهَا سِتَّةَ أَذْرُعٍ مِنَ الْحِجْرِ فَإِنَّ قُرَيْشًا اقْتَصَرَتْهَا حَيْثُ بَنَتِ الْكَعْبَةَ " .
হাদীস নং: ৩১১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-৬
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১৫। হান্নাদ ইবনুল সারী (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়ার সময় কাবাঘর দগ্ধীভূত হয়েছিল- যখন সিরীয়া বাহিনী মক্কায় যুদ্ধে লিপ্ত ছিল (৬৩ হিজরী) এবং কাবার যা হবার তাই হল। হজ্জের মৌসুমে লোকদের আগমনের সময় আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কাবাকে এই অবস্থায় রেখে দিলেন। তার উদ্দেশ্যে ছিল লোকদেরকে উদ্দীপ্ত করা অথবা তাদের মধ্যে সিরীয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার মনোবল সৃষ্টি করা। লোকেরা সমবেত হলে তিনি বললেন, হে জনগণ! আমাকে কাবাঘর সম্পর্কে পরামর্শ দিন। আমি কি তা ভেঙ্গে ফেলে সম্পূর্ণ নতুনভাবে গড়ে তুলব, নাকি শুধু এর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করব?

ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আমার মনে একটি মতের উদয় হয়েছে, আমি মনে করি যে, শুধু ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তুমি মেরামত করবে এবং লোকদের ইসলাম গ্রহণ ও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নবুওয়াত লাভকালীন সময়ে কাবাঘর ও পাথরসমূহ যে অবস্থায় ছিল, তা সেই আবস্থায় রেখে দেবে। ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বললেন, আপনাদের কারো ঘর অগ্নিদগ্ধ হলে তা সংস্কার না করা পর্যন্ত তিনি স্বস্তি লাভ করতে পারেন না। অতএব আপনাদের প্রতিপালকের ঘর কি করে এরূপ জীর্ণ অবস্থায় রাখা যেতে পারে? আমি আমার রব এর কাছে তিন দিন ইস্তিখারা করব (অভিপ্রায় অবগত হওয়ার জন্য)। অতঃপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তিন দিন পর তিনি কাবাঘর ভেঙ্গে পূনর্নিমাণের দৃঢ় সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন।

লোকেরা আশঙ্কা করল যে, সর্ব প্রথম যে ব্যক্তি কাবার ছাদে উঠবে, সে হয়ত কোন আসমানী গযবে নিপতিত হবে। শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তি (ছাদ ভাঙ্গার জন্য) কাবার ছাদে উঠল এবং তার একটি পাথর নীচে ফেলল। লোকেরা যখন দেখল সে কোন বিপদে পড়েনি, তখন তারাও তাকে অনুসরণ করল এবং কাবাঘর ভেঙ্গে যমীনের সাথে মিশিয়ে দিল। অতঃপর ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) কতগুলো থাম স্থাপন করে এগুলোর সাথে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। অবশেষে কাবার দেওয়ালের গাঁথুনি উচ্চ হল।

ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বললেন, অবশ্যই আমি আয়িশা (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ “লোকেরা যদি নিকট অতীতে কুফরী ত্যাগ না করত এবং আমার নিকটও কাবাকে পুনর্নিমাণ করার মত অর্থ-সামর্থ্যও নেই- তাহলে আমি অবশ্যই আল-হিজার (হাতীম) এর পাঁচ গজ স্থান কাবা ঘরের অন্তর্ভুক্ত করতাম এবং লোকদের প্রবেশের জন্য ও বের হওয়ার জন্য এর দুটি দরজা বানাতাম।

ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বলেন, বর্তমানে আমার হাতে তা নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ আছে এবং লোকদের তরফ থেকেও কোন প্রতিবাদের আশঙ্কা নেই। রাবী বলেন, এরপর হাতীমের পাঁচ গজ এলাকা কাবার অন্তর্ভুক্ত করলেন। এভাবে তিনি (পুরাতন) ভিত উন্মোচন করলেন [যার উপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তা গড়েছিলেন] এবং লোকেরা তা অবলোকন করল। এই ভিতের উপর দেওয়াল গড়ে তোলা হল। কাবার দৈর্ঘ্য ছিল আঠার গজ। তা যখন (প্রস্থে) বাড়ানো হল, তখন (স্বাভাবিকভাবেই দৈর্ঘ্যে) তা ছোট হওয়ায় দৈর্ঘ্যে তা আরও দশ গজ বৃদ্ধি করা হল এবং এর দুটি দরজা নির্মাণ করা হল, একটি প্রবেশের জন্য এবং অপরটি প্রস্থানের জন্য।

ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) শহীদ হলে হাজ্জাজ (ইবনে ইউসূফ) আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানকে তা লিখে জানাল। সে আরও জানাল যে, ইবনে যুবাইর (কাবার ঘর) সেই ভিতের উপর নির্মাণ করেছে যা ছিল ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিত এবং মক্কার বিশ্বস্ত লোকেরা তা যাচাই করে দেখেছে। আব্দুল মালিক তাকে লিখে পাঠালেন যে, কোন বিষয়ে ইবনে যুবাইরকে অভিযুক্ত করার প্রয়োজন আমাদের নেই। সে দৈর্ঘ্যে যতইকু বর্ধিত করেছে, তা বহাল রাখ এবং হাতীমের দিকে যতটুকু বর্ধিত করেছে, তা ভেঙ্গে পূর্বাবস্থায় নিয়ে আসো। আর সে যে (নতুন) দরজা খুলেছে তা বন্ধ করে দাও। এরপর হাজ্জাজ তা ভেঙ্গে পূর্বের ভিতের উপর পুননির্মাণ করে।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ لَمَّا احْتَرَقَ الْبَيْتُ زَمَنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ حِينَ غَزَاهَا أَهْلُ الشَّامِ فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا كَانَ تَرَكَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ حَتَّى قَدِمَ النَّاسُ الْمَوْسِمَ يُرِيدُ أَنْ يُجَرِّئَهُمْ - أَوْ يُحَرِّبَهُمْ - عَلَى أَهْلِ الشَّامِ فَلَمَّا صَدَرَ النَّاسُ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَشِيرُوا عَلَىَّ فِي الْكَعْبَةِ أَنْقُضُهَا ثُمَّ أَبْنِي بِنَاءَهَا أَوْ أُصْلِحُ مَا وَهَى مِنْهَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَإِنِّي قَدْ فُرِقَ لِي رَأْىٌ فِيهَا أَرَى أَنْ تُصْلِحَ مَا وَهَى مِنْهَا وَتَدَعَ بَيْتًا أَسْلَمَ النَّاسُ عَلَيْهِ وَأَحْجَارًا أَسْلَمَ النَّاسُ عَلَيْهَا وَبُعِثَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لَوْ كَانَ أَحَدُكُمُ احْتَرَقَ بَيْتُهُ مَا رَضِيَ حَتَّى يُجِدَّهُ فَكَيْفَ بَيْتُ رَبِّكُمْ إِنِّي مُسْتَخِيرٌ رَبِّي ثَلاَثًا ثُمَّ عَازِمٌ عَلَى أَمْرِي فَلَمَّا مَضَى الثَّلاَثُ أَجْمَعَ رَأْيَهُ عَلَى أَنْ يَنْقُضَهَا فَتَحَامَاهُ النَّاسُ أَنْ يَنْزِلَ بِأَوَّلِ النَّاسِ يَصْعَدُ فِيهِ أَمْرٌ مِنَ السَّمَاءِ حَتَّى صَعِدَهُ رَجُلٌ فَأَلْقَى مِنْهُ حِجَارَةً فَلَمَّا لَمْ يَرَهُ النَّاسُ أَصَابَهُ شَىْءٌ تَتَابَعُوا فَنَقَضُوهُ حَتَّى بَلَغُوا بِهِ الأَرْضَ فَجَعَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَعْمِدَةً فَسَتَّرَ عَلَيْهَا السُّتُورَ حَتَّى ارْتَفَعَ بِنَاؤُهُ . وَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِنِّي سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْلاَ أَنَّ النَّاسَ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ بِكُفْرٍ وَلَيْسَ عِنْدِي مِنَ النَّفَقَةِ مَا يُقَوِّي عَلَى بِنَائِهِ لَكُنْتُ أَدْخَلْتُ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ خَمْسَ أَذْرُعٍ وَلَجَعَلْتُ لَهَا بَابًا يَدْخُلُ النَّاسُ مِنْهُ وَبَابًا يَخْرُجُونَ مِنْهُ " . قَالَ فَأَنَا الْيَوْمَ أَجِدُ مَا أُنْفِقُ وَلَسْتُ أَخَافُ النَّاسَ - قَالَ - فَزَادَ فِيهِ خَمْسَ أَذْرُعٍ مِنَ الْحِجْرِ حَتَّى أَبْدَى أُسًّا نَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَبَنَى عَلَيْهِ الْبِنَاءَ وَكَانَ طُولُ الْكَعْبَةِ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ ذِرَاعًا فَلَمَّا زَادَ فِيهِ اسْتَقْصَرَهُ فَزَادَ فِي طُولِهِ عَشَرَ أَذْرُعٍ وَجَعَلَ لَهُ بَابَيْنِ أَحَدُهُمَا يُدْخَلُ مِنْهُ وَالآخَرُ يُخْرَجُ مِنْهُ . فَلَمَّا قُتِلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ كَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يُخْبِرُهُ بِذَلِكَ وَيُخْبِرُهُ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ قَدْ وَضَعَ الْبِنَاءَ عَلَى أُسٍّ نَظَرَ إِلَيْهِ الْعُدُولُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ . فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ إِنَّا لَسْنَا مِنْ تَلْطِيخِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي شَىْءٍ أَمَّا مَا زَادَ فِي طُولِهِ فَأَقِرَّهُ وَأَمَّا مَا زَادَ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ فَرُدَّهُ إِلَى بِنَائِهِ وَسُدَّ الْبَابَ الَّذِي فَتَحَهُ . فَنَقَضَهُ وَأَعَادَهُ إِلَى بِنَائِهِ .
হাদীস নং: ৩১১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-৭
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১৬। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... হারিস ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবু রবিআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদ বলেন, হারিস ইবনে আব্দুল্লাহ প্রতিনিধি হিসেবে আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের রাজত্বকালে তার নিকট গিয়েছিলেন। আব্দুল মালিক বললেন, আমি মনে করি না যে, আবু যুবাইর অর্থাৎ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট এমন কথা শুনেছেন যার দাবি তিনি করে থাকেন। [অর্থাৎ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিত এর উপর কাবা ঘরের পুননির্মাণের ব্যাপারে রাসুলুলাহ (ﷺ) এর অভিপ্রায় সম্পর্কিত কোন হাদীস তিনি আয়িশা (রাযিঃ)-এর নিকট শুনেন নি।]

হারিস বলেন, হ্যাঁ, আমি নিজেই তার নিকট এই হাদীস শুনেছি। আব্দুল মালিক বললেন, আপনি তাকে কি বলতে শুনেছেন? হারিস বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ “তোমার কওমের লোকেরা কাবা ঘরের ভীত (আয়তনে) ছোট করে ফেলেছে । নিকট অতীতে তারা শিরক পরিত্যাগ না করলে আমি তাদের পরিত্যক্ত অংশটুকু কাবার অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম। তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা যদি আমার পরে তা পুননির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে এস, আমি তোমাকে তাদের পরিত্যক্ত অংশটুকু দেখিয়ে দেই” অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়িশা কে (হাতীম সংলগ্ন) প্রায় সাত গজ স্থান দেখিয়ে দিলেন।

এই হাদীস আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদ কর্তুক বর্ণিত। ওয়ালীদ ইবনে আতা এ বর্ণনার উপর আরো বৃদ্ধি করেছেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমি যমীনের সমতলে দুটি দরজাও নির্মাণ করতাম, একটি পূর্বদিকে এবং অপরটি পশ্চিমদিকে। তুমি কি জান তোমার গোত্রের লোকেরা কাবার দরজা (ভূমি থেকে) উঁচুতে স্থাপন করেছে কেন?” আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, না। নবী (ﷺ) বললেনঃ গর্ব ও অহংকারের বশবতী হয়ে (তারা এটা করেছে) যাতে কেবল সেই ব্যক্তি কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে- যাকে তারা অনুমতি দেবে।

যখন কোন ব্যক্তি কাবার অভ্যন্তরে প্রবেশের ইচ্ছা করত, তারা তাকে বেয়ে উপরে উঠতে দিত। এমনকি সে যখন তাতে প্রবেশ করত, তখন তারা তাকে টেনে নীচে ফেলে দিত। আব্দুল মালিক হারিসকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আয়িশা (রাযিঃ) কে একথা বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাবী বলেন, কিছুক্ষণ তিনি হাতের ছড়ি দিয়ে মাটি খুড়তে লাগলেন, এরপর বললেনঃ আমার মনে হয় যে দায়ভার তিনি নিজে বহন করেছিলেন তার উপর যদি তাকে ছেড়ে দিতাম সেটাই ভাল হত।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ وَالْوَلِيدَ بْنَ عَطَاءٍ يُحَدِّثَانِ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدٍ وَفَدَ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ فِي خِلاَفَتِهِ فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ مَا أَظُنُّ أَبَا خُبَيْبٍ - يَعْنِي ابْنَ الزُّبَيْرِ - سَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ مَا كَانَ يَزْعُمُ أَنَّهُ سَمِعَهُ مِنْهَا . قَالَ الْحَارِثُ بَلَى أَنَا سَمِعْتُهُ مِنْهَا . قَالَ سَمِعْتَهَا تَقُولُ مَاذَا قَالَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ قَوْمَكِ اسْتَقْصَرُوا مِنْ بُنْيَانِ الْبَيْتِ وَلَوْلاَ حَدَاثَةُ عَهْدِهِمْ بِالشِّرْكِ أَعَدْتُ مَا تَرَكُوا مِنْهُ فَإِنْ بَدَا لِقَوْمِكِ مِنْ بَعْدِي أَنْ يَبْنُوهُ فَهَلُمِّي لأُرِيَكِ مَا تَرَكُوا مِنْهُ " . فَأَرَاهَا قَرِيبًا مِنْ سَبْعَةِ أَذْرُعٍ . هَذَا حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدٍ وَزَادَ عَلَيْهِ الْوَلِيدُ بْنُ عَطَاءٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَلَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ مَوْضُوعَيْنِ فِي الأَرْضِ شَرْقِيًّا وَغَرْبِيًّا وَهَلْ تَدْرِينَ لِمَ كَانَ قَوْمُكِ رَفَعُوا بَابَهَا " . قَالَتْ قُلْتُ لاَ . قَالَ " تَعَزُّزًا أَنْ لاَ يَدْخُلَهَا إِلاَّ مَنْ أَرَادُوا فَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا هُوَ أَرَادَ أَنْ يَدْخُلَهَا يَدْعُونَهُ يَرْتَقِي حَتَّى إِذَا كَادَ أَنْ يَدْخُلَ دَفَعُوهُ فَسَقَطَ " . قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِلْحَارِثِ أَنْتَ سَمِعْتَهَا تَقُولُ هَذَا قَالَ نَعَمْ. قَالَ فَنَكَتَ سَاعَةً بِعَصَاهُ ثُمَّ قَالَ وَدِدْتُ أَنِّي تَرَكْتُهُ وَمَا تَحَمَّلَ.
হাদীস নং: ৩১১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-৮
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১৭। মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে জাবালা ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জ (রাহঃ) থেকে এই সনদে ইবনে বকর এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَ حَدِيثِ ابْنِ بَكْرٍ .
হাদীস নং: ৩১১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-৯
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১৮। মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... আবু কাযাআ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান বায়তুল্লাহ তাওয়াফকালে বলে উঠলেন, আল্লাহ ইবনে যুবারকে ধ্বংস করুন- যেহেতু সে উম্মুল মু'মিনীন (আয়িশা)-এর উপর মিথ্যা আরোপ করেছে যে, সে তাকে নাকি বলতে শুনেছে, “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আয়িশা! তোমার সম্প্রদায় যদি নিকট অতীতে কুফুরি পরিত্যাগকারী না হতো তবে আমি কা-বাঘর ভেঙ্গে তাতে হাতীমের অংশ যুক্ত করে দিতাম। কারণ তোমার সম্প্রদায় কাবার আয়তন ছোট করে দিয়েছে।” (আব্দুল মালিকের এই কথার উপর) হারিস ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবু রবীআ বলল, হে আমীরুল মু'মিনীন! এই কথা আর বলবেন না। কারণ আমি নিজে উম্মুল মু'মিনীন (আয়িশা) কে একথা বলতে শুনেছি। অতঃপর আব্দুল মালিক বললেন, কাবাঘর ভাঙ্গার পূর্বে যদি আমি তা শুনতে পেতাম, তাহলে ইবনে যুবায়য়ের ভিতের উপরই তা অটুট রাখতাম।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي، صَغِيرَةَ عَنْ أَبِي قَزَعَةَ، أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ، بَيْنَمَا هُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ إِذْ قَالَ قَاتَلَ اللَّهُ ابْنَ الزُّبَيْرِ حَيْثُ يَكْذِبُ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ يَقُولُ سَمِعْتُهَا تَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَائِشَةُ لَوْلاَ حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ لَنَقَضْتُ الْبَيْتَ حَتَّى أَزِيدَ فِيهِ مِنَ الْحِجْرِ فَإِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرُوا فِي الْبِنَاءِ " . فَقَالَ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ لاَ تَقُلْ هَذَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَأَنَا سَمِعْتُ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ تُحَدِّثُ هَذَا . قَالَ لَوْ كُنْتُ سَمِعْتُهُ قَبْلَ أَنْ أَهْدِمَهُ لَتَرَكْتُهُ عَلَى مَا بَنَى ابْنُ الزُّبَيْرِ .
হাদীস নং: ৩১১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-১০
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১১৯। সাঈদ ইবনে মনসুর আবুল আহওয়াস থেকে ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, হাতীমের দেওয়াল কি বায়তুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম, তবে তারা কেন এটাকে বায়তুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত করেনি? তিনি বললেনঃ তোমার সম্প্রদায়ের নিকট পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এর দরজা উঁচুতে স্থাপিত হওয়ার কারণ কি? তিনি বললেনঃ তাও তোমার সম্প্রদায়ের কান্ড যাতে তাদের কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি তাতে প্রবেশাধিকার পায় এবং অবাঞ্ছিত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে। তোমার কওমের জাহিলীয়াত পরিত্যাগের যুগ নিকটতম না হলে এবং আমার যদি এই আশঙ্কা না হতো যে, তাদের অন্তর পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে- তা হলে আমি অবশ্যই (হাতীমের) দেওয়াল বায়তুল্লাহর অন্তর্ভুক্ত করা এবং কাবার দরজা যমীনের সমতলে স্থাপন করার বিষয়ে বিবেচনা করতাম।
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْجَدْرِ أَمِنَ الْبَيْتِ هُوَ قَالَ " نَعَمْ " . قُلْتُ فَلِمَ لَمْ يُدْخِلُوهُ فِي الْبَيْتِ قَالَ " إِنَّ قَوْمَكِ قَصَّرَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ " . قُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا قَالَ " فَعَلَ ذَلِكِ قَوْمُكِ لِيُدْخِلُوا مَنْ شَاءُوا وَيَمْنَعُوا مَنْ شَاءُوا وَلَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَخَافَ أَنْ تُنْكِرَ قُلُوبُهُمْ لَنَظَرْتُ أَنْ أُدْخِلَ الْجَدْرَ فِي الْبَيْتِ وَأَنْ أُلْزِقَ بَابَهُ بِالأَرْضِ " .
হাদীস নং: ৩১২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৩৩-১১
৬৬. কাবা ঘর ভেঙ্গে পুননির্মাণ
৩১২০। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল হাজার (হাতীম) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম। এরপর পূর্বোক্ত আবুল-আহওয়াসের হাদীসের অনুরূপ। এই বর্ণনায় আছে আয়িশা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ “এর দরজা উঁচুতে স্থাপিত হওয়ার কারণ কি যে, সিড়ি ব্যতীত তাতে উঠা যায় না?” এতে আরো আছেঃ “তাদের অন্তর আপত্তি জাগার আশঙ্কায়।”
باب نَقْضِ الْكَعْبَةِ وَبِنَائِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحِجْرِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ وَقَالَ فِيهِ فَقُلْتُ فَمَا شَأْنُ بَابِهِ مُرْتَفِعًا لاَ يُصْعَدُ إِلَيْهِ إِلاَّ بِسُلَّمٍ وَقَالَ " مَخَافَةَ أَنْ تَنْفِرَ قُلُوبُهُمْ " .