আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

المسند الصحيح لمسلم

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং: ২৮২৮
আন্তর্জাতিক নং: ১২২১-১
১৮. ইহরামকে সংযুক্ত করা জায়েয। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বলল, আমি অমুক ব্যক্তির ইহরাম এর অনুরূপ ইহরাম বাঁধলাম। এ ক্ষেত্রে তার ইহরাম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইহরামের অনুরূপ হবে
২৮২৮। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... শু’বা কায়স ইবনে মুসলিম থেকে, তিনি তারিক ইবনে শিহাব থেকে এবং তিনি আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলাম। তিনি বাতহা নামক স্থানে উট বসিয়ে যাত্রা বিরতি করছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি হজ্জের নিয়ত করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি কি ধরনের ইহরাম বেঁধেছ? তিনি বললেন, আমি বলেছি, লাব্বাইকা, নবী (ﷺ) যে হজ্জের ইহরাম বেঁধেছেন, আমিও তদ্রূপ ইহরাম বাঁধলাম। তিনি বললেনঃ তুমি ভালই করেছ। এখন বায়তুল্লাহর তাওয়াফ কর এবং সাফা-মারওয়ার সাঈ কর, অতঃপর ইহরাম খুলে ফেল।

তিনি বলেনঃ আমি বায়তুল্লাহ-এর তাওয়াফ করলাম, সাফা-মারওয়ার সাঈ করলাম, অতঃপর কায়স গোত্রের এক স্ত্রীলোকের নিকট এলাম। সে আমার মাথার উকুন বেছে দিল। এরপর আমি হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। আমি লোকদের এভাবেই ফতওয়া দিতে থাকলাম উমর (রাযিঃ) এর খিলাফত পর্যন্ত। এ সময় এক ব্যক্তি তাকে বলল, হে আবু মুসা অথবা (বলল) আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! আপনার কিছু ফতওয়া আপাতত স্থগিত রাখুন। কারণ আমীরুল মু'মিনীন (উমর) আপনার পরে হজ্জ সম্পর্কে যে নতুন বিধান প্রবর্তন করেছেন, তা আপনি জ্ঞাত নন।

তখন আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, হে লোক সকল! আমি যাদের ফতওয়া দিয়েছি (ইহরাম খোলা সম্পর্কে) তারা যেন অপেক্ষা করে। কারণ আমীরুল মূমিনীন অচিরেই তোমাদের নিকট আসছেন, অতএব তার আনুগত্য করা তোমাদের কর্তব্য। রাবী বলেন, উমর (রাযিঃ) এলেন এবং আমি তাঁর সামনে বিষয়টি উপস্থাপন করলাম। তিনি বললেন, আমরা যদি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী চলি, তবে তা আমাদের নির্দেশ দেয় (হজ্জ ও উমরা) পুর্ণ করার। আমরা যদিঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নতের উপর আমল করি, তবে কুরবানীর পশু তার (কুরবানীর) স্থানে না পৌছা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহরাম খুলেননি।


وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .

উবাইদুল্লাহ ইবনে মু’আয (রাহঃ) ......... শুবা থেকে এই সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُنِيخٌ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ لِي " أَحَجَجْتَ " . فَقُلْتُ نَعَمْ . فَقَالَ " بِمَ أَهْلَلْتَ " . قَالَ قُلْتُ لَبَّيْكَ بِإِهْلاَلٍ كَإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ " فَقَدْ أَحْسَنْتَ طُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَأَحِلَّ " . قَالَ فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ بَنِي قَيْسٍ فَفَلَتْ رَأْسِي ثُمَّ أَهْلَلْتُ بِالْحَجِّ . قَالَ فَكُنْتُ أُفْتِي بِهِ النَّاسَ حَتَّى كَانَ فِي خِلاَفَةِ عُمَرَ - رضى الله عنه - فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَا أَبَا مُوسَى - أَوْ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ - رُوَيْدَكَ بَعْضَ فُتْيَاكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النُّسُكِ بَعْدَكَ . فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ فُتْيَا فَلْيَتَّئِدْ فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ عَلَيْكُمْ فَبِهِ فَائْتَمُّوا . قَالَ فَقَدِمَ عُمَرُ - رضى الله عنه - فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنَّ كِتَابَ اللَّهِ يَأْمُرُ بِالتَّمَامِ وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَحِلَّ حَتَّى بَلَغَ الْهَدْىُ مَحِلَّهُ .
হাদীস নং: ২৮২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২২১-৩
১৮. ইহরামকে সংযুক্ত করা জায়েয। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বলল, আমি অমুক ব্যক্তির ইহরাম এর অনুরূপ ইহরাম বাঁধলাম। এ ক্ষেত্রে তার ইহরাম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইহরামের অনুরূপ হবে
২৮২৯। উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয (রহঃ) ..... শুবাহ্ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... সুফিয়ান ইবনে কায়স থেকে, তিনি তারিক ইবনে শিহাব থেকে এবং তিনি আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে। আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলাম। তিনি বাতহা নামক স্থানে উট বসিয়ে অবস্থান করছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? আমি বললাম, আমি নবী (ﷺ) এর অনুরূপ ইহরাম বেঁধেছি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কুরবানীর পশু এনেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে তুমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার পর ইহরাম খুলে ফেল। অতএব আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার পর ইহরাম খূলে ফেললাম। এপর আমার গোত্রের এক মহিলার নিকট এলাম, সে আমার মাথার চুল আচড়িয়ে দিল এবং আমার মাথা ধুয়ে দিল। আমি আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে লোকদের অনুরূপ ফতওয়া দিতাম।

হজ্জের মৌসূম আগত, এ সময় এক ব্যক্তি আমার নিকট এসে বলল, আপনি হয়ত জানেন না আমীরুল মু'মিনীন (উমর) হজ্জের ব্যাপারে কি নতুন বিধান প্রবর্তন করেছেন। আমি বললাম, হে জনগণ! আমি যাদেরকে কতগুলো বিষয় সম্পর্কে যে ফতওয়া দিয়েছি তারা যেন অপেক্ষা করে। কারণ, ইতিমধ্যেই আমীরুল মু'মিনীন তোমাদের মধ্যে এসে পৌঁছবেন। তোমরা তার অনুসরণ করবে।

তিনি (উমর) এসে পৌছলে আমি বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন! আপনি হজ্জের ব্যাপারে নতুন কি বিধান দিচ্ছেন? তিনি বললেন, আমরা যদি আল্লাহর কিতাব আকড়ে ধরি, তবে আল্লাহ বলেনঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর” (সূরা বাকারাঃ ১৯৬)। আর আমরা যদি আমাদের নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ করি, তাহলে নবী (ﷺ) সাথে করে নিয়ে আসা পশু যবেহ না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলতেন না।
وحَدَّثَنَاه عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ فِي هَذَا الْإِسْنَادِ نَحْوَهُ

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، - رضى الله عنه - قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُنِيخٌ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ " بِمَ أَهْلَلْتَ " . قَالَ قُلْتُ أَهْلَلْتُ بِإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " هَلْ سُقْتَ مِنْ هَدْىٍ " . قُلْتُ لاَ . قَالَ " فَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حِلَّ " . فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِي فَمَشَطَتْنِي وَغَسَلَتْ رَأْسِي فَكُنْتُ أُفْتِي النَّاسَ بِذَلِكَ فِي إِمَارَةِ أَبِي بَكْرٍ وَإِمَارَةِ عُمَرَ فَإِنِّي لَقَائِمٌ بِالْمَوْسِمِ إِذْ جَاءَنِي رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ . فَقُلْتُ أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ بِشَىْءٍ فَلْيَتَّئِدْ فَهَذَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ عَلَيْكُمْ فَبِهِ فَائْتَمُّوا فَلَمَّا قَدِمَ قُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا هَذَا الَّذِي أَحْدَثْتَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ قَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ ( وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ) وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ نَبِيِّنَا عَلَيْهِ الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَحِلَّ حَتَّى نَحَرَ الْهَدْىَ .
হাদীস নং: ২৮৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১২২১-৪
১৮. ইহরামকে সংযুক্ত করা জায়েয। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বলল, আমি অমুক ব্যক্তির ইহরাম এর অনুরূপ ইহরাম বাঁধলাম। এ ক্ষেত্রে তার ইহরাম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইহরামের অনুরূপ হবে
২৮৩০। ইসহাক ইবনে মনসুর ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে ইয়ামানে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি যে বছর হজ্জ করেছিলেন, আমি সে বছর (হজ্জে এসে তাঁর সঙ্গে মিলিত হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে আবু মুসা! ইহরাম বাঁধার সময় তুমি কি নিয়ত করেছিলে? আমি বললাম, লাব্বাইকা! আমার ইহরাম নবী (ﷺ) এর ইহরামের অনুরূপ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কি সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেনঃ তাহলে যাও, বায়তুল্লাহর তাওয়াফ কর, সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ কর, অতঃপর ইহরাম খুলে ফেল। তিনি হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত শু’বা ও সুফিয়ানের হাদীস দু’টির অনুরূপ।
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عُمَيْسٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، - رضى الله عنه - قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَنِي إِلَى الْيَمَنِ قَالَ فَوَافَقْتُهُ فِي الْعَامِ الَّذِي حَجَّ فِيهِ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَبَا مُوسَى كَيْفَ قُلْتَ حِينَ أَحْرَمْتَ " . قَالَ قُلْتُ لَبَّيْكَ إِهْلاَلاً كَإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ " هَلْ سُقْتَ هَدْيًا " . فَقُلْتُ لاَ . قَالَ " فَانْطَلِقْ فَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ . ثُمَّ أَحِلَّ " . ثُمَّ سَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ شُعْبَةَ وَسُفْيَانَ .
হাদীস নং: ২৮৩১
আন্তর্জাতিক নং: ১২২২
১৮. ইহরামকে সংযুক্ত করা জায়েয। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বলল, আমি অমুক ব্যক্তির ইহরাম এর অনুরূপ ইহরাম বাঁধলাম। এ ক্ষেত্রে তার ইহরাম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইহরামের অনুরূপ হবে
২৮৩১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তামাত্তু হজ্জের অনুকূলে ফতওয়া দিতেন। এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, আপনি আপনার কোন কোন ফতওয়া স্থগিত রাখুন। আপনি হযত জানেন না, আপনার পরে আমীরুল মু'মিনীন হজ্জের ব্যাপারে কি বিধান প্রবর্তন করেছেন। পরে তিনি (আবু মুসা) তার সাথে সাক্ষাত করলেন এবং (এ ব্যাপারে) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। উমর (রাযিঃ)বললেন, আমি অবশ্যই জানি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার সাহাবীগণ (তামাত্তু) করেছেন। কিন্তু আমি এটা পছন্দ করি না যে, বিবাহিত লোকেরা গাছের ছায়ায় স্ত্রীদের সাথে সহবাস করবে, অতঃপর এমন অবস্থায় হজ্জের জন্য রওয়ানা হবে যে, তাদের মাথার চুল দিয়ে পানি টপকে পড়ছে।
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي بِالْمُتْعَةِ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ رُوَيْدَكَ بِبَعْضِ فُتْيَاكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النُّسُكِ بَعْدُ حَتَّى لَقِيَهُ بَعْدُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ عُمَرُ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ فَعَلَهُ وَأَصْحَابُهُ وَلَكِنْ كَرِهْتُ أَنْ يَظَلُّوا مُعْرِسِينَ بِهِنَّ فِي الأَرَاكِ ثُمَّ يَرُوحُونَ فِي الْحَجِّ تَقْطُرُ رُءُوسُهُمْ .