ফিকহুস সুনান ওয়াল আসার

فقه السنن و الآثار (أدلة السادات الاحناف)

১২. জিহাদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৮৮৫
রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক সেনাপতিকে ওয়াসিয়্যত: গনীমতের মাল আত্মসাত না করতে, চুক্তি বা বিশ্বাস ভঙ্গ না করতে, শত্রুর মৃতদেহ কাটাকুটি না করতে, শিশু ও নারীদের হত্যা না করতে, যুদ্ধের পূর্বে শত্রুদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করতে
(১৮৮৫) তাবিয়ি সুলাইমান ইবন বুরাইদা তার পিতা বুরাইদা আসলামি রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন কোনো বড় বা ছোট সেনাবাহিনীর উপর কাউকে আমীর বা সেনাপতি করে পাঠাতেন, তখন তাকে বিশেষ করে আল্লাহকে ভয় করতে এবং তার সাথের মুসলিমদের সাথে ভালো আচরণ করতে ওয়াসিয়াত করতেন। অতঃপর তিনি বলতেন, তোমরা আল্লাহর নামে অভিযান করো। যারা আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাস করেছে তাদের সাথে যুদ্ধ করো । যুদ্ধলব্ধ বা গনীমতের কোনো দ্রব্য আত্মসাত করবে না, বিশ্বাস বা চুক্তি ভঙ্গ করবে না, মৃতদেহ বিকৃত করবে না এবং কোনো শিশুকে হত্যা করবে না । যখন তুমি তোমার মুশরিক শত্রুদের সম্মুখীন হবে তখন তাদেরকে তিনটি বিষয়ের প্রতি আহ্বান করবে। তারা তিনটির যেটিই মেনে নিক তুমি তা কবুল করবে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকবে । অতঃপর তুমি তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহ্বান করবে। যদি তারা তাতে সাড়া দেয় তাহলে তুমি তাদের থেকে তা গ্রহণ করবে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকবে। অতঃপর তুমি তাদেরকে তাদের আবাসস্থল পরিত্যাগ করে মুহাজিরদের দেশে হিজরত করে চলে আসার আহ্বান করবে এবং তাদেরকে জানাবে যে, তারা যদি তা করে তাহলে মুহাজিরগণ যে সকল সুবিধা ও অধিকার ভোগ করেন তা সবই তারা পাবে এবং মুহাজিরদের যে দায়িত্ব সবই তাদের উপর বর্তাবে। যদি তারা তাদের দেশ ছেড়ে হিজরত করতে অস্বীকার করে তবে তুমি তাদেরকে জানাবে যে, তারা বেদুঈন মুসলিমদের মতো গণ্য হবে। মুমিনদের যা কিছু বিধান সবই তাদের উপর, প্রযোজ্য হবে। আর তারা মুসলিমদের সাথে জিহাদে শরীক না হলে যুদ্ধলব্ধ গনীমত ও কাফিরদের ভূসম্পত্তিতে তাদের কোনো অধিকার থাকবে না । তারা যদি তা মানতে অস্বীকার করে তাহলে তাদের নিকট জিযিয়া কর দাবি করবে । তারা যদি তাতে সাড়া দেয় তাহলে তুমি তা গ্রহণ করবে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকবে । যদি তারা তা অস্বীকার করে তবে আল্লাহর সাহায্য চেয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে ।
عن سليمان بن بريدة عن أبيه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أمر أميرا على جيش أو سرية أوصاه في خاصته بتقوى الله ومن معه المسلمين خيرا ثم قال: أغزوا باسم الله في سبيل الله قاتلوا من كفر بالله اغزوا من ولا تغلوا ولا تغدروا ولا تمثلوا ولا تقتلوا وليدا وإذا لقيت عدوك من المشركين فادعهم إلى ثلاث خصال أو خلال فأيتهن ما أجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ثم ادعهم إلى الإسلام فإن أجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ثم ادعهم إلى التحول من دارهم إلى دار المهاجرين وأخبرهم أنهم إن فعلوا ذلك فلهم ما للمهاجرين وعليهم ما على المهاجرين فإن أبوا أن يتحولوا منها فأخبرهم أنهم يكونون كأعراب المسلمين يجري عليهم حكم الله الذي يجري على المؤمنين ولا يكون لهم في الغنيمة والفيء شيء إلا أن يجاهدوا مع المسلمين فإن هم أبوا فسلهم الجزية فإن هم أجابوك فاقبل منهم وكف عنهم فإن هم أبوا فاستعن بالله وقاتلهم
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৮৬
রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক সেনাপতিকে ওয়াসিয়্যত: গনীমতের মাল আত্মসাত না করতে, চুক্তি বা বিশ্বাস ভঙ্গ না করতে, শত্রুর মৃতদেহ কাটাকুটি না করতে, শিশু ও নারীদের হত্যা না করতে, যুদ্ধের পূর্বে শত্রুদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করতে
(১৮৮৬) উমার ইবনুল খাত্তাব রা. বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন, আমি অবশ্যই আরবীয় উপদ্বীপ থেকে ইয়াহুদি ও নাসারাদের বের করে দেব। এভাবে অবশেষে মুসলিম ছাড়া এখানে কাউকে রাখব না।
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: لأخرجن اليهود والنصارى من جزيرة العرب حتى لا أدع إلا مسلما
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৮৮৭
রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক সেনাপতিকে ওয়াসিয়্যত: গনীমতের মাল আত্মসাত না করতে, চুক্তি বা বিশ্বাস ভঙ্গ না করতে, শত্রুর মৃতদেহ কাটাকুটি না করতে, শিশু ও নারীদের হত্যা না করতে, যুদ্ধের পূর্বে শত্রুদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করতে
(১৮৮৭) তাবি’-তাবিয়ি আব্দুল্লাহ ইবন আউন (১৫০ হি.) বলেন, যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের প্রতি দাওয়াত প্রদান প্রসঙ্গে আমি তাবিয়ি নাফি' (১১৭ হি.) এর নিকট চিঠি লিখি । তিনি আমাকে উত্তরে চিঠি লিখে জানান যে, এই বিধান ছিল ইসলামের প্রথম যুগে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বনু মুসতালিক গোত্রের উপর অতর্কিত আক্রমণ করেন এমন অবস্থায় যে, তারা একেবারেই অসতর্ক ছিল। তাদের পশুপাল পানি পান করছিল । তিনি তাদের যোদ্ধাদেরকে হত্যা করেন এবং তাদের নারী, শিশু ও পরাজিতদেরকে বন্দি করেন । তিনি এই যুদ্ধেই উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারিসকে পান। আমাকে এ বিষয় জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবন উমার, যিনি এই যুদ্ধের সেনাবাহিনীর মধ্যে ছিলেন ।
عن ابن عون قال: كتبت إلى نافع أسأله عن الدعاء قبل القتال قال فكتب إلي: إنما كان ذلك في أول الإسلام قد أغار رسول الله صلى الله عليه وسلم على بني المصطلق وهم غارون وأنعامهم تسقى على الماء فقتل مقاتلتهم وسبى سبيهم وأصاب يومئذ جويرية ابنة الحارث وحدثني هذا الحديث عبد الله بن عمر وكان في ذاك الجيش
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান