মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৬২৪৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৪৯। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সাবধান! আমার বিশেষ আস্থাভাজন, যাঁহাদের উপর আমি নির্ভর করিয়া থাকি, তাঁহারা হইলেন আমার আহলে বায়ত। আর আমার অন্তরং্গ বন্ধু হইলেন আনসারগণ। সুতরাং, তাঁহাদের অন্যায়কে তোমরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখিবে এবং তাঁহাদের উত্তম কাজকে সাদরে গ্রহণ করিবে। —তিরমিযী, আর তিনি বলিয়াছেন হাদীসটি হাসান।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৬৫-[৭০] কায়স ইবনু আবু হাযিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের ভাতা পাঁচ হাজার দিরহাম (বায়তুল মাল হতে) নির্ধারণ ছিল। উমার (রাঃ) বলেন, আমি অবশ্যই তাঁদেরকে পরবর্তী সকলের ওপর মর্যাদা দেব। (বুখারী)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫১। হযরত আনাস (রাঃ) হযরত আবু তালহা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বলিলেনঃ তুমি তোমার কওমকে আমার সালাম পৌঁছাইয়া দাও। কেননা, আমার জানামতে তাহারা সচ্চরিত্র ও ধৈর্যধারণকারী। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫২। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, একদা হাতের (ইবনে আবু বালতাআ)-এর একটি গোলাম নবী (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া হাতেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিল এবং সে বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। (আমার উপর এইরূপ নির্যাতন চালানোর দরুন) হাতের তো নিশ্চয় দোযখে যাইবে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তুমি মিথ্যা বলিতেছ। সে দোযখে যাইবে না। কেননা, সে বদর ও হোদায়বিয়ায় শরীক ছিল। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫৩। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই আয়াতটি তেলাওয়াত করিলেন — “আর যদি তোমরা (ঈমান আনা হইতে ) পৃষ্ঠ প্রদর্শন কর, তাহা হইলে তিনি (আল্লাহ্ তা'আলা) অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলবর্তী করিবেন। অতঃপর তাহারা তোমাদের মত হইবে না।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তাহারা কে? যাহাদের কথা আলোচনা করিয়া আল্লাহ্ বলিয়াছেনঃ “যদি আমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করি, তাহা হইলে তিনি এমন কওমকে আমাদের স্থলবর্তী করিবেন, যাহারা আমাদের মত হইবে না।” তখন তিনি হযরত সালমান ফারেসীর উরুতে হাত মারিয়া বলিলেন, ইনি এবং তাঁহার কওম। যদি এই দ্বীন ধ্রুবতারার (দূরত্ব) স্থানেও থাকে, তবুও পারস্যের কতিপয় লোক উহাকে তথা হইতে অর্জন করিবে। —তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫৪। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সম্মুখে আজমী (অনারব) লোকদের আলোচনা উঠিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তোমাদের অথবা বলিলেন, তোমাদের কিছুসংখ্যক অপেক্ষা সেই আজমীগণ অথবা বলিলেন, তাহাদের কতিপয় লোক আমার নিকট অধিক নির্ভরযোগ্য।—তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫৫। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ প্রত্যেক নবীর জন্য সাতজন বিশেষ মর্যাদাবান রক্ষণাবেক্ষণকারী ছিলেন। আর আমাকে দেওয়া হইয়াছে চৌদ্দজন। আমরা আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলাম, তাঁহারা কে ? তিনি বলিলেন, আমি স্বয়ং, আমার পুত্রদ্বয় (হাসান ও হোসাইন), জাফর, হামযা, আবু বকর, ওমর, মুসআব ইবনে উমায়র, বেলাল, সালমান, আম্মার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ, আবু যর ও মিকদাদ (রাঃ)। – তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫৬। হযরত খালেদ ইবনে ওলীদ (রাঃ) বলেন, একবার আমার ও আম্মার ইবনে ইয়াসিরের মধ্যে (কোন এক ব্যাপারে) বাগ-বিতণ্ডা হইল। ইহাতে আমি তাঁহাকে শক্ত কথা বলিলাম। তখন আম্মার যাইয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিলেন। এমন সময় খালেদও নবী (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া আম্মারের বিরুদ্ধে নালিশ করিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন খালেদ তাহাকে শক্ত কথা বলিতে লাগিলেন এবং তাঁহার কঠোরতা আরও বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। তখন নবী (ﷺ) চুপ করিয়া ছিলেন। কোন কথা বলিতেছিলেন না। তখন এই অবস্থা দেখিয়া আম্মার কাঁদিয়া ফেলিলেন এবং বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি খালেদের ব্যবহার দেখিতেছেন না। এইবার নবী (ﷺ) মস্তক মুবারক উঠাইলেন এবং বলিলেনঃ যে ব্যক্তি আম্মারের সাথে দুশমনী রাখিবে, আল্লাহও তাহার সাথে দুশমনী রাখিবেন এবং যে ব্যক্তি আম্মারের সাথে বিদ্বেষভাব পোষণ করিবে, আল্লাহ্ তাহার প্রতি নারায হইবেন। খালেদ বলেন, [নবী (ﷺ)-এর মুখে এই কথা শুনিয়া] তখনই আমি তথা হইতে বাহির হইয়া পড়িলাম এবং যেকোনভাবে আম্মারকে সন্তুষ্ট করা অপেক্ষা কোন কিছুই আমার কাছে প্রিয়তর ছিল না। অতঃপর আমি এমনভাবে তাঁহার সাথে মিলিত হইলাম যাহাতে তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হইয়া যান। অবশেষে তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হইয়া গেলেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫৭। হযরত আবু ওবায়দা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)কে (খালেদ সম্পর্কে) বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেন, খালেদ হইল মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর তলোয়ারসমূহের একখানি তলোয়ার এবং সে তাহার স্বীয় বংশের একজন উত্তম নওজোয়ান। —উক্ত হাদীস দুইটি আহমদ রেওয়ায়ত করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫৮। হযরত বুরায়দা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ চার ব্যক্তির সাথে মহব্বত করিবার জন্য সুমহান বরকতময় আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে নির্দেশ করিয়াছেন। আমাকে ইহাও জানাইয়াছেন যে, তিনিও তাঁহাদিগকে ভালবাসেন। জিজ্ঞাসা করা হইল; ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (অনুগ্রহপূর্বক) আমাদিগকে তাঁহাদের নামগুলি বলিয়া দিন। তিনি বলিলেনঃ তাঁহাদের মধ্যে আলীও রহিয়াছেন। এই কথাটি তিনি তিনবার বলিলেন এবং (বাকী তিন জন হইলেন) আবু যর, মিকদাদ ও সালমান। তাঁহাদিগকে মহব্বত করিবার জন্য আমাকে তিনি হুকুম করিয়াছেন এবং আমাকে এই সংবাদও দিয়াছেন যে, তিনি তাঁহাদিগকে মহব্বত করেন। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৫৯

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৫৯। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, হযরত ওমর (রাঃ) বলিতেন, আবু বকর (রাঃ) আমাদের সরদার। তিনি আমাদের আরেকজন সরদারকে আযাদ করিয়াছেন। অর্থাৎ, বেলালকে।— বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৬০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৬০। হযরত কায়স ইবনে আবু হাযেম (রাঃ) বলেন, হযরত বেলাল (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ)-কে বলিলেন, আপনি যদি আমাকে নিজের জন্য খরিদ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে আমাকে আপনার নিজ খেদমতে আটকাইয়া রাখুন। আর যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য খরিদ করিয়া থাকেন, তবে আমাকে আল্লাহর কাজে আযাদ ছাড়িয়া দিন। – বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৬১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৬১। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, আমি অতিশয় ক্ষুধার্ত। তখন নবী (ﷺ) কোন এক ব্যক্তিকে তাঁহার একজন বিবির কাছে পাঠাইলেন। তিনি (বিবি) এই বলিয়া উত্তর পাঠাইলেন, সেই মহান সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করিয়াছেন, আমার কাছে পানি ছাড়া আর কিছুই নাই। অতঃপর তিনি আরেক বিবির কাছে পাঠাইলেন। তিনিও অনুরূপ উত্তর পাঠাইলেন। এইভাবে সমস্ত বিবিগণ সেই একই কথা বলিয়া পাঠাইলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (উপস্থিত সাহাবীগণকে লক্ষ্য করিয়া) বলিলেনঃ কে এই লোকটির মেহমানদারী করিবে? আল্লাহ্ তাহার প্রতি অনুগ্রহ করিবেন। তখন আনসারের একজন—যাহাকে আবু তালহা ডাকা হইত, তিনি বলিলেন, আমি, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এই বলিয়া তিনি লোকটিকে সঙ্গে করিয়া বাড়ীতে লইয়া গেলেন এবং স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার কাছে (খাওয়ার) কোন কিছু আছে কি? স্ত্রী বলিলেন, বাচ্চাদের খাবার ব্যতীত আর কিছুই নাই । তখন আবু তালহা বিবিকে বলিলেন, বাচ্চাদিগকে কোন একটি জিনিস দ্বারা ভুলাইয়া ঘুম পাড়াও। আর মেহমান যখন ঘরে প্রবেশ করিবে, তখন তাঁহাকে এমন ভাব দেখাইবে যে, আমরাও তাঁহার সাথে খানা খাইতেছি। অতঃপর মেহমান যখন খাওয়ার জন্য হাত বাড়াইবে, তখন তুমি দাড়াইয়া বাতিটি ঠিক করিতেছ ভান করিয়া তাহা নিভাইয়া ফেলিবে। সুতরাং (স্বামীর কথানুযায়ী) স্ত্রী তাহাই করিলেন। অতঃপর তাঁহারা সকলেই (খাইতে) বসিয়া গেলেন। প্রকৃত অবস্থায় মেহমান খাইলেন আর তাঁহারা উভয়েই অনাহারে রাত্রি যাপন করিলেন। অতঃপর যখন ভোর হইল; আবু তালহা সকাল বেলায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট গেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, (আজ রাত্রে) আল্লাহ্ তাআলা অমুক পুরুষ ও অমুক মহিলার ক্রিয়াকলাপকে অতিশয় পছন্দ করিয়াছেন অথবা বলিয়াছেন, আল্লাহ্ তা'আলা উহাতে সন্তুষ্ট হইয়াছেন। অপর একটি রেওয়ায়তে অনুরূপ বর্ণিত হইয়াছে, তবে উহাতে আবু তালহার নাম উল্লেখ করা হয় নাই এবং হাদীসটির শেষাংশে বর্ণিত হইয়াছে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা এই আয়াত নাযিল করিলেন——অর্থঃ (আনসারদের অন্যতম গুণ এই যে,) “তাঁহারা নিজেদের উপর অন্যদিগকে প্রাধান্য দেন, অভাবগ্রস্ততা এবং দারিদ্র্য তাঁহাদের সাথে হইলেও।” – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৬২

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৬২। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে এক জায়গায় মনযিল করিলাম। তখন লোকজন (সম্মুখ দিয়া) যাতায়াত করিতেছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আবু হোরায়রা! এই ব্যক্তি কে? আমি বলিলাম, অমুক। তখন তিনি বলিলেনঃ আল্লাহর এই বান্দা খুবই ভাল লোক। আরেক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন, এই লোকটি কে? বলিলাম, অমুক। তখন তিনি বলিলেন, আল্লাহর এই বান্দা খুবই মন্দ। এমন সময় খালেদ ইবনে ওলীদ অতিক্রম করিলেন। নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেন, এই লোকটি কে? আমি বলিলাম, খালেদ ইবনে ওলীদ। তখন তিনি বলিলেন, আল্লাহর বান্দা খালেদ ইবনে ওলীদ খুবই চমৎকার লোক। ইনি আল্লাহর তলোয়ারসমূহের মধ্য হইতে একখানা তলোয়ার ।— তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৬৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৬৩। হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একবার আনসারগণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিলেন, হে আল্লাহর নবী ! প্রত্যেক নবীরই একদল অনুসরণকারী থাকে। (অনুরূপভাবে) আমরাও আপনার অনুসরণ করিয়া আসিতেছি। অতএব, আপনি আল্লাহর নিকট দোআ করুন, তিনি যেন আমাদের অনুসারীদিগকেও আমাদের দলভুক্ত করেন। তখন তিনি সেই মত দোআ করিলেন। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬২৬৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৬৪। হযরত কাতাদাহ্ (রাঃ) বলেন, আরবের গোত্রসমূহের কোন গোত্রের শহীদের সংখ্যা কিয়ামতের দিন আনসারদের অপেক্ষা অধিক এবং প্রিয়তর হইবে বলিয়া আমাদের জানা নাই। কাতাদাহ্ বলেন, আনাস (রাঃ) বলিয়াছেন, তাঁহাদের মধ্য হইতে সত্তরজন “ওহুদের দিন”, সত্তরজন “বীরে মাউনার দিন” এবং হযরত আবু বকরের খেলাফত আমলে সত্তরজন “ইয়ামামার দিন” শহীদ হইয়াছেন। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান