মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৬০০৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০০৭। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমরা আমার সাহাবীগণকে গাল-মন্দ করিও না। কেননা, (তাহারা এমন উচ্চ মর্যাদার অধিকারী যে,) তোমাদের কেহ যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনাও আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, তবুও তাহাদের এক মুদ কিংবা অর্ধ মুদ (যব খরচ)-এর সমান সওয়াবে পৌঁছিতে পারিবে না। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০০৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০০৮। হযরত আবু বুরদা (রাঃ) তাঁহার পিতা [হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ)] হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেন, একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসমানের দিকে মাথা তুলিয়া তাকাইলেন। বস্তুত তিনি প্রায়শ (ওহীর অপেক্ষায়) আসমানের দিকে মাথা তুলিয়া দেখিতেন। অতঃপর বলিলেন: তারকারাজি (চন্দ্র-সূর্যসমেত) আসমানের জন্য নিরাপত্তা স্বরূপ। যেইদিন এই সমস্ত গ্রহগুলি চলিয়া যাইবে, সেইদিন আসমানে তাহাই ঘটিবে, যাহার প্রতিশ্রুতি পূর্বেই দেওয়া হইয়াছে, (অর্থাৎ, ধ্বংস হইয়া যাইবে।) আর আমি হইলাম আমার সাহাবীদের জন্য নিরাপত্তাস্বরূপ। সুতরাং আমি যখন চলিয়া যাইব, তখন আমার সাহাবীদের মধ্যে তাহাই সংঘটিত হইবে, যাহার প্রতিশ্রুতি পূর্বেই দেওয়া হইয়াছে। (অর্থাৎ, তাহাদের মধ্যে ফেত্‌না ও যুদ্ধ-বিগ্রহ দেখা দিবে।) আর আমার সাহাবীগণ হইলেন আমার উম্মতের জন্য নিরাপত্তা স্বরূপ। যখন আমার সাহাবীগণ চলিয়া যাইবেন, তখন আমার উম্মতের উপর তাহাই নামিয়া আসিবে, পূর্বেই যাহার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে। (অর্থাৎ, বেদআত ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাইবে।) — মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০০৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০০৯। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন: মানুষের উপর এমন এক সময় আসিবে যে, বহুসংখ্যক লোক জেহাদে যোগদান করিবে। তখন তাহারা পরস্পর জিজ্ঞাসা করিবে, তোমাদের মাঝে কি এমন কোন লোক আছেন, যিনি রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য লাভ করিয়াছেন? তাহারা বলিবে, হ্যাঁ, আছেন। তখন (উক্ত সাহাবীর বরকতে তাহাদিগকে বিজয় দান করা হইবে। অতঃপর লোকদের উপর এমন এক সময় আসিবে যে, তাহাদের বহুসংখ্যক লোক জেহাদে যোগদান করিবে। তখন তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমাদের মাঝে কি এমন কোন লোক রহিয়াছেন, যিনি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের সাহচর্য লাভ করিয়াছেন। তাহারা বলিবে, হ্যাঁ, রহিয়াছেন। তখন (উক্ত তাবেয়ীর বরকতে তাহাদিগকে বিজয় দান করা হইবে। তারপর লোকদের উপর এমন এক যমানা আসিবে যে, তাহাদের বহুসংখ্যক লোক জেহাদে যোগদান করিবে, তখন তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করা হইবে, তোমাদের মাঝে কি এমন কোন লোক রহিয়াছেন, যিনি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের সাহচর্য লাভকারীদের (অর্থাৎ, তাবেয়ীদের) সাহচর্য লাভ করিয়াছেন ? তাহারা বলিবে, হ্যাঁ, রহিয়াছেন। তখন তাহাদিগকে (উক্ত তবয়ে তাবেয়ীদের বরকতে) জয়যুক্ত করা হইবে। —মোত্তাঃ
মুসলিমের অপর এক রেওয়ায়তে আছে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন মানুষের উপর এমন এক সময় আসিবে, তাহাদের মধ্য হইতে একটি সেনাদলকে অভিযানে পাঠান হইবে, তখন মুজাহেদগণ বলিবে, তালাশ করিয়া দেখ তো, তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের কাহাকেও পাও নাকি ? তখন এক ব্যক্তিকে পাওয়া যাইবে। সুতরাং তাহাদিগকে জয়যুক্ত করা হইবে। পরবর্তী যুগে দ্বিতীয় আরেকটি সেনাদল পাঠান হইবে। তখন তাহারা পরস্পর বলিবে, তাহাদের মাঝে এমন কোন লোক আছেন কি, যিনি রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদিগকে দেখিয়াছেন ? (তালাশ করিয়া একজন লোক পাওয়া যাইবে, তখন তাহাদিগকেও বিজয় দান করা হইবে। এর পরবর্তী সময়ে তৃতীয় সেনাদল প্রেরণ করা হইবে। তখন বলা হইবে, খোঁজ করিয়া দেখ তো তাহাদের মাঝে এমন কোন লোক আছেন কি, যিনি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীকে যিনি দেখিয়াছেন, তাহাকে দেখিয়াছেন? (অর্থাৎ, যিনি কোন তাবেয়ীকে দেখিয়াছেন।) তারপর চতুর্থ সেনাদলকে পাঠান হইবে, তখন বলা হইবে, তালাশ করিয়া দেখ। তাহাদের মাঝে এমন কোন লোক আছেন কি যিনি এমন কোন ব্যক্তিকে দেখিয়াছেন যিনি রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীকে দর্শনকারী কোন ব্যক্তিকে দেখিয়াছেন। তখন এক ব্যক্তিকে তালাশ করিয়া পাওয়া যাইবে। সুতরাং তাহাদিগকেও তাহার কারণে জয়যুক্ত করা হইবে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০১০। হযরত ইমরান ইবনে হোসাইন (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম লোক হইল আমার যুগের লোক। (অর্থাৎ, সাহাবীদের যুগ।) অতঃপর তৎপরবর্তী যুগের লোক (অর্থাৎ, তাবেয়ীদের যুগ)। অতঃপর তৎপরবর্তী যুগের লোক (অর্থাৎ, তবয়ে তাবেয়ীদের যুগ)। তাহাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটিবে, যাহারা সাক্ষ্য দিবে অথচ তাহাদের নিকট হইতে সাক্ষ্য চাওয়া হইবে না। তাহারা খেয়ানত করিবে, তাহাদের আমানতদারীর উপর বিশ্বাস করা যাইবে না। তাহারা (আল্লাহর নামে) মান্নত করিবে; কিন্তু তাহা পূরণ করিবে না, (ভোগ-বিলাসের কারণে) তাহাদের মধ্যে স্থূলতা প্রকাশ পাইবে। অপর এক রেওয়ায়তে আছে—তাহারা (নিষ্প্রয়োজনে) কসম খাইবে, অথচ তাহাদের নিকট হইতে কসম চাওয়া হইবে না। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৬০১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সাহাবায়ি কিরাম (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০১১। আর মুসলিমের এক রেওয়ায়তে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, অতঃপর এমন লোক তাহাদের স্থলাভিষিক্ত হইবে, যাহারা স্থূলদেহী হওয়া পছন্দ করিবে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান