মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৫৫৬৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হিসাব-নিকাশ, প্রতিশোধ গ্রহণ ও মীযানের বর্ণনা
৫৫৬৪। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে ঐ দিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হইল যেই দিনের পরিমাণ হইবে পঞ্চাশ হাজার বৎসরের সমান। সেই অস্বাভাবিক দীর্ঘ দিনে মানুষের অবস্থা কিরূপ হইবে? তিনি বলিলেনঃ সেই যাতে পাকের কসম, যাঁহার হাতে আমার প্রাণ। মু'মেনদের জন্য সেই দিন খুবই হাল্কা করা হইবে, এমন কি দুনিয়াতে একটি ফরয নামায আদায় করার সময় অপেক্ষা তাহার জন্য ইহা হালকা সময় মনে হইবে। —হাদীস দুইটি বায়হাকী কিতাবুল বা'ছে ওয়ান্নুশুরে রেওয়ায়ত করিয়াছেন

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৬৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হিসাব-নিকাশ, প্রতিশোধ গ্রহণ ও মীযানের বর্ণনা
৫৫৬৫। হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন মানবমণ্ডলীকে একটি ময়দানে একত্রিত করা হইবে, তখন একজন ঘোষক এই এলান করিবে ; ঐ সমস্ত লোকেরা কোথায়—যাহারা (রাত্রে) আরামের বিছানা হইতে নিজেদের পার্শ্বকে দূরে রাখিয়াছিল ? তখন অল্প কিছু সংখ্যক লোক উঠিয়া দাঁড়াইবে এবং তাহারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। অতঃপর অবশিষ্ট সমস্ত মানুষ হইতে হিসাব লওয়ার নির্দেশ করা হইবে। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৬৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৬৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ (মে'রাজের রাত্রে) জান্নাত ভ্রমণকালে হঠাৎ আমি একটি নহরের নিকট উপস্থিত হইলাম, যাহার উভয় পার্শ্বে গর্ভশূন্য মুক্তার গুম্বদ সাজানো রহিয়াছে। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম; হে জিবরাঈল। ইহা কি? তিনি বলিলেন, ইহাই সেই কাওসার যাহা আপনার রব আপনাকে দান করিয়াছেন। উহার মাটি মেশকের ন্যায় সুগন্ধময়। বুখারী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৬৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৬৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমার হাউয়ের প্রশস্ততা একমাসের পথের সমপরিমাণ এবং উহার চতুর্দিকও সমপরিমাণ আর উহার পানি দুধের চাইতেও অধিক সাদা। এবং উহার ঘ্রাণ মৃগনাভী অপেক্ষাও অধিক খুশবুদার, আর উহার পান পাত্রসমূহ আকাশের তারকার ন্যায় (অধিক ও উজ্জ্বল)। যে উহা হইতে একবার পান করিবে সে আর কখনও তৃষ্ণার্ত হইবে না। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৬৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৬৮। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমার হাউযের (উভয় পার্শ্বের) দূরত্ব আয়লা ও আদনের মধ্যবর্তী ব্যবধান হইতেও অধিক। উহার পানি বরফের চাইতে অধিক সাদা এবং দুধমিশ্রিত মধু অপেক্ষা অধিক মিষ্ট। উহার পান পাত্রসমূহ নক্ষত্রের সংখ্যা অপেক্ষা অধিক। আর আমি আমার হাউযে কাওসারে আগমন করা হইতে অন্যান্য উম্মতদিগকে তেমনিভাবে বাধা দিব, যেমনিভাবে কোন ব্যক্তি তাহার নিজের হাউয হইতে বাধা দিয়া থাকে। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। সেই দিন কি আপনি আমাদিগকে চিনিতে পারিবেন। তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, চিনিতে পারিব। তোমাদের জন্য বিশেষ চিহ্ন থাকিবে যাহা অন্যান্য উম্মতের কাহারও জন্য হইবে না। তোমরা আমার নিকট এমন অবস্থায় আসিবে যে, তোমাদের মুখমণ্ডল এবং হাত-পা অযুর কারণে উজ্জ্বল থাকিবে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান