মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৫৫৪১
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৪১। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ্ তা'আলা হযরত আদম (আঃ)-কে লক্ষ্য করিয়া বলিবেন: হে আদম! আদম জবাব দিয়া বলিবেন, হে আমার প্রভু। আমি হাযির আপনার আনুগত্যই আমার জন্য সৌভাগ্য। সমস্ত কল্যাণ আপনারই হাতে। তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলিবেন (তোমার আওলাদের মধ্য হইতে) জাহান্নামের দলকে বাহির কর। আদম বলিবেন, জাহান্নামের দলে কত জন? আল্লাহ্ বলিবেন: প্রতি হাজারে নয় শত নিরানব্বই জন। এই সময় শিশু বৃদ্ধ হইয়া যাইবে, প্রত্যেক গর্ভবর্তী মহিলার গর্ভপাত হইয়া যাইবে। আর তোমরা লোকদিগকে দেখিবে নেশাগ্রস্ত, বস্তুতঃ তাহারা নেশাগ্রস্ত নহে; বরং আল্লাহর আযাবই কঠিন।
সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, আমাদের মধ্য হইতে কে হইবে সেই একজন? তিনি বলিলেন, (তোমরা ভয় পাইতেছ কেন?) বরং তোমরা এই সুসংবাদ জানিয়া রাখ যে, তোমাদের মধ্য হইতে একজন এবং ইয়াজুজ-মাজুজদের হইতে এক হাজার।

অতঃপর হুযুর (ছাঃ) বলিলেন, সেই মহান সত্তার কসম যাঁহার হাতে আমার প্রাণ। আমি আশা করি যে, তোমরা হইবে জান্নাতবাসীদের এক-চতুর্থাংশ। আবু সাঈদ বলেন, এই কথা শুনিয়া আমরা সকলে 'আল্লাহু আকবার' বলিয়া উঠিলাম। অতঃপর বলিলেন, আমি আশা করি তোমরা হইবে জান্নাতবাসীদের এক-তৃতীয়াংশ। তখন আমরা আবার বলিলাম 'আল্লাহু আকবার।' অতঃপর তিনি বলিলেন, আমি আশা করি যে, তোমরা হইবে জান্নাতবাসীদের অর্ধেক। এই কথা শুনিয়া আমরা আবার বলিলাম 'আল্লাহু আকবর।' অতঃপর তিনি বলিলেন, মানুষের মধ্যে তোমাদের সংখ্যার তুলনা হইবে যেমন একটি সাদা গরুর চামড়ার মধ্যে একটি কাল পশম অথবা একটি কাল গরুর চামড়ার মধ্যে একটি সাদা পশম। —মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৪২
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৪২। হযরত আবু সাঈদ খুদ্রী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, (কিয়ামতের দিন) যখন আমাদের পরওয়ারদিগার পায়ের গোছা উন্মোচিত করিবেন, তখন ঈমানদার নারী-পুরুষ সকলেই তাঁহাকে সজ্দা করিবে। আর বিরত থাকিবে ঐ সকল লোক যাহারা দুনিয়াতে রিয়া ও শুনানোর জন্য সজ্দা করিত, তাহারা সজ্দা করিতে চাহিবে, কিন্তু তাহাদের পৃষ্ঠদেশ ও কোমর একটি কাষ্ঠফলকের ন্যায় শক্ত হইয়া যাইবে।-মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৪৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৪৩। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন : কিয়ামতের দিন খুব মোটা-তাজা একজন বড় লোক আসিবে। কিন্তু আল্লাহর নিকট তাহার মর্যাদা একটি মশার পাখার সমানও হইবে না। অতঃপর তিনি ইহার প্রমাণস্বরূপ বলিলেনঃ তোমরা এই আয়াতটি পাঠ কর—فَلَا نُقيمُ لَهُم يومَ القيامةِ وَزْناً (অর্থাৎ, আমি কিয়ামতের দিন কাফেরদের জন্য কোন সম্মান ও মূল্য দিব না।) — মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৪৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৪৪। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই আয়াতটি পাঠ করিলেন— يَوْمَئِذٍ تُحدِّثُ أخبارَها (অর্থাৎ, কিয়ামতের দিন যমীন তাহার বৃত্তান্তসমূহ প্রকাশ করিয়া দিবে।) অতঃপর বলিলেনঃ তোমরা কি জান—যমীনের বৃত্তান্ত কি? সাহাবাগণ বলিলেন, আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূলই অধিক জানেন। তিনি বলিলেন; যমীনের বক্তব্য হইল, প্রত্যেক পুরুষ ও প্রত্যেক নারী সম্পর্কে এই সাক্ষ্য দিবে যে, সে উহার পৃষ্ঠে অবস্থানকালে কি কি কর্মকান্ড করিয়াছে। উহা এইভাবে বলিবে যে, অমুকে অমুক কাজটি অমুক দিন করিয়াছে। ইহাই যমীনের বৃত্তান্ত। —আমদ ও তিরমিযী এবং তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ্ ও গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৪৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৪৫। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে সে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সেই অনুশোচনার কারণ কি? তিনি বলিলেন; যদি সে নেক্কার হয়, তখন এই জন্য অনুতপ্ত হয় যে, কেন সে পুণ্যের কাজ আরও অধিক করে নাই । আর যদি বদ্‌কার হয়, তখন এই জন্য লজ্জিত হয় যে, কেন সে নিজেকে মন্দ কাজ হইতে বিরত রাখে নাই। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৫৪৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাশর
৫৫৪৬। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষদিগকে তিন ভাগে একত্রিত করা হইবে। একদল আসিবে পদব্রজে, দ্বিতীয় দল আসিবে সওয়ারীতে এবং তৃতীয় দল আসিবে নিজেদের মুখের উপরে ভর করিয়া। জিজ্ঞাসা করা হইল; ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তাহারা নিজেদের চেহারার উপরে ভর করিয়া কি ভাবে চলিবে। তিনি বলিলেন ; নিশ্চয় যিনি তাহাদিগকে পদযুগলে চালিত করিতে পারেন, তিনি তাহাদিগকে চেহারার উপরে ভর দিয়া চালাইবার ক্ষমতাও রাখেন। তোমরা জানিয়া রাখ, তাহারা নিজেদের মুখের উপরে চলাকালে প্রতিটি টিলা-টংকর ও কাঁটা-কুটা ইত্যাদি হইতে আত্মরক্ষা করিয়া চলিবে। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান