মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৮- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ৫৪৬৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৬৩। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, যেই বৎসর হযরত উমর (রাঃ) ইন্তেকাল করেন সেই বৎসর তিনি (হেজায এলাকায়) টিড্ডি (পঙ্গপাল) দেখিতে পান নাই, ইহাতে তিনি বিশেষভাবে চিন্তিত হইয়া পড়িলেন। অতঃপর তিনি ইয়ামন, ইরাক এবং সিরিয়ার দিকে আরোহী পাঠাইয়া জানিতে চাহিলেন, সেই সমস্ত এলাকায় কেহ কোন টিড্ডি দেখিয়াছে কিনা? পরে ইয়ামনের দিকে প্রেরিত আরোহী এক মুষ্টি টিড্ডি আনিয়া তাঁহার সম্মুখে ছড়াইয়া দিল। এতদ্দর্শনে হযরত উমর (রাঃ) আল্লাহু আকবার' ধ্বনি উচ্চারণ করিলেন এবং বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ এক হাজার মখলুক সৃষ্টি করিয়াছেন। তন্মধ্যে ছয়শত সমুদ্রে এবং চারশত স্থলে। আর এই উভয়বিদ প্রাণীর মধ্যে সর্বপ্রথম ধ্বংস হইবে টিড্ডিসমূহ। যখন টিড্ডি ধ্বংস হইয়া যাইবে তারপর উভয় স্থানের প্রাণীসমূহ একটির পর একটি এমনভাবে ধ্বংস হইতে থাকিবে যেমন, সূতা ছিঁড়া দানা একটির পর আরেকটি পড়িতে থাকে। —বায়হাকী শোআবুল ঈমান গ্রন্থে

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৪৬৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা
৫৪৬৪। হযরত হোয়াইফা ইবনে আসীদ গিফারী (রাঃ) বলেন, একদা আমরা পরস্পরে কথা-বার্তা বলিতেছিলাম, এমন সময় নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি সম্পর্কে আলোচনা করিতেছ ? তাহারা বলিলেন, আমরা কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করিতেছি। তখন তিনি বলিলেনঃ তোমরা দশটি নিদর্শন না দেখা পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হইবে না। আর তাহা হইল- (১) ধোয়া, (যাহা এক নাগাড়ে চল্লিশ দিন পূর্ব হইতে পশ্চিম প্রাপ্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হইয়া থাকিবে।) (২) দাজ্জাল, (৩) চতুষ্পদ জন্তু, (৪) পশ্চিমাকাশ হইতে সূর্য উদিত হওয়া, (৫) হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ)-এর (আকাশ হইতে) অবতরণ, (৬) ইয়াজুজ ও মাজুজ, (৭, ৮, ৯) তিনটি ভূমিধস — পূর্বাঞ্চলে, পশ্চিমাঞ্চলে এবং আরব উপদ্বীপে। (১০) সর্বশেষে ইয়ামন হইতে এমন এক অগ্নি বাহির হইবে যাহা মানুষ দিগকে তাড়াইয়া একটি সমবেত হওয়ার স্থান (অর্থাৎ সিরিয়ার) দিকে লইয়া যাইবে। অপর এক বর্ণনায় আছে—আদন (এডেন)-এর অভ্যন্তর হইতে আগুন বাহির হইবে, যাহা মানুষদিগকে সমবেত হওয়ার স্থানের দিকে তাড়াইয়া নিবে। এবং অন্য এক রেওয়ায়তে দশম লক্ষণ সম্পর্কে বলা হইয়াছে; এমন এক বায়ু প্রবাহিত হইবে যাহা মানুষদিগকে (কাফেরদিগকে) সাগরে নিক্ষেপ করিবে। মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৪৬৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা
৫৪৬৫। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ছয়টি লক্ষণ প্রকাশ হওয়ার পূর্বে নেক আমল অর্জনে তৎপর হও। (১) ধোয়া, (২) দাজ্জাল, (৩) দাব্বাতুল আর (মৃত্তিকা গর্ভ হইতে সৃষ্ট জন্তু), (৪) পশ্চিমাকাশ হইতে সূর্য উদিত হওয়া, (৫) সর্বগ্রাসী ফিতনা ও (৬) তোমাদের ব্যক্তিবিশেষের উপর আপতিত ফিতনা। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ৫৪৬৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা
৫৪৬৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, কিয়ামতের নিদর্শনসমূহের মধ্যে প্রথম প্রকাশ পাইবে এই দুইটি, একটি পশ্চিমাকাশ হইতে সূর্য উদিত হওয়া এবং অপরটি চাশতের সময় মানুষের সম্মুখে 'দাব্বাতুল আরব' বাহির হওয়া। এই দুইটির মধ্যে যাহাই প্রথমে প্রকাশ পাইবে, অপরটি উহার পর পরই অতি নিকটবর্তী সময়ে আবির্ভূত হইবে। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান