মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১৯- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৭৩৭
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা
৩৭৩৭। হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) হইতে বর্ণিত, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহাকে (গভর্ণর পদে নিযুক্ত করিয়া) ইয়ামান দেশে পাঠাইলেন, তখন তিনি তাঁহাকে (মুআযকে) জিজ্ঞাসা করিলেন, (আচ্ছা, বল তো দেখি!) যখন তোমার কাছে কোন মোকদ্দমা পেশ হইবে, তখন তুমি কিভাবে ফয়সালা করিবে? উত্তরে মুআয বলিলেন, আমি আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী ফয়সালা করিব। এইবার হুযূর (ﷺ) পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা, আল্লাহর কিতাবের মধ্যে যদি উহার কোন সমাধান না মিলে, তখন কি করিবে ? উত্তরে মুআয বলিলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সুন্নত (অর্থাৎ, হাদীসে রাসূল ) অনুযায়ী ফয়সালা করিব। হুযূর (ﷺ) পুনরায় তৃতীয়বার জিজ্ঞাসা করিলেন, আচ্ছা, যদি রাসূলুল্লাহর সুন্নতের মধ্যেও উহার সমাধান না মিলে তখন কি করিবে? উত্তরে মুআয বলিলেন, তখন আমি আমার বিবেক দ্বারা ইজতেহাদ করিব এবং এই কাজে সামান্য পরিমাণ ত্রুটি করিব না। মুআয (রাঃ) বলেন, আমার এই কথা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার বক্ষে হাত মারিয়া বলিলেনঃ সমস্ত প্রশংসা একমাত্র সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আল্লাহর রাসূলের প্রতিনিধিকে সেই কাজটি করিবার তৌফীক (যোগ্যতা) দান করিয়াছেন, যেই কাজে আল্লাহর রাসূলের সন্তুষ্টি রহিয়াছে। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও দারেমী
كتاب الإمارة والقضاء
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَهُ إِلَى الْيَمين قَالَ: «كَيْفَ تَقْضِي إِذَا عَرَضَ لَكَ قَضَاءٌ؟» قَالَ: أَقْضِي بِكِتَابِ اللَّهِ قَالَ: «فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فِي كِتَابِ اللَّهِ؟» قَالَ: فَبِسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فَإِنْ لَمْ تَجِدْ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ؟» قَالَ: أَجْتَهِدُ رَأْيِي وَلَا آلُو قَالَ: فَضَرَبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَدْرِهِ وَقَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَفَّقَ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ لِمَا يَرْضَى بِهِ رَسُولُ اللَّهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد والدارمي
হাদীস নং: ৩৭৩৮
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা
৩৭৩৮। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, (যখন) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে ইয়ামান দেশের শাসক নিযুক্ত করিয়া পাঠাইলেন, তখন আমি আরয করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, অথচ আমি একজন যুবক, বিচার বা শাসন সম্পর্কে আমি অজ্ঞ। উত্তরে হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা তোমার অন্তরকে অচিরেই সৎপথ প্রদর্শন করিবেন এবং তোমার যবানকেও সঠিক রাখিবেন। অতঃপর তিনি বলিলেন, যখন দুই ব্যক্তি (বাদী ও বিবাদী) কোন এক ব্যাপার লইয়া তোমার কাছে উপস্থিত হয়, তখন প্রতিপক্ষের কথাবার্তা না শোনা পর্যন্ত বাদীর পক্ষে (ডিক্রি) রায় প্রদান করিও না। কেননা, প্রতিপক্ষের বর্ণনা হইতে মোকদ্দমার রায় প্রদানে তোমার মদদ ও সাহায্য মিলিবে। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, (হুযূর [ﷺ]-এর দোআর পর) আমি আর কোন মোকদ্দমায় সন্দেহে পতিত হই নাই। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্ গ্রন্থকার বলেন, 'আকযিয়া ও শাহাদাতের' অধ্যায়ে আমরা ইনশাআল্লাহ্ উম্মে সালামা হইতে বর্ণিত, انما اقضى بينكم رائى হাদীসটি বর্ণনা করিব।
كتاب الإمارة والقضاء
عَن عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ قَاضِيًا فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ تُرْسِلُنِي وَأَنَا حَدِيثُ السِّنِّ وَلَا عِلْمَ لِي بِالْقَضَاءِ؟ فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ سَيَهْدِي قَلْبَكَ وَيُثَبِّتُ لِسَانَكَ إِذَا تَقَاضَى إِلَيْكَ رَجُلَانِ فَلَا تَقْضِ لِلْأَوَّلِ حَتَّى تَسْمَعَ كَلَامَ الْآخَرِ فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يَتَبَيَّنَ لَكَ الْقَضَاءُ» . قَالَ: فَمَا شَكَكْتُ فِي قَضَاءٍ بَعْدُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ أُمِّ سَلَمَةَ: «إِنَّمَا أَقْضِي بَيْنَكُمْ برأيي» فِي بَابِ «الْأَقْضِيَةِ وَالشَّهَادَاتِ» إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى
হাদীস নং: ৩৭৩৯
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা
৩৭৩৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি শাসক হইয়া দুনিয়াতে মানুষের মাঝে বিচার তথা শাসনকার্য চালাইয়াছে, সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় আল্লাহ্র দরবারে উপস্থিত হইবে যে, একজন ফিরিশতা তাহার ঘাড় ধরিয়া রাখিয়াছেন। অতঃপর ফেরেশ্তা (আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষায়) মাথাটি উপরের দিকে তুলিবেন। সুতরাং যদি তাহাকে বলা হয় যে, তাহাকে নীচের দিকে ছাড়িয়া দাও, তখন ফিরিশতা তাহাকে দোযখের তলদেশে নিক্ষেপ করিবেন, যাহার গভীরতা চল্লিশ বৎসরের পথ। —আহমদ ও ইবনে মাজাহ্ । আর বায়হাকী শোআবুল ঈমানে
كتاب الإمارة والقضاء
الْفَصْل الثَّالِث
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ حَاكِمٍ يَحْكُمُ بَيْنَ النَّاسِ إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَلَكٌ آخِذٌ بِقَفَاهُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَإِنْ قَالَ: أَلْقِهْ أَلْقَاهُ فِي مَهْوَاةٍ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ والْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان
হাদীস নং: ৩৭৪০
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা
৩৭৪০। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ ন্যায়পরায়ণ শাসক কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হইবে যে, সে আকাঙ্ক্ষা করিবে, একটি ফলের ব্যাপারেও দুই ব্যক্তির মধ্যে যদি সে কখনও বিচার না করিত। —আহমদ
كتاب الإمارة والقضاء
وَعَنْ عَائِشَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَيَأْتِيَنَّ عَلَى الْقَاضِي الْعَدْلِ يومُ القيامةِ يَتَمَنَّى أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ بَيْنَ اثْنَيْنِ فِي تَمْرَة قطّ» . رَوَاهُ أَحْمد