মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৩২৭০

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৭০। বিবি হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদল মুহাজির ও আনসারের মধ্যে ছিলেন। এমন সময় একটি উট আসিয়া তাঁহাকে সজদা করিল। তাহার সাহাবীগণ বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ? আপনাকে পশু ও গাছ সজদা করে। (আর আমরা মানুষ ;) সুতরাং আপনাকে সজদা করার আমরাই অধিক উপযুক্ত। তিনি বলিলেনঃ (না, না) সজদা দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রভুকেই পূজিবে এবং তোমাদের ভাইকে (অর্থাৎ, আমাকে) শুধু তা'যীম করিবে। আমি যদি কাহাকেও অপর কাহাকেও সজদা করার অনুমতি দিতাম, তবে স্ত্রীকেই তাহার স্বামীকে সজদা করার অনুমতি দিতাম। স্বামী যদি তাহাকে হলুদ রংের পাহাড় হইতে কালো রংের পাহাড়ে এবং কালো রংের পাহাড় হইতে সাদা পাহাড়ে পাথর স্থানান্তর করিতে বলে, তবুও তাহার ইহা করা উচিত। —আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩২৭১

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৭১। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন, তিন ব্যক্তির নামায কবুল হয় না এবং তাহাদের নেকী আকাশের দিকে উঠে না, (১) পলাতক ক্রীতদাস, যাবৎ না সে আপন প্রভুর নিকট ফিরিয়া আসে ও তাহার হাতে ধরা দেয়। (২) সেই নারী, যাহার উপর তাহার স্বামী নারায, যাবৎ না সে তাহাকে রাযী করে এবং (৩) মাতাল, যাবৎ না সে হুঁশে আসে। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩২৭২

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৭২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করা হইল, কোন্ (স্বভাবের) মহিলা উত্তম? তিনি বলিলেনঃ যখন স্বামী তাহার দিকে তাকায় তখন সে তাহাকে আনন্দ দেয় এবং যখন তাহাকে কোন কাজের নির্দেশ দেয় তখন সে উহা যথাযথ পালন করে। আর সে নিজের ব্যাপারে এবং তাহার মাল-সম্পদের ব্যাপারে এমন কোন কাজ করে না যাহা স্বামী নাপছন্দ করে। —নাসায়ী, বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩২৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৭৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ চারি জিনিস যাহাকে দান করা হইয়াছে তাহাকে দুনিয়া ও আখেরাতের সর্ব কল্যাণ দান করা হইয়াছে। (১) কৃতজ্ঞ অন্তর, (২) আল্লাহর যিকিরে রত যবান, (৩) বিপদে ধৈর্যশীল শরীর এবং (৪) এমন বিবি, যে আপন ইজ্জত ও স্বামীর মালের ব্যাপারে কখনও খেয়ানত করে না। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩২৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে
৩২৭৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, সাবেত ইবনে কায়সের স্ত্রী নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া বলিল, ইয়া রাসুলাল্লাহ্। সাবেত ইবনে কায়সের ব্যবহার ও দ্বীনদারী সম্পর্কে আমার কোন অভিযোগ নাই, কিন্তু আমি ইসলামে থাকিয়া (স্বামীর) অবাধ্যতাকে পছন্দ করি না। তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তবে কি তুমি তাহার বাগান তাহাকে ফেরত দিবে, (যাহা সে তোমাকে মহররূপে দিয়াছে)? সে বলিল, হা। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাবেতকে বলিলেন, তুমি তোমার বাগান গ্রহণ কর এবং তাহাকে এক তালাক দিয়া দাও। – বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৩২৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে
৩২৭৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি তাঁহার এক স্ত্রীকে ঋতু অবস্থায় তালাক দিলেন। হযরত ওমর (রাঃ) ইহা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বলিলেন। ইহাতে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগ হইয়া গেলেন এবং বলিলেন: সে যেন তাহাকে 'রাজআত' করে', অতঃপর রাখিয়া দেয়, যাবত না সে পাক হয়, অতঃপর ঋতু আসে অতঃপর পাক হয়। তৎপর সে যদি তাহাকে তালাক দিতে চাহে তালাক দিবে পাক অবস্থায় সহবাসের পূর্বে। ইহাই হইল তালাকের ইদ্দত, যদনুযায়ী তালাক দিতে আল্লাহ্ নির্দেশ দিয়াছেন। অপর বর্ণনায় আছে, তাহাকে বলেন, সে যেন তাহাকে রাজআত করে, অতঃপর তালাক দেয় পাক অবস্থায় অথবা গর্ভাবস্থায়। --মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান