মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৯২৭

পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান
২৯২৭। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তির প্রাপ্য থাকে অপর কাহারও উপর, সে যদি খাতককে কিছু দিনের সময় দান করে, তবে প্রতিদিনের বিনিময়ে সদকা বা দান-খয়রাত করার সওয়াব তাহার লাভ হইবে। —আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯২৮

পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান
২৯২৮। হযরত সা'দ ইবনে আতওয়াল বলেন, আমার ভ্রাতার মৃত্যু হইল, তিনি তিন শত দীনার (স্বর্ণ-মুদ্রা) রাখিয়া গেলেন এবং নাবালক সন্তান রাখিয়া গেলেন। আমার ইচ্ছা হইল —তাহার দীনারগুলি তাঁহার শিশুদের জন্য ব্যয় করিব। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বলিলেন, তোমার ভ্রাতা ঋণের দায়ে আব্দ্ধ রহিয়াছে; তাহার ঋণ পরিশোধ কর। তিনি বলেন, সেমতে আমি যাইয়া ঋণ পরিশোধ করিলাম এবং পুনঃ আসিয়া বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। সব ঋণই পরিশোধ করিয়াছি; শুধুমাত্র একজন মহিলা অবশিষ্ট রহিয়াছে। সে দুই দীনার পাওয়ার দাবী করে, কিন্তু তাহার কোন সাক্ষী নাই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, তাহাকেও দিয়া দাও, সে সত্যবাদিনী। – আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯২৯

পরিচ্ছেদঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান
২৯২৯। হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাহশ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা মসজিদের সম্মুখস্থ খোলা জায়গায় বসা ছিলাম, যথায় জানাযা রাখা হইত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)ও আমাদের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আকাশপানে চোখ উঠাইলেন এবং তাকাইলেন; অতঃপর দৃষ্টিকে অবনত করিয়া ললাটের উপর হাত রাখিলেন এবং বলিলেন, সোবহানাল্লাহ্! সোবহানাল্লাহ্! কী কঠোরতা অবতীর্ণ হইল!
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা একদিন এক রাত্র চুপই রহিলাম; এই সময়ের মধ্যে (কোন মন্দ দেখিলাম না) সব ভালই দেখিলাম। মুহাম্মাদ বলেন, পরবর্তী দিন ভোর হইলে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম, কি কঠোরতা অবতীর্ণ হইয়াছে? তিনি বলিলেন, ঋণ সম্পর্কে কঠোরতা (ওহী মারফত) অবতীর্ণ হইয়াছে! ঐ খোদার কসম যাঁহার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। কোন ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হইয়া পুনরায় (দুনিয়ার) জীবন লাভ করিয়াছে, আবার শহীদ হইয়া পুনরায় জীবন লাভ করিয়াছে, আবার শহীদ হইয়া (পরকালের জন্য) পুনরুজ্জীবিত হইয়াছে এবং তাহার উপর ঋণ ছিল, সে বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না, যাবৎ না তাহার ঋণ পরিশোধ করা হয়। —আহমদ ও শরহে সুন্নাহ্
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা একদিন এক রাত্র চুপই রহিলাম; এই সময়ের মধ্যে (কোন মন্দ দেখিলাম না) সব ভালই দেখিলাম। মুহাম্মাদ বলেন, পরবর্তী দিন ভোর হইলে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম, কি কঠোরতা অবতীর্ণ হইয়াছে? তিনি বলিলেন, ঋণ সম্পর্কে কঠোরতা (ওহী মারফত) অবতীর্ণ হইয়াছে! ঐ খোদার কসম যাঁহার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। কোন ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হইয়া পুনরায় (দুনিয়ার) জীবন লাভ করিয়াছে, আবার শহীদ হইয়া পুনরায় জীবন লাভ করিয়াছে, আবার শহীদ হইয়া (পরকালের জন্য) পুনরুজ্জীবিত হইয়াছে এবং তাহার উপর ঋণ ছিল, সে বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না, যাবৎ না তাহার ঋণ পরিশোধ করা হয়। —আহমদ ও শরহে সুন্নাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৯৩০

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারিত্ব ও ওয়াকালাহ্ (দায়িত্ব প্রদান)
২৯৩০। তাবেয়ী হযরত যুহরা ইবনে মা'বাদ হইতে বর্ণিত, তাঁহার দাদা সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে হিশাম তাঁহাকে লইয়া বাজারে যাইতেন এবং খাদ্যশস্য ক্রয় করিতেন; অতঃপর তাঁহার সাথে হযরত ইবনে ওমর ও ইবনে যুবায়রের সাক্ষাৎ হইত। তখন তাঁহারা তাঁহাকে বলিতেন, আপনি আমাদিগকেও আপনার সাথে শরীক করুন। কেননা, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার জন্য বরকতের দোআ করিয়াছেন। সুতরাং তিনি তাহাদিগকে নিজের শরীক করিতেন। দেখা যাইত, কোন কোন সময় তিনি পূর্ণ এক উট বোঝাই মাল লাভ করিতেন এবং উহা নিজের বাড়ীর দিকে পাঠাইয়া দিতেন। যুহরা বলেন, ব্যাপার হইল এই যে, একদা আমার দাদা আব্দুল্লাহ্ ইবনে হিশামকে তাঁহার মাতা নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট লইয়া গিয়াছিলেন, এবং তিনি তাঁহার মাথায় হাত বুলাইয়া তাঁহার জন্য বরকতের দো'আ করিয়াছিলেন। — বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান