মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৫২৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫২৪। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ হজ্জ ও উমরা সাথে সাথে কর। কেননা, ইহারা দারিদ্র্য ও গোনাহ্ দূর করে, যেভাবে হ্যাঁপর লোহা এবং সোনা-রূপার ময়লা দূর করে। কবুল করা হজ্জের সওয়াব জান্নাত ব্যতীত কিছুই নহে। – তিরমিযী ও নাসায়ী।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫২৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫২৫। কিন্তু আহমদ ও ইবনে মাজাহ্ হযরত ওমর হইতে 'লোহার ময়লা' পর্যন্ত।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫২৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫২৬। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কিসে হজ্জ ফরয হয়? তিনি বলিলেনঃ পথের পাথেয় ও বাহনে। – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫২৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫২৭। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করিল, হুযুর! হাজী কে? হুযূর বলিলেনঃ যে ব্যক্তির (এহরামের কারণে) এলোমেলো কেশ এবং দুর্গন্ধ শরীর। অতঃপর অপর এক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোন্ হজ্জ উত্তম? তিনি বলিলেন, তালবিয়ার সহিত আওয়ায উচ্চ করা এবং হাদঈর রক্ত প্রবাহিত করা। অতঃপর আরেক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোরআনে যে বলা হইয়াছে “যে সাবীলের সামর্থ্য রাখে।” সাবীল অর্থ কি? তিনি বলিলেন, পাথেয় ও বাহন। —বাগাবী শরহুস সুন্নায় এবং ইবনে মাজাহ্ তাঁহার সুনানে; কিন্তু তিনি শেষ দিক বর্ণনা করেন নাই।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫২৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫২৮। হযরত আবু রযীন উকাইলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট যাইয়া বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার পিতা অতি বৃদ্ধ, হজ্জ ও উমরা করার ক্ষমতা রাখেন না এবং বাহনে বসিতে পারেন না। হুযূর বলিলেনঃ তুমি তোমার পিতার পক্ষ হইতে হজ্জ ও উমরা কর। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান ও সহীহ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫২৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫২৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শুনিলেন, এক ব্যক্তি বলিতেছে, আমি শুবরোমার পক্ষ হইতে হজ্জের নিয়ত করিতেছি। হুযূর বলিলেনঃ শুবরোমা কে? সে বলিল, আমার এক ভাই অথবা বলিল, আমার এক আত্মীয়। তখন হুযূর জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি নিজের হজ্জ করিয়াছ কি? সে বলিল, জি, না। হুযূর বলিলেন, তবে তুমি প্রথমে নিজের হজ্জ কর, পরে শুবরোমার হজ্জ করিবে। —শাফেয়ী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৩০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩০। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পূর্ব দেশবাসীদের (ইরাকীদের) জন্য আকীককে মীকাত নির্ধারণ করিয়াছেন। —তিরমিযী ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৩১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩১। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরাকীদের জন্য যাতু-ইরককে মীকাত নির্ধারণ করিয়াছেন। –আবু দাউদ ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৩২

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩২। হযরত বিবি উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি বায়তুল মাকদাস হইতে (মক্কার) বায়তুল হারামের দিকে হজ্জ বা উমরার এহরাম বাঁধিবে, তাহার পূর্বাপরের গোনাহ মাফ করা হইবে অথবা তিনি বলিয়াছেন, তাহার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হইয়া যাইবে। – আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৩৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ইয়ামনবাসীরা হজ্জ করিত, পাথেয় সঙ্গে আনিত না এবং বলিত, আমরা আল্লাহর উপর ভরসাকারী; কিন্তু যখন মক্কায় পৌঁছিত মানুষের নিকট ভিক্ষা মাগিত। তখন আল্লাহ্ তা'আলা এই আয়াত নাযিল করেন, “পাথেয় সঙ্গে লও আর উত্তম পাথেয় হইল তাকওয়া (অর্থাৎ, অন্যের নিকট না মাগা ) ।” —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৩৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! স্ত্রীলোকের উপর কি জেহাদ ফরয? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, তাহাদের উপর জেহাদ ফরয, তবে উহাতে কাটাকাটি নাই—হজ্জ ও উমরা। —ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৩৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩৫। হযরত আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যাহাকে শক্ত অভাব অথবা অত্যাচারী শাসক অথবা গুরুতর রোগ বাধা দেয় নাই, অথচ সে হজ্জ না করিয়া মরিতে বসিয়াছে, মরুক সে যদি চাহে ইহুদী হইয়া আর যদি চাহে নাসারা হইয়া। —দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৫৩৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ হজ্জ ও উমরাকারীরা হইতেছে আল্লাহর দাওয়াতী যাত্রীদল। অতএব, তাহারা যদি তাঁহার নিকট দো'আ করেন তিনি তাহা কবুল করেন এবং যদি তাঁহার নিকট ক্ষমা চাহেন তিনি তাহাদিগকে ক্ষমা করিয়া দেন। —ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান