মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৬৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা।
মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা (নির্দিষ্ট নিয়মে মাটিতে প্রোথিত করা) ফরয। দাফন করার এই রীতি হযরত আদম (আঃ) হইতে এ পর্যন্ত সকল নবীর যুগেই চলিয়া আসিতেছে এবং আল্লাহর নির্দেশেই ইহা প্রবর্তিত হইয়াছে। দুনিয়ার মৃত মানুষের প্রথম মৃত মানুষ হইলেন হযরত আদম (আঃ)-এর পুত্র হযরত হাবীল। হাবীলকে হত্যা করিয়া তাঁহার বড় ভাই কাবীল তাঁহার লাশকে কি করিবে, তাহা বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। এ সময় আল্লাহর নির্দেশে এক কাক আসিয়া মাটি খুঁড়িল এবং অপর এক মৃত কাককে তথায় দাফন করিল। ইহা হইতেই শিক্ষা গ্রহণ করিয়া কাবীল আপন ভাই হাবীলের লাশকে মাটিতে দাফন করিল। এই ঘটনার উল্লেখ কুরআনে রহিয়াছে।
কবরকে মধ্যম কলেবর লোকের বক্ষ পর্যন্ত গভীর করা সুন্নত। মাথার উপরে হাত সোজা করিয়া দাঁড়াইতে পারে এরূপ গভীর করা উত্তম; কিন্তু নরম মাটিতে এত গভীর করা সম্ভব নহে। প্রস্থে দেড় হাত হইতে দুই হাত প্রশস্ত হওয়া উচিত।
কবর দুই রকম হইয়া থাকে—শক্ ও লহদ অর্থাৎ, সিন্দুকী ও বগলী কবর। সিন্দুকী যাহা গর্তের ন্যায় হয় এবং আমাদের দেশে হয়। বগলী যাহা গর্তের বাম পার্শ্বে ভিতরের দিকে খুঁড়িয়া করা হয়। শক্ত মাটিতে 'বগলী' করাই উত্তম এবং নরম মাটিতে বগলী সম্ভবপর নহে বলিয়া সিন্দুকী করাই শ্রেয়ঃ। হানাফী মাযহাব মতে কবরকে উটের পিঠের ন্যায় মধ্যস্থল উঁচু এবং দুই দিক ঢালু করা সুন্নত। ইহাকে 'মুসান্নাম' কবর বলে। কবর যমীন হইতে এক বিঘত উঁচু করা বিধেয়, উহার অধিক নহে।
মুর্দাকে কেবলার দিক হইতে কবরে নামাইতে হয় এবং “বিসমিল্লাহি ওয়া আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ্” আল্লাহর নামে এবং রাসূলের দ্বীনের উপরে বলিয়া কবরে রাখিতে হয়। কবরে মুর্দাকে কেবলার দিকে মুখ করিয়া পশ্চিম দিকে সামান্য কাত করিয়া শোয়াইতে হয়। (বিস্তারিত বিবরণের জন্য ফেকাহর কিতাব দ্রষ্টব্য।) — অনুবাদক
মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা (নির্দিষ্ট নিয়মে মাটিতে প্রোথিত করা) ফরয। দাফন করার এই রীতি হযরত আদম (আঃ) হইতে এ পর্যন্ত সকল নবীর যুগেই চলিয়া আসিতেছে এবং আল্লাহর নির্দেশেই ইহা প্রবর্তিত হইয়াছে। দুনিয়ার মৃত মানুষের প্রথম মৃত মানুষ হইলেন হযরত আদম (আঃ)-এর পুত্র হযরত হাবীল। হাবীলকে হত্যা করিয়া তাঁহার বড় ভাই কাবীল তাঁহার লাশকে কি করিবে, তাহা বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। এ সময় আল্লাহর নির্দেশে এক কাক আসিয়া মাটি খুঁড়িল এবং অপর এক মৃত কাককে তথায় দাফন করিল। ইহা হইতেই শিক্ষা গ্রহণ করিয়া কাবীল আপন ভাই হাবীলের লাশকে মাটিতে দাফন করিল। এই ঘটনার উল্লেখ কুরআনে রহিয়াছে।
কবরকে মধ্যম কলেবর লোকের বক্ষ পর্যন্ত গভীর করা সুন্নত। মাথার উপরে হাত সোজা করিয়া দাঁড়াইতে পারে এরূপ গভীর করা উত্তম; কিন্তু নরম মাটিতে এত গভীর করা সম্ভব নহে। প্রস্থে দেড় হাত হইতে দুই হাত প্রশস্ত হওয়া উচিত।
কবর দুই রকম হইয়া থাকে—শক্ ও লহদ অর্থাৎ, সিন্দুকী ও বগলী কবর। সিন্দুকী যাহা গর্তের ন্যায় হয় এবং আমাদের দেশে হয়। বগলী যাহা গর্তের বাম পার্শ্বে ভিতরের দিকে খুঁড়িয়া করা হয়। শক্ত মাটিতে 'বগলী' করাই উত্তম এবং নরম মাটিতে বগলী সম্ভবপর নহে বলিয়া সিন্দুকী করাই শ্রেয়ঃ। হানাফী মাযহাব মতে কবরকে উটের পিঠের ন্যায় মধ্যস্থল উঁচু এবং দুই দিক ঢালু করা সুন্নত। ইহাকে 'মুসান্নাম' কবর বলে। কবর যমীন হইতে এক বিঘত উঁচু করা বিধেয়, উহার অধিক নহে।
মুর্দাকে কেবলার দিক হইতে কবরে নামাইতে হয় এবং “বিসমিল্লাহি ওয়া আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ্” আল্লাহর নামে এবং রাসূলের দ্বীনের উপরে বলিয়া কবরে রাখিতে হয়। কবরে মুর্দাকে কেবলার দিকে মুখ করিয়া পশ্চিম দিকে সামান্য কাত করিয়া শোয়াইতে হয়। (বিস্তারিত বিবরণের জন্য ফেকাহর কিতাব দ্রষ্টব্য।) — অনুবাদক
১৬৯৩। তাবেয়ী আমের ইবনে সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস হইতে বর্ণিত আছে যে, (তাঁহার পিতা) হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস যে রোগে ইন্তেকাল করিয়াছেন সে রোগে বলিয়াছেন, আমার জন্য লহদ (বগলী কবর) তৈয়ার করিবে এবং উহাতে কাঁচা ইট খাড়া করিয়া দিবে, যেভাবে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লহুদে দেওয়া হইয়াছে। — মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান